- ট্রাম্প প্রশাসন ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনকে (আইএসএস) ব্যক্তিগত খাতে দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছে।
- এ প্রশাসন নাসার তহবিল ২০২৫ সালে বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা জানিয়েছে।
- ১২ ফেব্রুয়ারি, সোমবার নাসা এই বাজেটের প্রস্তাবনা দেয়।
- কক্ষপথে নতুন বাণিজ্যিক প্লাটফর্ম তৈরি করতে ১৫ কোটি মার্কিন ডলারের প্রস্তাবনা দেওয়া হয় ।
বর্তমানে মুষ্টিমেয় কিছু কোম্পানি ব্যক্তিগত স্পেসস্টেশন তৈরির কাজ করছে। বিগেলো অ্যারোস্পেস ও ন্যানোর্যাকস কোম্পানির হার্ডওয়্যার রয়েছে আইএসএস এ। হোয়াইট হাউজের প্রস্তাবনায় পুরোপুরি পরিষ্কার না যে তারা এটিকে ব্যক্তিগত খাতে ছেড়ে দেবে কিনা। তবে এ কোম্পানিগুলোর সিইওরা এই প্রস্তাবনায় ভবিষ্যতের জন্য আশাবাদী।
নাসা স্পেস স্টেশনটিকে পুরোপুরিভাবে ছেড়ে দেবার কথা প্রস্তাবনায় বলা হয়নি। তারা গবেষণা ও অন্যান্য প্রকল্পের জন্য বাণিজ্যিক অংশীদারের সাথে কাজ করবে। তবে এটি পরিষ্কার না যে ২০২৫ সালের পর নাসা কতটুকু করবে। বাণিজ্যিক সম্প্রসারণের জন্য প্রস্তাবিত ১৫ কোটি ডলার কীভাবে ব্যয় করা হবে, সে সম্পর্কেও নিশ্চিত করা হয়নি।
তহবিল বন্ধ করে দিলে এটি সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন হারাবে। যুক্তরাষ্ট্র আইএসএস তৈরি ও পরিচালনা করতে প্রায় ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার খরচ করেছিল। বর্তমানে নাসা দেখছে এটিকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত টিকিয়ে রাখা যায় কিনা।
অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে কে এই স্টেশনটি গ্রহণ করবে। প্রস্তাবনা পেশ করার আগে ‘মেড ইন স্পেস’ কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যান্ড্রু রাশ বলেন,“আইএসএস বিজ্ঞান ও মানবজাতির অনুসন্ধানের জন্য নির্মিত হয়েছে, মুনাফা অর্জনের জন্য নয়।” মেড ইন স্পেস কোম্পানি স্পেস স্টেশনের বিভিন্ন সামগ্রী উৎপাদনে ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ ব্যবহার করে।
‘অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন’ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক সালাজার জানিয়েছেন এ সিদ্ধান্ত স্টেশনটির অভ্যন্তরীণ অংশীদারদের জন্যও অপ্রীতিকর হতে পারে। তিনি বলেন, “এটি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক চুক্তির কারণে আইএসএসকে পুরোপুরি বাণিজ্যিক শাখা হিসেবে গড়ে তোলা খুবই কষ্টদায়ক হবে।”
এদিকে বোয়িংয়ের প্রোগ্রাম ব্যবস্থাপক বলেন, “ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন ছেড়ে দেওয়া এখন ভুল, আমেরিকার নেতৃত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ এবং বাণিজ্যিক বাজার ও বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের জন্য ক্ষতিকর।” বোয়িং ১৯৯৫ সাল থেকেই স্টেশনটির সাথে যুক্ত এবং নাসার পক্ষে এটি পরিচালনা করে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র এই স্টেশনটি কী করবে তা নিয়ে সংগ্রাম করে আসছিল ২০১৪ সালে ওবামা প্রশাসন এর তহবিল ২০২৪ সাল পর্যন্ত বরাদ্দ করে। কিন্তু এরপর এর ভাগ্য অনিশ্চিত হয়ে যায়। তবে অনেকের মতে বাণিজ্যিক খাতে ছেড়ে দিলে এর পরিচালনা টিকে রাখা সম্ভব হবে।
ফিচার ইমেজ: trending articles and videos