প্রথমবারের মতো ‘স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন’ ভাষণ প্রদান করলেন ট্রাম্প

  • যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত মঙ্গলবার কংগ্রেসে তার প্রথম ‘স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন‘ ভাষণ প্রদান করেছেন।
  • ভাষণে তিনি আইনপ্রণেতাদের দ্বিপক্ষীয় সমঝোতায় আসতে আহ্বান জানিয়েছেন।
  • তিনি অভিবাসন, বিনিয়ন্ত্রণ, ট্যাক্সের ক্ষেত্রে নীতিমালা উপস্থাপন করেছেন।
  • ট্রাম্প গুয়ান্তানামো কারাগার খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান।

হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস এ ভাষণ দিচ্ছেন ট্রাম্প; Source: Quartz

যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্দেশ্য করে ভাষণ প্রদানের সময় ট্রাম্প বলেন, “এটি প্রকৃতপক্ষে নতুন আমেরিকান মুহূর্ত।” তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে সকল পার্থক্যের উর্ধ্বে গিয়ে একতার আহ্বান জানান। ভাষণে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং তার ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি নিয়ে কথা বলেন। তার সময়ে আমেরিকায় প্রায় আড়াই লাখ নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে এবং বিগত ৪৫ বছরের মধ্যে বেকারত্ব সবচেয়ে কমেছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, “আমেরিকার স্বপ্নে জীবনযাপন করার জন্য এর চেয়ে ভালো সময় আর হয় না।

যুক্তরাষ্ট্রে শিশু হিসেবে আসা প্রায় ১,৮০,০০০ অভিবাসী যারা নথিভুক্ত নয়, তাদেরকে নাগরিকত্ব প্রদান সংক্রান্ত অভিবাসী নীতি সংশোধন করতে কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানান ট্রাম্প। এছাড়াও তিনি পুরোপুরি সুরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে দেওয়াল নির্মাণ, ভিসা লটারি কার্যক্রম এবং পারিবারিক বন্ধনের কারণে অভিবাসন বন্ধের কথা বলেন।

তিনি জানান, প্রতিরক্ষা বিভাগকে তিনি গুয়ান্তানামো কারাগার খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন। এর আগে ২০০৯ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এটি বন্ধের জন্য একটি কার্যনির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন। এছাড়া তিনি ট্যাক্সের ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে নিজেকে ও কংগ্রেসকে অভিবাদন জানান। মধ্যবিত্তদের ট্যাক্স বাড়িয়ে বিত্তবান মার্কিনীদের অন্যায়ভাবে সাহায্য করা এ নীতিটি ডেমোক্র্যাটসহ আরও কিছু দল দ্বারা সমালোচিত।

ভাষণ প্রদানকালে ট্রাম্প; Source:  Los Angeles Times

বৈদেশিক নীতি সম্পর্কে ভাষণের শেষে তিনি উত্তর কোরিয়ার সমালোচনা করেন। তার মতে, সে দেশের বেপরোয়া নিউক্লীয় ক্ষেপণাস্ত্রের কার্যক্রম যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি বয়ে আনতে পারে। সেটি যেন না ঘটে সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ চাপ সৃষ্টি করার কথাও জানান তিনি।

হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের যে কক্ষে ট্রাম্প ভাষণ দেন, সেখানে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের মাঝে একতা খুব কমই দেখা যায়। প্রেসিডেন্টের প্রশংসনীয় বক্তব্যের অংশে রিপাবলিকানরা সজোরে হর্ষধ্বনি করেন। অপরদিকে ডেমোক্র্যাটরা চুপচাপ বসে ছিলেন এবং অভিবাসী নীতি সম্পর্কে কথা বলার সময় এর বিরুদ্ধে অবজ্ঞাসূচক ধ্বনি করেন।

ফিচার ইমেজ: Los Angeles Times

Related Articles

Exit mobile version