- সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুতে জোড়া গাড়ি বোমা হামলায় অন্তত ৪৫ জন নিহত ও ৩৬ জন আহত হয়েছে।
- গত শুক্রবার দেশটির বিদ্রোহী দল আল-শাবাব এ বোমা হামলা চালায়।
- নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালালে ৫ হামলাকারী নিহত হয়।
আল-শাবাব প্রেসিডেন্ট ভবন ও এর নিকটবর্তী এক হোটেলে বোমা হামলার দায় স্বীকার করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, “গতরাতের বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা ৪৫ এ দাঁড়িয়েছে এবং আরও ৩৬ জন আহত হয়েছে।”
মেজর মোহাম্মেদ আব্দুল্লাহি বলেন, “ভবনের নিকটে আসার পরে হামলাকারীরা গাড়ি থেকে নেমে পড়ে। বাসভনের বাইরে গাড়ি বোমাটি বিস্ফোরিত হয়, যেখানে বাসভবন সংলগ্ন রাস্তা পাহারারত অনেক সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন।” তিনি আরও বলেন, “গত রাতে একজন সেনা অফিসার ও একজন স্থানীয় কর্মকর্তাসহ অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছে। এর চেয়েও বেশি মানুষ আহত হয়েছে। তাদের অধিকাংশই ভবন ও উপস্থিত কর্মকর্তাদের পাহারাদার। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।” তিনি আরও জানান, হোটেলটিতে অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছে। সব মিলিয়ে ৩৬ জনের মতো নিহত। বিস্ফোরণের পর পরই এলাটিতে গোলাগুলি শুরু হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশ ও অ্যাম্বুলেন্সের কর্মকর্তারা।
আল-শাবাব জানায়, তারা শুক্রবার রাতের হামলায় ৩৫ জন সেনাকে হত্যা করেছে এবং তাদের ৫ জন নিহত হয়েছে। আল শাবাবের সামরিক মুখপাত্র আবদিয়াসিস আবু মুসাব বলেন, “আমাদের দিক থেকে দুজন ড্রাইভারসহ ৫ জন শহীদ হয়েছেন । গতরাতের অপারেশনে আমরা ৩৫ জন সেনা হত্যা করেছি। অন্যান্য মুজাহিদীনরা নিরাপদে ফিরে এসেছেন।”
আল কায়েদার সাথে সংযুক্ত এ দলটি সোমালিয়া সরকারের পতন ঘটিয়ে সেখানে নিজেদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী ইসলামিক আইন প্রতিষ্ঠা করতে চায়। প্রায় এক দশকের সহিংসতায় পূর্ব আফ্রিকায় শত শত সাধারণ মানুষ এবং সোমালিয়ায় হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।
নিরাপত্তা মন্ত্রী জানান, নিরাপত্তাবাহিনী আল-শাবাবের হামলাকারীদের শায়েস্তা করতে পেরেছে। তারা গুলি করলে পাঁচজন হামলাকারী নিহত হয়। দেশটির সংবাদ সংস্থা তার বরাত দিয়ে জানায়, “নিরাপত্তা মন্ত্রী অপারেশনটি সমাপ্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন এবং হামলাকারীদের পাঁচজন গুলিতে গুলিতে নিহত হয়েছে।” প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ভবন ও হোটেলটির আশেপাশের রাস্তা নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের দ্বারা বেষ্টিত ছিল।
গত অক্টোবরে মোগাদিসুতে জোড়া বোমা হামলায় ৫০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়। আল-শাবাব ২০০৭ সালে সহিংসতা শুরু করার পরে সেটিই সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা। তবে আল-শাবাব সে ঘটনার দায় স্বীকার করেনি।
ফিচার ইমেজ: Reuters