- আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত যুক্তরাষ্ট্রীয় জোট, গত শনিবারের বিমান হামলায় প্রায় ১৫০ জন আইএস সেনা হত্যা করেছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে সিএনএন। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত জোটের মুখপাত্র রায়ান ডিলন এ কথা জানান।
- আইএস সদরদপ্তর, আদেশ ও পরিচালনা কেন্দ্র এ হামলার লক্ষ্য ছিল বলে বলেন তিনি। তিনি আরও জানান, হামলাটি আরও বহুবিধ গোয়েন্দার পুরো সপ্তাহের কাজ ও যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্যপ্রাপ্ত ‘সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস’ এর তথ্যের ভিত্তিতে করা হয়।
- জোটের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয় জায়গাটি পুরোপুরিভাবে আইএস বাহিনীর দখলে ছিল। সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনায় স্থানটি সবসময় নজরদারিতে রাখা হয়েছিল।
ডিলন জানান ইউফ্রেটিস নদীর উপত্যকায় অবস্থিত আল শাফাহ শহরে হামলাটি করা হয়। এ অঞ্চল থেকেই আইএস এর বাকি অংশ তাদের কার্যপরিচালনা করে। তিনি বলেন, “দেখে মনে হচ্ছিল তারা কোথাও যাওয়ার জন্য জমায়েত হচ্ছিল। … যখন তারা একত্রিত হয় তখন আমরা এর সুবিধা নিতে পছন্দ করি।”
সিরিয়ায় ‘স্পেশাল অপারেশন জয়েন্ট টাস্ক ফোর্স’ এর কমান্ডার জেমস জেরার্ড বলেন, হামলাটি তাদের আশানুরূপ ফলাফল লাভে ব্যর্থ হয়েছে। তাই সিরিয়া মুক্ত করার লড়াই শেষ হতে এখনও অনেকদিন বাকি। তিনি আরও জানান, জোট বাহিনী ও ‘সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস’ এর সদস্যরা এখনও আইএস সেনাদের খুঁজে বের করে হত্যা করায় নিয়োজিত রয়েছে।
তুরস্ক সিরিয়ায় কুর্দিশ ওয়াইপিজি বাহিনীর উপর সামরিক হামলা করার কারণে মূলত যুক্তরাষ্ট্র এ হামলা চালায় এবং সিরীয় গণতান্ত্রিক বাহিনীর প্রতি জেরার্ড সমর্থন প্রদর্শন করেন। যুক্তরাষ্ট্র কুর্দিশ যোদ্ধাদের সাহায্য না করলেও তাদের মূলসূত্র ‘সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস’ কে সাহায্য করে যা মূলত সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সক্রিয়। তুরস্ক দুটি দলকেই কুর্দিশ বিচ্ছিন্নতাবাদীর সাথে সংযুক্ত মনে করে। তারা তুরস্ক সরকারের সাথে একযুগ ধরে লড়াই করেছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের একজন উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রকে সাহায্য বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ওয়াশিংটন তুরস্ককে নিশ্চিত করেছে যে তারা কুর্দিশ সেনাদের শুধু আইএস পরাজিত হওয়া পর্যন্ত সাহায্য করবে।
যুক্তরাষ্ট্র জোর দিয়ে জানায়, আইএস এখনও ভীতির কারণ। যুক্তরাষ্ট্রর সেনা কর্মকর্তা জানান যে, আফরিনে সিরিয়ার হামলা আইএস এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোনো প্রভাব ফেলে নি। তিনি আরও বলেন যে, আইএস এর উপর করা তাদের এ হামলায় ৮০% আরব ও ২০% কুর্দিশ জড়িত।
ফিচার ইমেজ: The Epoch Times