গতকাল শনিবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের প্রথম বর্ষপূর্তিতে তার বিরুদ্ধে হাজার হাজার নারী যুক্তরাষ্ট্রের রাস্তায় পদযাত্রায় অংশ নিয়েছেন। অফিস পরিচালনায় নারী প্রার্থীর সংখ্যা বাড়াতে ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কর্তৃক গৃহীত নীতির প্রতিবাদে এ পদযাত্রা করা হয়।
নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে সারা যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন শহরের রাস্তায় প্রতিবাদীদের ঢল নামে। পাশাপাশি ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকাতে র্যালি অনুষ্ঠিত হওয়ায় এটি একটি বৈশ্বিক রূপ ধারণ করে। কর্তৃপক্ষ অনুমান করছে যে, নিউ ইয়র্কে প্রায় ১ লক্ষ ও লস এঞ্জেলসে প্রায় ৩ লক্ষ নারী পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেছিল।
এছাড়াও ক্লিভল্যাণ্ড, ভার্জিনিয়া, ফিলাডেলফিয়া ও টেক্সাসের বিভিন্ন জায়গায় পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। ‘পাওয়ার টু দ্য পোলস‘ নামে এ পদযাত্রাকে রাজনীতিতে নারীর সক্রিয়তায় নতুন ধারার সূচনা বলে প্রশংসা করা হয়। আয়োজকরা নারীদেরকে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে রাজনীতিতে অংশগ্রহণে আগ্রহী করে তোলার পক্ষে আশাবাদী। রবিবার সারাবিশ্বে আরও পদযাত্রা অনুষ্ঠিত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এ বছরের প্রতিবাদে র্যালিও সংযোজিত হয়েছে, যা পুরো সপ্তাহ জুড়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের প্রায় ২৫০টি শহরে অনুষ্ঠিত হবে। ‘উইমেন মার্চ’ পরিষদের সহ-সভাপতি তামিলা ম্যালোরি বলেন, “জনগণ গত বছর অনেক ক্ষুব্ধ ছিল এবং এ বছরও অনেক ক্ষুব্ধ।” আয়োজকরা প্রায় ১০ লক্ষ নতুন ভোটার নিবন্ধন এবং অফিসে নারীদের অধিকারের জন্য আরও দৃঢ় সমর্থন চান। পরবর্তীতে লস এঞ্জেলেসে আয়োজিত পদযাত্রায় তারকারা একটি বড় উপস্থিতি হিসেবে দেখা দেবেন। কিন্তু তাদের মাঝে অনেকেই এখনই টুইট করে একে সমর্থন জানাচ্ছেন।
You didn’t need to do this.
But you did.
So today…
I march for the dreamers you didn’t protect.
And the children you left vulnerable. #WhyIMarch #TrumpShutdown #PowerToThePolls #WomensMarch2018
— Alyssa Milano (@Alyssa_Milano) January 20, 2018
পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা শুধু রাজনীতিতে নারীর অধিকারেই নয়, তারা যৌন নিপীড়ন, পারিশ্রমিকে লিঙ্গ বৈষম্য ও স্বাস্থ্যসেবার অপ্রাপ্তির প্রতিও গুরুত্বারোপ করেন। এর আগে গত বছর প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ গ্রহণ করার পরে ২১ জানুয়ারী তার বিরুদ্ধে নারীদের পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, এ বছরের পদযাত্রা এমন সময় অনুষ্ঠিত হলো যখন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কার্যক্রম বন্ধ। সিনেট সদস্যরা নতুন বাজেটে সম্মত হতে না পারায় গত শুক্রবার মাঝরাতে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া শুরু হয়।
ফিচার ইমেজ: Vox