বাজার থেকে এক সের মাংস এনে স্ত্রীকে বললেন কাবাব বানাতে। স্ত্রী নিজেই সব আর দোষ দিলেন বিড়ালের। হোজ্জাও কম যান না, বিড়ালকে ধরে নিয়ে দাঁড়িপাল্লায় দিলেন, মেপে দেখা গেলো বিড়ালের ওজনও এক সের। হোজ্জা তার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলেন এই যদি বিড়াল হয় তবে মাংস কোথায়? আর এটাই মাংস হয় তবে বিড়াল কোথায়?
মধ্য এশিয়ায় এমনই এক চরিত্র হলেন মোল্লা নাসিরুদ্দিন হোজ্জা, তবে এই ব্যক্তির খ্যাতি ভারতবর্ষে মোটেও কম নয়। হোজ্জার নামের সাথেই শত সহস্র কিংবদন্তী মানুষের মুখে মুখে ঘুরে বেড়ায়। কখনো গোপাল ভাড়ের গল্পটাও নাসিরুদ্দিনের নামে দিব্যি চালান হয়ে যায় আবার কোথাও নাসিরুদ্দিনের গল্প মিশে যায় গোপাল ভাড়ের সাথে। এরজন্য কাউকে মোটেও দোষারোপ করা যায় না। লোককথার চরিত্রই এমন, চারদিক থেকে সে নিজেকে সমৃদ্ধ করে। সন্ধ্যার গল্পের আসরে কিংবা চায়ের কাপে বন্ধুদের সাথে রসিকতায় যে মোল্লা নাসিরুদ্দিনের গল্প কিংবা চুটকী বেঁচে আছে, সেই নাসিরুদ্দিন নামে কেউ কি ছিলেন এই পৃথিবীতে?