দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা বিশ্বকাপ দল নিয়েও বাংলাদেশের বিশ্বকাপ যাত্রা শেষ হলো দশ দলের মধ্যে অষ্টম হয়ে। ২০১১ কিংবা ২০১৫ – গত দুই বিশ্বকাপেই বাংলাদেশের প্রাপ্তি ছিলো তিনটি করে জয়, এবারও হয়নি তার ব্যতিক্রম।
তিন জয়, একটি পরিত্যক্ত ম্যাচ আর পাঁচটি হার – পয়েন্ট টেবিলে এই হচ্ছে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান। কিন্তু বাস্তবে দেখলে, বিশ্বকাপে এবার বাংলাদেশ বলতে সাকিব আল হাসান আর একটুখানি মুস্তাফিজ, ব্যস, বাংলাদেশের বিশ্বকাপ এতটুকুই।
আর বিশ্বকাপ-পরবর্তি শ্রীলংকা সফর? আরেক বিভীষিকা। সাকিব-মাশরাফিকে ছাড়া তামিম ইকবালের অধিনায়কত্বে অথৈ সাগরে ডুবে মরেছে বাংলাদেশ দল, একটি ম্যাচেও পারেনি বিন্দুমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বীতা তৈরি করতে, বলতে গেলে হেসেখেলেই সিরিজ জিতেছে শ্রীলংকা।
বিশ্বকাপে কোনটি ঠিকমতো করেছে বাংলাদেশ- সেই উত্তর খুঁজতে বেগ পেতে হলেও, কী কী ভুল করেছে বাংলাদেশ- সেই তালিকাটা বেশ লম্বা। ভুলের আলোচনার পাশাপাশি উঠে আসে কিছু প্রশ্নও। এই বিশ্বকাপ কি তবে বদলে দেবে বাংলাদেশের ক্রিকেটের গতিপথ? এই বিশ্বকাপের ব্যর্থতা ঠিক কত বড় দাগ ফেলে যাবে ভবিষ্যতের জন্য? প্রশ্নগুলোর উত্তর অজানা, তবে বিশ্বকাপ-ব্যর্থতা বিশ্লেষণ করলে মিলতে পারে উত্তরগুলো খুঁজে পাবার পথ।