হরর বা ভৌতিক চলচ্চিত্রগুলোর আবেদন অনেকের কাছেই কম নয়। নানা প্রকারের ভৌতিক চলচ্চিত্রের কোনোটি হয়তো স্থাননির্ভর, কোনোটি নিছক গল্প আবার কোনো কোনোটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি বলেও দাবী করা হয়। সিনেমার কাহিনী ও ঘটনাপ্রবাহ যা-ই হোক না কেন, এ সকল সিনেমার একটি জিনিস একই- আর তা হলো এমন কিছুর উপস্থিতি যা দর্শকমনে ভীতির সঞ্চার করতে পারে। এই সকল সিনেমার গল্পের কেন্দ্রবিন্দুও তাই বিভিন্ন অতিপ্রাকৃত চরিত্র যেগুলো সিনেমার মূলকাহিনীর মেরুদণ্ডস্বরূপ। সিনেমার অন্যান্য চরিত্রের কলাকুশলীদের মতো এসব ভৌতিক চরিত্রের রূপদানকারী অভিনয়শিল্পীরাও রক্ত-মাংসের সাধারণ মানুষ। পর্দায় যাদের দর্শনমাত্র দেহে কাঁপুনি ও মনে শিহরণ ধরে যায় বাস্তবে তারা দেখতে কেমন কৌতূহল হয় বৈকি! তাহলে চলুন পাঠক দেখে আসি পর্দায় বিভত্সরূপে আবির্ভূত হওয়া ভৌতিক চলচ্চিত্রের কলাকুশলীগণ আসলে বাস্তবজীবনে দেখতে কেমন।
‘দ্য কনজুরিং ২’ (২০১৬) এর ভ্যালাক
ধারাবাহিক চলচ্চিত্র ‘দ্য কনজুরিং’ এর তৃতীয় কিস্তির ছবি এটি। কনজুরিং ও অ্যানাবেল সিনেমার পর মুক্তি পাওয়া ‘কনজুরিং ২’ এর কাহিনীর আবাস্থল পূর্ব লণ্ডন। অতিপ্রাকৃতিক ঘটনাবিশেষজ্ঞ এড ও লরেইন জুটি একটি অতিপ্রাকৃত শক্তি আক্রান্ত পরিবারকে সাহায্য করতে আসেন। পরবর্তীতে ঘটনাক্রমে তারা এমন এক দানবের সন্ধান পান যে কিনা ভয়ংকর এবং একজন মহিলা পাদ্রীর বেশে থাকে। যারা ছবিটি দেখেছেন তাদের বিলক্ষণ বুঝে যাবার কথা এখানে বলা হচ্ছে ‘ভ্যালাক’ নাম্নী সেই পাদ্রীরূপী দানবের কথা।
রূপালি পর্দার ভ্যালাককে দেখে চমকে যাবার পর এবার ভ্যালাকের রূপদানকারী ‘আসল’ মানুষটিকে জেনে আসা যাক। ভ্যালাক চরিত্রে অভিনয়কারী অভিনেত্রীর নাম বনি এরনস। বনি এরনস একজন আমেরিকান অভিনেত্রী যাকে মুহুর্মুহু জানানো হয়েছিল যে, তার চেহারা ও নাকের অস্বাভাবিক আকারের জন্য তিনি অভিনেত্রী হিসেবে সফল হতে পারবেন না। বলাবাহুল্য, তিনি তাদের সকলকে ভুল প্রমাণিত করে ছেড়েছেন। মালহল্যান্ড ড্রাইভ, দ্য প্রিন্সেস ডায়েরিজ, দ্য ফাইটারের মতো চলচ্চিত্রগুলোয় ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করা এই শিল্পীর প্রথম বড় সুযোগ আসে কনজুরিং ২ এর ভ্যালাক চরিত্রটির মাধ্যমে। চরিত্র অনুযায়ী তার চেহারা ও নাকের গড়ন যে সোনায় সোহাগা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে তা বললে অত্যুক্তি হবে না।
‘দ্য রিং’ (২০০২) চলচ্চিত্রের সামারা
প্রাচীন শহরে হাতবদল হওয়া ভিডিওচিত্র যা দেখতে মানা- এমন গল্পের ছবি ‘দ্য রিং’| ভৌতিক ছবির চিরাচরিত প্রথা নুসারে মানুষ শেষপর্যন্ত সেটি দেখে এবং অভিশপ্ত ভিডিওচিত্র দেখার করুণ পরিণতি বরণ করে। তবে প্রথমেই মানুষ বুঝতে পারে না যে, সে বা তারা অভিশপ্ত কিনা। ভিডিওটি দেখার ফলে ফোন করে একটি ভৌতিক স্বর তাদের জানান দেয়, তাদের আয়ুষ্কাল আর মাত্র ৭ দিন! এরপর ৭ দিন অতিবাহিত হলে সেই মানুষটি জীবিত রয় না এবং এভাবেই চক্রটি চলতে থাকে। বহুল আলোচিত এই ছবিটির খলনায়ক বা ভৌতিক চরিত্র ‘সামারা’ এর রূপদাত্রী অভিনেত্রীর নাম ড্যাভেই চেজ।
টিভি থেকে বের হয়ে মানুষ খুন করে ফেলা ভৌতিক চরিত্র সামারার চরিত্র সত্যিই ভয়ংকর। কিন্তু ভয়ঙ্কর এই চরিত্রের রূপকার ড্যাভেই চেজ যখন সিনেমাটির শুটিং করেন তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১১! মাত্র এগারো বছরের মিষ্টি মেয়ের পর্দায় এমন ভয়াল রূপ ফুটিয়ে তোলার ক্ষমতা ও তার চমৎকার অভিনয় দেখে সমালোচকগণ ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ২০০৩ সালে চেজ সেরা খলনায়ক হিসেবে ‘এমটিভি মুভি এওয়ার্ড’ পান।
‘ইট’ (২০১৭) এর পেনিওয়াইজ
গত বছর সেপ্টেম্বরে মুক্তি পাওয়া এই ছবিটি স্টিফেন কিং এর ভৌতিক উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি। একই কাহিনী অবলম্বনে তৈরি ১৯৯০ সালের একই নামের একটি ছবি তৈরি হয়েছিল। দুটি চলচ্চিত্রেরই মুখ্য খলনায়ক ‘পেনিওয়াইজ’ নামক এক ভাঁড়। সিনেমায় পেনিওয়াজকে দেখে বিন্দুমাত্র আবেদনময় না মনে হলেও বাস্তবজীবনে পেনিওয়াইজের অভিনেতাকে দেখলে বেশ চমকে যেতে হয়। পেনিওয়াইজ খলচরিত্রে অভিনয়কারী এই ব্যক্তিটির নাম বিল স্কারসগার্ড। পেনিওয়াইজের কদাকার শ্রীর পেছনে যে অমন সুদর্শন মুখ লুকিয়ে আছে তা বাস্তবে না দেখে আঁচ করা মুশকিল।
‘ইট’ (১৯৯০) চলচ্চিত্রের পেনিওয়াইজ
সুদর্শন বিল স্কারসগার্ডের পর এবার তার পূর্বসূরী হিসেবে পেনিওয়াইজ চরিত্রে অভিনয়কারী টিম কারির কথা ধরা যাক। বলা হয়, কারি এই চরিত্রের ভয়াবহতাকে এমন নিখুঁতভাবে চিত্রিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন যে, বাচ্চাদের মনে সঙ বা ভাঁড়দের সম্পর্কে ভয় পাবার রেশ অনেকদিন রয়ে যায়। ভয়ংকর ভাঁড় হিসেবে কারির অবতার বেশ আদর্শ উদাহরণ কায়েম করেছে।
‘রিংস’ (২০১৭) চলচ্চিত্রের সামারা
এই সিনেমাটির খলচরিত্র সামারার ছবি পোস্টারে দেখে অনেকেই ভেবেছিলেন সেটি বুঝি অঙ্কিত চিত্র কিংবা ফটোশপের কারসাজি। বাস্তবে কারোপক্ষে ওভাবে বেঁকে যাওয়া সম্ভব এটা অনেকে বিশ্বাসই করতে চাইবেন না। কিন্তু এই চরিত্রের অভিনয়শিল্পী বনি মরগ্যান একজন শরীরচর্চাবিদ এবং উনার শরীর ইচ্ছেমতোন বাঁকাতে পারেন তিনি। সার্কাস কলাকুশলীদের পরিবারে ছোট থেকে বেড়ে ওঠা বনি বেশ ছেলেবেলা থেকেই শরীর বাঁকানোর কসরত করে চলেছেন। তাই ভুলেও তাকে অনুকরণ করতে যাওয়া ঠিক হবে না, কেননা তিনি আর দশজন মানুষের চেয়ে ভিন্নভাবে বেড়ে উঠেছেন।
টেক্সাস চেইন স’ ম্যাসাকারের লেদারফেস
১৯৭৪ সালে গানার হ্যানসেনকে এই চলচ্চিত্রে লেদারফেস চরিত্রের জন্য চূড়ান্ত করা হয়। পাঠক, দেখতেই পারছেন লেদারের মুখোশের পেছনের এই ব্যক্তির আসল চেহারা।
‘আমেরিকান হরর স্টোরি’ (২০১১) এর জেথার পলক
ফিন উইটরক এই চরিত্রে অভিনয় করেন।
‘প্যানস ল্যাবিরিন্থ’ (২০০৬) ছবির পেলম্যান
গিলের্মো দেল তরোর পরিচালিত প্যান’স ল্যাবিরিন্থ সিনেমার কাহিনীর পটভূমি ১৯৪৪ সাল, স্প্যানিশ গৃহযুদ্ধ শেষের টালমাটাল অন্ধকার সময়। একজন অত্যাচারী সেনাকর্মকর্তার সৎকন্যা অফেলিয়াকে অমরত্ব অর্জনের জন্য এক অপদেবতার দেয়া কাজগুলো নিয়ে এগিয়ে চলেছে কাহিনী। তার দ্বিতীয় কাজটি ছিল নরখাদক দানব পেলম্যানের মুখের ভেতর থেকে একটি ছোঁড়া বের করে আনা। অপদেবতা ও পেলম্যান উভয় চরিত্রই ডৌগ জোনসের করা।
‘আ নাইটমেয়ার অন এলম স্ট্রিট’ (১৯৮৪) এর ফ্রেডি ক্রুগার
মানুষের স্বপ্নে হানা দেয়া দানব ফ্রেডি ক্রুগার তার শিকারদের দুঃস্বপ্নে তাদের তাড়া করে বেড়ায়। যদি সে স্বপ্নজগতে কাউকে হত্যা করে তাহলে লোকটি বাস্তবিক জীবনেও মারা যায়। ফ্রেডি ক্রুগার তাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অপরাধে তার পিতামাতার ওপর বদলা নেবার লক্ষ্যে এসব করে বেড়ায়। রবার্ট ইংলুন্ড এই ফ্রেডি ক্রুগারের চরিত্রটি করে বেশ খ্যাতি অর্জন করেন এবং ছবিটি বক্স অফিসে সাড়া ফেলে দিয়ে ৪৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে।
‘হেলরেইজার’ সিনেমার পিনহেড
মাথায় পিনযুক্ত এই চরিত্রটির জন্য ডৌ ব্র্যাডলিকে বাছাই করা হয়। ছবিটির পরিচালক ক্লাইভ বার্কের। অভিনেতার মেকআপ শেষ করতে কতক্ষণ লেগেছিল সেটি অনুমানের ভার না হয় পাঠকের ওপরেই থাকলো।
‘হ্যারি পটারের’ লর্ড ভলডেমর্ট
এটি ভৌতিক সিনেমা না হলেও খলচরিত্র ভলডেমর্টের মেকআপের পেছনের চেহারা সম্পর্কে জানতে চাওয়া দোষের কিছু নয়। ভলডেমর্ট চরিত্রটিতে প্রথমে অভিনয় করেন রিচার্ড ব্রেমার, কিন্তু পরবর্তীতে সিংহভাগ ক্ষেত্রে অভিনয় করেন রালফ ফেন্নেস।
‘পাইরেটস অফ দ্য ক্যারিবিয়ান’ এর ডেভি জোনস
অক্টোপাসের ন্যায় শুঁড়যুক্ত ডেভি জোনস চরিত্রের অভিনেতা বিল নিগি। সত্যিই প্রযুক্তির বদৌলতে আজ সিনেমায় নানান কারসাজি দেখানো সম্ভব।
‘স্ক্রীম’ চলচ্চিত্রের ঘোস্টফেস
’৯০ এর দশক থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত ঘোস্ট ফেসের মুখোশটি শিশু-কিশোরদের কাছে কম বেশি জনপ্রিয়। তবে ছবিতে দেখানো ভৌতিক চেহারার এই মুখোশের পেছনের মানুষটিও কিন্তু কম সুদর্শন নন। এখনো পর্যন্ত হ্যালোইনের আভূষণের মধ্যে এটির বিক্রয় সর্বাধিক। ড্যানে ফারওয়েল ঘোস্টফেসের চরিত্রে অভিনয় করেন। এছাড়াও নানা সময়ে ম্যাথিউ লিলার্ড, স্কীট উলরিচ, টিমোথি অলিফ্যান্ট, লরি মেটকাফ, স্কট ফলি, এমা রবার্টস, ররি কালকিন, রজার এল. জ্যাকসন ঘোস্টফেসের চরিত্রে অভিনয় করেন।
‘দ্য এক্সরসিস্ট’ এর রেগ্যান ম্যাকনেইল
ভূতুড়ে চলচ্চিত্রের জগতে এই ছবিটির বেশ কদর রয়েছে। ছবিটি জুড়েই দানবীয় বশে থাকা রিগ্যান ম্যাকনেইল চরিত্রটি মানুষের মনে ভীতি সৃষ্টি করে গেছে। এই চরিত্রের অভিনেত্রী লিন্ডা ব্লেয়ার।
‘মিডনাইট মুভি’ (২০০৮) এর রাডফোর্ড
২০০৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই চলচ্চিত্রে টেড রাডফোর্ড নামক এক ভৌতিক চলচ্চিত্রনির্মাতাই খলচরিত্র। ৪০ বছর আগের পটভূমিতে দেখা যায় রাডফোর্ড মানসিক হাসপাতালের ওয়ার্ডে চিকিত্সাধীন। তার বারংবার মানা করা সত্ত্বেও চিকিৎসক তাকে তার বানানো চলচ্চিত্রটি দেখান। এই থেকেই ভূতুড়ে ঘটনার উত্পত্তি এবং ৪০ বছর পরেও তার এই সিনেমাটি দেখার ফলস্বরূপ সে মানুষের জন্য মৃত্যু বয়ে আনে। রাডফোর্ডের চরিত্রে অভিনয় করেন আর্থার রবার্টস।
‘সাইলেন্ট হিল’ চলচ্চিত্রের পিরামিড হেড
অভিনেতা এবং নৃত্যপরিচালক রবার্তো ক্যাম্পানেল্লা এই চলচ্চিত্রে শুধু পিরামিড হেড নামক অতিপ্রাকৃত শক্তির চরিত্রকেই রূপদান করেননি, পাশাপাশি সাইলেন্ট হিল এর তত্ত্বাবধায়ক কলিনের চরিত্রেও অভিনয় করেছেন। সকল ভূতুড়ে বস্তুর নড়াচড়া এবং সেগুলোর ভূমিকায় অভিনয়কারী কলাকুশলীদেরকেও নির্দেশনা দিয়েছিলেন তিনি।
‘ইনসাইডিয়াস: চ্যাপ্টার ২’ (২০১৩) এর ব্রাইড ইন ব্ল্যাক
ইনসাইডিয়াস ছবিগুলোর ধারাবাহিকতায় এটি দ্বিতীয় চলচ্চিত্র। এই চলচ্চিত্রের মূল খলচরিত্র কালোরঙা পোশাক পড়া এক নববধূ। এই নববধূকে দেখলেই গা শিউরে ওঠা স্বাভাবিক এবং সহসা দেখলে ঠাউরানো যায় না যে এটি আদৌ পুরুষ না মহিলা। পরবর্তীতে জানা যায় সিনেমায় (এবং অবশ্যই বাস্তবেও) চরিত্রটিতে থাকা মানুষটি একজন পুরুষ। চরিত্রটি করেন ৭২ বছর বয়সী টম ফিটজপ্যাট্রিক। তবে ইনসাইডিয়াস এর প্রথম সিনেমায় এই চরিত্রটি করেছিলেন ফিলিপ ফ্রাইডম্যান।
এবং একজন জাভিয়ের বটেট!
‘দ্য আদার সাইড অফ দ্য ডোর’ এর মির্তু কে মনে আছে? ইহজগত ও পরজগতের মধ্যবর্তী দ্বাররক্ষক এ দেবীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জাভিয়ের বটেট। শুধু তা-ই নয়, আরো অসংখ্য ভৌতিক সিনেমা ও ভয়াল দৃশ্যে অভিনয় করেছেন তিনি। তার মধ্যে বিনীথ স্টিল ওয়াটার্সে (২০০৫) দ্য হিউম্যানয়েড, রেক চলচ্চিত্রে (২০০৭) নিনা মেডেইরোস, ‘মামা’য় (২০১৩) মামা, ‘উইচিং এন্ড বিচিং’ (২০১৩) এ লুইসমি, ক্রিমসন পিকে (২০০৫) এনোলা, মার্গারেট ও পামেলা, ‘রেভেন্যান্ট’ এর একটি চরিত্র (যা পরে কেটে ফেলা হয়), ‘দ্য কনজুরিং ২’ এর দ্য ক্রুকড ম্যান এবং ঘোস্ট অফ জিঞ্জারলিনের জেনোমর্ফ/প্রোটোমর্ফ চরিত্রগুলো করেছেন।
হরর বা ভৌতিক সিনেমা দেখাটা অনেকের কাছেই বিনোদনের ভাল মাধ্যম। চরিত্রের খাতিরে পর্দায় ভয়াল রূপে হাজির হওয়া ব্যক্তিবর্গ বাস্তব জীবনে আমাদেরই মতোন রক্তমাংসের মানুষ। তবে পর্দার সাথে বাস্তবের মানুষটির তুলনা বেশ চমকপ্রদ তথ্য নিয়েই অপেক্ষা করে আমাদের জন্য।