Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

শহীদ মিনারের ইতিকথা

কালের ফেরে আবারও দেখা দিয়েছে ফেব্রুয়ারি মাস। বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম জ্বলজ্বলে হলো ফেব্রুয়ারি যা ভাষার মাস, আত্মত্যাগের স্মৃতির মাস এবং একই সাথে গৌরব ও সাহসের স্মারক বহনকারী মাস। মহান ভাষা শহীদদের স্মৃতি রোমন্থনকালে ও তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের কথা ভাবলেই চোখে ভেসে ওঠে শহীদ মিনারের প্রতিকৃতি। আজকের এই শহীদ মিনার যে প্রথম নয় এ কথা অনেকের কাছেই অবিদিত নেই। এর আগেও কয়েকবার তৈরি হয়েছিল শহীদ মিনার। আজকের লেখাটি গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসের সাক্ষী এই মহান স্মৃতিস্তম্ভের অতীত থেকে বর্তমানের যাত্রাকে ঘিরেই সাজানো।

 কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ঢাকা

১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারিতে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে করা মিছিলে কাঁদুনে গ্যাস ও গুলি চালানো হয়। পরদিন ২২ ফেব্রুয়ারীতেও প্রতিবাদ মিছিলে গুলি করা হয়। এতে শহীদ হন রফিক, সালাম, বরকত, আউয়াল, শফিউরসহ অনেকে। তাদের এই মহান আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধার প্রতীক কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার যা বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজের কাছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগ সংলগ্ন) অবস্থিত। এর স্থপতি হলেন হামিদুর রহমান। তবে এই শহীদ মিনারটি কিন্তু সর্বপ্রথম তৈরি হয়নি। বরং ক্রমানুযায়ী বিচার করতে গেলে এটির পূর্বে আরো কয়েকবার নির্মিত হয়েছিল শ্রদ্ধার পরিচায়ক এ স্মৃতিস্তম্ভ।

প্রথম নির্মিত শহীদ মিনার

২১শে ফেব্রুয়ারির ঘটনার পর ২২শে ফেব্রুয়ারির প্রথম শহীদ মিনারটি বানানোর সিদ্ধান্ত হয়। কাজ শুরু হয় ২৩শে ফেব্রুয়ারি। কারফিউ থাকা সত্ত্বেও ২৩শে ফেব্রুয়ারি বিকেলে কাজ শুরু হয়। শহীদ মিনারটি তৈরি করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। বদরুল আলম ও সাঈদ হায়দারের নকশায় বিকেল থেকে শুরু করে পুরো রাত কাজ করার পর শহীদ মিনারটি তৈরির কাজ শেষ হয়। এই কাজের তদারকি করেন জিএস শরফুদ্দিন ও সহযোগিতা করেন দুজন রাজমিস্ত্রী।

ছাত্রদের তৈরি এই স্মৃতিস্তম্ভটি বর্তমান শহীদ মিনার প্রাঙ্গন এর দক্ষিণ-পূর্ব কোণে ছাত্র হোস্টেলের (ব্যারাক) ১২ নং শেডের পূর্ব প্রান্তে হয়েছিল। মেডিকেল কলেজ সংস্কার ও সম্প্রসারণের নিমিত্তে রাখা ইট ও বালু এবং পুরান ঢাকার পিয়ারু সর্দারের গুদাম থেকে আনা সিমেন্ট দিয়ে সাড়ে দশ ফুট উঁচু (৩.২ মিটার) ও ৬ ফুট (১.৮ মিটার) চওড়া শহীদ মিনারটি তৈরি করা হয়। পিয়ারু সর্দার ছিলেন পুরাতন ঢাকার পঞ্চায়েত সর্দারদের মধ্যে একজন, তার কাছে ছাত্ররা সহায়তা চাইলে তিনি নির্মাণের কাঁচামাল দিয়ে সাহায্য করেন। ভোর হবার পর তা কাপড় দিয়ে ঢেকে দেয়া হয় এবং সামনে এক টুকরো কাগজে হাতে লিখে দেয়া হয়- ‘শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’।

প্রথম নির্মিত শহীদ মিনার ঢাকা (৩ দিন পর ভেঙ্গে ফেলে পাকিস্তানি পুলিশ)

২৪শে ফেব্রুয়ারী সকালে ২২শে ফেব্রুয়ারির শহীদ শফিউরের পিতা মাহবুবুর রহমান কর্তৃক অনানুষ্ঠানিকভাবে শহীদ মিনারের উদ্বোধন করা হয়। ইতোমধ্যেই দৈনিক আজাদ পত্রিকায় ‘শহীদ বীরের স্মৃতিতে’ শিরোনামে শহীদ মিনারের খবর ছাপা হয়। অতঃপর ২৬ ফেব্রুয়ারী শহীদ মিনারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন দৈনিক আজাদের সম্পাদক আবুল কালাম শামসুদ্দিন। বিকেলবেলা পুলিশ মেডিকেল কলেজ হোস্টেল এলাকা ঘিরে ফেলে এবং প্রথম শহীদ মিনারটি ভেঙ্গে ফেলে। পরে ঢাকা কলেজেও একটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হয়। কিন্তু সেটিও সরকারের নির্দেশে ভেঙ্গে ফেলা হয়। ছোটখাট কিছু স্মৃতিস্তম্ভ দেশের আনাচে কানাচে গড়ে ওঠে।

অনেকে দাবি করেন যে, ঢাকায় সর্বপ্রথম শহীদ মিনার নির্মিত হবার পূর্বে রাজশাহীতে ইট ও কাদা দিয়ে প্রথম শহীদ মিনার তৈরি হয়েছিল। এটি তৈরি করেছিলেন রাজশাহী সরকারী কলেজের ছাত্ররা। সারা রাত জেগে শহীদ মিনারটি নির্মাণ করার পর সকালে তারা পিকেটিং এর জন্য বের হয়ে গেলে পুলিশ এসে স্মৃতিস্তম্ভটি ভেঙ্গে দেয়। স্মৃতিস্তম্ভটিতে এই কবিতার চরণটি লেখা ছিল: “উদয়ের পথে শুনি কার বাণী, ভয় নাই ওরে ভয় নাই। নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান, ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।”

এ শহীদ মিনার তৈরির সময় উপস্থিত থাকা গোলাম আরিফ টিপুর মতে, এই শহীদ মিনার তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ২১শে ফেব্রুয়ারিতেই এবং এক রাতেই এটি তৈরি করা হয়েছিল। এটিই যে প্রথম শহীদ মিনার সেটা প্রমাণের কোনো চেষ্টা তারা না করলেও সময়ের হিসেবে রাজশাহীর শহীদ মিনারটি ঢাকারটির আগেই তৈরি হয়েছিল বলেই অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।

১৯৫৩-১৯৫৪ সালের মধ্যে নির্মিত শহীদ মিনার

পরের বছর ২১শে ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী শহীদ দিবস পালন করা হয় এবং লাল কাগজ দিয়ে একই স্থানে পূর্বের শহীদ মিনারের অনুরূপ একটি প্রতিকৃতি তৈরি করা হয়। এরপর সেটিকে কালো কাপড়ে ঢেকে দেয়া হয়। সেখান থেকেই প্রথমবারের মত প্রভাতফেরি করে বের হয় ছাত্ররা, এভাবেই প্রভাতফেরির সূত্রপাত হয়। পরের বছর (১৯৫৪ সাল) একই রূপে আবারো প্রভাতফেরি বের করা হয় ২১শে ফেব্রুয়ারিতে।

ঐ একই বছরের ১০ই মার্চ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে ৩রা এপ্রিল ক্ষমতায় আসে যুক্তফ্রন্ট সরকার। ৯ই মে এর অধিবেশনে তারা ঘোষণা দেন, তাদের ২১ দফা অনুযায়ী, শহীদ মিনার পুনঃনির্মাণ করা হবে এবং ২১শে ফেব্রুয়ারিকে ‘শহীদ দিবস’ আখ্যা দেয়া হবে। কিন্তু তারা এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত করতে ব্যর্থ হয় এবং ৩০শে মে এই সরকারের পতন ঘটে। তবে ১৯৫৪ সালে একটি ছোট আকারের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হয় যার উদ্বোধন করেন নাট্যগুরু নুরুল মোমেন। বড় আকারে শহীদ মিনার তৈরির কাজ শুরু হয় ১৯৫৭ সালে।

১৯৫৪ সালে নির্মিত দ্বিতীয় শহীদ মিনার

    ১৯৫৩ সালে কার্জন হলে নির্মিত শহীদ মিনার

শহীদ মিনার (১৯৬৩-১৯৭১)

১৯৫৬ সালে আবুল হোসেনের মুখ্যমন্ত্রী থাকাবস্থায় পূর্তমন্ত্রী আবদুস সালাম খান শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে একটি স্থানকে বাছাই করেন। পরবর্তীতে সেখানে জনৈক মন্ত্রীর শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কথা থাকলেও জনতার বিপুল আপত্তির মুখে তা না করে, ভাষাশহীদ রিকশাচালক আউয়ালের মেয়ে বসিরনকে দিয়ে শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করানো হয়।

১৯৫৬ সালে এ.কে. ফজলুল হক ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টের উদ্যোগে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে পালিত হয় শহীদ দিবস এবং এতেই শহীদ মিনারের নির্মাণ প্রক্রিয়া বেগবান হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজের হোস্টেলের সম্মুখের বিস্তীর্ণ এলাকা নিয়ে শহীদ মিনার কমপ্লেক্স তৈরির পরিকল্পনা করা হয়। স্থাপত্য নকশার দায়িত্ব পান হামিদুর রহমান ও নভেরা আহমেদ। ১৯৫৭ সালের ৯ই নভেম্বর এটি তৈরির কাজ শুরু হয়। সামরিক আইন জারির কারণে নির্মাণকাজ বিলম্বিত হয়।

১৯৬২ সালে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর আজম খানের নেতৃত্বাধীন কমিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে চিঠি দিয়ে শহীদ মিনারের নকশায় পরিবর্তন এনে একে সংক্ষিপ্তাকারে শেষ করতে বলেন। ১৯৬৩ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী ভাষাশহীদ বরকতের মা হাসিনা বেগমের হাতে শহীদ মিনারটির স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধন হয়। যদিও তখনো সম্পূর্ণ কমপ্লেক্সের কাজ সম্পন্ন হয়নি।

হামিদুর রহমান ও নভেরা আহমেদকে নিয়ে যে শহীদ মিনার তৈরির পরিকল্পনাটি নেয়া হয়েছিল তা হলো- কেন্দ্রীয় বেদীতে অর্ধ-বৃত্তাকার কলাম মা ও তার ভূপতিত সন্তানদের নির্দেশ করবে। চোখে সূর্যের আলোর প্রতিফলন নির্দেশ করতে হলুদ ও গাঢ় নীলরঙা কাঁচ কলামগুলোতে বসানোর কথা ছিলো। মেঝেটি হবার কথা ছিল মার্বেল পাথরের যেন এই কলামগুলোর ছায়াসমূহের সময়ক্রমে স্থান পরিবর্তন এতে দেখা যায়।

বেদীর নিচে বেজমেন্টে ১৫০০ বর্গফুট (১৪০ বর্গমিটার) এর একটি প্রাচীরচিত্রে উল্লেখ থাকার কথা ছিল ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসের। বাংলা অক্ষরযুক্ত একটি রেইলিং সৌধটির সামনে স্থাপনের কথা ছিল। আর লাল ও কালো রঙ্গা দুইটি পায়ের ছাপ অঙ্কনের কথা ছিলো যা ভাষা আন্দোলনের পক্ষে বিপক্ষে অবস্থান নেয়া দুটো ভিন্ন দলকে নির্দেশ করে। একটি চোখ আকৃতির ঝরণা, একটি জাদুঘর এবং পাঠাগারও হামিদুর রহমানের নকশা পরিকল্পনায় ছিল।

হামিদুর রহমান এমনভাবে শহীদ মিনারের নকশা করেছিলেন যাতে তা এই গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলের আবহাওয়ায় টিকে থাকতে পারে। সামরিক শাসন জারির পূর্বে ভিত্তি, বেদী, কিছু কলাম, রেইলিং, পায়ের ছাপ, দেয়ালে আঁকা ছবি ও অন্যান্য কিছু কাজ সম্পন্ন হয়েছিল। ১৯৬৩ সালে যখন উদ্বোধন করা হয় তখন হামিদুর রহমানের নকশার বেশিরভাগ কাজই অসম্পূর্ণ ছিল।

১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ চালিত গণহত্যা অভিযান অপারেশন সার্চলাইট এর সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী শহীদ মিনারটি ক্ষতিগ্রস্ত করে গুঁড়িয়ে দেয় এবং ধ্বংসাবশেষ এর উপর ‘মসজিদ’ লেখা সাইনবোর্ড রেখে দেয়।

বর্তমান শহীদ মিনার

বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পরে ১৯৭২ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর নেতৃত্বে শহীদ মিনার পুনরায় নির্মাণের জন্য কমিটি গঠন করা হয়। তারা ১৯৬৩ সালের নকশার উপর ভিত্তি করে দ্রুত এর কাজ সম্পন্ন করতে চান। অতঃপর ১৯৭৬ সালে নতুন নকশা অনুমোদিত হয় শহীদ মিনারের জন্য যদিও তা সম্পূর্ণরূপে প্রয়োগ করা হয়নি।

নতুন নকশানুসারে, ১৫০০ বর্গফুটের ভিত্তির ওপর চারটি ক্ষুদ্র ও একটি বৃহৎ কলাম মা ও তার ভূপতিত সন্তানদের নির্দেশ করে। এর পেছনে থাকবে একটি লাল সূর্য। এগুলো নির্মিত হয়েছিল উজ্বল মার্বেল পাথর দ্বারা। সিঁড়িতে ব্যবহার করা হবে সাদা রং যা একটি শুভ্র সৌম্য সৌন্দর্য এনে দেবে। প্রাচীরে রং করে লেখা থাকবে বিখ্যাত কবিদের কবিতা।

কিন্তু তাড়াহুড়োর কারণে এই পরিকল্পনা যথার্থরূপে বাস্তবায়িত করা সম্ভব হয়নি। নির্মাণকালে কলামগুলোর দৈর্ঘ্য পরিকল্পনানুসারে ধার্যকৃত দৈর্ঘ্যের থেকে কম হয়ে যায় এবং মুখ্য তথা বৃহৎ কলামটির মাথা পরিকল্পনার চেয়ে বেশি বাঁকানো করে তৈরি করা হয়। পাশাপাশি মিনারের নানা অংশের কাজও যথার্থভাবে করা হয়নি। অতঃপর আশির দশকে মুখ্য স্থপতি এস.এইচ.এম. আবুল বাশারের নেতৃত্বে শহীদ মিনারের এলাকা সম্প্রসারণ করে ত্রিকোণ থেকে চতুর্ভুজাকার করা হয়। এই নতুন পরিকল্পনায় হামিদুর রহমানের নকশার দেয়ালচিত্র পরিকল্পনা বাতিল ও বেইজমেন্টের অংশটি বন্ধ হয়ে যায়।

১৯৮৩ সালে শহীদ মিনার বর্তমান রূপ পায়, দেয়ালের কিছু ক্ষতিগ্রস্ত অংশে মার্বেল পাথর ব্যবহার করা হয়। সে সময়ের পরিকল্পনানুসারে, শহীদ মিনার এলাকায় একটি জাদুঘর ও পাঠাগার নির্মাণেরও কথা ছিল। অতঃপর ২০১০ সালের ২৫শে আগস্ট হাইকোর্ট শহীদ মিনারের ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণার্থে নয়টি নির্দেশনা দেন এবং জাদুঘর ও পাঠাগার নির্মাণের নির্দেশ দেন। বর্তমান শহীদ মিনারের উচ্চতা ১৪ মিটার (৪৬ ফুট)।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার

২১শে ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনারকে ঘিরে নানা আয়োজন দেখা গেলেও বছরের বেশিরভাগ সময় অবহেলায় পড়ে থাকে এটি। এর পাশাপাশি দেশে ও দেশের বাইরে ভাষা শহীদদের মর্যাদায় ও তাদের প্রতি শ্রদ্ধায় নির্মিত হয়েছে আরো শহীদ মিনার। এগুলোর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো:

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু শহীদ মিনার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মিত শহীদ মিনার, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রভৃতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শহীদ মিনার, ভারতের কলকাতায় অবস্থিত শহীদ মিনার (১৮২৫ সালে মেজর জেনারেল স্যার ডেভিড অক্টারলোনি কর্তৃক নির্মিত স্তম্ভকে পরবর্তীতে শহীদ মিনার নামকরণ করা হয়েছে), ইস্ট লন্ডনের আলতাব আলী পার্কের শহীদ মিনার, ওল্ডহ্যামের ওয়েস্টউডে নির্মিত শহীদ মিনার ইত্যাদি।

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শহীদ মিনার (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়)

শহীদ মিনার মহান ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগ, দেশপ্রেম ও বীরত্বের প্রতীক। এর রক্ষণাবেক্ষণ এর দায়িত্ব সরকারের পাশাপাশি নাগরিকের তথা আমাদেরও। যতদিন বাংলা ভাষা ও বাঙ্গালিয়ানা টিকে থাকবে মহান ভাষাশহীদদের স্মৃতি অমর হয়ে থাকবে আমাদের মাঝে। তাই এই শ্রদ্ধা যেন শুধু ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিকে ঘিরেই আবর্তিত না হয়ে সবসময় বজায় থাকে এটাই কাম্য।

বাংলা ও বাংলাদেশের ইতিহাসে মহান ভাষা শহীদদের স্মৃতি হোক অমর, অক্ষয়- পাশাপাশি চিরকাল তা সদর্পে ঘোষণা করুক বিনম্র শ্রদ্ধার প্রতীক শহীদ মিনার।

This article is in Bangla language. It has been written on the past history of Shaheed Minar. 

Featured Image: Dhaka Report 

Source of Information 

1. en.wikipedia.org/wiki/Shaheed_Minar,_Dhaka
2. https://goo.gl/bVZ8wA
3. hpofbd.blogspot.com/2012/05/central-shaheed-minar.html
4. bangladeshcontinual.blogspot.com/2011/10/shaheed-minar-national-language-martyr.html
5. en.banglapedia.org/index.php?title=Shaheed_Minar
6. bangladesh.com/sights/shaheed-minar-monument/
7. offroadbangladesh.com/places/central-shaheed-minar
8. https://goo.gl/CgsjkU
9. https://goo.gl/5D0Qqt
10. en.wikipedia.org/wiki/Shahid_Minar 

Related Articles