ফোরফিট (forfeit) শব্দটার সহজ কোনো বঙ্গানুবাদ নেই। এর কাছাকাছি কয়েকটা অর্থ হলো: জরিমানা, খেসারৎ দেওয়া, খোয়ানো, অধিকার হারানো ইত্যাদি। প্রশ্ন আসতে পারে, ক্রিকেট বিষয়ক লেখার শুরুতেই অনুবাদের আলোচনা কেন! সেই গল্পটা এবার ভেঙে বলা যাক।
দিনটা ছিল ২০০৬ সালের ২০ আগস্ট। সেদিন টেস্ট ক্রিকেটের ১২৯ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো দল কোনো টেস্ট ম্যাচের ‘অধিকার হারায়’। দলটার নাম পাকিস্তান। ইংল্যান্ডের কাছে তারা টেস্ট ম্যাচটা খোয়ায় আম্পায়ার ড্যারেল হেয়ার বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগ তোলায়। তার সাথে থাকা অপর আম্পায়ার হলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিলি ডকট্রোভ।
ঘটনা ঘটে লন্ডনের কেনিংটন ওভালে। ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানের মধ্যকার টেস্টের চতুর্থ দিন চলছিল। ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে তখন ৫৬ ওভার ব্যাটিং করেছে। তখনই বল টেম্পারিংয়ের দায়ে আম্পায়ার হেয়ার পাকিস্তানকে পাঁচ রান জরিমানা করেন, বলটাও পাল্টে দেওয়া হয়। চতুর্থ আম্পায়ার ট্রেভর জেস্টি এক বাক্স বল নিয়ে আসেন। সেখান থেকে বল বেছে নেওয়ার সুযোগ পান দুই ব্যাটসম্যান কেভিন পিটারসেন ও পল কলিংউড। খুব সামান্য একটা ঘটনা ছিল, কিন্তু সেটাই বিরাট এক কেলেঙ্কারিতে রূপ নেয়।
ঘটনার আকস্মিকতায় ইনজামাম-উল হক হতভম্ব ও বিভ্রান্ত হয়ে যান। আলোকস্বল্পতায় বেলা তিনটা বেজে ৪৭ মিনিটে খেলা বন্ধ হয়। খেলোয়াড়রা চা পানের বিরতিতে চলে যান।
বিরতিতে গিয়ে পাকিস্তানিদের বিভ্রান্তি কাটে। তারা আরো ক্ষেপে যায়। ক্ষুব্ধতা এমন পর্যায়ে চলে যায় যে, চা বিরতির পর আর মাঠেই নামেনি তারা। বিশেষ করে অধিনায়ক ইনজি খুব ক্ষেপে গিয়েছিলেন। তিনি বিষয়টাকে তার এবং তার দলের ওপর অবমাননাকর ও অসম্মানজনক ব্যাপার হিসেবে দেখেছেন।
হেয়ারের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের ক্ষোভের আরেকটা কারণ ছিল। চতুর্থ টেস্টে তাকে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্তটাই তাদের পছন্দ হয়নি। হেডিংলিতে তৃতীয় টেস্টে কেভিন পিটারসেনকে আউট দিতে অস্বীকৃতি জানান এই আম্পায়ার। যদিও টেলিভিশন রিপ্লেতে স্পষ্ট দেখা যায়, শহীদ নাজিরের বলটা পিটারসেনের ব্যাটে লেগেছিল। এই ব্যাটসম্যান পরে সেই ইনিংসে ১৩৫ রান করেন।
আলোর স্বল্পতায় চা বিরতি শেষ হতে ঘণ্টাখানেক লেগে যায়। ঘড়িতে সময় তখন চারটা বেজে ৩৫ মিনিট। দুই আম্পায়ার মাঠে নামেন। আকাশ তখন পরিস্কার। আম্পায়াররা মাঠে নেমে গেছেন। ব্যালকনিতে দেখা যায় দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান কলিংউড আর ইয়ান বেলকে। কিন্তু এ কী! পাঁচ মিনিট পেরিয়ে গেলেও পাকিস্তান দলের যে দেখা নেই!
ম্যানেজার জহির আব্বাসকে উত্তেজিত হয়ে ফোনে কথা বলতে দেখা যায়। ঘড়িতে তখন চারটা বেজে ৪৫ মিনিট। এর ১০ মিনিট পর ব্যালকনিতে আসেন উইকেটরক্ষক কামরান আকমল। তিনি হাতের গ্লাফস খুলে ফেলে পত্রিকা হাতে নিয়ে আয়েশে পড়া শুরু করেন। বোঝাই যাচ্ছিল, মাঠে নামার কোনো ইচ্ছাই নেই পাকিস্তান দলের।
এরপর আসে সেই ‘মাহেন্দ্রক্ষণ’, বেলা পাঁচটা। হেয়ার এই সময় তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বিতর্কিত কাজটা করেন। আম্পায়ার ম্যাচে জয়ী ঘোষণা করে দিয়েছেন ইংল্যান্ডকে। উইজডেন লিখেছে,
‘খুব নাটকীয় ঢঙে আম্পায়ার হেয়ার বেলগুলো ফেলে দেন।’
ব্যস, নির্ধারণ হয়ে যায় মাঠের ভাগ্য। ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো নির্দিষ্ট টেস্ট ম্যাচের ‘অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়’ কোনো দলের কাছ থেকে।
ওভালে তখনও নাটকের অনেক কিছুই বাকি। আকমল ব্যালকনি ছেড়ে ড্রেসিংরুমে ঢুকে পড়েন। দলের জরুরী বৈঠক বলে কথা। জাহির আব্বাসকে ব্যালকনিতে ইসিবি চেয়ারম্যান ডেভিড মরগ্যানের সাথে হাত মেলাতে দেখা যায়। সোয়া পাঁচটায় পাকিস্তানের ড্রেসিংরুমে বসে বৈঠক। সেখানে ইসিবি চেয়ারম্যান যেমন ছিলেন তেমনি ছিলেন পিসিবি চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খানও।
ওভালের সেই বিকালে একটু পরই অবশ্য ইনজামাম-উল হকের মন গলে। বিকাল পাঁচটা বেজে ২৫ মিনিটে মাঠের কভার সরিয়ে নেওয়া হয়। দর্শকা উল্লসিত হন। বিকাল পাঁচটা বেজে ২৭ মিনিটে পাকিস্তান দল ম্যাচ রেফারি মাইক প্রক্টরকে জানায় তাঁরা মাঠে নামতে প্রস্তুত। মিনিট তিনেকের মাঝে দর্শকের করতালির মধ্যে ইনজি বাহিনী মাঠে নামে।
কিন্তু, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। আম্পায়ার ড্যারিল হেয়ার সাফ জানিয়ে দেন, পাকিস্তান মাঠে নামলেও তিনি আর নামবেন না। দর্শকরা অপেক্ষা করতে থাকেন। ছয়টা পাঁচ মিনিটে খবর আসে চতুর্থ আম্পায়ারের কাছ থেকে, জানানো হয় দিনে আর খেলা হবে না। এর অর্থ হল, তখনও পরদিন খেলা হওয়ার আশা ছিল।
লন্ডনে রাতভর আম্পায়ারের মন গলানোর জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়, কিন্তু কোনোভাবেই হেয়ার নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেননি। দুই বোর্ড, দুই দল, আর ম্যাচ রেফারি মাইক প্রোক্টর পঞ্চম দিন সকালে খেলা চালিয়ে নেওয়ার পক্ষে ছিলেন। রাজি ছিলেন না কেবল হেয়ার আর ডকট্রোভ।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ও ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) যৌথ এক বিবৃতি দেয়। তখন সময় রাত সোড়ে ১০ টা। সেই বিবৃতিতে বলা হয়,
‘ক্রিকেটের আইন মেনেই আম্পায়াররা ম্যাচটি থেকে পাকিস্তানের অধিকার কেড়ে নিয়েছে, বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে ইংল্যান্ডকে।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগ তখনও নতুন কিছু ছিল না। এমনকি সেটা ইংল্যান্ডের মাটিতেও নতুন কিছু না। ইংল্যান্ডে সর্বপ্রথম পাকিস্তানের বিপক্ষে এমন অভিযোগ ওঠে ১৯৯২ সালে। তখনও রিভার্স সুইংয়ের রহস্যটা লোকে জানতো না। আর নিন্দুকদের ধারণা ছিল, বল টেম্পারিং করেই বলটাকে রিভার্স করাতো পাকিস্তানের পেসাররা। আর তাতে বিস্তর সাফল্যও মিলতো।
আবারও সেই ম্যাচের আলোচনায় ফিরি।
সিরিজে তখন ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল ইংল্যান্ড। ফলে, এই ম্যাচের ফলাফল যা-ই হোক না কেন, তাতে সিরিজের ফলাফলে কোনো প্রভাব পড়তো না। তবে, কেনিংটনের ওভালের ম্যাচটিতে ভাল সুযোগ ছিল পাকিস্তানের। প্রথমে ইংল্যান্ডকে ১৭৩ রানে অলআউট করে দেওয়ার পর পাকিস্তান ৫০৪ রানের পাহাড় গড়েছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে চার উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড করেছিল ২৯৮ রান। এরপরই এক ধাক্কায় সব এলোমেলো হয়ে যায়। ঘটনায় পুরো বিশ্বে আলোচনার ঝড় ওঠে।
পাকিস্তানের কোচ তখন বব উলমার। প্রয়াত এই প্রোটিয়া কোচ বলেন,
‘দল খুব ভেঙে পড়েছিল, কারণ তাদের বিরুদ্ধে বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগটা চুরির সমান। এটুকুই যথেষ্ট ছিল মনোবল নষ্ট করার জন্য, তার ওপর আম্পায়ার ড্যারিল হেয়ার দায়িত্ব পালন করতে অস্বীকৃতি জানান।’
পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান রীতিমত ধুয়ে দিয়েছিলেন হেয়ারকে। তিনি এক কলামে লিখেছিলেন,
‘হেয়ার হলো সেইসব চরিত্রগুলোর একটি, যারা আম্পায়ারের কোট শরীরে চাপালেই মিনি হিটলার হয়ে যান।’
বিষয়টা নিয়ে কেবল পাকিস্তানিরাই ক্ষেপে ছিল না। ব্রিটেনের সান পত্রিকা লিখেছিল,
“An 18-stone Aussie called Darrell Hair trampled his feet all over the name of cricket with an astonishing display of pig-headedness.”
সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক জিওফ্রে বয়কট দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফে লিখেছিলেন,
‘পাকিস্তান হেয়ারকে একজন আত্মশ্লাঘাসম্পন্ন আম্পায়ার মনে করে, আর হেয়ারের ম্যান-ম্যানেজমেন্টের ধরনও ওদের পছন্দ নয়। এটা খুবই প্রকাশ্য দিবালোকের মতো সত্য যে, আইসিসি তাকে এই সিরিজে দায়িত্ব দিয়ে আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের সূচনা করেছিল।’
বিশ্বকাপজয়ী লঙ্কান অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গার সাথেও হেয়ারের রেষারেষি নতুন কিছু নয়। ১৯৯৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিসি) মুত্তিয়া মুরালিধরনকে ‘নো’ ডাকেন হেয়ার। প্রতিবাদ করে, সতীর্থদের নিয়ে মাঠ ছেড়ে বেড়িয়ে যান রানাতুঙ্গা। ওভাল কাণ্ডের পর পুরনো শত্রুর বিরুদ্ধে তিনিও মুখ খোলেন। বলেন,
‘হেয়ারকে আসলে আজকের দিনের ক্রিকেটের সাথে মানায় না।’
তার বিরুদ্ধে রীতিমতো বর্ণবাদের অভিযোগও তুলেছিলেন রানাতুঙ্গা। বলেছিলেন,
‘উপমহাদেশীয় দলগুলোর প্রতি হেয়ারের মধ্যে এক রকম বিদ্বেষ কাজ করে।’
পরে এর মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই চলে আসে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। তারা ম্যাচটি নিয়ে তদন্ত করে। পাকিস্তানের বিপক্ষে বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগ প্রমাণ করা যায়নি। তবে খেলা চালিয়ে যেতে অস্বীকৃতি জানানোয় অধিনায়ক ইনজামাম-উল হককে চার ওয়ানডের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়।
ভারতের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক অধিনায়ক কপিল দেব বলেছিলেন,
‘ইনজামাম শাস্তি পেয়েছেন, ঠিক আছে। তবে, এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারিও যেন শাস্তি পায়, কারণ তালি তো আর এক হাতে বাজে না। খেলোয়াড়রা প্রতিবাদ করতে পারে, তবে তারা খেলতে অস্বীকৃতি জানাতে পারে না। এখানে ম্যানেজমেন্টের ভূমিকা রাখা দরকার ছিল। বিশেষ করে, ম্যাচ রেফারির এখানে সবচেয়ে বড় দায়িত্বটা পালন করার কথা। ম্যাচটাকে এভাবে শেষ হতে দেখাটা খুবই হতাশাজনক।’
হেয়ারকে ওই বছরের আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দেওয়া দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। আইসিসি এক বৈঠক করে জানায়, হেয়ারকে আন্তর্জাতিক ম্যাচের দায়িত্ব আর দেওয়া হবে না। চার মাস তিনি একরকম নিষিদ্ধই ছিলেন। যদিও এরই মধ্যে এক বিচিত্র ঘটনা ঘটে। দ্য উইজডেন ক্রিকেটারের বিবেচনায় হেয়ার সেই মৌসুমের সেরা আম্পায়ার নির্বাচিত হন।
এ নিয়ে জল ঘোলাঘোলির এখানেই শেষ নয়। বছর দুয়েক ধরে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) অনেক দর কষাকষি করে আইসিসির সাথে। একটা পর্যায়ে আইসিসি পাকিস্তানের দাবি মেনে নিয়ে ম্যাচটাকে ‘ড্র’ ঘোষণা করার সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলেছিল।
কিন্তু ঠিক এমন সময় উদয় হয় মেরিলিবোর্ন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি)। বলাই বাহুল্য, ক্রিকেটীয় আইনের যেকোনো ক্ষেত্রেই আইসিসি বরাবরই মেনে থাকে এমসিসির সুপারিশ। এমসিসি সুপারিশ করে যে, ম্যাচের ফলাফল পাল্টানো যাবে না। ফলে, আইসিসি আবারও ‘ইউটার্ন’ নিতে বাধ্য হয়। আবারও আলোচিত-বিতর্কিত সেই ম্যাচটিতে জয়ী ঘোষণা করা হয় ইংল্যান্ডকে।
তবে বিষয়টাকে পিসিবি নিজেদের জন্য অসম্মানজনক বলে মনে করেছিল। আর তার তোপটা যায় আম্পায়ার হেয়ারের ওপর দিয়ে। পাকিস্তানের বোর্ড আর পাকিস্তানের খেলোয়াড় – সবার সাথেই তার সম্পর্ক চিরতরে শেষ হয়ে যায়।
ঘটনায় হেয়ারের দায় দেখেছিল স্বয়ং আইসিসিও। হেয়ার তখন আইসিসির এলিট আম্পায়ার প্যানেলের সদস্য। পাঁচ লাখ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে চলে যাওয়ারও প্রস্তাব করা হয়েছিল। এই ব্যাপারে আইসিসির সাবেক প্রধান নির্বাহী ম্যালকম স্পিডের ব্যাখ্যাটা ছিল এরকম,
‘আমাদের ওকে বলার দরকার ছিল যে, ওকে বরখাস্ত করা হচ্ছে না। নিষিদ্ধ করা হচ্ছে না, এমনকি ওর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিতও নয়। তাই, ওকে এমন একটা অংক আমরা প্রস্তাব করেছিলাম, যাতে করে ও আগামী চার বছর কোনো রকম আর্থিক সংকটে না পড়ে।’
বলাই বাহুল্য, হেয়ার সেই প্রস্তাবে রাজি হননি। তিনি নাছোড়বান্দা ছিলেন। রীতিমতো এমপ্লয়মেন্ট ট্রাইব্যুনালে বর্ণবাদের অভিযোগ এনে মামলা ঠুঁকে দিয়েছিলেন। তবে আদালতের বাইরেই আইসিসির সাথে তার মধ্যস্থতা হয়ে যায়। এরপর তিনি আবারও টেস্ট আম্পায়ারিংয়ে ফিরেছিলেন। তবে, এই যাত্রায় তার ক্যারিয়ারটা খুব বেশি আর লম্বা হয়নি।
ওভাল কাণ্ড নিয়ে তিনি আদৌ কখনো অনুতপ্ত ছিলেন না। একবার বলেছিলেন,
‘All the excuses came out. That the scratches were caused when Kevin Pietersen hit the ball over the boundary. But he didn’t. There was only one boundary scored and that was a mishit that dribbled over the rope.’
২০০৮ সালের মার্চে তিনি আবারও আইসিসির এলিট আম্পায়ার প্যানেলে ফেরেন। যদিও সেই বছর জুনে তিনি শেষবারের মতো টেস্ট আম্পায়ার হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন। একই বছরের আগস্টে শেষ ওয়ানডে আর শেষ টি-টোয়েন্টির দায়িত্বও পালন করেন। ৭৮টি টেস্ট, ১৩৯ টি ওয়ানডে আর ছয়টি টি-টোয়েন্টির আম্পায়ারিং ক্যারিয়ারের ইতি হয়। হেয়ার নিজে থেকেই অবসরে চলে যান। ক্রিকেটের ইতিহাসেই এমন বিতর্কিত আম্পায়ার আর খুব বেশি আসেনি।