ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরো থেকে ৪,০০০ কিলোমিটার পূর্বে, দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত আগ্নেয়গিরি থেকে উৎপন্ন সেন্ট হেলেনা দ্বীপ একটি উষ্ণপ্রধান দ্বীপ। ১৫০২ খ্রিস্টাব্দে পর্তুগীজদের দ্বারা আবিষ্কৃত হবার পর থেকেই এই দ্বীপ হয়ে ওঠে ইতিহাসের নানা গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সাক্ষী। সুয়েজ খাল খনন এবং বাষ্প ইঞ্জিন আবিষ্কারের পূর্ব পর্যন্ত এই দ্বীপ ছিল নৌ বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত সুবিধাজনক। প্রাথমিকভাবে ডাচরা (ওলন্দাজ) এই দ্বীপ শাসন করলেও অল্প কিছুকাল পরেই এই দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে। পরে অবশ্য সরাসরি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের শাসন কায়েম হয় সেন্ট হেলেনায়। উপকূল থেকে অনেক দূরবর্তী হওয়ায় সেন্ট হেলেনা দ্বীপ ব্যবহৃত হতো প্রধান প্রধান বন্দীদের নির্বাসন দ্বীপ হিসেবে। এর মধ্যে ইতিহাস বিখ্যাত নেপোলিয়ন বোনাপার্ট উল্লেখযোগ্য।
সেন্ট হেলেনা দ্বীপের উৎপত্তি হয়েছিলা আগ্নেয়গিরি থেকে। বর্তমানে এই দ্বীপ ব্রিটিশদের নিয়ন্ত্রণে একটি মূল ভূখণ্ড বহির্ভূত এলাকা। ব্রিটিশদের নিয়ন্ত্রণে এরকম মোট ১৪টি এলাকা রয়েছে, যেগুলোকে বলা হয় ‘ব্রিটিশ ওভারসিজ টেরিটোরি’ বা বিওটি। এই অঞ্চলটিতে রয়েছে সেন্ট হেলেনা, অ্যাসেনসিওন দ্বীপ এবং ত্রিস্তান দ্য কুনহা দ্বীপপুঞ্জ। এই দ্বীপের ইতিহাস ৫০০ বছরের অধিক নয়। পর্তুগীজ নাবিক জোয়া ডা নোভা ভারতবর্ষ থেকে স্বদেশে ফিরে যাবার পথে ১৫০২ সালের ২১ মে এই দ্বীপ আবিষ্কার করেন। কাকতালীয়ভাবে ২১ মে হচ্ছে সম্রাট ‘কনস্ট্যান্টিন দ্য গ্রেট’ এর মা হেলেনার জন্মদিন। নোভা তাই দ্বীপের নামকরণ করেন সেন্ট হেলেনা। এরপর একসময় এই দ্বীপ চলে যায় ব্রিটিশদের নিয়ন্ত্রণে আর রয়ে যায় ব্রিটিশদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুরাতন উপনিবেশ হিসেবে। ৬,০০০ আফ্রিকান ওলন্দাজ বোয়ার আর রাজা দিনুজুলুর নির্বাসনের এই দ্বীপ একইসাথে ছিল আফ্রিকা থেকে পালিয়ে আসা দাসদের আশ্রয়স্থল।
১৫০২ সালে যখন জোয়া ডা নোভা এই দ্বীপে তার জাহাজ ভেড়ান, লিপিবদ্ধ ইতিহাস অনুযায়ী সে জাহাজটিই ছিল নির্জন সেন্ট হেলেনায় প্রথম জাহাজ। সেই জাহাজের একজন সদস্য ছিলেন ফার্নান্দো লোপেজ। জাহাজটি সেন্ট হেলেনা থেকে পর্তুগাল ফিরে যাবার পর কোনো এক বিবাদে বেচারা লোপেজের এক হাত আর এক পা কেটে দেয় সেখানকার গভর্নর। অঙ্গহানির দুঃখে লোপেজ পর্তুগাল ত্যাগ করেন এবং ১৫১৫ থেকে সেন্ট হেলেনায় গিয়ে নিভৃতে বসবাস শুরু করেন। ততদিনে অবশ্য এই দ্বীপের কথা সমগ্র পর্তুগাল চাউর হয়ে গেছে। শত শত বাণিজ্যিক জাহাজ তখন প্রতিদিন এই দ্বীপে এসে ভিড়িয়ে যেত এর স্বাস্থ্যকর পরিবেশে কিছুটা সময় কাটাতে। তবে এতসবের মাঝে ফার্নান্দো লোপেজের নামই ইতিহাসে লিখিত হয়েছে সেন্ট হেলেনার প্রথম স্থায়ী অধিবাসী হিসেবে।
১৫৮৮ সাল পর্যন্ত সেন্ট হেলেনা ছিল ব্রিটিশদের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে এক গুপ্তস্থান। তবে তাদের কাছেও এই দ্বীপের তথ্য পৌঁছে গিয়েছিল ততদিনে। এরই মাঝে ব্রিটিশ নৌবাহিনীর কমান্ডার থমাস ক্যাভেন্ডিস একটি পর্তুগীজ জাহাজ আটক করেন দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরীয় অঞ্চলে। ক্যাভেন্ডিস সে জাহাজের নাবিকদের বাধ্য করেন সেন্ট হেলেনা নিয়ে যেতে। আর এতেই ক্যাভেন্ডিস ইতিহাসের প্রথম ব্রিটিশ হিসেবে সেন্ট হেলেনা ভ্রমণ করে ফেলেন। তথাপি তখনও ব্রিটিশরা সরাসরি এসে এই দ্বীপে উপনিবেশ স্থাপন করেনি। ১৬৫৯ সালে ক্যাপ্টেন জন ডাটনের নেতৃত্বে একটি ব্রিটিশ নৌবহর এসে পৌঁছে সেন্ট হেলেনায় আর সাথে নিয়ে আসে দাস আর স্থায়ী কর্মাচারী। শুরু হয় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নিয়ন্ত্রণ। ১৬৭৩ সালে ডাচরা ব্রিটিশদের আক্রমণ করলেও পরাজিত হয়ে ফিরে যায়।
ডাচরা পরাজিত হয়ে ফিরে যাবার পর থেকে এই দ্বীপে ব্রিটিশদের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ কায়েম হয়। বছর বছর তারা তাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি করতে থাকে এবং দ্বীপের জঙ্গলাকীর্ণ স্থানসমূহকে বসবাসযোগ্য করে তোলে। আর এসব কাজের জন্য আফ্রিকা থেকে শত শত দাস মুক্ত করে নিয়ে আসে ব্রিটিশরা। এ সময়ের উল্লেখযোগ্য একটি ঘটনা হচ্ছে জ্যোতির্বিদ এডমান্ড হ্যালির আগমন। তিনি এই দ্বীপে প্রায় বছরখানেক বসবাস করেন এবং একটি মানমন্দির প্রতিষ্ঠা করে তারকা পর্যবেক্ষণ করেন। ১৭৫০ এর পর থেকে প্রতিটি ব্রিটিশ পরিবার, যারা এই দ্বীপে বেড়াতে আসতো, সাথে নিয়ে আসতো একাধিক দাস। ফলে ‘৭০ এর দশকে এক জরিপে দেখা যায়, ব্রিটিশদের চেয়ে দাসের সংখ্যা প্রায় তিনগুণ হয়ে গেছে। ১৭৯২ সালে তাই এক রাজকীয় ডিক্রীর মাধ্যমে সেন্ট হেলেনায় দাস নিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়।
১৭৬১ সালে আরো একজন বিখ্যাত জ্যোতির্বিদ সেন্ট হেলেনা ভ্রমণ করেছিলেন শুক্র গ্রহের সৌরচাকতির উপর দিয়ে ভ্রমণ পথ পর্যবেক্ষণ করতে। নেভিল মাস্কেলাইন নামক সেই জোতির্বিদ পরবর্তীতে ‘অ্যাস্ট্রোনমার রয়্যাল’ এর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। আঠারো শতকে আরো অনেক বরেণ্য ব্যক্তিত্ব ভ্রমণ করেন এই দূর সমুদ্রের দ্বীপটি। ক্যাপ্টেন কুক, ক্যাপ্টেন ব্লাই এবং সল সলোমন এই দ্বীপে দীর্ঘদিন ব্যবসা করেছেন। ডিউক অব ওয়েলিংটন স্যার আর্থার ওয়েলেসলি, যিনি কিনা নেপোলিয়নের বিপক্ষে ওয়াটার লু এর যুদ্ধে লড়াই করেছেন, এই দ্বীপে বসবাস করেছেন বছরখানেক। বিখ্যাত পরিবেশবিদ উইলিয়াম বারশেলও এসেছিলেন তার প্রাণপ্রকৃতি বিষয়ক গবেষণা করতে। তবে ১৮১০ এর দিকে সেন্ট হেলেনায় শ্রমিকের অভাব দেখা দিলে চীনের কাছে শ্রমিক পাঠানোর অনুরোধ করে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। চীন থেকে পরে প্রায় তিন হাজারের মতো শ্রমিক সেন্ট হেলেনায় আসে।
১৮১৫ সালে নেপোলিয়ন বোনাপার্টকে সেন্ট হেলেনায় নির্বাসনে পাঠায় ব্রিটিশ সরকার। এই দ্বীপেই ১৮২১ সালে মৃত্যুবরণ করেন নেপোলিয়ন। তবে যতদিন তিনি ছিলেন, দ্বীপের নিরাপত্তাবাহিনী সর্বদা কড়া নজরদারী করতো। এই সময়েই মূলত সেন্ট হেলেনায় প্রচুর পরিমাণে স্থানীয় গার্ড, ব্রিটিশ রেজিমেন্টাল সেনা এবং নৌবাহিনী জড়ো করা হয়। কেন্দ্রীয় ব্রিটিশ সরকার এ সময় নেপোলিয়নকে পাহারা দিতে অতিরিক্ত সৈন্যবাহিনীর খরচ বহন করতে রাজি হয় একটি বিশেষ শর্তে। শর্তটি হলো, যতদিন নেপোলিয়ন সেখানে থাকছেন, কেন্দ্রীয় সরকার সেখানে সরাসরি হস্তক্ষেপ না করলেও নিজেদের গভর্নর নিয়োগ করবে। অন্যদিকে এই অতিরিক্ত সৈন্যবাহিনীর মধ্যে এক তরুণ সৈন্যের নাম ছিল ম্যানুয়েল জনসন। এই সৈনিক পরবর্তীতে হয়ে ওঠেন বিখ্যাত এক জ্যোতির্বিদ। সেন্ট হেলেনায় পর্যবেক্ষণ করে করে জনসন দক্ষিণ গোলার্ধের ৬০৬টি তারকার তালিকা প্রস্তুত করেছিলেন। এই কাজের সম্মানস্বরূপ তিনি ১৮৫৭ সালে রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির প্রেসিডেন্ট পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন।
যা-ই হোক, ১৮২১ সালে নেপোলিয়নের মৃত্যুর সাথে সাথে কেন্দ্রীয় সরকারের গভর্নরেরও কাজ শেষ হয়ে যায় সেন্ট হেলেনায়। তবে ১৮৩৪ সালে এক রাজকীয় প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে সেন্ট হেলেনাকে সরাসরি ব্রিটিশ সরকারের অধীনে নিয়ে যায় ব্রিটেন। সে বছরই সেন্ট হেলেনায় প্রথম সরকারি ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হয়। ড. জেমস ব্যারি সেই ডাক্তার, যাকে নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন স্বয়ং চার্লস ডারইনও। কেন বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন সে কথায় পরে আসছি, তার আগে ডারউইনের ‘বিগল’ ভ্রমণের কথা একটু স্মরণ করতে হবে। বিগলে চড়ে যে ঐতিহাসিক সমুদ্রযাত্রা ডারউইন করেছিলেন, সে যাত্রার সাক্ষী এই সেন্ট হেলেনা দ্বীপও। ১৮৩৬ সালে সেন্ট হেলেনায় ভিড়েছিল ডারউইনের বিগল। তখন জেমস ব্যারির চমৎকার চিকিৎসা পদ্ধতির প্রশংসা করেন তিনি। তবে কয়েক বছর পর ব্যারির মৃত্যুর পরে তার অন্তিম সংস্কার করতে গিয়ে জানা যায় যে, তিনি আসলে ‘পুরুষ’ নন, ছদ্মবেশী একজন মহিলা! সরকারের চিকিৎসা বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কোনো মহিলাকে সেন্ট হেলেনায় ডাক্তার হিসেবে পাঠাতে রাজি না হওয়ায় তিনি এই ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন।
১৮৪০ সালে নেপোলিয়নের দেহাবশেষ সেন্ট হেলেনা থেকে ফ্রান্সে সরিয়ে নেয়া হয়। এর পরের বছরই হাজারখানেক দাস আফ্রিকা থেকে পালিয়ে এই দ্বীপে একসাথে আবির্ভূত হলে নানাবিধ সমস্যার উদ্ভব হয়। বিশেষত দ্বীপের অর্থনীতি দুর্বল হতে শুরু করে। ১৮৬৯ সালে সুয়েজ খাল চালু হলে সেন্ট হেলেনার অর্থনীতির কফিনে শেষ পেরেক যেন গাঁথা হয়ে যায়। আজকের বিশ্বের শরণার্থী ঢলের মতো সেন্ট হেলেনায়ও শরণার্থী ঢল নামে। তবে এই দ্বীপের উপর সরকারে সুনজর পুনরায় পড়ে রাজা দিনিজুলুর নির্বাসনের সাথে সাথে। জাহাজে করে সমগ্র বিশ্ব প্রদক্ষিণ করা জশুয়া স্লোকাম এ সময় এই দ্বীপে এসেছিলেন। ১৯০০-০২ সালের মধ্যে সেন্ট হেলেনার অর্থনীতি আবার ঘুরে দাঁড়ায় প্রায় ৬ হাজার আফ্রিকান বোয়ার বন্দীর নির্বাসনের মাধ্যমে।
১৯১০ এর পর থেকে সেন্ট হেলেনার অর্থনীতি আবার ভেঙে পড়তে শুরু করে। এ সময় এই দ্বীপের অর্থনীতির একমাত্র নিয়ন্ত্রক ছিল তিসি রপ্তানি, যার বাজারমূল্য ছিল খুবই কম। ১৯৬৬ সালে তো তিসি রপ্তানিও বন্ধ হয়ে যায়। গণহারে হেলেনাবাসীরা তখন অ্যাসেনসিয়ন বা অন্যান্য দ্বীপে কাজের খোঁজে চলে যেতে থাকে। সেন্ট হেলেনায় প্রচণ্ড দারিদ্র্য দেখা দেয়। এর একটি বড় কারণ ছিল শিক্ষার অভাব। এ সমস্যার সমাধানকল্পে ১৯৮৮ সালে সেখানে প্রতিষ্ঠা করা প্রিন্স এন্ড্রু হাই স্কুল। তাছাড়া সেন্ট হেলেনাবাসীর জন্য ব্রিটেনে গিয়ে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের পথও খুলে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। তবে সেন্ট হেলেনার গলার কাঁটা হয়ে বিঁধে ছিল ‘ব্রিটিশ সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট-১৯৮১’, যা দ্বারা ব্রিটেন নিয়ন্ত্রিত ১৪টি উপনিবেশের জনগণের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়ে তাদেরকে ‘ব্রিটেনের উপর নির্ভরশীল’ নাগরিক পরিচয় দেয়া হয়। তবে হেলেনাবাসীর নিরন্তর প্রচেষ্টার পর ২০০২ সালে এই দ্বীপ আবিষ্কারের ৫০০ বছর পূর্তিতে এর নাগরিকদের পুনরায় ব্রিটিশ নাগরিকত্ব দেয়া হয়।
৭ মিলিয়ন বছর পূর্বে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত থেকে সৃষ্টি হওয়া এই দ্বীপ এখন অর্থনীতিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ১২২ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই দ্বীপে বছরে ৫০ হাজারের অধিক পর্যটক ভ্রমণ করে। সংখ্যাটা ছোট শোনালেও এই দ্বীপে কোনো পর্যটকই এক সপ্তাহের কম সময় নিয়ে বেড়াতে আসেন না। ফলে পর্যটন শিল্প ভীষণ চাঙ্গা সেন্ট হেলেনায়। আর এটি সম্ভব হয়েছে ২০১৫ সালে ব্রিটিশ সরকারের ২৫০ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করে এয়ারপোর্ট তৈরি করার পর। বর্তমানে এই দ্বীপে সাড়ে চার হাজার স্থায়ী অধিবাসী সহ বসবাস করছে প্রায় ৭ হাজার মানুষ। এই দ্বীপের রয়েছে নিজস্ব দুটি টিভি চ্যানেল, একটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম এবং ক্রিকেট দল, আছে রেডিও চ্যানেল ও সংবাদপত্র, নিজস্ব জাহাজ ‘আরএমএস সেন্ট হেলেনা’, সেন্ট হেলেনা এয়ারপোর্টের নিজস্ব একটি বোয়িং বিমান, আছে একটি সরকারি ব্যাংক এবং নিজস্ব পুলিশ বাহিনী। কী নেই সাগরের বুকে এই ছোট্ট একখানি ভূখণ্ডে? ইতিহাস, ঐতিহ্য আর মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মিলে সেন্ট হেলেনাকে করেছে অনন্যা।
ফিচার ছবি- Wikimedia Commons