- চীনে একটি হ্রদের উপর পৃথিবীর বৃহত্তম ভাসমান সৌর খামার তথা ‘সোলার ফার্ম’ স্থাপিত হয়েছে।
- পানির উপর ভাসমান হওয়ায় সৌর প্যানেলগুলো ঠাণ্ডা থাকে এবং সে স্থানের পরিবেশের ক্ষতিসাধন করে না।
- সৌর খামারটি প্রায় ১৫ হাজার বাড়িতে যোগান দেওয়ার মতো শক্তি উৎপাদন করতে সক্ষম।
সম্প্রতি পৃথিবীর বৃহত্তম এ ভাসমান সৌর খামার তৈরি করে চীন নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারের প্রতি তাদের আগ্রহের বহিঃপ্রকাশ করছে। যে হ্রদের উপর এটি তৈরি করা হয় সেটি একসময় কয়লা খনি ছিল। খামারটিতে প্রায় ১,৬৬,০০০ সৌর প্যানেল রয়েছে এবং এর সর্বমোট ক্ষমতা ৪০ মেগাওয়াট।
প্রচুর পরিমাণে তেল, কয়লা ও প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করলেও চীনে নজিরবিহীন সৌরশক্তির প্রসার ঘটেছে। নভেম্বর ২০১৭-তে দেশটি ১২৬ গিগাওয়াট সৌর শক্তির মূল্য হিসাব করে, যা ২০১৬ সালের চেয়ে ৬৭ শতাংশ বেশি। পরিবেশের চরম ক্ষতিসাধন করে এমন শক্তি উৎপাদনের উৎসগুলো থেকে দেশটি নিজেদের গুটিয়ে নিতে চেষ্টা চালাচ্ছে।
‘ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি’র মতে, প্রচুর উৎপাদন ও কার্বন সংক্রান্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে দূরে সরে আসার মাধ্যমে চীন অর্থনৈতিক উন্নয়নের এক নতুন যুগে প্রবেশ করছে। আনহুই প্রদেশে অবস্থিত এই ভাসমান সৌর খামারের মতো পরিচ্ছন্ন শক্তি প্রকল্পে বিনিয়োগ করা চীনের অর্থনীতিতে একধরনের নতুন উদ্যোগ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
পানির উপরে সৌর খামার উপস্থাপন করার সুবিধা হলো, তা স্থলজ প্রাণী ও গাছপালার সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনা থাকে না। তাছাড়াও এর ফলে প্যানেলগুলো ঠাণ্ডা থাকে এবং অধিক পরিমাণে গরম হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকায় এর কার্যকারিতা অক্ষুণ্ণ থাকে। সাম্প্রতিককালে এ ধরনের সৃজনশীল সমাধান বেশ প্রচলিত। এ ধরনের আরেকটি উদাহরণ দেখা গেছে ইউক্রেনে।
সৌর এবং নবায়নযোগ্য শক্তির পেছনে বিনিয়োগ করা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পরিবেশ দূষণকারী দেশ চীনের জন্য একটি বড় উদ্যোগ। বিশাল জনসংখ্যার এ দেশের পক্ষে কয়লা বর্জন করা অত্যন্ত কঠিন এবং তা করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন।
ফিচার ইমেজ: YouTube