- ব্রিটেনের তৈরি একটি স্যাটেলাইট মহাকাশে থাকা অবস্থাতেই নিজের আকার পরিবর্তন করতে পারবে।
- এয়ারবাসের তৈরি এই স্যাটেলাইটটির নাম ইউটেলস্যাট কোয়ান্টাম স্যাটেলাইট।
বিস্ময়কর মহাকাশ মিশনের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া এগিয়ে থাকলেও যুক্তরাজ্য এমন একটি নতুন স্যাটেলাইট নিক্ষেপ করছে যা এর আন্তর্জাতিক অংশীদারদের তাক লাগিয়ে দেবে। এয়ারবাসের তৈরি ইউটেলস্যাট কোয়ান্টাম নামে এই স্যাটেলাইটটি প্রথম স্যাটেলাইট, যা কক্ষপথে থাকা অবস্থাতেই আকার পরিবর্তনে সক্ষম হবে। অপারেটররা এটিকে মহাকাশে থাকা অবস্থাতেই পরিবর্তন করে এর কম্পাঙ্ক ও পৃথিবীর কোন কোন অংশের তত্ত্বাবধায়ন করবে তা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবে।
ফ্রেঞ্চ স্যাটেলাইট অপারেটর ইউটেলস্যাট এর সিইও ইয়োহান লিরয় বলেন,”সত্যিকারের নতুন ব্যাপারটি হচ্ছে স্যাটেলাইটটির নমনীয়তা। সে প্রযুক্তিগুলোকে ধন্যবাদ যেগুলো আমরা স্যাটেলাইটটিতে প্রয়োগ করবো।”
২০১৯ সালে নিক্ষিপ্ত হতে যাওয়া এই স্যাটেলাইটটির সময়সীমা হবে ১৫ বছর, এর সাথে অতিরিক্ত ৩ বছর নির্মাণ কাজের জন্য বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। বাজারের বিভিন্ন অবস্থা ও অন্যান্য নিয়ামকের সাথে তাল মিলিয়ে এটি নিজের আকার পরিবর্তনের ক্ষমতাকে কাজে লাগাবে। ফলে স্যাটেলাইট নির্মাতাদের বাজার সম্পর্কে আগাম ধারণা অথবা তাদের স্যাটেলাইট দ্রুত অপ্রচলিত হয়ে যাওয়ার ঝামেলা পোহাতে হবে না। ইউটেলস্যাটের নমনীয়তা তাদেরকে অগ্রগামী রাখতে সাহায্য করবে।
এ ধরনের নমনীয় স্যাটেলাইট কিভাবে কাজে লাগতে পারে তা মেরিন ইন্ডাস্ট্রির ক্ষেত্রে বুঝতে সুবিধাজনক। সমুদ্রজুড়ে কোনো যানের গতিবিধি অনুসরণ করতে বিভিন্ন স্যাটেলাইট থেকে অনেকগুলো বিম ব্যবহার করতে হয়। উক্ত প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এ স্যাটেলাইটের মাত্র একটি বিম ব্যবহার করেই সে কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব।
এছাড়াও গতানুগতিক স্যাটেলাইটগুলো নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়। এর ফলে সেগুলো অনন্য হলেও স্বল্প অভিযোজনক্ষম। এই স্যাটেলাইটটি এমনভাবে তৈরি হবে তা যেন পুনঃনির্মাণে সক্ষম হয়, এর অর্থ এটি গণহারে তৈরি করা হবে। মহাকাশে স্যাটেলাইটের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলেও এটি অবশ্যই স্যাটেলাইট প্রযুক্তির উন্নতি সাধিত করবে।
এটি এখনও নিশ্চিত না যে, ভবিষ্যতে এ ধরনের নমনীয়তা প্রধান চল হয়ে উঠবে কিনা। তবে নতুন এই মডেলের কার্যক্ষমতা আশাব্যাঞ্জক।
ফিচার ইমেজ: Phys.org