- গুগল এক্স ল্যাবরেটরির সহ-প্রতিষ্ঠাতা সিবাস্টিয়ান থুর্ন জানান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষকে ‘অতিমানবীয় কর্মী‘তে পরিণত করবে।
- তার মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পুনরাবৃত্তিমূলক কাজ কমিয়ে ফেললেও নতুন সৃজনশীল কাজের সৃষ্টি করবে।
অনেকের মতেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মানবকর্মীর মাঝে বিরোধ রয়েছে। তাদের মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন যন্ত্র মানুষের চাকরির ক্ষেত্র কমিয়ে এনে মানুষের আয়ের উৎস রাখবে না। এমনকি প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ সাধনের ফলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পুরোপুরিভাবে আমাদের সকল চাকরির ক্ষেত্র দখল করে নেবে বলে আশঙ্কা করা হয়।
সিবাস্টিয়ান থুর্নের মতে, এ নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। দুবাইতে ‘ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিট’ এ তিনি জানান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষকে প্রযুক্তির মাধ্যমে সাহায্য করে সাধারণ ক্ষমতার তুলনায় আরও বেশি কার্যকরী হিসেবে তাদেরকে ‘অতিমানবীয় কর্মী’ বানিয়ে তুলবে।
তিনি বলেন, “এটি একধরনের যন্ত্র। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পুনরাবৃত্তিমূলক কাজ থেকে খুব ভালোভাবে রেহাই দিতে পারে।” তিনি আরও বিস্তারিতভাবে জানান, “যদি আপনি ডাক্তার বা আইনজীবীর মতো পেশায় নিয়োজিত থাকেন যেখানে দিন-রাত একই কাজ করতে হয়, সেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আপনার থেকে এই কৌশলগুলো শিখতে পারলে তা আপনাকে অতিমানবে রূপান্তরিত করবে, আরও ক্ষমতাশীল হিসেবে গড়ে তুলবে।”
তিনি আরও বলেন, এর মাধ্যমে পুনরাবৃত্তিমূলক কাজ উঠে গেলে আমরা একটি সৃজনশীল সমাজের দিকে অগ্রসর হবো যেখানে নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার করব। তবে থুর্নই প্রথম ব্যক্তি না যিনি এ ধারণা পোষণ করেছেন। গুগলের প্রকৌশলী রে কার্জওয়েল এর আগে বলেছিলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষকে অপসারণ করবে না, বরং তাদের উন্নত করবে।
তবে বেশিরভাগ মানুষই মনে করে, আমরা পরবর্তী দশকে দেখতে পাবো বুদ্ধিমান যন্ত্র মানুষের কাজ হস্তগত করে নিচ্ছে। অনেকের মতে, তা এর মধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। অনেকের মতে, ২০৪০ সালে চরম প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের সাথে মানব-কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মিশেল ঘটতে চলেছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে মানুষের বিকল্প হিসেবে বিবেচনা না করে বরং যন্ত্র হিসেবে কাজে লাগানোর উপায় খুঁজলে মানব কর্মীদের জন্য ভালো হবে। ভবিষ্যতের পৃথিবী যেখানে সবকিছু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্বারা সম্পাদিত হয় অথবা যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষকে অতিমানবীয় ক্ষমতা দান করে- এই দুয়ের মধ্যে পরেরটিই অধিক গ্রহণযোগ্য।
ফিচার ইমেজ: Wall Street Journal