নব্বই এর দশকে বড় হওয়া টিভি পর্দার ভক্তদের কাছে জনপ্রিয় একটি নাম এক্স-ফাইলস। তবে যাদের বয়স কম ছিল, তাদের কাছে বিখ্যাত এ টিভি সিরিজটি বরং ‘ভূতের’ বা ‘ভয়ের’ হিসেবেই পরিচিত ছিল- হয়ত সে ভুল কারো কারো আজও ভাঙেনি; আর ভেঙে থাকলেও বড় হয়ে সিরিজটি আবার দেখবার পর। কিন্তু ভুল বোঝা হোক আর না-ই হোক, দ্য এক্স-ফাইলস যে একটি কাল্টের পর্যায়ে চলে গিয়েছিল সে বিষয়ে নেই কোনো আপত্তি, নেই কোনো সন্দেহ। ‘Trust no one’, ‘The truth is out there’ আর ‘I want to believe’-এর মতো জনপ্রিয় সব বচনের তোড়ে হোক কিংবা এক্স-ফাইলস এর থিম মিউজিকের জোরেই হোক, এক্স-ফাইলস টিভি সিরিজটি যে উচ্চতায় উঠে গিয়েছিল, তা রহস্য জনরার আর কোনো সিরিজ পার করতে পারেনি। ২০০২ সালে শেষ হয়ে যাওয়া এজেন্ট মল্ডার আর স্কালির রহস্য অনুসন্ধান তাই ১৪ বছর পরে এসে আবার জীবিত করা হয় ২০১৬ সালে। দ্য এক্স-ফাইলস সিরিজটি নিয়েই কথা হবে আমাদের আজকের পোস্টে।
নব্বই এর দশকে শৈশব পেরিয়ে আসা এবং টিভি দেখা একজন মানুষও পাওয়া যাবে না, যে কিনা দ্য এক্স-ফাইলসের নাম জানে না। তবে, সে যুগে বেশিরভাগের ট্যাবু সিরিয়ালের লিস্টে প্রথমে ছিল এই অসাধারণ সিরিজটি। কারণ দুটো, সিরিজটা দেখানো হত টিভিতে রাতের খবরের পর যখন সবার ঘুমুনোর পালা। আর দ্বিতীয় কারণ, হরর জনরার সিরিজ মনে করা। অন্তত অনেকেই সেটা মন করত। হরর হিসেবে অনেকে জেনে থাকলেও, দ্য এক্স-ফাইলস কিন্তু আসলে সাই-ফাই জনরার (genre) সিরিজ। তবে হ্যাঁ, সেখানে যে ভয়ের এপিসোড ছিল না একদমই তা নয়।
প্রথম পর্ব প্রচারিত হয়েছিল ১৯৯৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ফক্স নেটওয়ার্কে। সিরিজের কাহিনী আবর্তিত হয় এফবিআই (Federal Bureau of Investigation) এর দুজন এজেন্টকে ঘিরে- একজন ফক্স মল্ডার (Fox Mulder) আর অপরজন ড্যানা স্কালি (Dana Scully)। এ সিরিজে এক্স-ফাইল বলতে বোঝায় এমন একটি কেস যা সমাধানের অতীত, রহস্যময়, সেগুলো চলে যায় এফবিআই এর এক্স-ফাইলস ইউনিটে। এ কেসগুলোতে থাকে ব্যাখার অযোগ্য পরাবৈজ্ঞানিক (fringe pseudo-scientific) বিষয় এবং পরাবাস্তব, আধাভৌতিক বা অতিপ্রাকৃত (paranormal/supernatural) ঘটনা।
ফক্স মল্ডার নিজে ভিনগ্রহী অর্থাৎ এলিয়েন আর ইউএফও (UFO)-র অস্তিত্বে বিশ্বাসী, প্যারানরমালেও। শুধু এলিয়েনের অস্তিত্বই নয়, তারা যে পৃথিবীতে এসেছে এবং সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে, এই তত্ত্বেও মল্ডার বিশ্বাসী। তার টেবিলে কিংবা দেয়ালে দেখা যায় পোস্টার যাতে লেখা ‘I want to believe’ এবং সাথে ফ্লায়িং সসারের ছবি। ওদিকে পেশায় ডাক্তার ড্যানা স্কালি একজন কঠিন রকমের অবিশ্বাসী। বিজ্ঞান ছাড়া তার কিছুতেই বিশ্বাস নেই। তার কাজ হলো মল্ডারের বিশ্বাস আর সন্দেহগুলোকে প্রতি কেসেই বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে ব্যাখ্যা করা এবং সমাধানের রিপোর্ট এফবিআই-তে জমা দেয়া। মল্ডারের সন্দেহ সব জায়গাতেই, তার ধারণা স্কালিকে তার পার্টনার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে নাম নেয়া যাবে না এমন উর্ধ্বতন গোপন কোনো কর্মকর্তা। আসলেই কি তাই? সিরিজের কাহিনী এগোনোর সাথে সাথে এ রহস্যের জটও খুলতে থাকে।
ফক্স মল্ডার ছোটবেলায় তার বোন সামান্থা মল্ডারকে হারিয়েছিল, না, আসলে অপহরণ করা হয়েছিল তাকে নিজের ঘর থেকেই। তার দৃঢ় বিশ্বাস, ঘর থেকে তাকে এলিয়েনরাই নিয়ে গিয়েছিল। এই রহস্যের সমাধান তাকে করতেই হবে। সে কি শিশু মনে ভুল দেখেছিল নাকি আসলেই সিন্ডিকেট লেভেলের মানুষেরা এলিয়েনদের সাথে হাত মিলিয়ে পৃথিবীকে বিকিয়ে দিচ্ছে? এ রহস্য ঘাটতে গিয়ে হাজারোবার বিপদের মুখোমুখি হয়। কোথায় না যায় মল্ডার? উত্তর মেরু, সাগর তলা, বারমুডা ট্রায়াঙ্গল, প্রাচীন গুহা, টাইম ট্র্যাভেল, এরিয়া ৫১- কিছুই বাদ রাখেনি। একের পর এক অভিযান দর্শকদের আকর্ষণ ধরে রাখবেই। কখনও কখনও নিজের বিশ্বাসের উপর এসেছে প্রবল আঘাত, কখনও এসেছে প্রাণঘাতী বিপদ। কিন্তু পুরোটা সময় তাঁর সাথে ছিল বিশ্বস্ত বন্ধুর মত ড্যানা স্কালি।
১৯৮২ সালে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে মনোবিজ্ঞানে ব্যাচেলর ডিগ্রি নিয়ে পাশ করে, একদম প্রথম শ্রেণীর ফলাফল করে। এরপর ১৯৮৪ সালে কোয়ান্টিকোতে ট্রেনিং শেষে যোগদান করে এফবিআইতে। আর এক্স-ফাইলস বিভাগে ড্যানা স্কালির সাথে তার পরিচয় ১৯৯১ সালে। দেখা হবার আগে থেকেই তার সম্পর্কে নানা কথা শুনে এসেছিল এজেন্ট স্কালি, প্রশংসনীয় কিছু নয়। ‘পাগল’ খেতাবটাই বুঝি সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল। স্কালি ফিজিক্সে বিএসসি করে আসা, তার থিসিসের বিষয় ছিল আইনস্টাইনের টুইন প্যারাডক্স! তারপর ফিজিক্স শেষ করে ঢুকেছেন স্ট্যানফোর্ডে মেডিক্যাল ডিগ্রি নিতে। তখনই তার দক্ষতার জন্য তাকে রিক্রুট করে এফবিআই, মূলত মেডিক্যাল স্কিলের জন্য। আর এরপর শুরু হলো এক্স-ফাইলস। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সুন্দরী ড্যানা স্কালি নব্বই এর দশকে অনেকের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিল।
তাই শুরু থেকেই ফক্স মল্ডার বনাম ড্যানা স্কালির একটা মানসিক প্রতিযোগিতা চলতে থাকে। প্রত্যেকটা ঘটনা দুজন দুদিক থেকে ব্যাখ্যা করবে আর একজন আরেকজনকে কুপোকাত করার আপ্রাণ চেষ্টা চালাবে হাসতে হাসতেই। চমৎকার সব কৌতুক, আর চটুল বাকচারিতা আপনাকে মুগ্ধ না করে পারবে না।
সিরিজের কাহিনী এগোবার সাথে সাথে স্কালি বুঝতে পারে আসলে যতটা সহজ ভেবেছিল সে সবকিছুকে তেমনটা আসলে না। আসলেই রয়েছে ষড়যন্ত্র। তার মাঝে আছে ভিনগ্রহীদের সাথে সরকারের হাত মেলানোর খবর গোপন রাখা। সিরিজের পুরোটা জুড়ে এক অদেখা সিন্ডিকেটের অস্তিত্ত্ব সম্পর্কে জানা যায়। তারা পুরো মানবজাতির ভাগ্য নিজের হাতে নিয়ন্ত্রণ করতে বসে আছে। আর তাদের মুখপাত্র কিংবা অন্যতম প্রধান প্রথম থেকে নামহীন সিগারেট ফোঁকা লোকটি (Cigarette Smoking Man); ভক্তরা তাকে সংক্ষেপে CSM কিংবা ক্যান্সারম্যান বলে ডাকতে থাকে। মল্ডারের সাথে তার আবার অদ্ভুত সম্পর্ক হয়ে যায়। কী সেই সম্পর্ক?
সিজন যত বাড়তে থাকে তত গভীর হতে থাকে কাহিনী। একপর্যায়ে স্কালি বিশ্বাসী হয়ে গেলেও, বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে মল্ডার। কীভাবে ধীরে ধীরে এমন ব্যাপারটা ঘটল? জানতে হলে দেখতে হবে দ্য এক্স-ফাইলস।
পুরোটা সিরিজ জুড়ে বেশিরভাগ সময় মল্ডার আর স্কালি একত্রেই ছিল, স্বভাবতই দর্শকবৃন্দ চেয়েছিল তাদের কিছু হোক, কোনো প্রেমের সম্পর্কে তারা আবদ্ধ হোক। কিন্তু প্রথমদিকে তারা সম্পূর্ণ প্ল্যাটনিক (অ-রোমান্টিক) সম্পর্ক বজায় রাখে। কিন্তু ধীরে ধীরে সেটি প্রেমের সম্পর্কে রূপ নেয় অবধারিতভাবেই।
এক্স-ফাইলসের বিখ্যাত থিম টোন কম্পোজ করেন মার্ক স্নো। তিনি তিনবার অডিশন দিয়েছিলেন মিউজিক কম্পোজার হবার জন্য, তা-ও কোনো সাড়া পাননি। পরে হঠাৎ পাইলট (প্রথম/পরীক্ষামূলক) পর্বের জন্য ডাক পেয়ে বসেন তিনি। আর বাকিটা তো ইতিহাস, এক্স-ফাইলসের মায়াবী সুর এখনো বিখ্যাত। এ-ই তার লিংক-
এজেন্ট মল্ডারের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ডেভিড ডুকোভনি, আর এজেন্ট স্কালির ভূমিকায় ছিলেন জিলিয়ান অ্যান্ডারসন। দুজনেই তাদের ভূমিকায় অনবদ্য অভিনয় করে যাচ্ছেন এখনো। এছাড়াও এফবিআই ডিরেক্টর ওয়াল্টার স্কিনার এর ভূমিকায় আছেন মিচ পিলেগি। প্রথম পাঁচ সিজনের শুটিং হয় কানাডার ভ্যাংকুভারে, কিন্তু এরপর ডেভিড ডুকোভনির সুবিধার্থে এর পরের চারটি সিজন হয় লস অ্যাঞ্জেলেসে। পঞ্চম সিজনের শেষটুকুতে একটি উপসংহার টানা হয়েছিল। এরপরই ১৯৯৮ সালে পরিচালক ক্রিস কার্টার নিয়ে আসেন The X-Files: Fight the Future মুভি। এরপর সিজন ৬ থেকে সিজন ৯ পর্যন্ত পুরো দমে চলে এক্স-ফাইলস। মাঝে সিজন ৮ আর ৯-এ ফক্স মল্ডার চরিত্রে অভিনয়কারী ডুকোভনি অনিয়মিত হয়ে পড়েন। পর্দায় আসেন নতুন দুজন এজেন্ট- জন ডগেট এবং মনিকা রেইস। ২০২টি পর্ব এবং নয়টি সিজন শেষে ২০০২ সালে শেষ হয় দ্য এক্স-ফাইলস সিরিজটি।
Alfred Hitchcock Presents, The Twilight Zone, Night Gallery ইত্যাদি রহস্য ঘরানার সিরিজ থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিল দ্য এক্স-ফাইলস।ফ্রিঞ্জ, ওয়্যারহাউজ ১৩ ইত্যাদি সিরিজ আবার এক্স-ফাইলস থেকে অনুপ্রাণিত। The Lone Gunmen নামে একটি স্পিন-অফ সিরিজও প্রচারিত হয়েছিল এক সিজনের জন্য ২০০১ সালে।
ছয় বছর বাদে ২০০৮ সালে The X-Files: I Want to Believe নামের আরেকটি মুভি মুক্তি পায়, তবে তেমন সফল হতে পারেনি। কিন্তু টিভি পর্দায় এক্স-ফাইলস আবার ফিরে আসবে এরকম কানাঘুষা চলছিল বহু বছর ধরেই। সকল গুজবের অবসান ঘটিয়ে ফক্স নেটওয়ার্ক ঘোষণা দেয় যে, ফিরে আসছে এক্স-ফাইলস। ২০১৬ সালের ২৪ জানুয়ারি শুরু হয় দ্য এক্স-ফাইলসের দশম সিজন, তবে মাত্র ছয়টি পর্ব ছিল তাতে। ২০১৭ সালের এপ্রিলে ফক্স ঘোষণা দেয়, তারা আরো দশটি পর্ব নিয়ে সিজন ১১ নিয়ে ফিরে আসছে পরের বছর। ২০১৮ সালে একাদশ সিজন প্রচারিত হয়, এবং দর্শকরা বহুদিনের একটি প্রশ্নের উত্তর পায়। তবে এত বছরের ব্যবধানে ফিরে আসা মল্ডার আর স্কালির চেহারায় বুড়িয়ে যাবার ছাপ ছিল অতি স্পষ্ট।
আমেরিকানদের ওপর দ্য এক্স-ফাইলসের প্রভাব ছিল অনেক বেশি, এ সিরিজের কারণে নানা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব নতুন মাত্রা লাভ করে। এখন পর্যন্ত মার্কিন ইতিহাসে এটি সবচেয়ে দীর্ঘদিন চলা টিভি সিরিজ, যদিও মাঝে অনেক বছরের গ্যাপ রয়েছে।
মূল কাহিনীর পাশাপাশি দ্য এক্স-ফাইলস সিরিজে স্ট্যান্ড অ্যালোন বা ফিলার পর্ব প্রচারিত হয় যা Monster of the Week নামে পরিচিত। এক্স-ফাইলসের ইন্ট্রো অপরিবর্তিত ছিল টানা সাত বছর, অষ্টম সিজনে আসে হালকা পরিবর্তন, কারণ তখন নতুন এজেন্টদেরও দেখাতে হয়েছিল। তবে বরাবরের মতো ‘The Truth is Out There’ দিয়েই শেষ হয় ইন্ট্রো এখনো। এখন পর্যন্ত জিলিয়ান অ্যান্ডারসন ২১৭টি পর্বে অভিনয় করলেও ডুকোভনি করেছেন ১৯৩টিতে। পাইলট পর্বেই ১২ মিলিয়ন দর্শক আকৃষ্ট করতে সমর্থ হয় এক্স-ফাইলস।
৬২টি এমি নমিনেশন আর ১৬টি অ্যাওয়ার্ড যেটা দ্য এক্স-ফাইলস এর বেরিয়েছে কমিক, গেমও। ফ্যান্ডম বা ভক্তকূল বলতে যা বোঝায়, ইন্টারনেটে তাদের তোলপাড় করবার সূচনা আসলে এক্স-ফাইলসের মধ্য দিয়েই শুরু হয়েছিল। এক্স-ফাইলস ভক্তরা নিজেদের ‘X-Phile’ (Phile বলতে আকৃষ্ট বোঝানো হয়) হিসেবে পরিচয় দিতে পছন্দ করে।
মজার ব্যাপার, দ্য এক্স-ফাইলসে যেমনটা দেখানো হয়েছে অর্থাৎ মল্ডার বিশ্বাসী, আর স্কালি অবিশ্বাসী- বাস্তব জীবনে আসলে উলটো। অর্থাৎ, জিলিয়ান আসলে বিশ্বাসী, কিন্তু ডেভিড অবিশ্বাসী। জিলিয়ান যখন সিজন ২ শুরুর সময় অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন, তখন অনেকে তাকে সিরিজ থেকে সরিয়ে নিতে চাইলেও ক্রিস কার্টার নাকচ করে দেন সেটি। তিনি বরং সেভাবেই তার প্লট লিখেন। কৃতজ্ঞতা থেকে ক্রিস কার্টারকে নিজের মেয়ের গডফাদার করেন জিলিয়ান। তার মেয়ে পাইপার সত্যি বলতে এক্স-ফাইলসের শুটিং সেটেই বড় হন।
ইন্ট্রো খেয়াল করলে দেখা যায়, এজেন্টদের এফবিআই ব্যাজে লেখা ‘Federal Bureau of Justice, United States Department of Investigation‘, কিন্তু আসল কথা হবার কথা ‘Federal Bureau of Investigation, United States Department of Justice‘; এর কারণ, গল্পের জন্য হলেও এফবিআই এর নকল ব্যাজ বানানো আমেরিকায় নিষিদ্ধ।
ক্লাসিকাল এক্স-ফাইলস আর রিবুট এক্স-ফাইলসের মাঝে গুণগত পার্থক্য সহজেই দেখা যায়। তবুও আইএমডিবি-তে ৮.৭/১০ রেটিংধারী দ্য এক্স-ফাইলস দীর্ঘ সময় ধরে রহস্য ঘরানার সিরিজগুলোর মাঝে শীর্ষে। দুই যুগ ধরে কোটি কোটি হৃদয়ে আবেগের একটি নাম এক্স-ফাইলস। আপনি দেখেছেন তো? নব্বই এর দশকের স্বাদ সবার মুখে না সইতেই পারে, কিন্তু দ্য এক্স-ফাইলস পুরোটা শেষ করতে পারলে একটা আত্মতৃপ্তি যে পাবেন, সেটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
দ্য এক্স-ফাইলসের কিছু জনপ্রিয় উক্তি:
“Trust No One.”
“The Truth is Out There.”
“You know, they say when you talk to God it’s prayer, but when God talks to you, it’s schizophrenia.”
“Sometimes the only sane answer to an insane world is insanity.”
“It begins where it ends… in nothingness. A nightmare borne from deepest fears, coming to the unguarded. Whispering images unlocked from time and distance. A soul unbound, touched by others but never held. On a course charted by some unseen hand. The journey ahead promising no more than my past reflected back upon me. Until at last I reached the end. Facing a truth I could no longer deny. Alone, as ever.” -Scully
“Time passes in moments… moments which, rushing past, define the path of a life, just as surely as they lead towards its end. How rarely do we stop to examine that path, to see the reasons why all things happen, to consider whether the path we take in life is our own making, or simply one into which we drift with eyes closed. But what if we could stop, pause to take stock of each precious moment before it passes? Might we then see the endless forks in the road that have shaped a life? And, seeing those choices, choose another path?” -Scully
ফিচার ইমেজ: Photo Blog