Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

ভেলেন্টিনা টিরিস্কোভা: মহাশূন্যে উড়াল দেওয়া প্রথম নারী

১৬ই জুন, ১৯৬৩ সাল, ভস্টক-৬ বাইকোনুর কস্মোড্রোম (বর্তমানে কাজাখস্তানে) থেকে স্থানীয় সময় ঠিক ১২টা বেজে ২৯ মিনিট ৫২ সেকেন্ডে গর্জে উঠে উড়াল দিলো মহাকাশপানে, ভেতরে থাকা আরোহী চিৎকার করে বলে উঠলেন,

আকাশ! হ্যাটখানা খুলে অভিবাদন করতে তৈরি হও, আমি আসছি!”

এদিকে রেডিও মস্কোতে বিশেষ ঘোষণা দেওয়া হলো; বলা হলো- মানব ইতিহাসে প্রথম একজন নারী মহাকাশ গমন করেছেন, তিনি সোভিয়েটেরই নাগরিক, একক পাইলট হিসেবে ভস্টক-৬ কে নিয়ে ছুটছেন উর্ধ্বমুখে। মহাকাশচারীটি যখন পৃথিবীকে কেন্দ্র করে চক্কর দিচ্ছেন, সেই সময়ে রেডিওতে প্রচারিত খবরে ভূপৃষ্ঠে থাকা অন্যান্য সকলের সাথে প্রথম জানতে পেলেন তার নিজের জন্মদাত্রীও। কী চলছিলো সেই সময়ে মা’য়ের মনে?

স্পুটনিক
স্পুটনিক-১; soucre: bigganjatra.org

যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েট ইউনিয়নের মধ্যে তখন পুরোদমে চলছে মহাশূন্য অভিযানের মাধ্যমে আধিপত্য বিস্তারের প্রতিদ্বন্দ্বিতা, যা বিশ্বে পরিচিত ‘স্পেস রেইস’ নামে। সোভিয়েট পৃথিবীর প্রথম স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ স্পুটনিক-১ পাঠিয়ে এই ঠান্ডা যুদ্ধ শুরু করে তো যুক্তরাষ্ট্র এক্সপ্লোরার-১ পাঠিয়ে তার প্রত্যুত্তর দেয়। য়ুরি গ্যাগারিন ভস্টক-১ নিয়ে মানবসভ্যতার প্রথম মহাকাশচারী হিসেবে মহাশূন্যে উঁকি দিয়ে আসলে যুক্তরাষ্ট্রও দেরি না করে ফ্রিডম-৭ মহাকাশযানে পাঠিয়ে দেয় অ্যালান শেপার্ডকে। তো “মহাকাশে প্রথম”-এর জন্য যখন একরকম কে কাকে পেছনে ফেলতে পারে অবস্থা, তখন স্বাভাবিকভাবেই চলে আসে কে প্রথম নারী মহাকাশচারী পাঠাবে, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা।

সোভিয়েট এয়ার ফোর্সের ভাইস কমান্ডার নিকোলাই কামানিয়ানের নেতৃত্বে প্রথম প্রজন্মের মহাকাশচারী দল (যার মধ্যে ছিলেন য়ুরি গ্যাগারিন, ঘেরমান টিটভ, অ্যালেক্সেই লিওনভ মহাকাশচারীরা) পরিচালিত হয়েছিলো। তিনিই নারী মহাকাশচারী মহাশূন্যে পাঠানোর প্রস্তাব করেন। শুরু হলো প্রথম নারী মহাকাশচারী বাছাই ও প্রশিক্ষণের কার্যক্রম। বাছাই করার জন্য আবেদনকারীদের থাকতে হবে কমপক্ষে ২০০ ঘণ্টা বিমান চালানোর অথবা ৫০ বার প্যারাস্যুট দিয়ে অবতরণের অভিজ্ঞতা, এছাড়াও বয়স, ওজন এবং উচ্চতার অনুর্ধ্ব সীমা ছিলো যথাক্রমে ৩০ বছর, ৭০ কেজি এবং ৫’৭”। চারশ’রও বেশি আবেদনকারী হতে পাঁচজনকে নেওয়া হলো এই অভিযানের জন্য উপযুক্তভাবে প্রস্তুত করতে। আর এর মধ্যেই একজন সুযোগ পান এ অভিযানে অভিযাত্রীর জন্য নির্ধারিত ডাক-নাম ‘চ্যায়কা’ দ্বারা পরিচিত হতে। রাশান ভাষায় এ শব্দের অর্থ গাংচিল। সর্বপ্রথম নারী মহাকাশচারী হিসেবে তো বটেই, এমনকি এখন পর্যন্ত একক নারী হিসেবে সম্পূর্ণ একটি মহাকাশ অভিযান সম্পন্ন করা ব্যক্তিও এই ‘গাংচিল’ই।

2
ষোলো বছর বয়সে কারখানার শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করেন; source: www.rt.com

মহাকাশের এই গাংচিলের পুরো নাম ভেলেন্টিনা ভ্লাডিমেরাভনা টিরিস্কোভা, জন্মগ্রহণ ১৯৩৭ সালের ৬ই মার্চ মধ্য রাশিয়ার ইয়ারোস্লাভল্ ওব্লাস্টের টুটেইয়েভস্কি জেলার বলশোয়ে মাস্লেনিকভো গ্রামে। জন্মের ২৬ বছর পর ব্যক্তিটি এমন কীর্তি করে ফেললেন, যা থেকে তার নাম মুছে দিতে পারবে না কেউ। অথচ জীবনের শুরুটা সাধারণ এক পরিবারে, নিতান্তই সাদামাটাভাবে বরং বেশ সংগ্রামেরই সাথেই। বাবা ভ্লাদিমির টিরিস্কোভ পেশায় ছিলেন একজন ট্র্যাক্টর চালক; তবে তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েট ইউনিয়নের সৈনিক হিসেবে যুদ্ধরত অবস্থায় মারা যান, ফলে ভেলেন্টিনা মাত্র দুই বছর বয়সেই বাবাকে হারান। মা এলেনা ফ্যয়োডোরোভনা ছিলেন কারখানার শ্রমিক, ভেলেন্টিনা ও তার ভাইবোনকে একাই দেখাশোনা করে বড় করেন তিনি। ঘরের কাজে সাহায্য করার ফলে দশ বছরের আগে স্কুলে ভর্তি হতে পারেননি ভেলেন্টিনা। আবার ষোলো বছর বয়সে প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখার পাট চুকিয়ে যোগ দিলেন কারখানার শ্রমিক হিসেবে, অবশ্য দূরশিক্ষণ প্রক্রিয়ায় পড়ালেখার সাথে সম্পর্কটাও বজায় রেখে, লাইট ইন্ডাস্ট্রি টেকনিক্যাল স্কুল হতে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। তিনি কমিউনিজমের রাজনৈতিক আদর্শ ভাবাপন্ন ছিলেন এবং কারখানার কমসোমল্ (তরুন সাম্যবাদী লীগ)-এ যোগদান করেছিলেন।

3
১৯৬০ সালের গ্রীষ্মে, প্যারাস্যুট জাম্পিং-এর পর ভেলেন্টিনা টিরিস্কোভা, Source: theguardian.com

তবে যেদিকে ঝোঁকের কারণে ভেলেন্টিনা একজন মহাকাশচারী হতে পেরেছিলেন, তা হলো তার প্যারাস্যুট জাম্পিং বা স্কাইডাইভিং-এর দক্ষতা, যেটির প্রতি আকর্ষণ ছিলো অল্প বয়স থেকেই। ইয়ারোস্লাভল্ প্যারাস্যুট ক্লাবের সদস্য ছিলেন। মাত্র বাইশ বছর বয়সে প্রথম প্যারাস্যুট জাম্পিং করেন ভেলেন্টিনা। এয়ার ফোর্স থেকে বাছাইকরণের সময় তার ৯০ বার প্যারাস্যুট জাম্পিং সম্পন্ন হয়ে গেছে, যার ফলে সুযোগ এসে ধরা দিলো অত্যন্ত গোপনীয় এই মহাকাশ অভিযানে প্রতিনিধিত্ব করার। এতোটাই গোপনীয় যে নিজের মা’কেও মিথ্যা বলে যেতে হয়েছিলো!

পাঁচ নারী সদস্যের দলটি আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হয় ১২ই মার্চ, ১৯৬২ সালে। মস্কো শহর হতে ৪০ কি.মি. দূরে মিলিটারি ঘাঁটিতে শুরু হলো কঠোর প্রশিক্ষণ। পুরুষ মহাকাশচারীদের জন্য যা ট্রেনিং রাখা হয়েছিলো, সেরকমই নারীদের ক্ষেত্রেও অনুসরণ করা হলো। প্রশিক্ষণের পর বিভিন্ন পরীক্ষার মধ্য দিয়ে তাদের যেতে হয়েছিলো, যার মধ্যে রয়েছে আইসোলেশন টেস্ট, ভরশূন্য উড্ডয়ন, সেন্ট্রিফিউজ টেস্ট, ১২০ বার প্যারাস্যুট জাম্প, মিগ-১৫ইউটিআই জেট ফাইটারে পাইলট ট্রেনিং। সেন্ট্রিফিউজ টেস্ট ছিলো সবচাইতে কঠিন পরীক্ষা, প্রচন্ড অভিকর্ষজ বল (g-force) প্রয়োগের ফলে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়তেন সদস্যরা।

5
প্রশিক্ষণ চলার সময়ে চিকিৎসক পর্যবেক্ষণ করছেন; Source: cosmicculture.org

এই পরীক্ষার পর দেখা যেতো সারা শরীরে লাল ছোপ-ছোপ হয়ে আছে, কারণ প্রচণ্ড চাপে আমাদের চামড়ার ভেতরের ক্ষুদ্র রক্ত-নালিকাগুলো ফেটে যেতো!”,

এমনটাই জানা যায় ভেলেন্টিনা পন্মারিয়েভ্নার কথা থেকে। তিনি ছিলেন ভ্যালেন্টিনা টিরিস্কোভার রিজার্ভ হিসেবে। কিন্তু ভেলেন্টিনা টিরিস্কোভা হাল ছাড়েননি, তিনি সবধরনের কঠিন পরীক্ষায় উতরে যাবার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন।

তিনি খুবই প্রাপ্তবয়স্কের মতো আচরণ করতেন, একদম ঠিকঠাক জানতেন তাকে কী করতে হবে জীবনে, টিরিস্কোভা এই স্পেস প্রোগ্রাম থেকে বাদ না পড়ার জন্য যা করা সম্ভব তা-ই করেছিলো।”,

কথাগুলো বলেন মহাশূণ্যে সর্বোপ্রথম হেঁটে বেড়ানো মহাকাশচারী অ্যালেক্সেই লিওনভ।

তবে এ কথাও ঠিক যে ভেলেন্টিনা টিরিস্কোভার ‘প্রোলেতারিয়ান’ পারিবারিক ভিত্তি এবং কমিউনিস্ট রাজনৈতিক দলের প্রতি সমর্থনও একদম সর্বশেষ এবং সার্বিক বিচারে তাকে এগিয়ে রেখেছিলো সোভিয়েট ইউনিয়নের সর্বপ্রধান নিকিটা ক্রুশ্চেভের চোখে। সোভিয়েট ইউনিয়নের সারাবিশ্বকে দেখানোর দরকার ছিল যে তাদের সামাজিক কাঠামোই সেরা, সেজন্যই এভাবে প্রান্তিক অবস্থা থেকেও একজন নারী মহাকাশ জয় করতে পারেন, যার ফলে, কাগজে-কলমে ভেলেন্টিনা এগিয়ে না থাকলেও, ভস্টক-৬ নিয়ে তিনিই প্রথম নারী মহাকাশচারী হিসেবে ছুটেছিলেন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ভেদ করে।

অবশ্য এতে করে ভেলেন্টিনা টিরিস্কোভার কৃতিত্ব কোনোভাবেই ম্লান হয়ে যায় না। বরং ভেলেন্টিনা বেশ কিছু সমস্যা অত্যন্ত দারুণভাবে সামাল দিয়েছিলেন। উড্ডয়নের বেশ কিছু সময় পর দেখা গেলো যে মহাকাশযানটি ধীরে ধীরে কক্ষপথ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, যেখানে কক্ষপথে থাকতে হলে এটিকে কাছাকাছি আসতে হবে, ভেলেন্টিনা ভুলটি চিহ্নিত করলেন এবং পৃথিবীতে সমস্যা সমাধানের জন্য সংকেত পাঠালেন। এই অভিযানের চিফ ইঞ্জিনিয়ার সার্গেই করোল্যিয়ভের অনুরোধে তিনি ৩০ বছরের মতো এই তথ্যটি গোপন রেখেছিলেন। এ তথ্য জানোনোর সময় তাদের একটি হাস্যকর ভুলের কথাও বলেন, তা হলো তার সাথে কোনো টুথব্রাশ দেওয়া হয়নি!

4
ভস্টক-৬ এ থাকা অবস্থায়; Source: rt.com

৭০ ঘন্টা ৫০ মিনিট উড্ডয়নকালে তিনি পৃথিবীকে ৪৮ বার প্রদক্ষিণ করেন। ভেলেন্টিনা যতটুকু সময় মহাকাশে ছিলেন, তা সেই সময়ে মোট আমেরিকান মহাকাশচারীদের মহাকাশে থাকার সময়ের চেয়েও বেশি ছিলো। ভেলেন্টিনার এই অভিযান সোভিয়েটদের টেস্টের রেজাল্টকে সমর্থন করে, যাতে প্রমাণ হয় মহাকাশে পুরুষের ও নারীর শারীরিক এবং মানসিক চাপ সহ্য করার ক্ষমতা একই। এ টেস্টে দেখা যায় নারীর ক্ষেত্রে অভিকর্ষজ বল সহ্য করার পরিমাণ পুরুষের থেকে বেশি।

১৯শে জুন অল্টাইয়ের ব্যেইভো নামক স্থানে ভেলেন্টিনা টিরিস্কোভা অবতরণ করেন। যা একদম নির্ঝঞ্ঝাট ছিলো না। কিছুটা আহত হয়েছিলেন তিনি। অবতরণের পরে স্থানীয় মানুষজন তাকে ঘিরে ধরে, তার জন্য খাবারও নিয়ে আসে, ভেলেন্টিনা সেগুলা খেয়ে ফেরার আনন্দের আতিশয্যে তার নিজের যানে থাকা খাবারগুলো তাদের দিয়ে দেন, ফলে এই অভিযানে বিপাক সম্পর্কিত তথ্যগুলো উদ্ধার করতে পারেন না গবেষকেরা। সে যা-ই হোক, এমন সফল অভিযানের পর ভেলেন্টিনা সোভিয়েটের সম্মানিত মুখ হয়ে উঠলেন। হিরো অব দ্য সোভিয়েট ইউনিয়ন-এ ভূষিত করা হলো তাকে, যা সোভিয়েটের সর্বোচ্চ পুরস্কার। এছাড়াও পরবর্তীতে নানা সময়ে আরো বিভিন্ন পুরস্কার, খেতাব ও সম্মাননায় সম্মানিত করা হলো তাকে। চাঁদের একটি অংশের নামও রাখা হয়েছে ‘টিরিস্কোভা’।

6
মেয়ে এলেনা আন্ড্রিয়ানোভ্না; Source: cosmicculture.org

অভিযানের পরবর্তী সময়ে যুকোভস্কি এয়ার ফোর্স অ্যাকাডেমি থেকে ভেলেন্টিনা টিরিস্কোভা কস্মোনট ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতক লাভ করেন, ১৯৭৭ সালে তিনি ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়াও মহাশূন্যে ঘুরে আসার পর রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন তিনি। সুপ্রিম সোভিয়েটের সদস্য হন পরবর্তীতে কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটিতে সদস্য পদ পান। সোভিয়েটে বহিঃবিশ্বের কার্যক্রমগুলোতেও ভেলেন্টিনার অংশগ্রহণ ছিলো। ওয়ার্ল্ড পিস কাউন্সিলের সদস্য পদ দেওয়া হয় তাকে। ১৯৭৫ সালে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে জাতিসংঘের সম্মেলনে সোভিয়েটের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনি। মহাকাশচারী আন্ড্রিয়ান নিকোলেই্যভকে বিয়ে করেন। তাদের মেয়ে এলেনা আন্ড্রিয়ানোভ্না হয়ে যান বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি, যার বাবা-মা উভয়ই মহাকাশচারী।

7
এর ভেতরেই ছিলেন তিনি; Source: telegraph.co.uk

ভস্টক-৬তে চড়ে অর্ধশত বছর আগে ভেলেন্টিনা টিরিস্কোভা যাত্রা করেছিলেন মহাশূন্যে। মহাশূন্যে যাবার আকর্ষণ এখনো আগের মতোই আছে তার, তাই তো ৭৬ তম জন্মদিনেও আগ্রহ প্রকাশ করেন মঙ্গল অভিযানে অভিযাত্রী হওয়ার, যদি তাতে ফেরার কোনো উপায় না থাকে তারপরও!

8
মহাকাশচারী ভেলেন্টিনা টিরিস্কোভো; Source: sachalayatan.com

মহাকাশে ছুটে চলার দৌড়ে নারীরাও যে কম নয়, তা প্রমাণের শুরুটা করে দিয়েছিলেন ভেলেন্টিনা টিরিস্কোভা। কোনো দেশ-জাতিকে পেছনে ফেলার জন্যই হোক অথবা পৃথিবীবাসীকে অবাক করে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এই অভিযান হোক না কেন, যতকাল মানবসভ্যতায় মহাকাশ অভিযানগুলোর গুরুত্ব থাকবে, ততকাল ইতিহাসের কোনো এক অংশে ভেলেন্টিনা টিরিস্কোভার নাম ঠিকই টিকে থাকবে; স্মরণ করা হবে এই মহাকাশচারীর অবদান।

কারণ, পৃথিবীর আধখানা জনসংখ্যার স্বপ্ন দেখার ‘দুঃসাহস’-এর শুরুটা করেছিলেন তো তিনিই!

Featured image: www.rt.com

Related Articles