হলিউডের সেরা কিছু চলচ্চিত্রের নাম বললে সেখানে ‘দ্য গডফাদার’ যে থাকবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ১৯৭২ সালে মুক্তি পাওয়া এই চলচ্চিত্রটি আজও জনপ্রিয় সকল সিনেমাপ্রেমীর কাছে। “I’m gonna make him an offer he can’t refuse” এর মতো উক্তিগুলো আজও সিনেমা অনুরাগীদের মুখে মুখে। মুভিটির এই সফলতার প্রসঙ্গে একজনের নাম স্মরণ করতেই হবে। তিনি মুভিটির পরিচালক ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা।
চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে মারিয়ো পুজোর পঞ্চম উপন্যাস দ্য গডফাদারের উপর ভিত্তি করে। উপন্যাসটির যখন মাত্র ১০০ পৃষ্ঠা লেখা হয়, তখন থেকেই প্যারামাউন্ট বইটির স্বত্তাধিকার কেনার পরিকল্পনা করতে থাকে এবং শেষে ৮০,০০০ ডলারে সেটি কিনে নেয়। ‘The Godfather Legacy’ ডকুমেন্টরি থেকে জানা যায়, তখনকার প্যারামাউন্ট পিকচারসের ভাইস প্রেসিডেন্ট স্ট্যানলি জেফি টেলিফোন করেন আলবার্ট রুডিকে (গডফাদারের নির্মাতা), এবং জিজ্ঞেস করেন তিনি কি গডফাদার মুভির নির্মাতা হতে চান কি না। আলবার্ট তখনো বইটি পড়েননি। তাই তিনি সাথে সাথেই বইটি কিনে আনেন এবং অন্য সবার মতোই মুগ্ধ হয়ে যান।
কিন্তু সমস্যা ছিল, প্যারামাউন্টকে দুই বছর আগের মাফিয়া মুভি দ্য ব্রাদারহুডের কারণে বেশ লোকসান গুণতে হয়েছিল। তাই আলবার্ট ভয় পাচ্ছিলেন এই ভেবে যে, মানুষ হয়তো আর মাফিয়া মুভি দেখতে চায় না।
তারপরেও তারা মুভিটি নিয়ে পরিকল্পনা করতে থাকেন। যেহেতু এটা ইতালিয়ান-আমেরিকান মাফিয়া মুভি হবে, তাই তারা একজন ইতালিয়ান-আমেরিকান পরিচালক খুঁজছিলেন, যিনি ইতালিয়ান সংস্কৃতি সম্পর্কে ভাল জ্ঞান রাখেন। সেজন্য ৩৮ বছর বয়সী রবার্ট ইভান্স (প্যারামাউন্টের হেড অফ প্রোডাকশন) মুভিটি পরিচালনার জন্য প্রস্তাব দিলেন ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা নামক মোটামুটি অখ্যাত এক পরিচালককে। এছাড়াও কপোলাকে দিয়ে হয়তো কিছুটা কম খরচে কাজ করিয়ে নিতে পারবেন এমন ইচ্ছাও ছিল তাদের। কিন্তু তারা কতটা ভুল ছিলেন তা একটু পরেই বলছি।
ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলার পূর্বপুরুষরাও একসময় জীবিকার তাগিদে ইতালি থেকে আমেরিকায় পাড়ি জমায়। চোখে চশমা এবং মুখভর্তি দাড়ি, দেখতে বয়সের তুলনায় বয়স্ক কপোলা এর আগে তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো সিনেমা তৈরি করেননি। তিনি নিজে American Zoetrope নামক একটি প্রোডাকশন কোম্পানি চালাতেন।
প্রথমদিকে সিনেমাটির কাজ করতে কপোলা বেশ আগ্রহীই ছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন এমন একটা মাফিয়া মুভি নির্মাণ করতে, যা হবে পরিচালকের দৃষ্টিকোণ থেকে। এখানে উল্লেখ করা ভালো, কপোলা বেশ স্বাধীনচেতা একজন পরিচালক। তিনি সবসময় চেয়েছেন নিজের পূর্ণ স্বাধীনতায় মুভি তৈরি করতে।
সেটা যখন প্যারামাউন্ট বুঝতে পারে, তখন তারা তাকে জানিয়ে দেয়, একটি বইয়ের উপর ভিত্তি করে এই সিনেমাটি তৈরি করতে হবে। তখন কপোলা সিনেমাটির কাজ করতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
কিন্তু তখন কপোলার অ্যাসিস্টেন্ট এবং আমেরিকান জোইট্রোপের কো-ফাউন্ডার জর্জ লুকাস কপোলাকে বলেন,
“আমরা আমাদের বিলগুলো পরিশোধ করিনি, ফলে যেকোনো সময় শেরিফ এসে আমাদের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেবে। আমাদের কিছু টাকার প্রয়োজন। তাই আমেরিকান জোইট্রোপকে বাঁচাতে এই সিনেমাটির কাজ তোমাকে করতেই হবে।”
২৯ বছর বয়সী কপোলা বুঝতে পারেন, এই মুভিটি করা ছাড়া তার অন্য কোনো উপায় নেই। তাই তিনি পরিচালনার কাজটি নিলেন এবং স্ক্রিনপ্লে লেখা শুরু করলেন। যেহেতু কপোলা এর আগে মাফিয়া সম্পর্কে কিছুই জানতেন না, তাই তিনি পুরো উপন্যাসটি পড়লেন, জায়গায় জায়গায় আন্ডারলাইন করলেন এবং নোট করলেন সেসব জিনিস, যা তার কাছে সিনেমাটিতে ব্যবহার করার মতো মনে হয়েছিল, যা এখন পরিচিত দ্য গডফাদার নোটবুক হিসেবে।
একটি সাক্ষাৎকারে মারিও পুজো জানান, তিনি এবং কপোলা দুজনেই দুটি আলাদা স্ক্রিপ্ট লেখেন। পরে এই দুটি স্ক্রিপ্টকে একত্রিত করে তিন ঘন্টার এক বিশাল স্ক্রিপ্ট তৈরি করা হয়।
স্ক্রিপ্ট লেখা তো শেষ হলো, এবার পালা বিভিন্ন চরিত্রের জন্য অভিনেতা-অভিনেত্রী নির্বাচন করা। মুভিটির কেন্দ্রীয় চরিত্র ভিটো কর্লিয়নির জন্য কপোলার প্রথম পছন্দই ছিলেন মার্লন ব্র্যান্ডো। কিন্তু প্যারামাউন্ট কপোলাকে পরিষ্কার জানিয়ে দেয়, যাকেই দেয়া হোক, মার্লন ব্র্যান্ডোকে কোনোভাবেই এই চরিত্রটি দেয়া যাবে না। কারণ ব্র্যান্ডো তার চড়া মেজাজ এবং ঔদাসীন্যের কারণে দুর্নাম কামিয়েছিলেন। কিন্তু কপোলা নাছোড়বান্দা। ১৯৭১ সালের নিউ ইয়র্ক ম্যাগাজিন থেকে জানা যায়, তখন অবশেষে স্টুডিও রাজি হয়, কিন্তু জুড়ে দেয় তিনটি অদ্ভুত শর্ত।
১. মার্লন ব্র্যান্ডোকে বিনা বেতনে কাজ করতে হবে।
২. তাকে একটি স্ক্রিন টেস্ট দিতে হবে
৩. এক মিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি করতে হবে, যাতে ব্র্যান্ডোর কোনো কাজের জন্য বাজেটের বেশি টাকা খরচ না হয়।
কপোলা তখন রাজি হন এবং সাথে সাথে ব্র্যান্ডোর বাসায় ছুটে যান ভিটো হিসেবে তার স্ক্রিন টেস্ট নেয়ার জন্য। ব্র্যান্ডো চেয়েছিলেন উপন্যাসের মতোই যাতে ভিটো কর্লিয়নিকে মুভিতে দেখা যায়। তাই ভিটোর মতো চোয়াল তৈরি করতে ব্র্যান্ডো তুলার বল ব্যবহার করে টেস্ট দেন, আর সেই ফুটেজ কপোলা প্যারামাউন্ট পিকচারসের সকল এক্সিকিউটিভকে দেখান। তখন তারা ব্র্যান্ডোর কাজে বেশ সন্তুষ্ট হন। এরপর কী হয়? মার্লন ব্র্যান্ডো ভিটো কর্লিয়নি হিসেবে অসাধারণ অভিনয়ের জন্য জন্য অস্কার জিতে নেন।
মার্লন ব্র্যান্ডোর স্ক্রিনটেস্ট এবং পরিচালকের মন্তব্য দেখে নিতে পারেন এই ভিডিওতে-
তারপর অন্যান্য চরিত্রে অভিনেতা নির্বাচন হয়ে যায়। মোটামুটি সবাই কপোলা এবং স্টুডিও উভয়েরই পছন্দ হয়েছিল। কিন্তু আবার একটি চরিত্র নিয়ে কপোলা আর প্যারামাউন্টের বিরোধ বাঁধে। সেটা হলো ভিটো কর্লিয়নির ছোট ছেলে মাইকেল কর্লিয়নিকে নিয়ে।
রবার্ট ইভান্স চেয়েছিলেন রায়ান ও’নিল, রবার্ট রেডফোর্ড কিংবা জ্যাক নিকলসনের মতো অভিনেতাদের। এমনকি সনি কর্লিয়নি চরিত্রে অভিনয় করা জেমস কানও বেশ ভাল অডিশন দিয়েছিলেন। কিন্তু কপোলা এই চরিত্রের জন্য পছন্দ করেন সদ্য চলচ্চিত্র জগতে পা দেয়া আল পাচিনোকে। ব্রডওয়ের এক শোতে আল পাচিনোকে দেখে তিনি বুঝে ফেলেন, তার মাইকেল পেয়ে গেছেন।
আল পাচিনোকে স্টুডিও কোনোভাবেই গ্রহণ করতে পারছিলো না। কারণ পাচিনোর বয়স তখন খুবই কম ছিল, তার তেমন খ্যাতিও ছিল না, এর আগে কেবল একটি মুভিতেই অভিনয় করেছিলেন এবং তিনি স্ক্রিন টেস্টে অতটা ভাল করতে পারেননি।
আল পাচিনোর স্ক্রিন টেস্ট দেখে নিতে পারেন এই ভিডিওতে-
তারপরেও আল পাচিনোকেই কেন এত গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে নেয়া হলো, ‘The Godfather Legacy’ নামক এক ডকুমেন্টরিতে এই বিষয়ে কপোলা বলেন, “ইভানস এমন সব অভিনেতাদের চাচ্ছিলেন, যারা দেখতে তার মতো, কিন্তু আমি আমার মতো একজনকে এই চরিত্রে দেখতে চাচ্ছিলাম।“
অভিনেতা আল পাচিনোও অবাক হয়েছিলেন এই ভূমিকাটি পেয়ে। তিনি চেয়েছিলেন ভিটোর বড় ছেলে সনির চরিত্রে অভিনয় করতে। কিন্তু হয়তো কপোলা তার মাঝে এমন কিছু দেখতে পেয়েছিলেন যা অন্য কেউ দেখতে পায়নি।
স্টুডিওর সাথে কপোলার বিরোধ এখানেই শেষ নয়। প্যারামাউন্ট চেয়েছিল কম খরচে, মাত্র ২.৫ মিলিয়ন বাজেটে মুভিটির কাজ শেষ করতে। সেজন্য বইয়ের মতো ১৯৪০-৫০ সালের কাহিনী না রেখে তারা চেয়েছিলেন তখনকার সময়ের, অর্থাৎ ১৯৭০-৮০ দশকের একটি গ্যাংস্টার মুভি বানাতে। কপোলা বিরোধিতা করেন এবং অনেক কষ্টে মারিও পুজোকে মানাতে সক্ষম হন। পুজো তখন তার মূল স্ক্রিপ্ট (যেটা ছিল ১৯৭০ সালের, প্যারামাউন্ট যেভাবে চেয়েছিল) পরিবর্তন করেন। তারপর কপোলা পুরো গল্পটাই সাজিয়ে নেন। এর ফলে ২.৫ মিলিয়ন থেকে মুভির বাজেট গিয়ে দাঁড়ায় ৬ মিলিয়নে।
মুভির কাজ শুরু হলো, কিন্তু কপোলার কোনো কাজই পছন্দ হচ্ছিলো না তাদের। বিশেষ করে সেই সময়ের তুলনায় সিনেমাটি একটু বেশিই ডার্ক ছিল। ডার্ক বলতে শুধু মুভির মূল বিষয়ের কথা বলছি না। সিনেমাটি বেশ কম আলোতেই শ্যুট করা হয়েছে। বিশেষ করে মার্লন ব্র্যান্ডোর দৃশ্যগুলো। মুভির সিনেম্যাটোগ্রাফার গর্ডন উইলিসকে তার এই কাজের জন্য বলা হয় ‘প্রিন্স অফ ডার্কনেস’।
এই কম আলোর ব্যবহার কেবল মুভিটির ভাব সৃষ্টিতে ব্যবহার করা হয়নি। মার্লন ব্র্যান্ডোর মেকাপ ঢাকার জন্যেও তা করা হয়। তখন ব্র্যান্ডোর বয়স ছিল ৪৫ বছর। তাই তাকে ৬২ বছরের ভিটো কর্লিয়নি দেখাতে এবং মুখে ভিটো কর্লিয়নির ভাব ফুটিয়ে তুলতে মার্লন ব্র্যান্ডোকে প্রতিদিন প্রায় তিন ঘন্টা মেকাপ চেয়ারে কাটাতে হতো। ভিটোর চোয়াল তৈরি করতে আলাদা ডেন্টাল প্রস্থেটিক ব্যবহার করতে হয়েছিল তাকে।
প্যারামাউন্টের মতে, মুভিটি প্রয়োজনের চাইতে অনেক বেশিই বড় হয়ে গেছে। অনেক বেশি লম্বা সংলাপের কারণে দর্শকরা বিরক্ত হবে এমন ভয়ও ছিল তাদের। কিন্তু কপোলা নির্বিকার। এ কারণে স্টুডিও মুভিটির কাজ চলাকালীন সময়েই কপোলাকে বরখাস্ত করে তার জায়গায় এলায়া কাজানকে নিতে চেয়েছিল। তখন কপোলা বুঝতে পারলেন, তার টিম থেকেই কেউ হয়তো স্টুডিওর কানে এসব খবর ছড়াচ্ছে। তাই তিনি বেশ কিছু ক্রুকে বরখাস্ত করে। এদিকে মার্লন ব্র্যান্ডো হুমকি দিয়েছিলেন, যদি কপোলাকে বরখাস্ত করা হয়, তাহলে তিনি আর কাজ করবেন না।
নিজের কাজ বাঁচাতেই স্টুডিওকে খুশি রাখতে বেশ কিছু সিন রিশ্যুট করেন কপোলা। যার মধ্যে স্বামীর হাতে গর্ভবতী কনির মার খাওয়ার দৃশ্যটিও ছিল। কপোলা এই সিনটি যোগ করেন, কারণ স্টুডিও বলছিলো মুভিটিতে সংলাপ অনেক বেশি, কিন্তু অ্যাকশন অনেক কম।
চলচ্চিত্রটির কাজ চলাকালীন সময়ে আল পাচিনোকেও বরখাস্ত করতে চেয়েছিল স্টুডিও। তার অভিনয়ও মোটেই পছন্দ হয়নি তাদের। কিন্তু সলোযো এবং ম্যাকক্লাস্কিকে হত্যার দৃশ্যটির পর স্টুডিও তার কাজে অবশেষে সন্তুষ্ট হয়।
কপোলাকে এরপরে যুদ্ধ করতে হয় সিনেমাটির মিউজিকের জন্য। এটা শুনতে হাস্যকর মনে হলেও স্টুডিও নিনো রোটার স্কোরটি পছন্দ করেনি। কিন্তু টেস্ট অডিয়েন্সরা এই স্কোরটি পছন্দ করে বলে শেষে মুভিটিতে তা রাখতে রাজি হয় স্টুডিও। দুর্ভাগ্যের বিষয়, এই স্কোরটি অস্কার নমিনেশন পেলেও একেবারে শেষ মুহুর্তে তা বাতিল করে দেয় কর্তৃপক্ষ। কারণ মুভিটির লাভ থিমটি নিনো রোটা এর আগে আরেকটি ইতালিয়ান মুভিতে ব্যবহার করেছিলেন।
অবশেষে স্টুডিওর প্রতিনিয়ত হুমকি এবং তুচ্ছ তাচ্ছিল্য কাটিয়ে কপোলা এই মুভিটি তৈরি করতে সক্ষম হন। কিন্তু পরিচালক হিসেবে তিনি কতটা সফল, তা বিচার করবে দর্শকরা। ১৯৭২ সালের ১৫ মার্চ মুক্তি পায় মুভিটি। তারপর যা হয় তা স্টুডিও, পরিচালক কিংবা অভিনেতারা কখনো কল্পনাও করেননি। সাধারণ দর্শক কিংবা সমালোচক, সবার কাছেই প্রশংসিত হয়। ১৯৭২ সালের সবচাইতে বেশি আয় করা মুভির তালিকায় শীর্ষে স্থান করে নেয় মুভিটি। শুধু তা-ই নয়, গডফাদার মুভির বিভিন্ন সংলাপ মানুষের মুখে মুখে চলতে থাকে। মার্লন ব্র্যান্ডোর গডফাদার পোস্টারটি বিক্রি হয় কয়েক লাখ কপি। সে বছর অস্কারেও চলচ্চিত্রটির জয়জয়কার ছিল। ১০টি ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পেয়ে জিতে নেয় তিনটি অস্কার, যার মধ্যে ছিল সেরা চলচ্চিত্র, সেরা অভিনেতা এবং সেরা অ্যাডাপটেড স্ক্রিনপ্লে।
মুভিটির এই সফলতা কল্পনাও করেননি কপোলা। কিন্তু মুভিটি আজ বিশ্বের ইতিহাসের অন্যতম সেরা মুভি। কপোলা না থাকলে হয়তো ৭০ দশকের কম বাজেটের একটা গোলাগুলির মাফিয়া মুভি পেতাম আমরা। মার্লন ব্র্যান্ডোর এই অসাধারণ অভিনয় কখনোই কারো চোখে পড়তো না। আর এই মুভির সফলতাই জন্ম দিয়েছে মুভিটির সিক্যুয়ালের, যেটি ছিল আরেকটি মাস্টারপিস মুভি। স্টুডিওর সাথে প্রতিনিয়ত দ্বন্দ্ব, নিজের চাকরি হারানোর ভয়- সব জয় করেই মারিও পুজোর সেরা সৃষ্টি গডফাদার বইকে সম্মান জানিয়েই বইয়ের মতোই সেরা একটি মুভি উপহার দিতে পেরেছিলেন কপোলা।
গডফাদার বইটি পড়তে ক্লিক করুন নিচের লিঙ্কে-
১) গডফাদার