ধন্যবাদ পাঠক, লেখাটি পড়তে শুরু করায়। আপনি হয়তো ভাবছেন, এক টানে পুরো লেখাটিই পড়ে শেষ করবেন। আবার লেখার আকৃতি দেখে এমনটিও ভাবা অস্বাভাবিক নয় যে আপনার পুরো লেখাটি পড়ে শেষ করতে সাত মিনিটের বেশি লাগবে না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আপনি যে লেখাটি অবশ্যই পড়ে শেষ করবেন, কিংবা নির্ধারিত সাত মিনিটের মধ্যেই পড়বেন, তার নিশ্চয়তা কতটুকু?
এই প্রশ্ন করছি, কারণ নানা কারণেই আপনার পড়া বিঘ্নিত হতে পারে। প্রথম সম্ভাব্য কারণ অবশ্যই এই যে, আপনার লেখাটি পড়ে ভালো লাগছে না, বিরক্ত লাগছে। সেক্ষেত্রে আপনার পুরো লেখাটা না পড়াই উচিত। এ থেকে তো আর আপনার পরীক্ষায় প্রশ্ন আসবে না! আবার আরেকটি কারণ হতে পারে, আপনি খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ছেন ঠিকই, কিন্তু এই মুহূর্তে আপনার খুব জরুরি কোনো ফোনকল এলো, এবং সেটি ধরতে গিয়ে আপনার এই লেখা পড়ায় ইস্তফা দিতে হলো। হুট করে আপনার ডিভাইসটির চার্জও ফুরিয়ে যেতে পারে। তাছাড়া এমনটিও হতেই পারে যে, আপনি ভেবেছিলেন লেখাটি পড়ে শেষ করতে আপনার সাত মিনিট লাগবে, কিন্তু আদতে আপনার বুঝে বুঝে পড়তে গিয়ে সময় লাগল দশ মিনিট।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে, আপনি যে এই সামান্য একটি আর্টিকেল পড়ে শেষ করবেন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, সেটিও কখনোই পুরোপুরি নিশ্চিত নয়। বিভিন্ন যদি-কিন্তুর উপর নির্ভর করছে আপনার পড়া। তাহলে এবার ভেবে দেখুন, জীবনের আরো কত ক্ষেত্রেই না আপনি আশা করেন নির্দিষ্ট ডেডলাইনের মধ্যে একটি কাজ শেষ করবেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ডেডলাইন মিস করে ফেলেন। যেমন ধরুন ২০ দিনের মধ্যে একটি অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়া, অথবা ১৫ মিনিটের মধ্যে বাংলামোটর থেকে নীলক্ষেত পৌঁছে যাওয়া।
আবার বৃহৎ পরিসরে যদি ভাবেন, আমাদের বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শেষের ডেডলাইন পিছিয়েছে বেশ কয়েকবার। খরচও বেড়ে গেছে অনেক। শুধু নিজ দেশের নিন্দা করলেই হবে না। এমন ডেডলাইন পেছানোর দৃষ্টান্ত ভুরি ভূরি রয়েছে বহির্বিশ্বেও। সবচেয়ে বহুল প্রচলিত উদাহরণটি অবশ্যই অস্ট্রেলিয়ার সিডনি অপেরা হাউজের। চার বছরে ৭ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার ব্যয়ে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল সেটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শেষ হতে সময় লাগে ১৪ বছর, আর খরচ হয় মোট ১০২ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার, অর্থাৎ মূল বাজেটের সাড়ে ১৪ গুণেরও বেশি!
ডেডলাইন মিস করে বাজেট বহুগুণ বাড়িয়ে ফেলা বর্তমান সময়ের আরো কিছু উল্লেখযোগ্য প্রকল্পের মাঝে রয়েছে হংকং-ঝুহাই-ম্যাকাও সেতু, বার্লিনের ব্র্যান্ট বিমানবন্দর এবং ব্রিটেনের এইচএস-টু হাই-স্পিড রেলপথ, যেটি ইতিমধ্যেই নির্ধারিত সময়ের চেয়ে সাত বছর বেশি পার করে ফেলেছে। তাহলে দেখতেই পাচ্ছেন, ডেডলাইন মিস করা পৃথিবীর কোনো নির্ধারিত অঞ্চলের একচেটিয়া বদভ্যাস নয়। গোটা বিশ্বজুড়েই দৃশ্যমান এটি।
এখন প্রশ্ন হলো, কেন আমরা ডেডলাইন মিস করি? কেন কোনো কাজ শেষ করার জন্য নিজেদের সামনে নির্ধারিত সময়সীমা বেঁধে দেয়ার পরও, তা শেষ করে উঠতে পারি না? এটি কি শুধুই অলসতা কিংবা দীর্ঘসূত্রিতা? তা-ও কিন্তু নয়। কারণ উপরে যেসব উদাহরণ দিয়েছি, তার অনেকগুলোর ক্ষেত্রেই কর্মীরা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পূর্ণোদ্যমে কাজ করে গেছে। তাই নির্ধারিত সময়ে তারা কেন কাজটি শেষ করতে পারেনি, সে দায়ভার কেবল তাদের কর্মস্পৃহা বা কর্মদক্ষতার উপর চাপিয়ে দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।
মনোবিজ্ঞানীরা মানুষের এই প্রবণতার জন্য দায়ী করেন একটি বিশেষ অবধারণগত অসঙ্গতিকে, যার নাম ‘প্ল্যানিং ফ্যালাসি’। এই প্ল্যানিং ফ্যালাসির কারণেই আমরা প্রায় সময়ই হিসেবে ভুল করি যে একটি কাজ করতে কতটুকু সময় লাগবে, এবং নিতান্ত অবহেলাভরেই যতটুকু সময় প্রয়োজন তার চেয়ে অনেক কম সময় নির্ধারণ করি। ফলে শেষ পর্যন্ত আমরা ডেডলাইনের মধ্যে কাজটি করতে ব্যর্থ হই, পরিণামে বাজেটসহ যাবতীয় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যায় বেড়ে।
প্ল্যানিং ফ্যালাসি ধারণাটি সর্বপ্রথম প্রণয়ন করেন নোবেল বিজয়ী মনোবিদ ও অর্থনীতিবিদ ড্যানিয়েল কাহনেমান ও তার সহযোগী অ্যামোস ভের্স্কি। নিজেদের অন্যান্য সহকর্মীদের দেখে তারা এ ব্যাপারে গবেষণায় উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন। কেননা তারা লক্ষ্য করেছিলেন, তাদের সহকর্মীরা নিয়মিতভাবেই কোনো একটি প্রকল্প শেষ করার সময়সীমাকে অবজ্ঞা করে যাচ্ছেন, এবং একই ধরনের প্রকল্প শেষ করতে আগে অনেক বেশি সময় লাগা সত্ত্বেও, পুনরায় তারা ডেডলাইন হিসেবে অনেক সংক্ষিপ্ত সময়কে বেঁধে দিচ্ছেন। অর্থাৎ তারা তাদের অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করছেন না।
এই বিষয়গুলোর উপর গবেষণার মাধ্যমে কাহনেমান ও ভের্স্কি ১৯৭৯ সালে প্রকাশ করেন তাদের সাড়া জাগানো গবেষণা প্রবন্ধ Intuitive Prediction: Biases and Corrective Procedures, যেখানে তারা মানুষের সিদ্ধান্ত গ্রহণের অসঙ্গতিগুলোর উপর আলোকপাত করেন। সেই অসংগতিগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান হিসেবেই তারা দায়ী করেন প্ল্যানিং ফ্যালাসিকে।
পরবর্তী সময়ে কাহনেমান রচনা করেন তার আত্মজীবনী Thinking, Fast and Slow. সেখানে তিনি প্ল্যানিং ফ্যালাসির পেছনে দুটি প্রধান কারণ চিহ্নিত করেন।
প্রথমত, মানুষ যখন কোনো বিষয়ে পরিকল্পনা করে, তখন সে সম্ভাব্য সেরা অবস্থা আশা করে। যেমন: দুই ঘণ্টা দূরত্বের কোনো স্থানে সে দুই ঘণ্টার ভিতরই পৌঁছে যাবে, কারণ সে মনে করছে রাস্তায় কোনো যানজট থাকবে না, আবহাওয়া পুরোপুরি পরিষ্কার থাকবে, এবং গাড়িও মাঝপথে বিকল হবে না। কিন্তু মাঝপথে যে এর যেকোনো একটি সমস্যা উদ্ভূত হয়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর সময়কালকে বিলম্বিত করে দিতে পারে, তা সে চিন্তা করে না।
দ্বিতীয়ত, অতীতের ভুল থেকে মানুষ শিক্ষাগ্রহণ করে না। এর আগে একই ধরনের তিনটি অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে হয়তো তার এক সপ্তাহ করে সময় লেগেছে। তারপরও সে এবার ভাববে, তিনদিনের মধ্যেই কাজটি করে ফেলতে পারবে, এবং শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হবে।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে, প্ল্যানিং ফ্যালাসির সাথে দীর্ঘসূত্রিতার কিছুটা হলেও সম্পর্ক রয়েছে। কেননা মানুষ ভাবে একটি কাজ সে খুব অল্প সময়ের মাঝেই শেষ করে ফেলতে পারবে, তাই সে কাজটি শুরুও করে অনেক দেরিতে। যেমন: কেউ হয়তো চাইলেই ১০টার ক্লাস ধরার জন্য ৯টার সময়ই বাসা থেকে বের হতে পারে। কিন্তু সে ভাবল, তার ক্লাসে পৌঁছাতে আধাঘণ্টার বেশি লাগবে না। তাই সে ৯.৩০ এ বেরোল, আর শেষ পর্যন্ত ক্লাসে যখন প্রবেশ করল তখন বাজে ১০.১৫।
বিভিন্ন জরিপ নিশ্চিত করছে যে, বিশ্বব্যাপী প্ল্যানিং ফ্যালাসির মধ্যে আশ্চর্য রকমের মিল বিদ্যমান।
স্কুল ও ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষার্থী ও স্টাফ, উভয়ের মাঝেই প্ল্যানিং ফ্যালাসি দেখা যায়। শিক্ষার্থীরা নিজেদের জন্য অবাস্তব ডেডলাইন দাঁড় করায়, যার মধ্যে কিছুতেই তারা তাদের কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারে না। আবার স্টাফরা একটি কাজ হাতে নিয়ে দুদিন পর দেখা করতে বলে, কিন্তু দুদিন পর গেলে দেখা যায় কাজটির অর্ধেকও শেষ হয়নি।
বিভিন্ন জরিপ থেকে জানা যায়, আইটি ক্ষেত্রে এক-তৃতীয়াংশেরও কম প্রকল্প প্রাথমিক ডেডলাইনের মধ্যেই সম্পন্ন হয়। আবার ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ ও ডিজাইনে একেকটি প্রকল্পের কাজ শেষ হতে প্রত্যাশিত সময়ের চেয়ে ৩.৫ গুণ সময় বেশি লাগে। লেখকদেরও ডেডলাইন মিসের বিশেষ দুর্নাম রয়েছে। ধারণা করা হয়, ৯০ শতাংশ পেশাদার লেখকই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের পাণ্ডুলিপি জমা দিতে ব্যর্থ হন।
প্ল্যানিং ফ্যালাসি থেকেই আরো বোঝা যায় কেন অধিকাংশ মানুষই বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাসের বিল কিংবা আয়কর জমা দিতে দেরি করে ফেলে, কিংবা কেন হাতে অজস্র সময় থাকার পরও একদম চাঁদরাতে গিয়ে তাড়াহুড়া করে অনেকে ঈদের কেনাকাটা করে। দীর্ঘসূত্রিতা তো রয়েছেই, পাশাপাশি এর আরেকটি কারণ অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষাগ্রহণ না করা।
ইংরেজিতে একটি কথা আছে, “Sometimes no plan is the best plan”, অর্থাৎ কখনো কখনো কোনো পরিকল্পনা না থাকাই সেরা পরিকল্পনা। চাইলে প্ল্যানিং ফ্যালাসির সাথে এই প্রবাদটির যোগসূত্র স্থাপন করা যায়। কেননা অনেকক্ষেত্রে ভুল পরিকল্পনাই ব্যর্থতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
২০০৩ সালে এ সংক্রান্ত একটি গবেষণা হয়েছিল কানাডায়। একদল স্নাতক শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে বলা হয়েছিল তারা যেন কোনো কাজ, যেমন ক্রিসমাসের কেনাকাটার জন্য বিস্তারিত পরিকল্পনা তৈরি করে। এরপর তাদের তৈরি করা পরিকল্পনার সাথে যারা কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই কাজগুলো করেছিল তাদের মধ্যে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছিল, পরিকল্পনাহীনদের চেয়ে পরিকল্পনাকারীদের সময় ব্যবস্থাই ছিল অপেক্ষাকৃত বেশি অবাস্তব। এর কারণ, যারা পরিকল্পনা করেছিল, তারা শুধু কাজগুলো শেষ করার উপরই জোর দিয়েছিল, কিন্তু কাজের ফাঁকে ফাঁকে যেসব প্রতিবন্ধকতা আসতে পারে সেগুলোর ব্যাপারে তারা ভ্রুক্ষেপ করেনি। এর ফলে আরো যে সমস্যাটি হয়েছিল তা হলো, বিস্তারিত পরিকল্পনা তাদের মধ্যে এক ধরনের ভ্রান্ত নিরাপত্তার অনুভূতি সৃষ্টি করেছিল। ফলে তারা সফলতা সম্পর্কে এতটাই নিশ্চিন্ত ছিল যে, মোটামুটি অপ্রত্যাশিতভাবেই তারা ব্যর্থতার সম্মুখীন হয়েছিল।
বুঝতেই পারছেন, প্ল্যানিং ফ্যালাসির মাধ্যমে কীভাবে খুব ছোট ছোট কাজেও আমাদেরকে ব্যর্থ হতে হয়। তাই এ ধরনের পরিণতি এড়াতে আমাদের প্রধান কর্তব্য হওয়া উচিৎ অতিরিক্ত আশাবাদী না হওয়া। জীবনের প্রতিটা মুহূর্তই যেহেতু অননুমেয়, তাই কোনো পরিস্থিতিতে ভবিষ্যতের কোনো বিষয়কে ‘টেকেন ফর গ্রান্টেড’ হিসেবে নেয়া যাবে না।
হতে পারে একজন ব্যক্তির একটি কাজ করতে সাধারণত ৫ ঘণ্টা লাগে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে প্রতিবারই তার ৫ ঘণ্টাই লাগবে। যেকোনো কারণেই হোক, কখনো কখনো তার কাজটি শেষ করতে সাড়ে ৫ ঘণ্টাও লাগতে পারে। তাই সে কথা মাথায় রেখেই তার ডেডলাইন নির্ধারণ করতে হবে, এবং একটু বেশি সময় হাতে রেখেই কাজটি শুরুও করতে হবে। তাছাড়া শুধু নিজের কথা না ভেবে, আশেপাশের অন্যদের একই কাজ করতে যে সময় লাগে তা গড় করেও ডেডলাইন নির্ধারণ করা যেতে পারে।
ব্যক্তিজীবনে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষের আরেকটি কার্যকর উপায় হতে পারে পোমোদোরো কৌশল অবলম্বন করা। পোমোদোরো কৌশল আমাদের শেখায় কীভাবে সময়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে নয়, বরং সময়ের সাথে কাজ করা যায়। এটি আমাদের সাহায্য করে নিজের জন্য ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করে একাগ্রচিত্তে সেগুলো সম্পন্ন করে ফেলতে, অন্য কোনো কারণে মনোযোগ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আগেই।
সময় ব্যবস্থাপনার এই দারুণ কৌশলটি আবিষ্কার করেছেন ইটালিয়ান উদ্যোক্তা ফ্রান্সেসকো সিরিলো। ১৯৮০-র দশকের শেষ দিকে, যখন তিনি একজন কলেজ ছাত্র ছিলেন, তখনই তিনি এই কৌশলটি আবিষ্কার করেন। তার লক্ষ্য ছিল কীভাবে ক্লান্তির পরিমাণ কমিয়ে সর্বোচ্চ সৃজনশীলতা বাস্তবায়ন করা যায়। তাই তিনি কোনো একটি লম্বা সময়ের কাজকে ২০/৩০/৪০ মিনিটের ছোট ছোট ভাগে বিভক্ত করে ফেলতেন, এবং বিনা বিরতিতে পরিশ্রম করে সীমিত সময়ের কাজটুকু শেষ করে ফেলতেন। এরপর তিনি কিছু সময়ের জন্য বিরতি নিতেন, যাতে নিজের শরীর ও মস্তিষ্ককে খানিকটা বিশ্রাম দেয়া যায়, এবং পুনরায় নতুন উদ্যমে কাজটি শুরু করা যায়।
এই গোটা আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা যে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারি তা হলো, অতি আত্মবিশ্বাসের বশবর্তী হয়ে কখনো নিজের জন্য অবাস্তব ডেডলাইন নির্ধারণ করা যাবে না, যাতে করে কাজটি শেষ করার সম্ভাবনা কমে যায়, এবং ব্যর্থতার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়। নিজের দক্ষতা ও সক্ষমতার প্রতি ভরসা রাখতে হবে অবশ্যই, কিন্তু পাশাপাশি বাস্তবতাকেও মাথায় রাখতে হবে। তা না হলে অনেক সময় খুব বড় কোনো কাজের ডেডলাইনও হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে, যার ফলে চরম ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হবে, এমনকি বিপুল পরিমাণ অর্থনৈতিক ক্ষতিও হতে পারে।
শিক্ষার চমৎকার সব বিষয়ে রোর বাংলায় লিখতে আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন এই লিঙ্কেঃ roar.media/contribute/