সৌদি আরব কিংবা কাতারের নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে মরুভূমির চিত্র। কাতার এমনই এক মরুভূমির দেশ যেখানে চারিদিকে শুধু বালু আর বালু। প্রাণী এবং উদ্ভিদের সংখ্যাও যৎসামান্য। এমন বালুময় দেশে ‘মস্ত বড় এক গোলাপ ফুল ফুটেছে’ শুনলে আপনার অনুভূতি কেমন হতে পারে? আপনার অনুভূতি যা-ই হোক না কেন, এটাই সত্য যে, কাতারে গোলাপ ফুটেছে। তবে এটা বাগানে ফুটে থাকা আর দশটি গোলাপ ফুলের মতো নয়। কাতারের রাজধানী দোহায় অবস্থিত এই গোলাপ এতটাই বড় যে এর প্রতিটি পাপড়িতে ফুটে উঠেছে কাতারের ইতিহাস ঐতিহ্য, আর সংস্কৃতির নানা চিহ্ন। বলছিলাম ‘ডেজার্ট রোজ’ এর আদলে তৈরি কাতারের জাতীয় জাদুঘরের কথা।
এ বছরের ২৭ মার্চ জাদুঘরটি উদ্বোধন করা হয় এবং ২৮ মার্চ জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। ৪০ হাজার বর্গ মিটার জায়গার ওপর এটি নির্মাণে লেগেছে প্রায় এক দশক। এর পেছনে ব্যয় হয়েছে ৪৩ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার বা প্রায় ৩ হাজার ৬৬৫ কোটি ৫৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা। সুবিশাল এই মরুভূমির গোলাপের পাপড়িগুলো উন্মোচনের চেষ্টা থাকবে এ লেখায়।
কেন ‘মরুভূমির গোলাপ’ ডাকা হয়
কাতার শুধুমাত্র তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের জন্য সারা পৃথিবীতে পরিচিত তা নয়। কাতারের আরো একটি মূল্যবান সম্পদের নাম হচ্ছে ‘ডেজার্ট রোজ’ বা ‘মরুভূমির গোলাপ’। এই ডেজার্ট রোজের জন্যও কাতারকে আলাদাভাবে চেনে পৃথিবী। এ গোলাপকে স্যান্ড রোজ (বালুর গোলাপ) এবং রোজ রক (গোলাপ পাথর) নামেও ডাকা হয়।
এটি কাতারের বসবাসের এলাকা থেকে অনেক দূরে মরুভূমির বুকে পাওয়া যায়। ডেজার্ট রোজ আসলে কোনো গোলাপ ফুল নয়। কাতারের অনুর্বর বালু আর জিপসামের মিশ্রণে যে পাথর তৈরি হয় সে পাথরগুলো পাশাপাশি মিলে গিয়ে গোলাপের পাপড়ির আকার ধারণ করে। আর সব পাপড়ি মিলে যে আকার দাঁড়ায় তা দেখতে গোলাপ ফুলের মতো। পুরো ব্যাপারটিই ঘটে প্রাকৃতিকভাবে।
এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে এর পাপড়ি। যেহেতু বালুতে পাওয়া যায় তাই পাপড়িগুলোর চারপাশও বালুময় থাকে। বালু সরালে এর প্রকৃত সৌন্দর্য চোখে পড়ে। পাপড়িগুলো আলো প্রতিফলিত করে এবং বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এসব রোজ বেশ চড়া দামে বিক্রি হয়। মরুভূমির এরকম গোলাপের আদলে এই জাদুঘরটি তৈরি করা হয়েছে বলে একে ‘ডেজার্ট রোজ’ বা ‘মরুভূমির গোলাপ’ বলা হয়।
স্থপতি জ্যঁ ন্যুভেল
সুন্দর এই জাদুঘরটির স্থপতি ফ্রান্সের জ্যঁ ন্যুভেল। তিনি ১৯৪৫ সালে ১২ আগস্ট ফ্রান্সের ফিউমেলে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি শুধু কাতারের জাতীয় জাদুঘরটিরই স্থপতি নন। এর আগে ২০১৭ সালে চালু হওয়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের লুভর আবুধাবি জাদুঘরের স্থপতিও তিনি।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বড় বড় স্থাপত্যের ডিজাইন করেছেন তিনি। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে লন্ডনের ওয়ান নিউ চেঞ্জ, যুক্তরাষ্ট্রের হান্ড্রেড এলিভেন্থ এভিনিউ, কাতারের দোহা টাওয়ার ইত্যাদি। ২০০৮ সালে তিনি তার স্থাপত্যশৈলির জন্য প্রিজকার পুরস্কার পান। প্রিজকার পুরস্কারকে স্থাপত্যশিল্পে নোবেল পুরস্কারের সাথে তুলনা করা হয়। ১৯৭৯ সালে এই পুরস্কারটি চালু করেন বিখ্যাত স্থপতি জে এ প্রিজকার এবং তার স্ত্রী সিন্ডি।
ইতিহাসের তিন অধ্যায়
কাতারের এই জাদুঘরটি কাতারের ইতিহাসকে তুলে ধরবে চোখের সামনে। মোট ১১টি গ্যালারি এবং জাদুঘরের ভেতর দেড় কিলোমিটারের জার্নি কাতারের ইতিহাসের তিনটি অধ্যায় ফুটিয়ে তুলেছে।
অধ্যায়গুলো হলো: শুরু, কাতারের জীবন-যাপন এবং আধুনিক কাতার। অতীত এবং বর্তমানের সাথে অপূর্ব এক সমন্বয় দেখা যাবে এই জাদুঘরে। দেয়ালে আঁকা চিত্র নয়, বরং ফিল্ম (ভিডিও) এবং ডায়োরামার মাধ্যমে কাতারের ইতিহাস, ঐতিহ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। প্রথম গ্যালারিতেই ফসিল এবং প্রাণীর বিভিন্ন মডেলের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে পৃথিবীতে প্রাণের ৭০০ বছর।
ক্রমে দেখানো হয়েছে কাতারের জীবনযাপন এবং তেল গ্যাসের মাধ্যমে যেভাবে দাঁড়িয়েছে আজকের কাতার। কাতারের বেদুইনদের ইতিহাস এবং ধনীদের বর্তমান অবস্থার চিত্রও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এছাড়া দেশটির সম্পদ সম্পর্কেও ধারণা পাওয়া যাবে এই জাদুঘর থেকে।
কী আছে এই জাদুঘরে
এই জাদুঘরের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে প্রায় প্রতিটি গ্যালারির সাথেই ভিডিও চিত্রের ব্যবস্থা রয়েছে। আবার ভিডিও চিত্রটির পরিপূরক হিসেবে রয়েছে ডায়োরামা। ডায়োরামা হচ্ছে থ্রি-ডি বক্স যার মাধ্যমে কোনো বিষয়, বস্তু, প্রাণী বা যেকোনো কিছুকে চোখের সামনে তার ত্রিমাত্রিক অবয়ব তুলে ধরা হয়। জাদুঘরের ১১টি গ্যালারিই আলাদা আলাদা বিষয় ফুটিয়ে তুলেছে।
স্থাপত্যের দিক থেকে যেমন সমৃদ্ধ এই জাদুঘর। তেমনি সমৃদ্ধ এর নানা উপাদান নিয়ে। বাইরের নকশার সাথে পাল্লা দিয়ে ভেতরের সাজসজ্জাও কোনো অংশে কম নয়। জাদুঘরটির প্রবেশপথেই রয়েছে ১১৪টি ভাস্কর্য। রয়েছে ৩ হাজার ৬০০ রকমের ৭৬ হাজার সুড়ঙ্গ। দর্শকদের জন্য রাখা আছে উনিশ শতকের কার্পেট। এই কার্পেট আবার ১৫ লাখ উপসাগরীয় মুক্তাখচিত।
অনেক পুরনো ফসিলের দেখা মিলবে এই জাদুঘরটিতে। কাতার উপদ্বীপের নানা প্রাণীর ফসিল নিয়ে সাজানো হয়েছে এই গ্যালারি। ফসিলগুলো দেখা যাবে ভিডিও প্রদর্শণীর মাধ্যমে। ভিডিও প্রদর্শনীর জন্য অভ্যন্তরীণ দেয়ালগুলো অসমভাবে তৈরি করা, যার মাধ্যমে কাতার উপদ্বীপের পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে।
একটি গ্যালারিতে দেখানো হয়েছে কাতারের প্রত্নতত্ত্বের ইতিহাস। এই গ্যালারিতে ভিডিও এবং কাচের ফ্রেমে আবদ্ধ নানা উপকরণের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে কাতারের পুরনো ইতিহাস। একইসাথে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে প্রত্নতত্ত্বে কাতারের অতীত এবং বর্তমান।
কাতারের প্রাণীজগত নিয়ে একটি গ্যালারি করা হয়েছে। গ্যালারিটির নাম দেয়া হয়েছে ‘কাতারের প্রাকৃতিক পরিবেশ’। এখানে কাতারের প্রাণীজগতের অসংখ্য প্রাণীকে তুলে ধরা হয়েছে। জল, স্থল এবং বায়ু তিন জগতেরই প্রাণীর দেখা মিলবে এখানে। শুধুমাত্র বেঁচে থাকা প্রাণী নয়, বিলুপ্ত বিভিন্ন প্রাণী সম্পর্কেও জানা যাবে এখান থেকে।
কাতরের জীবনযাপন নিয়ে রয়েছে একটি গ্যালারি। নাম দেয়া হয়েছে ‘দ্য লাইফ ইন আল বার’ বা মরুভূমির জীবন। এখানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মরুভূমির মতো বিরুপ পরিবেশে যেভাবে টিকে আছে কাতারের মানুষ। জাদুঘরটিতে শুধু উচ্চবিত্তদের চাকচিক্যময় জীবন-যাপন ফুটিয়ে তোলা হয়নি। বরং সাধারণ মানুষের জীবনযাপন এবং তাদের টিকে থাকার দৃশ্য দেখা যাবে একটি গ্যালারিতে। এখানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে প্রখর পরিবেশে টিকে থাকার জন্য কীভাবে সম্প্রদায়, জ্ঞান, নানা গল্প আর ঐতিহ্য মেলবন্ধন করেছে।
‘দ্য কামিং অফ অয়েল’ গ্যালারির মাধ্যমে দেখানো হয়েছে কাতারের তেল উত্তোলনের প্রক্রিয়া। খনিজ সম্পদে ভরপুর কাতারের সবচেয়ে বড় সম্পদ হচ্ছে তেল। কাতারের অর্থনীতির চালিকাশক্তি হচ্ছে গ্যাস এবং তেল। গ্যাস মজুদের দিক থেকে কাতার বিশ্বে তৃতীয়। দেশটি প্রতিদিন প্রায় ছয় লক্ষ ব্যারেল তেল রপ্তানি করে। ২০১৭ সালে প্রতিবেশী চারটি দেশ সৌদি আরব, মিশর, বাহরাইন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত কাতারের ওপর অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলো। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও শুধুমাত্র গ্যাস এবং তেলের ওপর ভরসা করেই তারা দাঁড়িয়েছিলো এবং বেশ ভালোভাবেই সেই নিষেধাজ্ঞার মধ্যে টিকে ছিলো।
কাতারের অর্থনীতির চালিকাশক্তি এই তেল উত্তোলন প্রক্রিয়া একটি আকর্ষণীয় বিষয়। তাই জাদুঘরটিতে তেল উত্তোলন প্রক্রিয়ার নানা সরঞ্জাম নিয়ে সাজানো হয়েছে এই গ্যালারিটি। এখান থেকে তেল উত্তোলন সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।
হাসান আল থানি জাদুঘরটির জন্য ‘মাতৃভূমি’ নামে একটি শিল্পকর্ম তৈরি করেছেন। দেশটির সাবেক আমিরের নাতী হচ্ছেন হাসান আল থানি। তার তৈরি ‘মাতৃভূমি’টি স্থান পেয়েছে জাদুঘরটিতে।
জাদুঘরটিতে মন কাড়বে ৯০০ মিটার লম্বা কৃত্রিম হ্রদ। হৃদটির নাম দেয়া হয়েছে আলফা। এই হ্রদটি তৈরি করেছেন ফ্রান্সের জ্যঁ মাইকেল অথোনিল। মোট ১১৪টি ঝর্ণার মাধ্যমে জলের খেলা দেখা যাবে এই হ্রদটিতে।
জাদুঘরটির ভেতরে সুবিস্তৃত একটি গিফট শপ রয়েছে। শপটির নজরকাড়া ডিজাইন ভালো লাগতে বাধ্য। গিফট শপটি ডিজাইন করেছেন কইচ তাকাদা।
জাদুঘরটিতে রয়েছে ১৮ শতকেরও আগের প্রাচীন কোরআন শরিফ। হস্তলিখিত আল জুবারা কোরআন শরীফ এটি।
জাদুঘরের ভেতরে ১ হাজার ৫০০ মিটারেরও বেশি প্রশস্ত জায়গা রয়েছে।
এছাড়াও রয়েছে মুকুট, ক্যাফে, রেস্টুরেন্ট এবং শপ। ২২০ আসনের একটি অডিটরিয়ামও রয়েছে এই জাদুঘরটিতে।
জাদুঘরটির বিশেষ পাঁচটি দিক
ভ্রমণপিপাসু মানুষদের জন্য কাতার জাতীয় জাদুঘর অবশ্য দর্শণীয় গন্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর নান্দনিক ডিজাইন আর সকল শ্রেণীর মানুষের জন্য জ্ঞানের তৃষ্ণা মেটাতে অনন্য এক স্থান এটি। এর পাঁচটি বিশেষ দিক আলোচনার দাবি রাখে।
গ্যালারি
জাদুঘরটির মাধ্যমে কাতারের অতীত, বর্তমান আর আধুনিক কাতারের ইতিহাস তুলে ধরতে মোট ১১টি গ্যালারি রয়েছে।
গ্যালারিতে ৬টি শিক্ষণস্থান রয়েছে, যার ডিজাইন করেছেন ডাচ ডিজাইনার ওপেরা আমস্টার্ডাম। ৬টি শিক্ষণস্থানের প্রত্যেকটি আবার ৫টি করে প্রদর্শণীর ব্যবস্থা রয়েছে। এর উদ্দেশ্য মূলত অল্প বয়সী থেকে শুরু করে সকল বয়সী মানুষকে আকৃষ্ট করে একটি শিক্ষণ প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসা। প্রথম গ্যালারিতে কাতার উপদ্বীপের ৭০০ মিলিয়ন বছরের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। সেই সাথে বিভিন্ন ফসিল এবং বর্তমানের নানা জীবজগতের উপস্থাপন রয়েছে।
গিফট শপ
ডাচ শিল্পী কইচ তাকাদার ডিজাইনে তৈরি অপরুপ সুন্দর গিফট শপটি জাদুঘরটির বিশেষ আকর্ষণীয় দিক। গিফট শপটির ভেতরের দিক তৈরি করা হয়েছে ৪০ হাজার কাঠের মাধ্যমে। আর কাঠগুলো এমনভাবে সাজানো হয়েছে যে, দেখে মনে হবে কোনো থ্রি-ডি ধাঁধার মতো।
কাঠগুলো বেশ সুন্দর করে সাজিয়েছেন ইতালির নামকরা কাঠমিস্ত্রী ক্লদিও ডেবোটো এবং তার কারিগরেরা। এখানে মোট দুটি গিফট শপ রয়েছে। একটি মূল গিফট শপ। অন্যটি শিশুদের জন্য। গিফট শপ পরিচালনা করে ইনক এন্টারপ্রাইজ নামের একটি কোম্পানি। কাতারের শিল্প, সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের সাথে মিল রেখে গিফট শপটি সাজানো হয়েছে।
শিল্পকর্ম
জাদুঘরটির ভেতরে এবং বাইরে অনেকগুলো শিল্পকর্ম চোখে পড়ার মতো। প্রত্যেকটি শিল্পকর্মই মৌলিক এবং কাতারের ঐতিহ্য এবং জীবনযাপনের চিত্র ফুটিয়ে তোলে। এর মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর শিল্পকর্মটি হচ্ছে কৃত্রিম হ্রদ। ১১৪টি ঝর্ণার মাধ্যমে হ্রদটিকে সাজানো হয়েছে।
ফ্রান্সের জ্যঁ মাইকেল অথোনিলের করা এটিই সবচেয়ে বড় কাজ। জাদুঘরটিতে ঢোকার শুরুতেই কাতারের শিল্পী আলী হাসান আল জাবেরের ‘উইসডম অফ এ নেশন’ এবং হাসান আল থানির ‘মাদারল্যান্ড’ শিল্পকর্ম দর্শকদের স্বাগত জানাবে।
পার্ক
জাদুঘরটিকে ঘিরে রয়েছে ১ লক্ষ ১২ হাজার বর্গ মিটারের বিশাল একটি পার্ক। কৃত্রিম হ্রদ, বাগান, সবুজ প্রান্তর, হাঁটার রাস্তাসহ পার্কে যেসব বিষয় থাকা দরকার তার সবই আছে এই পার্কে। পার্কটির ডিজাইনার ফ্রান্সের স্থপতি মাইকেল ডেসভিনেস।
পার্কটিতে বিভিন্ন প্রজাতির ছোট বড় গাছ রয়েছে। এর মধ্যে খেজুরের প্রজাতি রয়েছে ১১টি। জাদুঘরে আগত দর্শনার্থীরা নির্মল বাতাস উপভোগ করতে পারবেন এই পার্কে।
ক্যাফে এবং রেস্টুরেন্ট
জাদুঘরটির ভেতরে রয়েছে বেশ কয়েকটি ক্যাফে এবং রেস্টুরেন্ট, যেগুলো কাতারের সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করে। চতুর্থ তলায় অবস্থিত জিভান রেস্টুরেন্ট থেকে দোহা উপসাগরের প্যানোরোমিক ভিউ উপভোগ করার সুযোগ রয়েছে।
সবগুলো গ্যালারি ঘুরতে ঘুরতে যখন ক্লান্ত হবে দর্শনার্থীরা, তখন বিশ্রাম করতে পারবেন ডেজার্ট রোজ ক্যাফেতে। মধ্যভাগে রয়েছে ‘ক্যাফে ৮৭৫’ নামে আরেকটি ক্যাফে।
২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল অনুষ্ঠিত হবে কাতারে। ইতোমধ্যে তাই জোর প্রস্তুতি শুরু করেছে দেশটি। দর্শকদের আকর্ষণ করতে গড়ে তুলছে নানা স্থাপনা। তবে এতসব স্থাপনার মধ্যে কাতার জাতীয় জাদুঘরে যেতে ভুলবেন না বিভিন্ন দেশের ফুটবল ভক্তরা।
বিশ্বের চমৎকার, জানা-অজানা সব বিষয় নিয়ে আমাদের সাথে লিখতে আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন এই লিঙ্কে: https://roar.media/contribute/