পৃথিবীজুড়ে শঙ্কা। জন মুখর আর প্রাণোচ্ছ্বল সব শহরগুলো এক ভূতুড়ে চেহারা নিয়েছে। নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হচ্ছে না। জনমনে দিনেদিনে বেড়েই চলেছে এই আতঙ্ক। এ যেন কেমন এক পৃথিবী দেখছি আমরা!
চারদিকে শুধু একটাই শব্দ এখন- করোনা; পোশাকী নাম কোভিড-১৯। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাস জনিত রোগটির এই নামকরণ করে ২০২০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি। বিংশ শতাব্দীর এই সময়টাতে এসে এমন এক ন্যানোমিটার সাইজের ভাইরাস পুরো বিশ্বটাকে কাঁপাবে, কে ভেবেছিল আগে?
করোনাভাইরাসে পুরো বিশ্ব এখন প্রায় কাবু হয়ে পড়ছে। ঘরে থাকা, সঙ্গরোধ, সামাজিক দূরত্বায়ন, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ- এসবের মাধ্যমে ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর ওপরেই জোর দিচ্ছেন সবাই। প্রতিষেধক যেহেতু নেই এখন অবধি, সুতরাং কোভিড-১৯ মোকাবেলায় আপাতত এতটুকুই আমাদের করণীয়।
চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর হতে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর আবিষ্কৃত করোনাভাইরাস সংক্রামক ব্যাধি আকারে ছড়িয়ে পড়ছে মানুষ হতে মানুষে। সংক্রমণের ভয়াবহতার প্রেক্ষিতে কোভিড-১৯ গত ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) কর্তৃক ‘প্যানডেমিক’ বা ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষিত হয়।
কোভিড-১৯ মহামারির কাছে ইতোমধ্যে বিশ্বের সব ক্ষমতাধর রাষ্ট্র যেন কুপোকাত! মেডিকেল গবেষকেরা এখনো পর্যন্ত এটি ঠেকাতে কার্যকরী কোনো ভ্যাকসিন বা প্রতিষেধক আবিষ্কারে সমর্থ হননি। এদিকে থমকে যাচ্ছে সবকিছু, একে একে লক-ডাউন হয়ে পড়ছে বড় বড় শহরগুলো।
সময়ের এক নিদারুণ শঙ্কায় পৃথিবীর মানুষ, স্বেচ্ছায় অথবা বাঁচার তাগিদে নির্বাসন কিংবা আইসোলেশন যেতে হচ্ছে। ক্রমেই কোভিড-১৯-এর সংক্রমণের প্রকোপ এবং ব্যাপ্তি বাড়ছে। এই অতি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ন্যানো মিটারের ভাইরাসটি ইতোমধ্যে সংক্রমিত করেছে ১৮৫টি দেশে এবং অঞ্চল থেকে অঞ্চলে মানুষকে আক্রান্ত করছে এক্সপোনেশিয়াল তথা গুণোত্তর হারে।
পৃথিবীজুড়ে বাড়ছে শঙ্কা, বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল, সংখ্যার হিসেবে ২৬ মার্চ সকাল অবধি যা রেকর্ড করা হয়েছে ২১ হাজার (সূত্র: ওয়ার্ল্ডোমিটার্স)। আক্রান্ত হয়েছেন বিশ্বজুড়ে সাড়ে চার লক্ষাধিক মানুষ, সুস্থের সংখ্যাও ১ লাখ ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশও কোভিড-১৯-এর ভয়াল সংক্রমণে এখন; যার বিস্তার শুরু হয়েছে ৭ মার্চ থেকে এবং ২৬ মার্চ পর্যন্ত রিপোর্টেড কেইস ৩৯টি তন্মধ্যে ৫ জনের মৃত্যু এবং ৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন (সূত্র: আইইডিআর)।
ঘনবসতিপূর্ণ এবং নাগরিকদের অসতর্ক আচরণে গত ২১ মার্চের খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশেকে জরুরী পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বাংলাদেশ করোনা ভাইরাস নিয়ে উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইটে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন যে, প্রতি এক সপ্তাহে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হতে পারে। পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে যে, মোট জনসংখ্যার এক শতাংশ কোভিড-১৯-এ সংক্রমিত হয়ে উঠলে, বাংলাদেশে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যসেবা কর্মীসহ প্রায় ১৭ লাখ লোক আক্রান্ত হতে পারেন, যা সাত দিনের মধ্যে দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে।
এপিডেমিওলজিস্ট এবং জনস্বাস্থ্য শিক্ষাবিদদের দ্বারা ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের মে মাসে কোভিড-১৯ ভাইরাস সংক্রমণে বাংলাদেশের ৫ লাখ মানুষ মারা যেতে পারেন, যদি না সরকার এই রোগটি প্রশমিত করতে বা দমন করার পদক্ষেপ না নেয়।
এমন অবস্থায় সরকার এই বিপুল জনগোষ্ঠীর এই দেশকে কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ এবং পরবর্তী চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ চলমান এই সংকট কীভাবে কাটিরে উঠবে- তা সময়ই বলে দেবে। তবে সময় এসেছে এবার আমাদের নিজেদের নাগরিক সচেতন হবার, সতর্ক হয়ে স্ব-স্ব স্থানে নিজের করণীয় ঠিক করে কোভিড-১৯ রুখে দেবার। কালক্ষেপণের আর কোনো ফুরসত নেই। নাগরিক সচেতনতা এবং প্রতিরোধেই মুক্তি- এ মন্ত্রেই আমাদের সোচ্চার থাকতে হবে।
সহজ কিছু নিয়ম, স্বাস্থ্যকর কিছু অভ্যাস আর সাবধানতা অবলম্বন করলেই নিজে নিরাপদ সাথে নিকটজনের ভালো থাকাটাও নিশ্চিত করতে পারি আমরা। ব্যাপারটা এই- আমার ঘরে আমি সব সম্ভাব্য প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থায় সবাইকে রক্ষা করব।
যেমনটা আমরা করি- ঘুমাতে যাবার আগে নিজ রুমের পরিবেশ ঘুম উপযোগী করতে। আলো নিভিয়ে, জানালার পর্দা নামিয়ে, নীরবতা নিশ্ছিদ্র করবার জন্যে বাথরুমের ট্যাপ হতে টপটপ পানি পড়ার একঘেয়েমি শব্দও নিয়ন্ত্রণে রাখার যথাসম্ভব চেষ্টা করি আমরা। সবশেষে মশারী টাঙ্গানোর মতো একটা নিত্য অভ্যাসে আমরা নিশ্চিত করি যেন- কোনো ফাঁকফোকর গলে মশা না ঢুকতে পারে। সাধের ঘুমটা নির্বিঘ্ন করতে এবং বাইরের উপদ্রব হতে শান্ত থাকতে আমাদের করণীয় নিয়ে কোনো ত্রুটি রাখি না।
আমরা সবাই জানি, প্রতিকারের চাইতে প্রতিরোধ উত্তম। সেই উত্তম পন্থা এখন আমাদেরই হাতে। কোভিড-১৯ সম্পর্কে আমরা সবাই এখন মিডিয়া কল্যাণে অবগত আছি এবং ভাইরাসটির বৈশিষ্ট্য, গতি-প্রকৃতি, মানবশরীরে সংক্রমণের সম্ভাব্য গেটওয়ে (হাত-কান-নাক-মুখ-চোখ) এবং এর সংক্রমণ পরবর্তী উপসর্গগুলো মোটামুটিভাবে কম-বেশি আমরা সকলে জানি।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং- এ পিপিই ( PPE- Personal Protective Equipment) নামে একটি পরিভাষা আছে। যখন কোনো জরুরী অবস্থায় সম্ভাব্য দুর্যোগের ঝুঁকি-নিরীক্ষণ করা হয়, তখন এই পরিভাষাটি কাজে লাগে।
সাধারণ ভাবে বলতে গেলে, কোনো সম্ভাব্য ঝুঁকির ভয়াবহতা কমাতে এই পরিভাষাটি ‘চূড়ান্ত কার্যকরী নিরাপত্তা-পন্থা’ হিসেবে কাজ করে, যখন অন্য কোনো উপায়ে সমাধানের পথ থাকে না। এই কোভিড-১৯ মোকাবেলা এবং নিয়ন্ত্রণে আমরাও নাগরিক সচেতনতা হিসেবে এই শেষ পন্থাটিকে (পার্সোনাল প্রটেকটিভ ইক্যুয়েপম্যান্ট) কাজে লাগাতে পারি।
কোভিড-১৯ রোগের ভাইরাসটি যেহেতু বাহক বা সংস্পর্শের মাধ্যমেই বিস্তার ঘটায়, সেহেতু আমরা বাহকরা যদি অবশ্য পালনীয়গুলো সঠিক উপায়ে মেনে চলতে পারি, তাহলে আশা করা যায় আমরা নিরাপদ থাকতে পারবো। এক্ষেত্রে আমরা নাগরিক সচেতনতা কাজে লাগিয়ে সার্বিকভাবে এর সংক্রমণ বিস্তার রোধে ভূমিকা রাখতে পারি।
এই লেখায় হেলথ হেজার্ডের কোভিড-১৯-এর এই সম্ভাব্য ঝুঁকি এবং এই ঝুঁকি প্রশমনে ব্যক্তি পর্যায়ে করণীয়গুলো নিয়ে, ইঞ্জিনিয়ারিং প্র্যাকটিস ও পেশাগত দৃষ্টিকোণ থেকে Department of occupational Safety & Health (DOSH)-এর Hierarchy of Control-এর ভিত্তিতে যথাসম্ভব সহজ কথায় পাঁচটি পদক্ষেপের অ্যাসেসমেন্ট দেখানো হবে।
এই শ্রেণিবিন্যাস বা Hierarchy of Control-এর পিছনে ধারণাটি হলো, নিচের ইনফোগ্রাফটির শীর্ষে থাকা নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিগুলো নিচের অংশের চেয়ে বেশী কার্যকর এবং সুরক্ষামূলক। এই শ্রেণিবিন্যাস অনুসরণ করে অগ্রাধিকার-ভিত্তিতে নিরাপদ ব্যবস্থা নেওয়ার মাধ্যমে আসন্ন ঝুঁকির ভয়াবহতা হ্রাস করানো যায়।
ঝুঁকি মূল্যায়ন করার সময়, যদি ঝুঁকি বেশি থাকে- তবে আমাদের ঝুঁকি হ্রাস করার জন্য সম্ভাব্য ঝুঁকির ধরন নির্ণয় করে নিয়ন্ত্রণ-ব্যবস্থা নিতে হবে। ঝুঁকির শ্রেণিবিন্যাসের ধারাবাহিক ক্রমানুসারে আমরা সম্ভাব্য সেরা অপশনটি বেছে নেব, যেখানে তালিকার শীর্ষতম পদক্ষেপটির নিয়ন্ত্রণ বেশি কার্যকরী ( Highly Preferable) এবং ক্রমান্বয়ে নীচের পদক্ষেপগুলো কম কার্যকরী (Less Preferable).
১. Elimination (বর্জন)
২. Substitution (প্রতিকল্পন)
৩. Engineering Control (প্রকৌশল নিয়ন্ত্রণ)
৪. Administrative Controls (প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণসমূহ)
৫. Personal Protective Equipment – PPE (ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম)
১. নির্মূল/বর্জন/বাদ দেয়া
প্রথম পদক্ষেপটিতে বিপদটি দূর করা বা নির্মূল করাটাকেই সর্বাধিক অগ্রাধিকার দেয়া হয়। এখন আমাদের আলোচনা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নির্মূল নিয়ে। যেহেতু এর কোনো ভ্যাকসিন বা তাৎক্ষণিক কার্যকরী প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি, তাই চাইলেও আমরা এর অবশ্যম্ভাবী ঝুঁকি থামাতে পারব না। আর যেহেতু এটি ঘটমান এবং সরাসরি অনির্মূলযোগ্য, সেহেতু পরবর্তী নিয়ন্ত্রণ-পন্থায় চলে যাব।
২. প্রতিস্থাপন
যখন বিপদটি সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা না যায়, তখন প্রতিস্থাপনের বিকল্প চেষ্টাটি করা হয়। প্রতিস্থাপন বলতে তূলনামূলক কম ঝুঁকিপূর্ণ বিপদ দিয়ে বেশি ঝুঁকিকে প্রশমিত করা বোঝায়।
কোভিড-১৯-এর ঝুঁকি মোকাবেলায় এটি প্রযোজ্য নয়। কেননা, ডেঙ্গুকে যদি প্রতিস্থাপন-উপযোগী বিকল্প ‘বিপদ’ ভাবা হয়, তবুও সেটি যেহেতু প্রকৃতি-সৃষ্ট বিপত্তি, সেহেতু এটি দ্বারা প্রতিস্থাপন বাস্তবসম্মত চিন্তা নয়! ফলে আমাদের যেতে হবে পরবর্তী নিয়ন্ত্রণ-পন্থায়।
৩. ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ন্ত্রণ
এই পন্থায় ঝুঁকি রোধকল্পে আমাদের আসন্ন বিপদটির জন্য ‘সেইফিট গার্ড’ হিসেবে বাধা তৈরি করতে হয়। যেমন, কোভিড-১৯ মোকাবেলায় আমরা আমাদের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারি বা সম্ভব হলে সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে পুরোপুরি আইসোলেশন চলে যেতে পারি। যার অর্থ আসন্ন বিপদের ঝুঁকি হতে নিজেকে বিচ্ছিন্ন রাখা।
৪. প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণসমূহ
এটা অনেকটা প্রশাসনিকভাবে জনসাধারণকে সতর্ক করা, নিষেধাজ্ঞা আরোপন, পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ, বেগতিক অবস্থার প্রেক্ষিতে অন্যান্য দেশের মতো লক-ডাউন, কোয়ারেন্টাইন। অর্থাৎ প্রশাসনিক আওতায় ঝুঁকি হ্রাসকরণে যা যা করা সম্ভব, এই ধাপ অনুযায়ী আমাদের সেটিই করতে হবে।
৫. ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই)
বস্তুত এই সর্বশেষ পদক্ষেপটিই আমাদের হাতে আছে। বাকি ৪টি পদ্ধতির অবতারণা শুধু এই একটি পদক্ষেপের কথা জোরদার করার জন্যই। নিশ্চয়ই এখন কিছুটা অনুমেয় আমাদের কাছে, আসলে ওপরের পদ্ধতিগুলোতে আমাদের বা ব্যক্তি পযার্য়ের তেমন কোনো ভূমিকা নেই। সরকারপক্ষ বা স্বীয় করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকির ন্যাচারাল মোটিফের ওপরেই উপর্যুক্ত নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিগুলোর কার্যকারিতা নির্ভর করে।
আমরা আমাদের ব্যক্তি সচেতনতার জায়গায় থেকে কোভিড-১৯ কে মোকাবেলার জন্য প্রস্তুতিস্বরূপ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক নির্দেশিত ‘প্রাথমিক সুরক্ষা প্রণালী’ মেনে চলতে হবে। যেখানে নিজেকে জীবাণুমুক্ত করার জন্য মাস্ক, হাতে গ্লাভস, ঘনঘন হাত ধোয়া (২০ সেকেন্ড সময় ধরে), সামাজিক দূরত্বায়ন ( ৩ মি. বা ৩.২ ফুট), ঘরে থাকা ইত্যাদি নির্দেশনা দেওয়া আছে।
ব্লিউএইচও কর্তৃক নির্দেশিত বেসিক প্রটেক্টিভ মেজারসগুলোর বিস্তারিত ধারণা:
পরিশেষে, সংক্রমণের ঝুঁকি মূল্যায়ন করার পর এবং নিজের সুরক্ষার নিশ্চিতকরণে ব্যক্তিগত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসুরক্ষার ৬টি ধাপ অনুসরণ করে কোভিড-১৯-এর ঝুঁকি হ্রাসকরণে সচেষ্ট থাকতে হবে।
- নিয়মিত সাবান বা অ্যালকোহল মিশ্রিত তরল দিয়ে হাত ধোয়া
- হাঁচি এবং কাশিতে শিষ্টাচার মেনে চলা
- সামাজিক দূরত্বায়ন ( ১ মিটার বা ৩ ফুট ২ ইঞ্চি) মেনে চলা
- নাক, চোখ,মুখ স্পর্শকরণ এড়িয়ে চলা
- মাস্ক এবং পার্সোনাল প্রটেক্টিভ ইক্যুয়েপম্যান্ট ব্যবস্থা নিশ্চিত করা
- শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হলে এবং অসুস্থ বোধ করলে ঘরে পৃথক ব্যবস্থায় থাকা এবং মেডিক্যাল কেয়ারের পরামর্শ নেওয়া।
ডব্লিউএইচও কতৃক নির্দেশিত বেসিক প্রটেক্টিভ মেজারস গুলোর ৬ টি ধাপের ইনফোগ্রাফিক্স ধারণা: