১৯ শতকের মধ্যভাগে আমেরিকার ঐতিহাসিক গৃহযুদ্ধ হয়েছিল মূলত দাসত্বকে নিয়েই। এই গৃহযুদ্ধে দাসত্ব প্রথা বিলোপ করার দাবি জোরদার হয়। গৃহযুদ্ধের সমাপ্তির সাথে সাথে আমেরিকা থেকে দাসত্ব প্রথা বিলোপ পেতে শুরু করে। এই হীন প্রথা বিলোপের পেছনে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা একটা শ্রেণীর কথা এখন আলোচনা হয় না বললেই চলে। আর সেটি হচ্ছে সাংবাদিক শ্রেণী। ১৯ শতকের শুরু থেকেই মার্কিন পত্রিকাগুলো দাসত্ব প্রথার বিরুদ্ধে একটু একটু করে সরব হতে শুরু করে। সাংবাদিকদের কণ্ঠ যত উচ্চগ্রামে পৌঁছাচ্ছিল, পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল তাদের উপর নির্যাতন আর হুমকি-ধামকির মাত্রা।
সাংবাদিকের কলম থামিয়ে দিতে তখন মার্কিন ধনিক শ্রেণী, নির্দিষ্ট করে বললে শ্বেতাঙ্গরা সাংবাদিকদের সাথে এহেন অপরাধ নেই, যা তারা করেনি। অথচ তারা এর সাজা ভোগ করতো না বললেই চলে। গৃহযুদ্ধের আগের দশ বছরেই কেবল আমেরিকার সংস্কারপন্থী পত্রিকাগুলোর অফিসে শতাধিক দাঙ্গা হয়েছে, খুন হয়েছেন অন্তত ১০ জন সম্পাদক। এটি হচ্ছে আজকের বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাসী আমেরিকার পূর্বের ইতিহাস। এই ইতিহাস বিশ্বের প্রতিটি দেশেরই সাংবাদিকতার করুণ ইতিহাসের প্রতিনিধিত্ব করে। যে গুটিকয় দেশে আজ বাকস্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে ধরা হয়, সেসব দেশেও আদতে সাংবাদিকদের উপর হয়ে থাকে অনেক মানবতাবিরোধী অপরাধ। কিন্তু সেসব অপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে দৃশ্যকল্প সেই মার্কিন গৃহযুদ্ধের সময়ের মতোই রয়ে গেছে। কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে অবনমন ঘটেছে!
আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ আর নির্বাহী বিভাগ, এই তিনটি স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে থাকে কোনো রাষ্ট্রের প্রশাসনিক কাঠামো। তবে সেই কাঠামো সঠিক পথে পরিচালিত করতে, ন্যায় এবং নীতি প্রতিষ্ঠা করতে পেছন থেকে কাজ করে চলে মিডিয়া। তাই মিডিয়াকে বলা হয় রাষ্ট্রের ৪র্থ স্তম্ভ। এই চতুর্থ স্তম্ভ যত বেশি স্বাধীন এবং স্বতন্ত্র হবে, কোনো রাষ্ট্রের প্রশাসনিক কাঠামো ততটাই জনবান্ধব হবে। কিন্তু তা কি হচ্ছে? ১৯ ও ২০ শতকে বাকস্বাধীনতার পরিসর কম ছিল, যা আধুনিকায়ন আর বিশ্বায়নে বিশ্বাসী ২১ শতকের পৃথিবীতে বৃদ্ধি পাওয়া উচিত ছিল। অথচ ২১ শতকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে!
সরকারি সেন্সরশিপ, প্রাতিষ্ঠানিক অপকর্ম আর বাণিজ্যিক চাপ, সব মিলিয়ে গত এক দশকে মিডিয়ার গলার ফাঁস যেকোনো সময়ের চেয়ে শক্ত হয়েছে। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ক্রমাগত বাকস্বাধীনতা হ্রাস পাচ্ছে, কমছে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা। উত্তর কোরিয়া, চীন কিংবা থাইল্যান্ডের মতো দেশগুলোতে ঐতিহাসিকভাবেই সাংবাদিকতার স্বাধীনতা নেই। তবে আধুনিককালে এসে দ্রুত সাংবাদিকতার জন্য অপ্রতিকূল হয়ে যাওয়া দেশগুলোর মধ্যে তুরস্ক, ব্রাজিল, গ্রিস, পোল্যান্ড আর ভেনেজুয়েলার মতো দেশগুলোর সাথে একই তালিকায় নাম আছে বাংলাদেশেরও। এসব দেশের মিডিয়া বৈচিত্র্য আর স্বাধীনতা কমছে আশংকাজনক হারে।
শুধুমাত্র ২০১৭ সালেই বিশ্বজুড়ে ২৫৯ জন সাংবাদিককে জেলে পাঠানো হয়েছে নানা রকম হয়রানিমূলক মামলায়, হত্যা করা হয়েছে ৭৯ জনকে। এরূপ ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে এরদোয়ানের তুরস্কে, মাদকবিরোধী যুদ্ধের বিরুদ্ধে লেখার জন্য দুতার্তের ফিলিপাইনে, মেক্সিকোতে আর হন্ডুরাসে। ইউনেস্কোর তথ্য অনুযায়ী, কেবল গত ১১ বছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৯৩০ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। অর্থাৎ, প্রতি ৪ দিনে একজন করে সাংবাদিককে হত্যা করা হচ্ছে পৃথিবীতে! ভাবতেই গা শিউরে ওঠে। অনেক গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞকেই তাই ইদানিং বলতে শোনা যায় যে, সাংবাদিক হওয়ার জন্য এর চেয়ে সংকটময় সময় আর ছিল না কখনো!
তথাপি সর্বশেষ ১১ বছরে ৯৩০ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে, এ ব্যাপারটিও যদি বিশ্বব্যাপী আইন-শৃঙ্খলার অবনতি বিবেচনায় কোনোভাবে দৃষ্টিগোচর করা যায়, সাংবাদিক হত্যার বিচারহীনতা এবং দায়মুক্তির ব্যাপারটা কোনোভাবেই চোখ এড়িয়ে যেতে পারে না। এই ৯৩০টি হত্যার তথ্যের সাথে যখন আপনি জানবেন যে, প্রতি ১০টি খুনের ৯টিতেই খুনী বিচারব্যবস্থার ফাঁক গলে বেরিয়ে যাচ্ছে, তখন বিষয়টি নিয়ে আপনিও ভাবতে বাধ্য হবেন। ২০০৬-১৬ সাল পর্যন্ত বিশ্বে যত সাংবাদিক হত্যার ঘটনা ঘটেছে, তার মাঝে কেবল ৬৭ ভাগ হত্যার ঘটনা আইন-আদালত পর্যন্ত গড়ায়। বাকি ৩৩ ভাগ তথ্য-প্রমাণের অভাবে, কিংবা ক্ষমতাবানদের প্রভাবে আদালত পর্যন্তই পৌঁছেনি! আর যে ৬৭ ভাগ আদালতে গিয়েছে, তারও ১০ ভাগের মাত্র বিচার সম্পন্ন হয়েছে (সাজাপ্রাপ্তি কিংবা খালাস সহ), বাকি ৫৭ ভাগ এখনো ঝুলে আছে। উপরন্তু, যে ১০ ভাগের বিচার কাজ সম্পন্ন হয়েছে, তার মধ্যে বাদীপক্ষ সুবিচার পেয়েছে (হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জরিপে), এরকম ঘটনা মাত্র ২ শতাংশ!
কোনো অপরাধ করে অপরাধী যদি সাজাপ্রাপ্ত না হয়, তাহলে তাকে আইনের ভাষায় ‘ইমপিউনিটি’ বা অব্যাহতি লাভ কিংবা দায়মুক্তি বলে। ‘দ্য কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস’ বা সিপিজে নামক একটি সংস্থা প্রতি বছর বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন দেশে কেবল সাংবাদিক হত্যার ক্ষেত্রে একটি ইমপিউনিটি সূচক তৈরি করে থাকে। যে সকল দেশে সাংবাদিক হত্যার বিচার কম হয়, সেগুলো থাকে তালিকার অগ্রে। ২০১৭ সালে সিপিজের সূচকে প্রথম দশটি দেশের মধ্যে সোমালিয়া, সিরিয়া, ইরাক, মেক্সিকো, পাকিস্তান, ব্রাজিল, রাশিয়া, নাইজেরিয়া, দক্ষিণ সুদান, ফিলিপাইনের মতো দেশগুলোর সাথে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রয়েছে বাংলাদেশের নামও। বাংলাদেশের অবস্থান এখানে ১০ম। তালিকার ১২তম আসনটি দখল করেছে প্রতিবেশী দেশ ভারত।
প্রথম ১০টি দেশের মাঝে ৭টি দেশই ২০১৩ সালে সিপিজে সূচক চালুর পর থেকে তালিকার প্রথম দশে নাম লেখাচ্ছে। এ বছর প্রথম দশে নতুন ঢুকেছে বাংলাদেশ আর ব্রাজিল। তালিকায় সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে সোমালিয়া, যে দেশটি গত তিন বছর ধরে তালিকার প্রথম স্থান দখল করে আছে। অন্যদিকে, সাংবাদিক হত্যার বিচার হয়নি, এরকম ঘটনার ৮০ ভাগই ঘটেছে তালিকার প্রথম ১২টি দেশে। এর মধ্যে পাঁচটি দেশে (ব্রাজিল, বাংলাদেশ, নাইজেরিয়া, রাশিয়া আর ভারত) অতি সম্প্রতি পরিস্থিতির অবনমন ঘটেছে। এসব দেশে সাংবাদিক হত্যার এক-তৃতীয়াংশ ঘটছে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, বিভিন্ন জঙ্গি ও চরমপন্থী সংগঠনের হাতে। সরকার কিংবা সরকার সমর্থক ও পুলিশ এবং রাষ্ট্রীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ঘটেছে এক-চতুর্থাংশ হত্যাকাণ্ড, যেগুলোর কোনো বিচার হয়নি।
বিশ্বজুড়ে বাকস্বাধীনতা সঙ্কুচিত হবার একটি বড় কারণ হচ্ছে অপরাধীদের দায়মুক্তি। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া প্রতি ১০টি অপরাধের মাত্র একটিতে সাজা পাচ্ছে অপরাধী। ফলে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধপ্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে দিনকে দিন। বিচারহীনতার এ সংস্কৃতি বন্ধ করার জন্যই প্রতি বছর জাতিসংঘের স্বীকৃত ‘ইন্টারন্যাশনাল ডে টু এন্ড ইমপিউনিটি ফর ক্রাইমস এগেইনস্ট জার্নালিস্টস’ দিবস পালিত হচ্ছে বিশ্বজুড়ে। মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য কাজ করে যাওয়া সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিডম অব এক্সপ্রেসন এক্সচেঞ্জ’ বা আইফেক্স ২০১১ সালে এই দিবসের সূচনা করে।
প্রাথমিকভাবে ‘ম্যাগিনদানাও হত্যাকাণ্ড’কে স্মরণ করতে ২৩ নভেম্বর দায়মুক্তি রোধের আন্তর্জাতিক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। পরে ২০১৩ সালে ২রা নভেম্বর দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সে বছর নভেম্বরের এই দিনটিতে মালিতে ভারলন এবং দুপন্ত নামকে দুজন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়, যে ঘটনার পেছনে দেশটির একটি শীর্ষ রাজনৈতিক দল এবং আল কায়েদার হাত ছিল। আজ অবধি এই হত্যাকাণ্ডের জন্য কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি মালি পুলিশ। সে বছরই ডিসেম্বরে আইফেক্সের তদবিরে মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের এক সভায় ২রা নভেম্বরকে আন্তর্জাতিকভাবে দায়মুক্তি রোধ দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
দেখা যায়, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই একজন সাংবাদিক হত্যার পেছনে কোনো না কোনোভাবে জড়িত থাকে সে দেশের ক্ষমতাবান রাজনৈতিক দল কিংবা ব্যক্তি। ফলে, আদালত পর্যন্ত পৌঁছলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেগুলো সুবিচার পেতে পারে না। আইফেক্সের আশা, তারা প্রতি বছর দায়মুক্তি রোধ দিবস পালনের মাধ্যমে বিচার না হওয়া মৃত্যুগুলো নিয়ে বিশ্বজুড়ে এমনভাবে সর্বসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে যেন, বিচারে অনীহা প্রদর্শন করা দেশগুলোর সরকারও বাধ্য হয় বিচার করতে। বলা হয়, যখন কোনো মানুষ দেশের পুলিশ প্রশাসন আর আইন আদালতে সুষ্ঠু বিচার থেকে বঞ্চিত হন, তখন তার শেষ ভরসা হয়ে পাশে দাঁড়ায় সাংবাদিকের কলম। সেই কলম-সৈনিকরাই যদি নিরাপদ না হন, তাহলে তাদের কলম কী করে সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দেবে? সাধারণ মানুষের মাঝে এরকম জনসচেতনতা ছড়িয়ে দেয়াও এই আন্তর্জাতিক দিবসটি পালনের একটি মুখ্য উদ্দেশ্য।
আন্তর্জাতিক দায়মুক্তি রোধ দিবসে বিশ্বজুড়ে সংবাদপত্রগুলো নানা রকম কলাপ ছাপে, সম্পাদকগণ বিবৃতি প্রকাশ করেন, বাকস্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা সংস্থা আর সাংবাদিকদের সংগঠনগুলো নিজেদের মতো করে কর্মসূচী দেয়। এতে করে সরকারি কিংবা প্রভাবশালীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ চাপে যেসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ধামাচাপা পড়ে যায়, সেগুলো নিয়ে পুনরায় আলোচনা করতে অনুপ্রাণিত হয় সাংবাদিক এবং সাধারণ মানুষও। ফলে চাপা পড়ে যাওয়া সত্য বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। তাছাড়া সাংবাদিক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে এদিন নিজ নিজ দেশের সরকারের নিকট অতীতে ঘটে যাওয়া সাংবাদিক হত্যার বিচার করার দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি পাঠানো হয়। জতিসংঘও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে যেসব দেশে সাংবাদিক হত্যার বিচারে দায়মুক্তির হার বেশি, সেসব দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে স্মারকলিপি প্রেরণ করে। পরের বছর সে সকল দেশে হত্যাকাণ্ডের বিচারের কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে, সে সংক্রান্ত তথ্যপঞ্জি প্রকাশ করে বৈশ্বিক এ সংস্থাটি। ফলে, বিশ্ব রাজনীতিতে ইমেজ সংকটে পড়বার ভয়ে হলেও বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানগণ সাংবাদিক হত্যাগুলোর সুষ্ঠু বিচার করবার চেষ্টা করে থাকেন।
প্রতি বছর আন্তর্জাতিক দায়মুক্তি রোধ দিবসে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক সব সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডকে স্মরণ করা হয় আর সেসব হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবি করা হয়, যেন অপরাধী পুনরায় একই অপরাধের সুযোগ না পায়, কিংবা অন্য কেউ সে অপরাধ করতে সাহস না পায়। #EndImpunity, #JournoSafe আর #TruthNeverDies হ্যাশট্যাগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও সচেতনতামূলক আলাপ আলোচনা চলে এদিন। তথ্য প্রযুক্তির বিপ্লবের এ যুগে যেকোনো অপরাধ রোধ করার প্রধান হাতিহার হচ্ছে প্রচার প্রচারণা আর সচেতনতা বৃদ্ধি। শুধু আইন প্রয়োগে সাংবাদিকদের রক্ষা করা সম্ভব নয়। তাই এই আন্তর্জাতিক দিবসটির গুরুত্ব উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে।
চলতি দশকে বিশ্বজুড়ে যত সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে, তার ৪৫ ভাগ হয়েছে যুদ্ধপীড়িত দেশগুলোতে, আর বাকি ৫৫ ভাগ হয়েছে শান্তিপূর্ণ অঞ্চলে। যুদ্ধপীড়িত অঞ্চলগুলোর চেয়ে শান্তিপূর্ণ অঞ্চলে অধিক সাংবাদিককে হত্যা করা হচ্ছে, এর চেয়ে খারাপ সংবাদ আর কী হতে পারে? এটি একদিকে যেমন পেশাজীবী সাংবাদিকদের জন্য খারাপ সংবাদ, অন্যদিক এটি নির্দেশ করে সাংবাদিকের কলমের গতিরোধ করা জন্য অপরাধীদের সক্রিয়তা বৃদ্ধিকেও। তাই সাংবাদিক হত্যার আন্তর্জাতিক দায়মুক্তি রোধ দিবস একটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ দিন। এই দিবসকে কেন্দ্র করে বিশ্বজুড়ে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে, বিচার হবে প্রতিটি অযাচিত হত্যার, নিরাপদ হবে কলম সৈনিকদের পেশা, এরকমটাই প্রত্যাশা সকলের।