‘সভেরিয়েস রিকসবাঙ্ক প্রাইজ ইন ইকোনমিক সায়েন্সেস ইন মেমোরি অফ আলফ্রেড নোবেল’ বলুন কিংবা ‘নোবেল মেমোরিয়াল প্রাইজ ইন ইকোনমিক সায়েন্সেস’ — দুটোই বেশ গালভরা নাম। অন্য সব ক্যাটাগরির মতো অর্থনীতিতেও একই ধরনের প্রক্রিয়ায় এই পুরষ্কার প্রদানের কারণে যেটি বিবেচিত হয় ‘অর্থনীতির নোবেল’ হিসেবে। অবশ্য ১৯৯৮ সালের আগ অবধি সেটা নিয়ে বাঙালির মাথাব্যথাও ছিল না তেমন একটা। কিন্তু সেবার পুরো দুনিয়া নড়েচড়ে বসেছিল একজন বাঙালির নাম শুনে, ‘অমর্ত্য সেন’।
১৯৯৮ সালে অর্থনীতিতে প্রথম বাঙালি হিসেবে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। দারিদ্র্য ও দুর্ভিক্ষ নিয়ে ভিন্ন ও গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো তুলে ধরার সুবাদে বিশ্বজুড়ে খ্যাতি ও শ্রদ্ধা অর্জন করেন। তার দারিদ্র্য ও দুর্ভিক্ষের মতো বিষয় ভালো করে বোঝার আগ্রহ জন্মে খুব ছোটবেলাতেই। ১৯৪৩ সালে বাংলার দুর্ভিক্ষ তথা পঞ্চাশের মন্বন্তর তিনি প্রত্যক্ষভাবে দেখেছিলেন।
তখন তার বয়স মাত্র ৯ বছর। স্কুল প্রাঙ্গণে হঠাৎ করেই পাগলপ্রায় একটি লোক ঢুকে পড়ে। কিছু শিক্ষার্থী তাকে নিয়ে মজা করা শুরু করলেও অমর্ত্য এবং আরো কিছু শিক্ষার্থী তার সহায়তায় এগিয়ে যান। তার সাথে কথা বলতে গিয়ে জানতে পারলেন যে লোকটি ৪০ দিন ধরে কিছু খাননি। তার দুর্ভিক্ষের অভিজ্ঞতাই পরবর্তীতে এই বিষয়ে গবেষণা করার অনুপ্রেরণা জোগায়। অভাবে জর্জরিত মানুষের পরিস্থিতি জানার চেষ্টা করেন, পরিস্থিতির পেছনের কারণগুলো তুলে ধরা এবং কিছু ক্ষেত্রে সমস্যার সমাধান দেওয়ার বিষয়েও কাজ করেন।
২০০৪ সালে বিবিসি বাংলার ৩০ দিনের একটি শ্রোতা জরিপে শ্রেষ্ঠ বাঙালির তালিকায় নির্বাচিত ২০ জনের মধ্যে ১৪তম স্থান দখল করেন অমর্ত্য সেন।
শিক্ষাজীবন
অমর্ত্য সেনের বেড়ে ওঠা বলা যায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে। কর্মসূত্রেও ঘুরেছেন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। বাবা অধ্যাপক আশুতোষ একসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে অধ্যাপনা করতেন। সেই সুবাদে থাকতেন পুরানো ঢাকার ওয়ারিতে- রমনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কাছেই। তার জন্ম হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে মাতামহ ক্ষিতিমোহন সেনের বাড়িতে। ১৯৩৩ সালের ৩ নভেম্বর তার জন্ম। পৈত্রিক ভিটা ঢাকার মানিকগঞ্জে।
বাবা আশুতোষ সেন পরবর্তী সময়ে পশ্চিমবঙ্গের পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৪৫ সালে পরিবারসহ স্থায়ীভাবে পশ্চিমবঙ্গে চলে আসলে শান্তিনিকতনের বিশ্বভারতীতে লেখাপড়া শুরু করেন তিনি। অবশ্য তার শিক্ষাজীবনের হাতেখড়ি ঢাকার সেন্ট গ্রেগরিস স্কুলে। সেই সময়ে বিশ্বভারতীর আচার্য এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সহযোগী ছিলেন তার মাতামহ ক্ষিতিমোহন সেন। এখানে তিনি সংস্কৃত, প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় ভারতীয় সাহিত্যের উপর পাঠদান করতেন। অমর্ত্যের মা অমিতা সেনও বিশ্বভারতী থেকে পড়াশোনা করেন। অমিতা ছিলেন একজন লেখক এবং তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা বিভিন্ন নাচ-নাটকেও কাজ করেছেন। মজার বিষয় হলো- অমর্ত্যের মাতামহ এবং মায়ের সাথে জানাশোনা থাকার সুবাদে রবীন্দ্রনাথই তার নাম ‘অমর্ত্য’ রাখেন যার অর্থ অমর।
সুষ্ঠু বিকাশের জন্য ভালো শিক্ষা ও ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উভয়ই প্রয়োজন। আর অমর্ত্য সেনের জীবনে বিশ্বভারতীর গুরুত্ব কেমন ছিল তা তিনি নোবেল ওয়েবসাইটে নিজের জীবনীতেই ব্যক্ত করেছেন। তার মতে, শান্তিনিকেতনে শিক্ষার পরিবেশ ছিল উদার। তাছাড়া সেখানে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব তৈরি করার ক্ষেত্রে কাজ না করে কীভাবে শিক্ষার্থীদের মনে কৌতূহল জাগিয়ে তোলা যায় সেই চেষ্টাই করা হয়। তার প্রতিভা ও নিজস্বতার দরুণ ছাত্রাবস্থা থেকেই সকলের নিকট পরিচিত হয়ে ওঠেন অমর্ত্য।
শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীতে পড়াশোনা শেষ করে তথা আইএসসি পরীক্ষা দিয়ে ১৯৫১ সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন। সেই সময়ে আইএসসি পরীক্ষায় প্রথম হন তিনি। পরবর্তীতে অর্থনীতি নিয়ে উচ্চতর শিক্ষার জন্য পাড়ি জমান ইংল্যান্ডে। সেখানে ক্যামব্রিজের ট্রিনিটি কলেজে পড়াশোনা করেন। ট্রিনিটি কলেজ থেকে তিনি বি.এ. (১৯৫৫), এম.এ. (১৯৫৯) এবং পিএইচডি (১৯৫৯) ডিগ্রি অর্জন করেন।
কর্মজীবন
অমর্ত্য সেন ভারত এবং ইংল্যান্ডের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিষয়ে শিক্ষকতা করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে- যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৫৬-১৯৫৮); দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৬৩-১৯৭১); লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস (১৯৭১-১৯৭৭) ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৭৭-১৯৮৮)। পরবর্তীতে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে (১৯৮৮-১৯৯৮) অর্থনীতি এবং দর্শন বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত অমর্ত্য ট্রিনিটি কলেজে ‘মাস্টার’ পজিশনে নিযুক্ত ছিলেন। পরে তিনি হার্ভার্ডে ল্যামন্ট প্রফেসর হিসেবে ফিরে যান। তাছাড়া বিভিন্ন সময়ে এম.আই.টি, স্ট্যানফোর্ড, বার্কলি এবং কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরো কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং অধ্যাপক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
‘দারিদ্র্য ও দুর্ভিক্ষ’ এবং নোবেল জয়
১৯৮১ সালে অমর্ত্য সেন ‘পোভার্টি অ্যান্ড ফেমিনস’ (Poverty and Famines) তথা ‘দারিদ্র্য ও দুর্ভিক্ষ’ নামে একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করেন। এখানে তিনি বিভিন্ন যুক্তি উপস্থাপনের মাধ্যমে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টির কারণগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেন। গতানুগতিক ধারায় দুর্ভিক্ষের পেছনে মূলত খাদ্যের অভাবকে বা অপ্রতুলতাকে দায়ী করা হয়। কিন্তু অমর্ত্য সেনের মতে মূল বিষয়টি আসলে সেরকম নয়। খাদ্য বণ্টনে বৈষম্য ও অসমতা মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে গেলে এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
‘দারিদ্র্য ও দুর্ভিক্ষ’ নিবন্ধে তিনি উল্লেখ করেন যে, সমাজের প্রতিটি মানুষের ‘এনটাইটেলমেন্ট’ তথা কোনো দ্রব্যসামগ্রী অর্জনের সক্ষমতা রয়েছে। ‘এনটাইটেলমেন্ট’ হলো বিভিন্ন দ্রবসামগ্রী ও সেবার বিকল্প বান্ডেলগুলোর একটি সংগ্রহ, যেখান থেকে একজন ব্যক্তির নিজের পছন্দের বান্ডেল নির্বাচন করার সক্ষমতা রয়েছে। ধরুন, একজন ভিক্ষুকের জন্য হয়তো একটাই বান্ডেল দেখা যাবে যার অন্তর্ভুক্ত কিছু খাবার ও কাপড়। অন্যদিকে, তুলা উৎপাদনকারী একজন কৃষকের ক্ষেত্রে তার সক্ষমতা অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন দ্রব্যসামগ্রী ও সেবার একাধিক বান্ডেল দেখা যাবে। লক্ষ্য করার মতো বিষয় হলো, একজন ব্যক্তির ‘এনটাইটেলমেন্ট’ বেশকিছু কারণে পরিবর্তন হতে পারে। যেমন- দ্রব্যসামগ্রী ও সেবার মূল্যের পরিবর্তন, খাদ্য যোগানের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম-কানুনের বাস্তবায়ন, ফসলে কীটপতঙ্গের বিস্তার বা যুদ্ধের কারণে খাদ্য বণ্টনে ব্যাঘাত। উল্লেখিত বিষয়গুলো থেকে বোঝা যায়, কীভাবে বিভিন্ন কারণবশত মোট জনসংখ্যার কিছু অংশের মানুষকে খাদ্যাভাবে ভুগতে হয় যদিও মোট খাদ্য উৎপাদনে কোনো ঘাটতি নেই।
অমর্ত্যের উল্লেখিত এনটাইটেলমেন্টের কারণে সৃষ্ট দুর্ভিক্ষের উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে বাংলার ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষ, যা পঞ্চাশের মন্বন্তর নামেও পরিচিত। তার গবেষণা ও যুক্তিতর্ক যারা পাবলিক পলিসি বা জননীতি নিয়ে কাজ করেন তাদের নতুন করে ভাবাতে শুরু করে। নীতিনির্ধারকেরা শুধু ক্ষণস্থায়ী সমাধানে নয়, বরং কীভাবে দরিদ্র মানুষের জন্য আয়-রোজগারের ব্যবস্থাটি টেকসই করা যায় তা নিয়ে কাজ করা শুরু করে। এককথায়, তার ‘দারিদ্র্য ও দুর্ভিক্ষ’ (Poverty and Famines) সারা বিশ্বে এই দুটি বিষয়ের বিভিন্ন জানা-অজানা বা উপেক্ষিত দৃষ্টিকোণ সকলের সামনে স্পষ্টভাবে তুলে ধরে।
দারিদ্র্য ও দুর্ভিক্ষ নিয়ে কাজ করার সুবাদে তথা বস্তুত জনকল্যাণমূলক অর্থনীতি ও গণদারিদ্র্যে অবদান রাখায় ১৯৯৮ সালে তিনি অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পান। রবীন্দ্রনাথের পর দ্বিতীয় বাঙালি হিসেবে নোবেল পুরষ্কার পান তিনি। আর অর্থনীতিতে তিনিই বাঙালি এমনকি এশিয়ান হিসেবে প্রথমবারের মতো এই বিশ্ববিখ্যাত পুরস্কারটি অর্জন করেন।
পারিবারিক জীবন
১৯৫৯ সালে নবনীতা দেবের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন অমর্ত্য সেন। নবনীতা ছিলেন একজন বাঙালি লেখক, কবি এবং শিক্ষাবিদ। জীবদ্দশায় তার লেখা ৮০টিরও বেশি বই প্রকাশিত হয় এবং ২০০০ সালে তিনি পদ্মশ্রী পুরস্কারেও ভূষিত হন। অমর্ত্য ও নবনীতা জুটির দুই কন্যা- অন্তরা সেন এবং নন্দনা সেন। ১৯৭৬ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে৷
পরবর্তীতে ১৯৭৮ সালে অমর্ত্য নতুন করে সংসার শুরু করেন ইতালিয়ান অর্থনীতিবিদ এভা কলোর্নির সাথে। তবে ১৯৮৫ সালে তার বৈবাহিক জীবনের ইতি ঘটে যখন তার দ্বিতীয় স্ত্রী এভা পাকস্থলীর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। অমর্ত্য ও এভার এক মেয়ে ইন্দ্রাণী এবং এক ছেলে কবীর। ১৯৯১ সালে তৃতীয়বারের মতো বিয়ে করেন ব্রিটিশ অর্থনৈতিক ইতিহাসবিদ এমা জর্জিনা রথচাইল্ডের সাথে। বর্তমানে তিনি এমার সাথেই থাকছেন। উল্লেখ্য যে, এমা হলেন ইংল্যান্ডের বিখ্যাত রথচাইল্ড ব্যাংকিং পরিবারের সদস্য।
বই
অমর্ত্য সেন মূলত জনকল্যাণমূলক অর্থনীতি, সামাজিক পছন্দ তত্ত্ব, অর্থনৈতিক তত্ত্ব, উন্নয়ন অর্থনীতি ও রাজনৈতিক দর্শন নিয়ে গবেষণা করেছেন। সেজন্য তার লেখা বইগুলোও প্রধানত এসকল বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- কালেক্টিভ চয়েস অ্যান্ড সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার (Collective choice and Social Welfare- 1970), ‘পোভার্টি অ্যান্ড ফেমিনস’ (Poverty and Famines- 1981), ডেভেলপমেন্ট অ্যাজ ফ্রিডম (Development as Freedom- 1999), রেশনালিটি অ্যান্ড ফ্রিডম (Rationality and Freedom- 2002), দ্য আর্গুমেন্টেটিভ ইন্ডিয়ান (The Argumentative Indian- 2005), এইডস সূত্র (AIDS Sutra- 2008), দ্য আইডিয়া অব জাস্টিস (The Idea of Justice- 2009)। বিশ্ববিখ্যাত এই অর্থনীতিবিদের লেখা বইগুলো বিগত ৪০ বছরে বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
সম্মাননা
অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার অর্জন করার পাশাপাশি অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বিভিন্ন সময়ে অনেক মর্যাদাপূর্ণ সম্মাননাও পেয়েছেন। ১৯৯৮ সালে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর ১৯৯৯ সালে ভারত সরকার অমর্ত্যকে ‘ভারতরত্ন’ দিয়ে পুরস্কৃত করেন এবং বাংলাদেশ সরকার তাকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব প্রদান করেন। ২০১১ সালে ন্যাশনাল হিউম্যানিটিস মেডেলে ভূষিত হন। তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক না হয়েও এই মেডেল লাভ করেন। একই বছর বাংলা একাডেমি অমর্ত্য সেনকে বাংলা ভাষার ধারক ও বাহক হিসেবে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে। ২০১৭ সালে জোহান স্কিট প্রাইজ ইন পলিটিক্যাল সায়েন্স এবং ২০১৯ সালে ব্রিটেনের বিখ্যাত বডলে মেডেলে ভূষিত হন নোবেলজয়ী এই বাঙালি অর্থনীতিবিদ। গত বছর বিশ্ববিখ্যাত ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলার ঐতিহ্যবাহী শান্তি পুরস্কার পান তিনি। তবে করোনার কারণে ভিডিও কলের মাধ্যমে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন অমর্ত্য সেন
বিগত কয়েক দশক ধরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছেন এই অর্থনীতিবিদ। বিশ্বজুড়ে বৈষম্য ও অসমতার বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কী কী করা যেতে পারে তা নিয়ে পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করার সুবাদে তিনি এই শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও তার বিভিন্ন কৃতিত্বের দরুণ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের আরো কিছু প্রতিষ্ঠান থেকে সম্মাননা পান প্রতিভাবান এই অর্থনীতিবিদ।
বর্তমানে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে বসবাস করছেন আর ল্যামন্ট প্রফেসর হিসেবে কর্মরত আছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে।