মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা ও ভারতীয় জাতির জনক, লোকমুখে ‘বাপু’ নামেও পরিচিত। স্বাধীনতা সংগ্রামে উৎসর্গীকৃত জীবন ও নিজস্ব রাজনৈতিক দর্শনের কারণে সমগ্র পৃথিবীজুড়ে বিখ্যাত হয়েছেন এই মহান নেতা, পেয়েছেন ‘মহাত্মা’ উপাধি। সত্যাগ্রহ ও অহিংস আন্দোলনের মতো বিরল কিন্তু শক্তিশালী অস্ত্রের দ্বারা ব্রিটিশ রাজত্বকে নড়বড়ে করে দিয়েছিলেন গান্ধী। যারা ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েছিলেন, তাদের কাছে গান্ধীর রাজনৈতিক কর্মধারা বরাবর বিতর্কিত। কিন্তু তবুও সাধারণ মানুষের মনে চিরস্থায়ী আসন পেতে নিয়েছেন এই আত্মত্যাগী স্বাধীন ভারতের স্বপ্নদ্রষ্টা।
গান্ধীর জীবনের একটি বড় দিক হলো জীবনের শুরু থেকে শেষ অবধি ব্যক্তি হিসেবে তার পরিবর্তনের ধারা। একজন সাধারণ, দেহসর্বস্ব মানুষ থেকে মহতী চিন্তাধারায় ভরপুর ও সুস্পষ্ট লক্ষ্যসম্পন্ন জীবনপ্রণালীর ধারক ও বাহক একজন মনীষী হয়ে উঠেছিলেন গান্ধী। আর এ কারণেই নেলসন ম্যান্ডেলা, মার্টিন লুথার কিং এর মতো সংগ্রামী জনমানুষের নেতাদের প্রেরণা হতে পেরেছিলেন তিনি। নিজের মহতী জীবনের মাধ্যমে গান্ধী পেয়েছেন ‘মহাত্মা’ খেতাবও।
২ অক্টোবর, তার জন্মদিনটি ভারতে পালিত হয় ছুটির দিন হিসেবে; সেই সাথে এই দিনটি আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস হিসেবেও স্বীকৃত। চলুন এই মহাত্মার জন্মজয়ন্তীতে তার জীবনের উপর কিঞ্চিৎ দৃষ্টিপাত করা যাক।
১৮৬৯ সালের ২ অক্টোবর ব্রিটিশ ভারতের পোরবন্দর রাজ্যে (বর্তমান গুজরাট) এক বেনিয়া হিন্দু পরিবারে মহাত্মা গান্ধীর জন্ম। তার বাবা করমচাঁদ উত্তমচাঁদ গান্ধী ছিলেন পোরবন্দরের দিওয়ান, আর মা পুতলিবাই ছিলেন এক সমৃদ্ধ প্রণমী বৈষ্ণব পরিবারের মেয়ে। শিশু গান্ধী যথেষ্ট রঙিন মেজাজের ছিলেন। প্রথাগত কোনোকিছু স্বতঃসিদ্ধভাবে মেনে নেয়া তার স্বভাব ছিল না। প্রতিটি জিনিস যাচাই করে দেখতে তিনি পছন্দ করতেন। কুকুরের কান ধরে মোচড় দেয়া তার প্রিয় খেলা ছিল। বড় ভাইয়ের সূত্রে পরিচিত শেখ মাহতাবের কথায় নিরামিশাষী পরিবারের ছেলে গান্ধী গো-মাংসও ভক্ষণ করেছিলেন। এমনকি শেখের সাথে নিষিদ্ধ পল্লীতেও তিনি গিয়েছিলেন বলে জানা যায়, তবে সেই জায়গা তার ভালো না লাগায় দ্রুত ত্যাগ করেন।
এক চাচার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তরুণ গান্ধী সিগারেট খেতেও শুরু করেন, এমনকি সিগারেটের জন্য তামার পয়সা চুরি করতেও শুরু করেন তিনি। যখন আর চুরি করা সম্ভব হচ্ছিল না, তখন আসক্তির কারণে তিনি আত্মহননেরও সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। বন্ধু শেখের বাহুবন্ধনী থেকে একবার কিছু সোনা চুরি করেন গান্ধী। পরে এ নিয়ে তার প্রবল অনুশোচনা হলে পিতার কাছে নিজের চৌর্যাভ্যাসের বিবৃতি দিয়ে আর কখনও না এমন কাজ না করার ওয়াদা করেন।
পরবর্তীতে শ্রাবণ ও হরিশ্চন্দ্রের কাহিনী দ্বারা গান্ধী প্রবল আলোড়িত হন। এসব কাহিনী ও নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা দ্বারা গান্ধী বুঝতে পারেন সত্য আর প্রেম হলো মানবজীবনের সবচেয়ে বড় গুণ। ১৩ বছর বয়সে গান্ধীজি কস্তুর্বা মাখনজিকে বিয়ে করেন। সেই বয়সে বিয়ে তার কাছে তেমন কিছুই ছিল না। বিয়ে উপলক্ষ্যে নতুন পোষাক পরতে পেরেই তিনি খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু বয়সের সাথে সাথে স্ত্রীর প্রতি তার টান ও আকর্ষণও বাড়তে থাকে, এমনকি পড়াশোনায় মন দেয়াটাও তার জন্য কঠিন হয়ে পড়ে।
গান্ধীর শিক্ষাজীবন শুরু হয় ৯ বছর বয়সে। রাজকোটের এক স্থানীয় স্কুলে গণিত, ইতিহাস, ভাষা ও ভূগোলের প্রাথমিক শিক্ষা পান। ১৮৮৮ সালে গান্ধীজি ভাবনগরের শ্যামলদাস কলেজে ভর্তি হন ও পরে মাঝপথে ঝরে পড়েন। মাওজি দাওয়ে জোশি নামে এক পারিবারিক বন্ধু তাকে বুদ্ধি দেন লন্ডনে আইন পড়ার জন্য যেতে। মাংস আর মেয়েমানুষ থেকে দূরে থাকার প্রতিজ্ঞা করে গান্ধী তার মা আর স্ত্রীকে রাজি করান তাকে লন্ডন যাত্রার অনুমতি দিতে। লন্ডনে গিয়ে গান্ধী তার কথা রাখেন। একটি নিরামিশাষী সংগঠনে যোগ দেন তিনি আর এমনই কিছু নিরামিশাষী বন্ধুর হাত ধরে পরবর্তীতে ভগবৎ গীতার সংস্পর্শে আসেন। এই গীতা গান্ধীর পরবর্তী জীবনে এক বিশাল প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।
লন্ডন থেকে ফেরার পর আইনজীবী হিসেবে কাজ পেতে গান্ধীর বেশ বেগ পেতে হয়। এ সময় ১৮৯৩ সালে এগিয়ে আসেন দাদা আব্দুল্লাহ। দাদা আব্দুল্লাহ ছিলেন এক বণিক যার দক্ষিণ আফ্রিকায় জাহাজের ব্যবসা ছিল। নিজের এক জ্ঞাতি ভাইয়ের আইনজীবী হিসেবে কাজ করার জন্য গান্ধীকে দক্ষিণ আফ্রিকা আসার আমন্ত্রণ জানান তিনি। এই আমন্ত্রণই ছিল গান্ধীর জীবনের সবচেয়ে বড় মোড় পরিবর্তনকারী ঘটনা। কারণ দক্ষিণ আফ্রিকায় যে গান্ধী যান, তিনি পরে সম্পূর্ণ এক আলাদা গান্ধী হয়ে দেশে ফেরেন।
একে কৃষ্ণবর্ণ, তার উপর ভারতীয় হওয়ার কারণে লাগাতার জাতিগত বিদ্বেষের শিকার হয়ে গান্ধীজির ভেতরে এক সংগ্রামী সত্ত্বা তৈরি হয়ে ওঠে। তিনি নিয়ম করে সেই কেসগুলোই লড়তে থাকেন যা দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতীয় ও অন্যান্য সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোর স্বার্থের সাথে জড়িত ছিল। দীর্ঘ একুশ বছর আফ্রিকায় বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য লড়ে ১৯১৫ সালে গান্ধীজি দেশে ফেরেন। ততদিনে ব্রিটিশ সরকারের বৈষম্যের রাজনীতির বিরুদ্ধে গান্ধীজির দৃঢ় অবস্থান তাকে একজন জাতীয়তাবাদী, তত্ত্ববাদী ও সংগঠক হিসেবে খ্যাত করে তুলেছে। কংগ্রেসের জ্যৈষ্ঠ্য নেতা গোপাল কৃষ্ণ গোখলের নেতৃত্বে গান্ধী ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দেন।
১৯২০ সালে কংগ্রেসের নেতৃত্ব গ্রহণের আগপর্যন্ত ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে গান্ধী একধিক বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেন যেগুলোকে সম্মিলিতভাবে সত্যাগ্রহ আন্দোলন বলা হয়। কৃষকদের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে গান্ধী কঠোর অবস্থান নেন। চম্পারণ ও খেদার কৃষক আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দিয়ে নিজের পরিচয় প্রকাশ করেন। ১৯১৮ সালের বন্যায় খেদার ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হবার পরেও ব্রিটিশ সরকার খাজনা মওকুফ না করলে তিনি কৃষকদের ব্রিটিশ সরকারকে প্রদেয় সকল প্রকার শুল্ক দিতে নিষেধ করে দেন। এই সফল আন্দোলনের ফলে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ নিজ অবস্থানে নমনীয় হতে বাধ্য হয়।
গান্ধীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন ছিল অসহযোগ আন্দোলন। তিনি বিশ্বাস করতেন, ব্রিটিশরা ভারতে জেঁকে বসতে পেরেছে ভারতীয়দের পরোক্ষ সহযোগিতার কারণেই। আর তাই তিনি দেশবাসীকে ব্রিটিশদের সাথে অসহযোগে নামতে উদ্বুদ্ধ করেন। একপ্রকার বেসামরিক অনানুগত্যের আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে ব্রিটিশদের বিপাকে ফেলেন গান্ধী। গান্ধীর নীতি ছিল কোনো প্রকার সহিংসতায় না জড়িয়ে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া, ব্রিটিশদের পণ্য বর্জন করা, খাদ্য-বস্ত্রে সম্পূর্ণ স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা, অর্থাৎ নিজের পায়ে দাঁড়ানো। এভাবে অসহযোগ আন্দোলনের সাথে ‘স্বরাজ’ নীতি সংযুক্ত হয়। গান্ধীজি ভারতবাসীদের ব্রিটিশ সরকারের চাকরি, ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন, ব্রিটিশ আদালতে আইনচর্চা সবকিছু থেকে অব্যহতি নেয়ার আহবান জানান। তবে গান্ধীর অহিংস আন্দোলন অহিংস থাকেনি। বহুদিনের বৈষম্যে জর্জরিত ভারতবাসী ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেই উত্তাপ আগুন হয়ে জ্বালিয়ে দেয় উত্তর প্রদেশের চৌরিচৌরা থানার ২২ জন পুলিশ সদস্যকে। দিনটি ছিল ১৯২২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি। এই ঘটনার পর গান্ধীজি অসহযোগ আন্দোলন বন্ধের ডাক দেন। ১০ মার্চ তাকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ও ৬ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়, যদিও গান্ধীজি মাত্র ২ বছর সাজাভোগ করেন।
গান্ধী জানতেন, ভারতের স্বাধীনতা অর্জনে হিন্দু-মুসলিম একতা কতোটা প্রয়োজনীয়, আর তাই খিলাফত আন্দোলনেও তিনি সমান তালে আত্মনিয়োগ করেন। খিলাফত আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে গান্ধী মুসলিম সম্প্রদায়ের সমর্থন লাভ করলেও অনেক হিন্দুবাদী নেতা এতে অসন্তুষ্ট হন। ১৯৩০ সালে ব্রিটিশ সরকার লবণের উপর কর আরোপ ও ভারতীয়দের লবণ উৎপাদন বেআইনী ঘোষণা করলে গান্ধীজি লবণ সত্যাগ্রহ শুরু করেন। প্রতিবাদ হিসেবে তিনি নিজের সবরমতি আশ্রম থেকে ২৪০ মাইল দূরের সমুদ্র উপকূলবর্তী গ্রাম ডান্ডি অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেন। ১২ মার্চ ১৯৩০, ৭৮ জন বিশ্বস্ত সহচর নিয়ে গান্ধীজি এই যাত্রা শুরু করেন। প্রতিদিন ১০ মাইল করে হেঁটে তারা ২৪ দিনে ২৪০ মাইল পথ পাড়ি দেন। এই যাত্রাপথে অগণিত মানুষ তার সঙ্গী হন। ৬ এপ্রিল গান্ধী ডান্ডি পৌঁছান এবং লবণ আইন ভঙ্গ করেন। ব্রিটিশ সরকার গান্ধীকে আবারও জেলবন্দী করে, সেই সাথে আন্দোলনে যোগ দেয়া প্রায় ৬০,০০০ মানুষকেও। এই সফল আন্দোলনের ফলে গান্ধী-আরউইন চুক্তি হয় ১৯৩১ সালে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে গান্ধী শুরু করেন ‘ভারত ছাড়ো আন্দোলন’। এবার আর কোনো পরোক্ষ নীতি অবলম্বন না করে সরাসরি ব্রিটিশদের ভারত ছাড়ার দাবী জানান তিনি। এটি ছিল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের সবচেয়ে মারমুখী আন্দোলন। ৯ আগস্ট ১৯৪২ এ গান্ধীকে গ্রেফতার করে পুনের আগা খাঁ প্যালেসে আটকে রাখা হয়। ১৯৪৩ এর শেষের দিকে বিশ্বযুদ্ধে ক্ষতবিক্ষত ব্রিটিশরা ভারতের স্বাধীকার প্রদানের অঙ্গীকার করলে আন্দোলনটি থামে। ১৯৪৭ সালে শেষমেষ ভারত স্বাধীন হয়। কিন্তু গান্ধী নিশ্চিত জানতেন স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কতটা কঠিন। আর তাই তিনি বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন স্বাধীন ভারতে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির উপর। উপমহাদেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়া সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার তীব্রতা গান্ধীর সমৃদ্ধ ভারতের স্বপ্নকে চুরমার করে দেয়। দাঙ্গা থামানোর উদ্দেশ্যে আহত হৃদয় ৭৮ বছরের বৃদ্ধ গান্ধী আমরণ অনশন শুরু করেন। পার্টিশন কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাকিস্তানকে প্রদেয় ৫৫ কোটি রুপি সত্ত্বর দিয়ে দেয়ার উপরেও তিনি গুরুত্ব দেন। রাজনৈতিক নেতারা শেষমেষ তার দাবী মেনে নিলে তিনি অনশন ভঙ্গ করেন।
মহাত্মা গান্ধীর হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির প্রচেষ্টা অনেক হিন্দু মৌলবাদীর চক্ষুশূল ছিল। এমনই এক উগ্র হিন্দু মৌলবাদী নথুরাম গোডসের গুলিতে ৩০ জানুয়ারি, ১৯৪৮ সালে প্রাণ হারান এই মহান আত্মা। সারা জীবন দলিত ভারতবাসীর মুক্তি সংগ্রামে আত্মনিয়োগকারী গান্ধী এক ভারতবাসীর হাতেই নিহত হন। নথুরাম গোডসে ও তার সহযোগী নারায়ণ আপ্তেকে বিচারের আওতায় আনা হয় ও ১৫ নভেম্বর ১৯৪৯, তাদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। কাঠগড়ায় দন্ডায়মান এই ষড়যন্ত্রকারীরা কিন্তু শেষ অবধি বিশ্বাস করে গেছে যে গান্ধীকে হত্যা করে মূলত তারা দেশের স্বার্থেই কাজ করেছে। তাদের বিশ্বাস ছিল, পাকিস্তানকে পার্টিশনের প্রদত্ত অর্থ দিতে বাধ্য করে গান্ধী ভারতকে দুর্বল করে দিয়েছেন। গান্ধীর হত্যাকান্ডটি যেন এক কালের সমাপ্তি ও আরেক নতুন কালের সূচনার স্মারক, যে সময়ে ভারত যাত্রা করে এক সাম্প্রদায়িক অনৈক্য জর্জরিত সমাজ ব্যবস্থা হিসেবে।
অনেকের মতে, গান্ধীর অহিংস আন্দোলন নয়, বরং বিপ্লবীদের সহিংস আন্দোলনই ভারত স্বাধীন করেছে। আসলে দুই ধরনের আন্দোলনই সমান প্রভাব ফেলেছিল ব্রিটিশ রাজের উপর। একটি উপনিবেশ যখন ঔপনিবেশিকের বিরুদ্ধে অসহযোগ শুরু করে, মূল ধাক্কাটা তখনই সাম্রাজ্যে লাগে। কারণ উপনিবেশ ও ঔপনিবেশিকের মধ্যে মূল সম্পর্কটা বরাবরই আর্থিক। আজ জন্মদিনে স্মরণ করি সেই মহতী আত্মাকে যিনি বিশ্বাস করতেন, “To believe in something and not to live it, is dishonest.”
ফিচার ইমেজ: emaze.com