‘আমেরিকান ক্রাইম স্টোরি’ সিরিজের নাম শুনেছেন? না পাঠক, আমি ‘আমেরিকান হরর স্টোরি’ অথবা ‘আমেরিকান ক্রাইম’ এই দুটো সিরিজকে তালগোল পাকিয়ে মোটেও ‘আমেরিকান ক্রাইম স্টোরি’ নামে কোনো সিরিজের উৎপত্তি ঘটানোর অপচেষ্টা করছি না। আসলেই এই নামে একটি সিরিজ আছে। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য হলো, এর জনপ্রিয়তা অথবা পরিচিতি অন্যান্য অনেক এর থেকে কম মানসম্পন্ন সিরিজেরও বেশি রয়েছে। তবে আজ এই রিভিউ পড়ার পর, এমন একটা দুর্দান্ত সিরিজের কপালে আরও বেশ কিছু ভক্ত জুটবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
‘আমেরিকান ক্রাইম স্টোরি’ সিরিজের সম্পর্কে বলতে হলে প্রথমেই এর ব্যাপারে কিছু খুঁটিনাটি তথ্য জানিয়ে নেওয়াটাই ভালো। এই সিরিজটি মূলত ট্রু ক্রাইম অ্যান্থোলজি জনরার সিরিজ। ট্রু ক্রাইমের ব্যাপারে তো উপরেই অনেক কথা বলেছি। তাই এবার না হয় একটু অ্যান্থোলজি নিয়ে অল্প স্বল্প কথা হয়ে যাক। টিভি সিরিজ ‘ব্ল্যাক মিরর’ এর কথা তো শুনেই থাকবেন। সেই সিরিজের একটি অন্যতম বিশেষত্ব হচ্ছে, সিরিজটির একেকটি পর্ব একেকটি সম্পূর্ণ আলাদা ও মৌলিক গল্পের উপর নির্মিত। এমনকি একেকটি গল্পের বিষয়বস্তু, প্রেক্ষাপট ও চরিত্রগুলো একে অন্যের থেকে পুরোপুরি ভিন্ন। আসলে শুধু ব্ল্যাক মিররই নয়, অ্যান্থোলজি যেকোনো সিরিজেরই এই একই বৈশিষ্ট্য থাকে। এমনকি নির্মাতারাও ভিন্ন হয়ে থাকতে পারে। আর ‘আমেরিকান ক্রাইম স্টোরি’ সিরিজের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা প্রায় এমনই, তবে শুধু একটাই পার্থক্য রয়েছে। সেটি হলো, এই সিরিজের একেকটি পর্ব নয়, বরং একেকটি সিজন পরস্পর থেকে ভিন্ন কাহিনীকে ঘিরে নির্মিত হয়েছে।
‘আমেরিকান ক্রাইম স্টোরি’ সিরিজটির মূল ভাবনা স্কট আলেকজান্ডার ও ল্যারি কারানজিউস্কি নামের দুই আমেরিকান লেখক বন্ধুর মাথা থেকে এসেছিল। আমেরিকান ইতিহাসে থেকে বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গদের জীবনে ঘটে যাওয়া কুখ্যাত কোনো হত্যাকাণ্ড অথবা পাশবিক অত্যাচারজনিত অপরাধ সংশ্লিষ্ট ঘটনাকে নাটকের ভাষায় সাধারণ দর্শকদের সামনে তুলে ধরার ইচ্ছা থেকেই তাদের এই বিচিত্র উদ্যোগ। তারপর ফক্স নেটওয়ার্কের সহায়তায় ও একদল উদার প্রযোজকবৃন্দের সহযোগিতায় তারা তাদের স্বপ্নকে বাস্তবের রূপান্তরিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
সিরিজটির যাত্রা শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় আড়াই বছর আগে। প্রথম সিজনে আমেরিকান জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক এক খেলোয়াড়ের খুনের মামলায় ফেঁসে যাওয়ার কাহিনী ও মামলা চলাকালীন বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। প্রথম সিজনটি ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ফক্স টিভিতে প্রচারিত হওয়া শুরু হয়েছিল। তারপর দেড় বছরের অধিক সময় বিরতি নেওয়ার পর দ্বিতীয় সিজন এই বছরের জানুয়ারিতে টিভি পর্দায় এসেছিল। আগামীতে আরও দুটো সিজনের গল্প ও চিত্রনাট্য তৈরি হয়ে আছে বলে শোনা গেছে। সেগুলো নিয়ে পরে না হয় কথা হবে। আগে আজ প্রথম সিজনটি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসা যাক।
দ্য পিপল ভার্সেস ও. জে. সিম্পসন’
সময়টা ১৯৯৪ সাল। স্থান লস এঞ্জেলস, ক্যালিফোর্নিয়া। আমেরিকান জাতীয় ফুটবল লিগে ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত প্রায় ১১ বছর খ্যাতির সাথে খেলে আসা ‘দ্য জুস’ নিকনেম খ্যাত সিম্পসন তখন একাধারে অভিনেতা, ব্রডকাস্টার ও ধারাভাষ্যকার হিসেবে আমেরিকা থেকে শুরু করে পুরো দুনিয়া জুড়ে বেশ সুনামের সাথে জীবনযাপন করছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে গ্রীষ্মের কোনো এক সকালে তার সাবেক স্ত্রী নিকোল ব্রাউন ও তার বন্ধু রন গোল্ডম্যানের রহস্যজনক খুনের দায়ে পুলিশ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় তাকে। আর তারপর থেকেই একের পর এক নাটকীয় ঘটনার সূত্রপাত। একে তো তার মতো এমন একজন সেলিব্রেটির উপর এত বড় অপবাদ, তার উপর আবার তিনি নিজেও বেশ কিছু সন্দেহভাজন কাজকর্মের দ্বারা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছিলেন। একদিকে তার পক্ষের লোকজন, যারা তাকে এই মামলা থেকে ছুটিয়ে আনতে উঠেপড়ে লেগেছিল ও সব প্রমাণকে মিথ্যা বলে প্রতিপন্ন করছিল। আর অন্যদিকে তার বিপক্ষে থাকা দল ছিল, যারা নাকি ভিক্টিমদের ও ভিক্টিমদের পরিবারকে ন্যায্য বিচার এনে দিতে যেকোনো পদ্ধতি অনুসরণে দ্বিধাহীন ছিল।
এই সিজনটিকে মূলত কোর্টরুম ভিত্তিক ক্রাইম ড্রামা বলে চালিয়ে দেওয়া যায়। শুধু সিম্পসনের জীবনে চলা এমন দুর্বিষহ গল্পই নয়, তার পাশাপাশি তাকে ঘিরে থাকা আপনজন, তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব, পেশাদারী সম্পর্কে যাদের সাথে জড়িত তাদের ও তার ভক্তদের সেই সময়ে যেমন অবস্থা গিয়েছে সেটার রূপ দেখাতেও ভোলেননি সিরিজের দুই চিত্রনাট্যকার। এমন একটি খুনের মামলা যে শুধু সিম্পসনের জীবনকেই নয়, এই মামলার সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থাকা মানুষদের জীবনেও পরিবর্তন আনতে পারে, সেটাও দেখাতে ভোলেননি তারা। সিম্পসনের ভাগ্যে শেষপর্যন্ত কোনদিকে মোড় নিয়েছিল অথবা তিনি আসলেই দোষী ছিলেন নাকি নিদোর্ষ সেসব দর্শকদের জেনে নেওয়ার উপর ছেড়ে দিলাম। আবার অনেকে সিম্পসনকে আগে থেকে চিনে থাকলে, হয়তো সবই জেনে থাকবেন।
আরও কিছু কোর্ট ড্রামা জনরার মুভি দেখা হলেও এত নিখুঁতভাবে পুরো ঘটনাকে এতটা টুকিটাকি বিষয়ের সাথে ফুটিয়ে তোলার সার্থকতা আগে কখনো দেখিনি। হতে পারে, ১০ পর্বের ১০ ঘন্টা সময় হাতে পেয়েছেন বলেই চিত্রনাট্যকারেরা এত সুন্দর করে ঘটনাপ্রবাহকে সাজিয়েছেন। তবে যা-ই হোক না কেন, তাদের এই সৃজনশীলতার জন্য তাদের সাধুবাদ জানাই।
এই সিজনে একটা সবথেকে উল্লেখযোগ্য দিক বলি। এর গল্পকে এমনভাবে বর্ণনা করা হয়েছে যে আপনার এক এপিসোড দেখে একদিন কেন, কয়েক ঘন্টা বিরতি নিতেও নিজের মনের সাথে লড়াই করতে হবে। সিরিজের চরিত্রগুলোর একদম মাপে মাপে স্ক্রিনে প্রদর্শন, সিরিজের মান ধরে রাখতে সহায়তা করেছে। যেখানে ঠিক যতটা নাটকীয়তার প্রয়োজন সেখানে তার চেয়ে বেশি অথবা কম নাটকীয়তা তুলে ধরা হয়নি। অভিনয়শিল্পীরা প্রত্যেকেই যার যার স্থানে শত ভাগ ঢেলে দিয়েছেন হলফ করে বলা যায়। সিম্পসনের চরিত্রে অভিনয়কারী আমেরিকান অভিনেতা কিউবা গুডিং এককথায় অনবদ্য অভিনয় করেছেন। তবে পুরো সিরিজে সিম্পসনের মামলায় বিপক্ষ দলের উকিল মার্সিয়া ক্লার্কের ভূমিকায় অভিনয় করা সারাহ্ পলসনের উপর থেকে চোখ সরানো দায় ছিল। মনে হচ্ছিল না, তিনি অভিনয় করছেন।
‘আমেরিকান ক্রাইম স্টোরি’ সিরিজের এই সিজনের গল্পটি নেওয়া হয়েছিল আমেরিকান আইনবিদ, লেখক ও ব্লগার জেফরি টুবিনের ‘দ্য রান অফ হিস লাইফ: দ্য পিপল ভার্সেস ও. জে. সিম্পসন’ নামের বই থেকে, যা কিনা ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। সিজনটির পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন রায়ান মারফি, অ্যান্থনি হ্যামিংওয়ে ও জন সিংগেলটোন। স্কট ও ল্যারির পাশাপাশি আরও কয়েকজন লেখক চিত্রনাট্য লেখায় যুক্ত ছিলেন। সিজনটি ৬৮তম অ্যামি অ্যাওয়ার্ডে ১৩টি ক্যাটাগরিতে ২২টি মনোনয়ন পেয়েছিল। ‘আউটস্ট্যান্ডিং লিমিটেড সিরিজ’ এর পুরস্কার লাভের সৌভাগ্য অর্জনের পাশাপাশি সিরিজটি আরও আটটি শাখাতেও পুরস্কার বাগিয়ে নিয়েছিল। তাছাড়া গোল্ডেন গ্লোবে ‘বেস্ট মিনি সিরিজ’ ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড ও সারাহ্ পলসনের তার অবিস্মরণীয় অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রীর অ্যাওয়ার্ড তো আছেই।
সিরিজটি সমালোচকদের দৃষ্টিতেও দারুণ প্রশংসিত হয়েছিল। রটেন টমেটোসে ৭৯টি রিভিউয়ের ভিত্তিতে সিরিজের এই সিজনটি ৯৬% রেটিং পেতে সক্ষম হয়। এই সাইটের রিভিউগুলো পড়লে জানা যায়, সিরিজের কাহিনী থেকে শুরু করে নির্মাণশৈলী, অভিনয়শৈলী ও আনুষঙ্গিক সকল দিকই বেশ চমকপ্রদ ছিল। এছাড়া মেটাক্রিটিকে ৪৫ রিভিউয়ের ভিত্তিতে ৯০% রেটিং লাভ করেছিল সিরিজটি। তাছাড়া আরও অনেক বিশিষ্ট সিনে সমালোচক সিরিজটির ভূয়সী প্রশংসা করেন। স্বয়ং মার্সিয়া ক্লার্ক সারাহ্কে নিজের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখে মুগ্ধ হয়ে তাকে অভিবাদন জানিয়েছিলেন।
এবার তাহলে সিজনটির প্রতি পর্ব সম্পর্কে অল্প কথা বলে আসা যাক।
প্রথম পর্ব- ‘ফ্রম দ্য অ্যাসেজ অব ট্রাজেডি’
এই পর্বটিতে মূলত মামলাটির সূচনার গল্প তুলে ধরা হয়েছে। কীভাবে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয় ও কী করে সিম্পসন এসবে জড়িয়ে পড়েন, সেটাই ছিল এই পর্বের আলোচ্য বিষয়। তবে এই পর্বেও যে কম নাটকীয়তা ছিল তা কিন্তু নয়। এই পর্বটির নিমার্ণের দায়িত্বে ছিলেন মারফি।
দ্বিতীয় পর্ব – ‘দ্য রান অব হিজ লাইফ’
“ভাগো সিম্পসন! ভাগো!” সিম্পসনের সেই গাড়িতে চড়ে পুলিশ ও পুরো দুনিয়াকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পাগলামোর দৃশ্য কি চাইলেও ভোলা যায়? এই পর্বে চরম মাত্রার টানটান উত্তেজনা ছিল। এটাও রায়ান মারফির অধীনেই পরিচালিত হয়েছিল।
তৃতীয় পর্ব – ‘দ্য ড্রিম টিম’
এই পর্বে মূলত সিম্পসনের পক্ষে ও বিপক্ষে যারা আদালতে যুদ্ধে নামবেন, সেই দুটো দলের গঠন প্রক্রিয়া ও সেই প্রক্রিয়া চলাকালীন নানা রাজনৈতিক জটিলতার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এই পর্বের নির্মাতা ছিলেন হ্যামিংওয়ে।
চতুর্থ পর্ব – ‘হান্ড্রেড পার্সেন্ট নট গিল্টি’
সিম্পসন যে আফ্রিকান-আমেরিকান ছিলেন তা এতক্ষণে আপনার জেনে যাবার কথা। আর এই পর্বের মুখ্য বিষয় ছিল বর্ণবাদ ও সেটি কীভাবে আদালতের জুরি বোর্ডের মধ্যে পক্ষপাতিত্বের সৃষ্টি করে সেটা। এটাও হ্যামিংওয়ে পরিচালনা করেন।
পঞ্চম পর্ব – ‘দ্য রেস কার্ড’
এই পর্বে বিপক্ষ দলের আইনবিদদের মধ্যে আসনের পরিবর্তনের নানা ছলাকলা দেখানো হয় যা কি না মামলার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে বেশ কার্যকরী অবদান রাখবে বলে সেই মুহূর্তে ধারণা করা হয়েছিল। সিংগেলটোন এই পর্বটি পরিচালনা করেছিলেন।
ষষ্ঠ পর্ব – ‘ মার্সিয়া, মার্সিয়া, মার্সিয়া’
“আহ মার্সিয়া, বাহ মার্সিয়া!” এই এক মানবীই যেন পুরো মামলার নক্ষত্রগতি বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রেখেছিলেন। তিনি যেমন বুদ্ধিমতী ছিলেন, ঠিক তেমন দূরদর্শীও ছিলেন। এই পর্বে তার ব্যক্তিগত জীবনকেও দেখানো হয়। পর্বটির নির্দেশক ছিলেন মারফি।
সপ্তম পর্ব – ‘কন্সপাইরেসি থিওরিস’
ধীরে ধীরে মামলা জটিল হয়ে উঠছিল। সিম্পসনের সবথেকে ঘনিষ্ঠ বন্ধুও তার প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলতে শুরু করেছিল। এটা হ্যামিংওয়ের নির্মিত।
অষ্টম পর্ব – ‘আ জুরি ইন জেল’
গল্প তখন জমে পুরো ক্ষীর। প্রতিটি দৃশ্যেই যেন একেকটি মাথা ঘুরিয়ে দেওয়া কথা বেফাঁস হয়ে চোখের সামনে ভেসে উঠবে। বিপক্ষ দল তখন ভালোই ঢাল তলোয়ার নিয়ে মাঠে নেমেছিল। একে একে অনেক জুরি বোর্ডের সদস্যেরই সিম্পসনের সাথে নানাভাবে সম্পৃক্ততা অথবা নানা মিথ্যার আশ্রয় নেওয়ার বাতিক আদালতে ধরা পড়ে যাচ্ছিল। হ্যামিংওয়ে আবারো চমৎকার আরেকটি পর্ব উপহার দিয়েছিলেন।
নবম পর্ব – ‘ম্যানা ফ্রম হেভেন’
এই পর্বে বাদি পক্ষের আইনবিদদের জয়জয়কারের গল্প তুলে ধরা হয়েছে। এই পর্বতের প্রতিটি মিনিট ছিল একদম শ্বাসরুদ্ধকর। এটাও হ্যামিংওয়ে নির্মাণ করেছিলেন।
দশম/ শেষ পর্ব – ‘দ্য ভার্ডিক্ট’
অতঃপর সিম্পসনের বিরুদ্ধে এক বছরের বেশি সময় ধরে চলতে থাকা মামলাটি একটি চূড়ান্ত রায়ে পৌঁছায়। শুধু সিম্পসনের জীবনই নয়, এই রায় পাল্টে দিয়েছিল এই মামলার সাথে জড়িত থাকা সকল মানুষের জীবন ও আইনের প্রতি তাদের সম্মানবোধ ও মানবিকতার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি। রায়ান মারফি হাত ধরেই সিজনটির সমাপ্তি ঘটেছিল।
সিরিজটির প্রথম সিজন নিয়ে তো অনেক কথাই বলা হলো। এবার দেখবেন কি না দেখবেন, সেটার গুরুভার আপনাদের হাতেই ছেড়ে দেওয়াটাই যুক্তিসংগত। সামনে সিরিজটির দ্বিতীয় সিজন নিয়ে বিস্তারিত রিভিউ আসবে। সেই রিভিউয়ের অপেক্ষায় না থেকে বরং এক্ষুনি প্রথম সিজন চটজলদি নামিয়ে দেখে নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে!
ফিচার ইমেজ: pisanepopijaku.pl