ভ্যাটিকান নগরী। গুপ্তসংঘ ইলুমিনাতির পুনরুত্থান। চার বিজ্ঞানীর অপহরণ। পোপের অকাল মৃত্যু। বিজ্ঞানের চরমতম উদ্ভাবন- এক ভয়ংকর মারণাস্ত্র। আর, চরম বিপদের মাঝে সত্য উদঘাটনে ছুটে চলা এক জ্ঞানী প্রফেসরের অভিযান। এ নিয়ে জমজমাট এক কাহিনী- Angels & Demons যা কিনা ড্যান ব্রাউনের রবার্ট ল্যাংডন সিরিজের প্রথম বই। ইলুমিনাতির হাতেখড়ি অনেকের এ বইয়ের হাত ধরেই। কিন্তু আপনি জানেন কি, এই বইতে রয়েছে অনেকগুলো ভুল? চলুন জেনে নিই কী কী ভুলকে সত্য বলে পাঠকদের বিশ্বাস করিয়ে ফেলেছেন ড্যান ব্রাউন।
দ্য ডা ভিঞ্চি কোডের ভুলগুলো নিয়ে পড়বার পর অনেক পাঠক অনুরোধ করেন এইঞ্জেলস অ্যান্ড ডিমন্স নিয়েও একটা পর্ব করতে। পাঠকদের অনুরোধ রাখতেই আমাদের আজকের আয়োজন।
ড্যান ব্রাউনের অন্যান্য বইয়ের মতোই এখানেও শুরুতে বলে দেওয়া হয়েছে, “All descriptions of artwork, architecture, documents, and secret rituals in this novel are accurate.” অর্থাৎ, “এ উপন্যাসে বর্ণিত সকল চিত্রকলা, স্থাপত্য, নথি এবং গোপন প্রথা সত্য।” আসলেই কি তা-ই? আমরা একে একে দাবিগুলো পরীক্ষা করে দেখব। আমরা ধরে নিচ্ছি পাঠক ইতোমধ্যে এই বইটি পড়বার পরেই এই লেখাটা পড়ছেন।
দাবি-১ঃ
ইলুমিনাতির সদস্য ছিলেন গ্যালিলিও গ্যালিলি।
সত্যতাঃ
এটা একটা ভয়ংকর ভুল। গ্যালিলিও এর মৃত্যু হয়েছে ১৬৪২ সালের জানুয়ারি মাসে। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, ইলুমিনাতির প্রতিষ্ঠা হয় ১৭৭৬ সালের পহেলা মে। তাহলে কী করে গ্যালিলিও এর সদস্য হন?
ঘটনার শুরু বলা চলে জার্মানির দক্ষিণপূর্বের রাজ্য ব্যাভারিয়াতে। ব্যাভারিয়া আবার জার্মানির বৃহত্তম রাজ্য (যার রাজধানী মিউনিখ)। সেখানের ইঙ্গলস্ট্যাড ইউনিভার্সিটির খ্রিস্টীয় আইন ও ব্যবহারিক দর্শনবিদ্যার প্রফেসর ছিলেন অ্যাডাম ওয়েইশপ্ট [Adam Weishaupt] (1748–1830)। ইউনিভার্সিটি তখন সম্পূর্ণই জেসুইট প্রভাবে, অর্থাৎ পুরোই খ্রিস্টীয় আইনকানুন মেনে চলে। যে কেউ যার কিনা খ্রিস্টধর্মের প্রতি আনুগত্য কিছুটা কম তাকেই পোহাতে হত নানা সমস্যা। অ্যাডাম তখন চিন্তা করলেন এমন এক গুপ্ত সংঘের যার মাধ্যমে তিনি “আলোকায়ন” (এনলাইটেনমেন্ট) করতে পারবেন। আর এ গুপ্ত সংঘের সদস্য হবেন একদম চূড়ান্ত পর্যায়ের যারা বুদ্ধিজীবী, তারাই।
তখন কিন্তু আরেক গুপ্ত সংঘ ইতোমধ্যে ছিল, যার নাম ফ্রিমেসনরি। [ফ্রিমেসনদের নিয়ে কথা হবে আরেক পর্বে, আশা রাখি।] কিন্তু অ্যাডাম দেখলেন ফ্রিমেসনদের সাথে যোগ দেয়াটা অনেক খরচের ব্যাপার। তাছাড়া তার নিজের ধ্যান-ধারণার সাথে তেমন যায়ও না। তাই তিনি নিজের ধ্যান-ধারণা মোতাবেক এক সংঘ খুলে বসার পরিকল্পনা করলেন, আর তাতে থাকবে ফ্রিমেসনদের মতন ধাপে ধাপে উর্ধ্ব র্যাংকিং এ উঠবার সিস্টেম। প্রথমে তিনি তার সংঘের নাম রাখলেন “Bund der Perfektibilisten”, or “Covenant of Perfectibility”; কিন্তু এই কিম্ভূতকিমাকার নাম তার নিজেরই পছন্দ হলো না।
মে মাসের ১ তারিখ। সালটা ১৭৭৬। সেদিন অ্যাডাম আর তার চার ছাত্র মিলে এই সংঘ শুরু করলেন। আর সংঘের প্রতীক হলো গ্রিক জ্ঞানদেবী মিনারভার পেঁচা।
ইলুমিনাতির ইতিহাস আর পর্যালোচনা জানতে চাইলে এখানে ক্লিক করে পড়ে নিতে পারেন আমাদের অন্য এক পোস্ট থেকে। আমরা বরং অন্য ভুলগুলো নিয়ে কথা বলি এখন।
দাবি-২ঃ
কোপার্নিকাসকে চার্চ খুন করেছিল। কারণ তিনি বাইবেলের বিপরীতে কথা বলেছিলেন।
সত্যতাঃ
১৫৪২ সালে নিকোলাস কোপার্নিকাস স্ট্রোক করে প্যারালাইজড হয়ে যান। পরের বছরের ২৪ মে তিনি ৭০ বছর বয়সে মারা যান। চার্চের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই।
দাবি-৩ঃ
রবার্ট ল্যাংডন তাঁর লেকচারে বললেন, খ্রিস্টানদের Communion প্রথা এসেছে অ্যাজটেক সভ্যতা থেকে।
সত্যতাঃ
চার্চের অনুষ্ঠানে কিংবা কখনো নিজ বাসাতেই খ্রিস্টানদের এক টুকরো রুটি আর এক চুমুক ওয়াইন পান করার মধ্য দিয়ে যীশুর ‘লাস্ট সাপার’ স্মরণ করার প্রথা হলো Communion. মোটামুটি প্রথম শতক থেকেই এটা চলে আসছে। কিন্তু অ্যাজটেক সভ্যতা শিখরে উঠেছে ত্রয়োদশ শতকে। আর অ্যাজটেকরা থাকতো মধ্য আমেরিকাতে, সেখানে পঞ্চদশ শতকের আগে ইউরোপীয়রা যায়নি, তাহলে কমিউনিয়ন কীভাবে তাদের থেকে আসে?
দাবি-৪ঃ
রাফায়েলের লাশ প্যান্থিয়নে আনা হয়েছে ১৭৫৮ সালে। আগে ছিল আরবিনো-তে।
সত্যতাঃ
এটা গল্পের প্রয়োজনে মিথ্যা। আসলে, এখানেই সবসময় লাশ ছিল। এই বইয়ের এ মিথ্যা তথ্যের প্রতিবাদে পরবর্তীতে সমাধির সামনে কর্তৃপক্ষ নোটিশ লাগিয়ে দেয় যে, লাশ এখানেই ছিল সর্বদা।
দাবি-৫ঃ
Rhodes Scholarships চালু করে ইলুমিনাতিরা যেন বিশ্বের মেধাবীদের ইলুমিনাতিতে আনা যায়।
সত্যতাঃ
Cecil Rhodes এর মৃত্যুর পর ১৯০২ সালে এই স্কলারশিপ প্রতিষ্ঠা হয়, এর সাথে ইলুমিনাতির কোনো সম্পর্ক নেই।
দাবি-৬ঃ
Swiss গার্ডরা পঞ্চদশ শতকে খ্রিস্টান ক্রুসেডারদের রক্ষা করতে অসংখ্য মুসলিমকে শিরশ্ছেদ করে।
সত্যতাঃ
একই সাথে দুটো ভুল। ক্রুসেড শেষ হয়েছিল ১২৭০ সালে। পঞ্চদশ শতকে ক্রুসেড এলো কী করে। আর সুইস গার্ড প্রতিষ্ঠা হয় ষোড়শ শতকে (১৫০৬)।
দাবি-৭ঃ
১৬৬৮ সালে চার্চ চার ইলুমিনাতি বিজ্ঞানীকে অপহরণ করে, অত্যাচার করে ও এরপর হত্যা করে।
সত্যতাঃ
আগেই বলা হয়েছে ১৭৭৬ সালে ইলুমিনাতি এসেছে। তার ১০০ বছর আগে এরকম একটা ঘটনা হতে পারে না। La Purga নামের এই ঘটনা সম্পূর্ণ ড্যান ব্রাউনের কল্পনাপ্রসূত ও কাল্পনিক ইতিহাস।
দাবি-৮ঃ
বার্নিনির চার নদীর ফোয়ারা মূলত ‘ওল্ড ওয়ার্ল্ড’ এর চার নদীকে উৎসর্গ করে নির্মিত। নদীগুলো হলো- নীলনদ, গঙ্গা, দানিউব ও রিও প্লাটা।
সত্যতাঃ
ভুল। রিও দে লা প্লাটা নদীটি আদৌ পুরাতন বিশ্ব বা ওল্ড ওয়ার্ল্ডে নয়। এটি নিউ ওয়ার্ল্ডে, অর্থাৎ আমেরিকাতে। দক্ষিণ আমেরিকার উরুগুয়ে ও আর্জেন্টিনার মাঝখানে।
দাবি-৯ঃ
সেন্ট পিটার্স বাসিলিকা মূলত ভ্যাটিকান মিউজিয়ামের অন্তর্গত।
সত্যতাঃ
সত্যি বলতে, সেন্ট পিটার্স বাসিলিকা মিউজিয়ামের বাইরে অবস্থিত।
দাবি-১০ঃ
সেন্ট পিটার্স বাসিলিকাতে ১৪০টি মূর্তি আছে।
সত্যতাঃ
আদতে সেখানে মাত্র ১৩টি মূর্তি, যীশু ও তাঁর ১২ শিষ্যের মূর্তি।
দাবি-১১ঃ
রোমের Sant’Agnese in Agone বাসিলিকা চার্চটি Piazza Navona-র পূর্ব পাশে অবস্থিত।
সত্যতাঃ
আসলে এটি পশ্চিম পাশে অবস্থিত।
দাবি-১২ঃ
Piazza della Rotunda এর উত্তরে প্যান্থিয়ন অবস্থিত।
সত্যতাঃ
প্রকৃতপক্ষে এটি দক্ষিণে অবস্থিত।
দাবি-১৩ঃ
ভিত্তোরিয়া যখন অ্যান্টিম্যাটারের সংজ্ঞা বুঝাচ্ছিলেন তখন বললেন, “সবকিছুরই বিপরীত আছে। যেমন প্রোটনের উল্টো ইলেক্ট্রন।”
সত্যতাঃ
এখানে উপমাটা সঠিক নয়। প্রোটন এর অ্যান্টিম্যাটার হবে অ্যান্টিপ্রোটন। প্রোটন আর ইলেকট্রন দুটোই ম্যাটার। আর CERN তাদের ওয়েবসাইটের পরবর্তীতে FAQ পেজে জানায় যে, এই বইতে যেভাবে অ্যান্টিম্যাটার থেকে শক্তি উৎপন্ন ব্যাপারটা দেখানো হয়েছে বাস্তবে ওভাবে হয় না।
দাবি-১৪ঃ
CERN এ এক গ্রাম অ্যান্টিম্যাটার প্রস্তুত করা হয়েছে বলে দেখানো হয়।
সত্যতাঃ
বর্তমান প্রযুক্তি আর উৎপাদন ক্ষমতা আমলে আনলে, এই পরিমাণ অ্যান্টিম্যাটার প্রস্তুত করতে মাত্র ২ বিলিয়ন বছর সময় লাগবে।
দাবি ১৫ঃ
এডউইন হাবল ছিলেন হার্ভার্ডের জ্যোতির্বিদ।
সত্যতাঃ
হার্ভার্ডের সাথে হাবল মোটেই জড়িত ছিলেন না। তাঁর সাথে জড়িত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো University of Chicago আর The Queen’s College, Oxford.
দাবি ১৬ঃ
আমেরিকা থেকে ইউরোপে উড়ে আসার সময় পাইলট জানালো, ৬০ হাজার ফুট উঁচুতে ল্যাংডনের ওজন ৩০% কমে যাবে।
সত্যতাঃ
আসলে, তাঁর ওজন বড়জোর ০.৫৬% কমতে পারে। ৩০% মোটেও নয়!
দাবি ১৭ঃ
বিবিসি সুইচবোর্ড অপারেটর কল ধরবার আগে হাতের সিগারেটটা নিভিয়ে ফেললেন।
সত্যতাঃ
কয়েক দশক ধরে বিবিসির অফিসে কোনো সিগারেট খাওয়া হয় না। নিষিদ্ধ।
দাবি ১৮ঃ
Michelangelo স্বয়ং সুইস গার্ডদের ইউনিফর্ম ডিজাইন করে দিয়েছেন।
সত্যতাঃ
এটা একটা জনপ্রিয় ভুল ধারণা। আসলে তিনি কিছুই করেননি, আগের ইউনিফর্মের ক্ষেত্রেও না। বর্তমানের ইউনিফর্ম Commandant Jules Repond ১৯১০ থেকে ১৯২১ সালের মাঝে ডিজাইন করেছিলেন।
দাবি ১৯ঃ
সুইস গার্ড হবার জন্য ন্যূনতম উচ্চতা লাগবে ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি।
সত্যতাঃ
আসলে, ন্যূনতম উচ্চতা লাগে ১৭৪ সেন্টিমিটার, মানে প্রায় ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি।
দাবি ২০ঃ
Pope Alexander VII সমাহিত রয়েছেন Santa Maria del Popolo-তে।
সত্যতাঃ
আসলে তিনি সমাহিত রয়েছেন সেন্ট পিটার্স বাসিলিকাতে।
দাবি ২১ঃ
ভ্যাটিকালের সর্পিল সিঁড়ি ডিজাইন করেন Michelangelo।
সত্যতাঃ
এটা ভুল ধারণা। এর ডিজাইন করা হয় ১৯৩২ সালে, ডিজাইনার ছিলেন Giuseppe Momo।
দাবি ২২ঃ
১৮৫৭ সালে ভ্যাটিকানের নগ্ন মূর্তিগুলোর পুরুষাঙ্গ কেটে সরিয়ে ফেলা হয় (“Great Castration”)। ল্যাংডন ভাবছিলেন, ভ্যাটিকানের কোথাও হয়ত এরকম ভেঙে ফেলা পুরুষাঙ্গসমগ্র জমিয়ে রাখা আছে।
সত্যতাঃ
আসলে, এরকম করা হয়নি। বরং পাতা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল।
দাবি ২৩ঃ
চার্চিল ছিলেন একজন রোমান ক্যাথলিক।
সত্যতাঃ
চার্চিল ছিলেন চার্চ অফ ইংল্যান্ডের সদস্য। যদিও চার্চে যেতেন না তেমন।
দাবি ২৪ঃ
CERN এর প্রাইভেট এয়ারপোর্ট ও দুর্দান্ত X-33 স্পেসক্রাফট আছে।
সত্যতাঃ
আসলে সার্নের কোনো প্রাইভেট এয়ারপোর্ট ও এক্স-33 নেই। এক্স-33 কখনোই বাণিজ্যিকভাবে আসেনি।
দাবি ২৫ঃ
Hatha Yoga একটি বৌদ্ধ ধর্মীয় আর্ট।
সত্যতাঃ
এই Hatha Yoga বৌদ্ধ ধর্মেরও আগের। এটা সনাতন ধর্ম থেকে এসেছে।
দাবি ২৫ঃ
একটি ডালা সরিয়েই মৃত পোপের কালো জিহ্বা পর্যবেক্ষণ করা হয়।
সত্যতাঃ
পোপদেরকে সমাহিত করা হয় তিনটি ডালা লাগিয়ে, অর্থাৎ তিন স্তরের কফিনে।
দাবি ২৬ঃ
কার্ডিনালদের আলখাল্লা অন্য প্রিস্টদের মতোই কালো।
সত্যতাঃ
কার্ডিনালদের আলখাল্লা রক্তরঙা।
দাবি ২৭ঃ
ইতালীয় নাগরিক ভিত্তোরিয়া ভেত্রাকে তাঁর প্রিস্ট বাবা দত্তক নিয়েছিলেন।
সত্যতাঃ
ইতালীয় আইনে কোনো অবিবাহিত অভিভাবক কখনো দত্তক নিতে পারেন না। সুতরাং একজন প্রিস্ট আইনগতভাবে একটা মেয়েকে দত্তক নিয়ে নিজের surname তাকে দিতে পারেন না।
দাবি ২৮ঃ
ল্যাংডনের মতে, আমেরিকান মুদ্রাতে লেখা Novus Ordo Seclorum অর্থ ‘New Secular Order’
সত্যতাঃ
আসলে অর্থ হলো ‘New Order of the Ages’
এ ভুলগুলো ছাড়াও আরো ছোটখাটো ভুল রয়েছে উপন্যাসটিতে। কিন্তু একটি বড় ভুল হলো, বইয়ের শেষ দিকে চারটি ‘লোকেশন’-কে সরলরেখা দিয়ে দাগ কেটে যে ক্রস আঁকা হয়, সেটি বাস্তবে আসলে ওভাবে হয় না। কাহিনীর নাটকীয়তা আনবার জন্য এমনটা করা হয়েছে।
কিন্তু এত কিছু বাদ দিলেও কেবল উপন্যাস হিসেবে বইটি সুন্দর এবং শ্বাসরুদ্ধকর। অন্তত ল্যাংডন সিরিজে আমার প্রিয়তম বই। কিন্তু শেষ কথা এটাই যে, এরকম বই থেকে যেন ইতিহাস শিখতে যাওয়া না হয়। কেবল উপন্যাস হিসেবেই পড়া হোক। ইতিহাস শিখতে হবে ইতিহাস বই থেকে।
উপন্যাস থাকবে উপন্যাসের জায়গায় আর ইতিহাসের জায়গায় ইতিহাস।
featured image: blogspot