বড় হতে চাইতে নেই, মানুষ কখনো বড় হতে পারে না, শুধু বড় হওয়ার ভান করে, তারপর ভান করতে করতে মারা যায় একদিন। কেবল বয়স বাড়লেই মানুষের চোখে এসব ধরা পড়ে। তখন দেখতে পায় যে, বাজারের হারান মুচির যে যোগ্যতা আছে, তা বিদ্যাসাগরের নেই; আবার বিদ্যাসাগরের যে যোগ্যতা আছে তা হারানের নেই। কেউ কারো বড় নয়।
-ইমতিয়ার শামীম
১৯৯৬ সাল। বাংলা সাহিত্যের অমূল্যরতন সব সাহিত্যিকদের পদচারণায় ব্যস্ত বাংলাবাজার। মাওলা ব্রাদার্সের প্রকাশক আহমেদ মাহমুদুল হকের নিকট তরুণ এক লেখকের পাণ্ডুলিপি জমা হলো। বাংলা সাহিত্যের সবচাইতে একরোখা আর প্রশংসার ব্যাপারে নাকউঁচু স্বভাবের লোক আহমদ ছফাও পড়লেন সেই পাণ্ডুলিপি। দৈনিক বাংলাবাজার নামক পত্রিকায় আহমদ ছফার জন্য একটা কলাম বরাদ্দ ছিল আর সেখানেই তিনি লিখলেন এই তরুণ লেখক সম্পর্কে,
একদম আলাদা, নতুন …… আমাদের মতো বুড়োহাবড়া লেখকদের মধ্যে যা কস্মিনকালেও ছিল না।
তারপর সেই লেখকের হাত ধরেই এলো গ্রামায়নের ইতিকথা, আমরা হেঁটেছি যারা কিংবা আমাদের চিঠিযুগ, কুউউ ঝিকঝিক অথবা শীতের জ্যোৎস্নাজ্বলা বৃষ্টিরাতে বইগুলো। বাগিয়ে নিলেন আখতারুজ্জামান ইলিয়াস কথাসাহিত্য পুরস্কার, জীবনানন্দ সাহিত্য পুরস্কার এবং প্রথম আলো বর্ষসেরা পুরস্কার। সুপ্তাবস্থায় থাকা এই লেখকের দূরদর্শী বিকশিত হবার প্রবণতা দেখেই হয়তো আহমদ ছফা উপরের উক্তিটি পেশ করেছিলেন।
কথা বলছিলাম, লেখক ইমতিয়ার শামীমের প্রথম উপন্যাস ডানাকাটা হিমের ভেতর বইটির পূর্বকথন প্রসঙ্গে। এই উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি পড়েই আহমদ ছফা অমন উক্তি করেছিলেন। ১৯৯৬ সালে মাওলা ব্রাদার্স থেকে প্রকাশিত বইটির প্রচ্ছদশিল্পী ছিলেন ধ্রুব এষ। বলা বাহুল্যই, নব্বইয়ের দশকে প্রচ্ছদশিল্পী মানেই ধ্রুব এষের নামটাই সবার প্রথমে উঠে আসে। আর ধ্রুব এষ মানেই একদম সাদামাটা একটা প্রচ্ছদে গল্পের আবহটা ফুটিয়ে তোলা। এখানেও তা-ই। তবে পাঠক বইটার বাঁধাই নিয়ে অসন্তুষ্ট হতে পারেন। কেননা, হাতে নিয়ে পড়ার সময় বাঁধাই খুলে আসতে চায়। অবশ্য সব বইতে এমনটা নাও হতে পারে। প্রচ্ছদপট থেকে গল্পের সারাংশই নিম্নে তুলে ধরা হলো।
না মৃত কৃষ্ণচূড়ার গল্প নয়। আমি বলবো পারুল বোনের কথা। মৃত্যু শোকের বিপরীতে হিরণ্য উদ্ধারে প্রতিশ্রুত নদীতে ভাসুক বেহুলার ভেলা। রূপকথার ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হোক আমাদের আসন্ন দিনগুলি।
যামিনী রায়ের ছবির কোমল গৈরিকতা
আজো তো শান্তি হয়ে ঝরে। শ্বেতপদ্মে উদ্ভাসিত মায়াবোলকন।-রাজা হাসান/অনিকেত সংলাপ
নিজের গ্রাম এখন অনীকের কাছে ‘দূরগ্রাম, গ্রামের বাড়ি আর গ্রামের বাড়ির উঠোন’ বলেই মনে হয়। সেই গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসে বিরতিহীন দুর্ঘটনার মতো ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো অবলোকন করতে করতে সে নিজেই ঘটনার শিকার হয়ে পড়ে। সে দেখে, তার কৈশোরের বন্ধু আবির ও পৃথ্বী প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, বরং পরস্পরের শত্রু হিসেবে উপনীত। আবির রাজনৈতিক কর্মী ও মোহমুক্ত; পৃথ্বী এনজিও কর্মী বলে স্বার্থ দ্বারা প্রণোদিত। তাদের দ্বন্দ্ব দোলাচলের ফাঁক দিয়ে ধর্মের আলোয়ান গায়ে প্রবেশ করে মাওলানা রমিজ। বিনা বিরোধিতায় সে গ্রামটিকে ঠেলে দেয় মৃত্যু ও অগ্ন্যুৎপাতের দিকে।
ডানাকাটা হিমের ভেতর বাংলাদেশের প্রথম উপন্যাস, যেখানে এনজিওকে শনাক্ত করা হয়েছে একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে- সমাজ বৈজ্ঞানিক অর্থে তা প্রতিষ্ঠান, কিন্তু তার আত্মপ্রকাশ কখনো সামাজিক, কখনো অধিরাজনৈতিক। তাই গ্রাম রূপান্তরের ভূমিকায় তারা মাওলানা রমিজ বা হাশেম প্রামাণিকের কাছে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়ায় বটে, কিন্তু তাদের অঙ্গীভূত করার পাশাপাশি সমাজ বদলের রাজনীতিকে বশীভূত করতেও পিছপা হয় না। ফলত আবির ছাত্রদের ছেড়ে মরিয়া হয়ে ওঠে রিক্তামাতার দীঘিতে জেলেদের অধিকার অক্ষুণ্ণ রাখতে। আর অন্যদিকে তার শৈশবের সহপাঠিনী পৃথ্বী দৈবক্রমে এনজিও’র চাকরি সূত্রে তার বিরুদ্ধপক্ষ হয়ে দাঁড়ায়।
এসব কিছুর ভেতর অনীক কখনো রাজনীতি-নিস্পৃহ, কখনো নিঃস্পৃহতার খোলস ভেঙে সাধারণ মানুষের মতো প্রত্যাশিত। কিন্তু তার জীবনেও এমন বিকেল আসে, এমন সন্ধ্যা আসে যে বিকেল ও সন্ধ্যা পেরিয়ে সে প্রবেশ করে উন্মূল এক রাতের ভেতর। উন্মূল রাতে নিজের আকস্মিক উদঘাটনে হতবিহ্বল অনীক আবিরদের পার্টির দোলাচলকে ঠেলে নিজেই নেতৃত্ব দেয় জেলেদের। রাজনীতির ফাঁক-ফোকর না জানা অনীককে বেঁধে ফেলে অদৃশ্য আইন। আবির পালিয়ে যায়।
যে পৃথ্বীকে ভালোবেসে না বেসে অচ্ছ্যুত স্পর্শ থেকে আড়াল করে রেখেছিল অনীক, সেই পৃথ্বীও অতঃপর অনন্ত মৃত্যুর মত অনঙ্গ-স্পর্শে কেঁপে উঠতে থাকে। তারপর সব গল্প হয়ে যায়…গল্প হওয়ার ভেতর দিয়ে সেই গল্প তৈরি করে নীলকমল লালকমলের বিভ্রম, রূপকথার মোহাচ্ছন্ন প্রাচীনতা।
মানুষের কৃতিত্ব এই যে সে একই সঙ্গে অনেক রকম চিন্তা করতে পারে।
-ইমতিয়ার শামীম
১৯৬৫ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারি গল্পকার, ঔপন্যাসিক এবং প্রাবন্ধিক ইমতিয়ার শামীমের জন্ম। পৈতৃক নিবাস সিরাজগঞ্জে, আর সেজন্যই কলেজ অবধি পড়ালেখাটাও সেখানে হয়েছে। পরবর্তী সময়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। কর্মজীবনের শুরুটা হয় দৈনিক আজাদ পত্রিকার সাব এডিটর হিসেবে। এরপর একে একে দৈনিক ভোরের কাগজ, দৈনিক জনকণ্ঠ এবং দৈনিক আমাদের সময়সহ বেশ কিছু পত্র-পত্রিকাতেই কাজ করেছেন। আর সে সুবাদেই বর্তমানে দৈনিক সমকালের সাথে যুক্ত আছেন।
১৯৯৬ সালে তার দু’টি গ্রন্থ একত্রে প্রকাশ পায়। প্রথমে উপন্যাস ডানাকাটা হিমের ভেতর এবং তারপর গল্পগ্রন্থ শীতঘুমে একজীবন। উপন্যাস, গল্পগ্রন্থ, প্রবন্ধ এবং শিশুসাহিত্য- সব মিলিয়ে তার মোট প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ২৪টি। ২০১২ সালে মৃত্যুগন্ধী বিকেলে সুশীল সঙ্গীতানুষ্ঠান বইটির জন্যে বাংলার পাঠশালা থেকে পেয়েছেন আখতারুজ্জামান ইলিয়াস সাহিত্য পুরস্কার। ২০১৪ সালে সাহিত্যে অবদান রাখার জন্য ধানসিঁড়ির পক্ষ থেকে পেয়েছেন জীবনানন্দ সাহিত্য পুরস্কার। এবং ২০১৬ সালে তার গল্পগ্রন্থ শীতের জ্যোৎস্নাজ্বলা বৃষ্টিরাতে বইটি সাহিত্যের সৃজনশীল শাখায় প্রথম আলোর বর্ষ সেরা পুরস্কার পায়।
মানুষ যে বিয়ে সঙ্গী নিয়ে আসে, আজীবন সে শেয়ার করে- একথার মূল্য কতটুকু? যদি নিজেকে নিজের সঙ্গেই শেয়ার করতে হয় তাহলে অত বেশি স্মৃতিতপ্ত হব কেন? কেন সন্তান-স্বজন দূরে সরে যাওয়ার পরে হঠাৎ করে তার ব্যবহার্য জিনিসপত্র দেখে নিজের ভেতরে ভেতরে ক্ষরিত হব?
-ইমতিয়ার শামীম
ইমতিয়ার শামীমের লেখার আর আট/দশজন লেখকের মতো নয়। একদমই নতুন, একদমই ব্যতিক্রমী এবং একদমই আলাদা ধরনের। সচরাচর এরকম গদ্যকাব্য মিশ্রিত লেখা চোখে পড়ে না। আবার, একইসাথে অতি উচ্চ সাহিত্যভাবনার বিচরণ লক্ষ করা যায় প্রতিটি লাইনে। এমনকি এমনও হতে পারে যে, পাঠক উপন্যাস পড়ে বাংলা সাহিত্যের কিছু নতুন শব্দের সাথেও পরিচিত হতে পারে। এর চাইতে বেশি যা, তা হচ্ছে, উন্মূল হয়ে যাওয়া বাংলা সাহিত্যের লেখনীর একটা ধারা পাঠককে প্রবলতায় আকৃষ্ট করবে। খুব সাধারণ একটি বাক্যের বিবৃতি যখন ইমতিয়ার শামীম তার স্বতন্ত্রধারা বজায় রেখে লেখেন, তখন বিবৃতিটা অনেকটা এমনই হয় –
তার ক্লান্ত কণ্ঠস্বর শুনে তিথি আর অনীক বুঝতে পারে দিনের ক্লান্তি নয়, বয়সের ক্লান্তি দাদীর কণ্ঠকে ভারি করে তুলেছে। যে কথা ছিল এতদিন চাপা পড়া কয়লার মত গহীন মাটির তলে, একটু একটু করে আগুনের আঁচ বিস্তৃত হচ্ছে সেই কয়লা ঘিরে। কালো কয়লা নিজেরই সুপ্ত তাপে লাল থেকে লাল হয়ে নিজেকে নয় চারপাশকেও সুপ্ত দহনের কথা জানিয়ে যাচ্ছে অগ্নির স্নেহ-প্রেমে। সে গ্রামও ছিল আগুনপ্রেমী। জ্বলেপুড়ে ছাই হচ্ছে তৃণকাশের বন,- এই দেখে দেখে সময় কেটেছে ছোটবেলার দাদীর।
কিছু শব্দগত ভুল খুঁজে বের করা ছাড়া তেমন কোনো ভুল ধরার যোগ্যতা অর্জন করা সম্ভব হয়নি এমন লেখনীর বিপরীতে দাঁড়িয়েও। তবে হ্যাঁ, শুরুর দিককার প্রথম কয়েক পাতা কিংবা মূল গল্পে ঢোকার আগ অবধি আমারই মতো পাঠকেরও বিভ্রান্তি বা বিরক্তি ধরতে পারে। এর কারণ হতে পারে যে, প্রথমবারের মতো এমন লেখনীর সংস্পর্শে আসার ফলাফল। কিংবা হতে পারে, আসলেই ঐ জায়গাটুকু রুক্ষ। তবে পরবর্তী সময়ে রুক্ষতা তরলের মতো এগিয়েছে গল্প আর উপাত্তকে সঙ্গী বানিয়ে। সেক্ষেত্রে পড়তে পাঠকের সমস্যা হবার কথা নয়, বরং আরামবোধ হবার কথা। তাই বলা যায়, প্রথম দিকে শ্লথ গতিসম্পন্ন মনে হলেও পরবর্তী সময়ে এমন লেখনী ত্বরিত গতির মুখ্য কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। অন্তত তেমনটা অনুভূত হয়েছে বইটার শেষে।
ডানাকাটা হিমের ভেতর বইটিতে ইমতিয়ার শামীম ফুটিয়ে তুলেছেন গ্রামীণ জীবনে এনজিও নামক শোষণের এক সামাজিক কারখানাকে। যে কারখানায় সমাজের উন্নয়নের সচিত্র প্রতিবেদন দেখিয়ে ক্ষমতাশীল একদল শুধু সমাজই নয়, বরং সমাজের মানুষগুলোকেও কুক্ষিগত করে রাখে। এমনকি গ্রামের একমাত্র দীঘি, যার জন্য দু’বেলা পেট পুরে খেতে পায় জেলেরা- সেটিও নিজেদের আয়ত্ত্বে নিয়ে নিতে চায়। তাই, সেই সামাজিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দাঁড়ায় স্বপ্নবাজ একদল বামপন্থী তরুণ যুবকের দল। তারা স্বৈরশাসনের অবসানের মধ্য দিয়ে আবারো নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শিখেছে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার। সেই তরুণদের সাথে নিজেদের সর্বস্বটা উজাড় করে দাঁড়ায় জেলের দলও। তাদের কাছে আদিম সেই মাছ ধরার নেশা ও পেশা দুই-ই এখনো অপরিবর্তনীয়।
কিন্তু দীঘির অপর পাড়ে সামাজিক প্রতিষ্ঠানের ভাঁড় হিসেবে দাঁড়ায় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, মাওলানা রমিজ কিংবা হাশেম প্রামাণিকের মতো চাটুকারের দল। তাদের কাছে যেন নিজের স্বার্থে ধর্ম বিক্রি করাও জায়েজ। অথচ নারীর ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠা করা সেই সামাজিক প্রতিষ্ঠান এনজিওতে নিজেদের ঘরের নারীর পদার্পণ মুশরিকের শামিল। আর এর মধ্যে ভালোবাসার মোহে আবিষ্ট হয়ে অন্যের অধিকার নিজের কাঁধে তুলে নেয়ার ফলস্বরূপ অনীকদের মতো বিভ্রান্ত যুবকরা কেবল গরাদের শিক ভেদ করে আসা সূর্যের আলোয় নিজেকে খোঁজে। এভাবেই ইমতিয়ার শামীমের সব কথা তারপর সব গল্প হয়ে যায়…
বই: ডানাকাটা হিমের ভেতর
লেখক: ইমতিয়ার শামীম
প্রকাশনী: মাওলা ব্রাদার্স
প্রচ্ছদশিল্পী: ধ্রুব এষ
বইয়ের বাছাইকৃত কিছু উক্তি
কান্নার মধ্যে নারীর যে অনুভব, কান্নার মধ্যে নারীর যে শরীরী বেদন কিংবা শরীরী রূপান্তর তা তাকে ছিন্নভিন্ন করে দিতে থাকে। শরীরী বিপর্যয়ের সঙ্গে মিশে থাকা অসহায়তা ও নিরুপায়তা কান্নার অনুষঙ্গে উচ্চকিত করতে থাকে অবচেতন মানসগঠন। মানুষ যে জেগে ওঠে, দেখে নিজের পুরুষার্থতা বিপরীত আদলকে ক্রমআগ্রাসনের শিকার করে তা-ও তার অবচেতনেই লুকিয়ে থাকে। তাহলে অবচেতনের সত্ত্বাও কি দ্বিধাবিভক্ত? – ইমতিয়ার শামীম
তাহলে কেন মানুষ গল্প-উপন্যাসে পরকীয়া কাহিনী ভালবাসে আবার বাস্তবে চোখের সামনে সেসব দেখতে পেলে কুঁকড়ে ওঠে ঘৃণায়? এভাবে মানুষ কি তার আদি স্বভাবের ভগ্নাংশ রেখে দেয় না নিজের ভেতরে? আবার তাকেই লোকগ্রাহ্যতা দিতে গিয়ে চিহ্নিত করে না বিকৃত বলে? -ইমতিয়ার শামীম
‘সততা’ শব্দটার ইংরেজি অভিধানের ‘ডার্টি ওয়ার্ড’। ওটাকে নাকচ করতে পেরেছিল বলেই রাজত্ব চলে যাওয়ার পরেও ইংরেজরাই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সুসভ্য জাতি। আর তাছাড়া, সততা আর সাফল্য বোধহয় ঠিক মেলে না। শত্রু তারা পরস্পরের। একটু অসৎ তো হতেই হবে। আর অসৎইবা বলা হবে কেন? সৎ থাকা মানে তো নিজের বিবেকের কাছে সৎ থাকা। -ইমতিয়ার শামীম
এই লিংকে আলোচ্য বইটি ছাড়াও ইমতিয়ার শামীমের সকল বই পাবেন আপনারা।
বই ও সিনেমা সম্পর্কিত চমৎকার সব রিভিউ আমাদের সাথে লিখতে আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন এই লিঙ্কে: https://roar.media/contribute/