‘গল্পের জাদুকর’ হিসেবে পরিচিত হুমায়ূন আহমেদ লেখক হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও তিনি শুধু বইয়ের জগতে সীমাবদ্ধ ছিলেন না। চিত্রনাট্যকার, গীতিকার ও চলচ্চিত্রকার হিসেবেও তার সুনাম ছিল। তিনি যে ক’টি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন, তার সব ক’টিই তাঁর নিজের লেখা বই বা গল্পনির্ভর। প্রত্যেকটি সিনেমাই সব বয়সী মানুষের দেখার জন্য উপযুক্ত, পরিবার পরিজনের সাথে দেখার জন্য মানানসই। সিনেমাগুলোর গল্প, গান, সংলাপ সবকিছুই উপভোগ্য এবং রুচিশীল।
আজকের লেখাটি হুমায়ূন আহমেদের লিখিত-পরিচালিত সেই ৮ টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নিয়ে।
১. আগুনের পরশমণি (১৯৯৫)
প্রথম সিনেমা ‘আগুনের পরশমণি’ দিয়েই পরিচালক হিসেবে সবার নজরে আসেন হুমায়ূন আহমেদ। তাঁর লেখা একই নামের উপন্যাসের উপর তৈরি সিনেমাটি। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় এক সরকারি কর্মকর্তা একজন মুক্তিযোদ্ধাকে তাদের বাড়িতে আশ্রয় দেন। ধীরে ধীরে, সেই মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যদের সাথে মুক্তিযোদ্ধার ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্মান ও ভালোবাসার সম্পর্কগুলো নিয়েই এই সিনেমার কাহিনীসূত্র।
সিনেমাটিতে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের পাকসেনাদের নৃশংসতা, মুক্তিবাহিনীর গেরিলা অপারেশন, সাধারণ মানুষের আতঙ্ক- সবকিছু বাস্তবরূপে প্রদর্শিত হয়েছে। যুদ্ধের সময় কিছু মানুষের কপটতা ও ভণ্ডামি, আবার কিছু মানুষের সরলতা ও সুবিচার; পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষিত মানুষদের মধ্যে যুদ্ধ নিয়ে মতভেদের বিষয়টিও নির্মাতা বড় পর্দায় দেখিয়েছেন।
‘আগুনের পরশমণি’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন আসাদুজ্জামান নূর (মুক্তিযোদ্ধার চরিত্রে), বিপাশা হায়াত, আবুল হায়াত, ডলি জহুর, শিলা আহমেদসহ আরো অনেক খ্যাত অভিনেতা ও অভিনেত্রী।
পরিচালনা, অভিনয়, সংলাপ রচনা, সঙ্গীত পরিচালনা সবকিছুর জন্যই প্রশংসিত ‘আগুনের পরশমণি’ ১৯তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ৮টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার অর্জন করে। নিঃসন্দেহে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে এই সিনেমাটির স্থান শীর্ষ পর্যায়ে।
২. শ্রাবণ মেঘের দিন (১৯৯৯)
‘সোহাগী’ নামের এক ছোট গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও গ্রামের মানুষের অতীব সাধারণ জীবনযাপন নিয়ে তৈরি চলচ্চিত্রটি। দুই বোন শাহানা ও নিতুর দাদার এবং বাবার মতাদর্শে ভিন্নতা থাকায় পরিবারে রয়েছে অনেক জটিলতা। তাই ঢাকা থেকে দুই বোন মা-বাবা ছাড়াই একসাথে দাদার সাথে দেখা করতে সোহাগীতে আসে।
সিনেমায় শহরের মানুষের চোখে গ্রামের সরলতা, গ্রামের সবার মধ্যে বন্ধন এবং সহযোগিতা দেখানো হয়েছে। এছাড়াও, নৌকা ভ্রমণ, মাঝির গান, যাত্রাপালা, আঞ্চলিক গানের দল ইত্যাদি গ্রামের সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়েছে। শহরের মানুষ গ্রামের জীবনধারা দেখে যেমন বিস্মিত, ঠিক তেমনই গ্রামের মানুষ শহর থেকে আসা মানুষদের চাল-চলন দেখে অবাক।
এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন মুক্তা, জাহিদ হাসান, মেহের আফরোজ শাওন ও মাহফুজ আহমেদ। প্রত্যেকের সাবলীল অভিনয় যেন গ্রামের জীবনকে বাস্তবরূপ দিয়েছে।
সিনেমায় গীতিকার হিসেবে হুমায়ূন আহমেদ নাম কামান তাঁর লেখা ‘একটা ছিল সোনার কন্যা মেঘ বরণ কেশ’ গানটি দিয়ে। এছাড়া উকিল মুন্সীর লেখা এবং বারী সিদ্দিকীর গাওয়া অনেকগুলো বহুল জনপ্রিয় গান এই সিনেমায় ব্যবহার করা হয়েছে। ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ সিনেমাটি ৭টি ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে।
৩. দুই দুয়ারী (২০০০)
‘আগুনের পরশমণি’ ও ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ এর পর হুমায়ূন আহমেদ তৈরি করেন ‘দুই দুয়ারী’। তাঁর তৈরি প্রথম দুটি সিনেমা থেকে এই সিনেমাটি অনেক দিক দিয়ে আলাদা। তৎকালীন ঢাকা শহরের প্রেক্ষাপটে তৈরি চলচ্চিত্রটি হালকা, রহস্যময় এবং হাস্যকর। এই সিনেমার মাধ্যমে নির্মাতা বলতে চেয়েছেন সবসময় সবকিছুর উত্তর থাকে না। জীবন ম্যাজিকাল এবং এই সত্যটা মেনে নিলেই জীবন আরো উপভোগ্য হয়ে উঠবে!
সিনেমাটির শেষের দুটি লাইন হলো, “We must believe in magic. If you believe in magic, you have the universe at your command.”
দুই দুয়ারী’ সিনেমার শুরুতে দেখা যায়, একজন লোক গাড়ি দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে স্মৃতিশক্তি হারান, তখন সেই গাড়ির মালিক লোকটিকে তার বাড়িতে আশ্রয় দেন। এই মানুষকে বাড়ির সবাই ডাকে ‘রহস্যমানব’ (অভিনয় করেছেন রিয়াজ)। সাদা ক্যাপ পরা এই ছেলেটি আসার পরে যেন জাদুর মতো একের পর এক বাসার লোকজনের মধ্যে নানারকম পারিবারিক সমস্যার সমাধান হয়।
অসাধারণ অভিনয়ের জন্য অভিনেতা রিয়াজ তার প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান এই সিনেমার শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করে। অভিনয় করেছেন মেহের আফরোজ শাওন, মাহফুজ আহমেদ, ডা. এজাজসহ আরো অনেকে। রুনা লায়লার কন্ঠে জনপ্রিয় ‘লীলাবালী লীলাবালী’ গানটি দুই দুয়ারী সিনেমার অংশ।
৪. চন্দ্রকথা (২০০৩)
ধন-সম্পদ আগের মতো না থাকলেও পূর্বপুরুষের অহংকার ধারণ করা একজন গ্রামের জমিদারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন আসাদুজ্জামান নূর। সেই গ্রামের একজন অল্পবয়সী মেয়ের নাম চন্দ্র (অভিনয়ে মেহের আফরোজ শাওন)। এই চন্দ্রকে ঘিরেই তৈরি হয় ‘চন্দ্রকথা’।
হাস্যোজ্জ্বল চন্দ্র আর নির্বিকার জহিরের ভালোবাসার গল্প শুরু হওয়ার আগেই যেন শেষ হয়ে যায়। গ্রামের সবাই চন্দ্রের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুললে মেয়ের সম্মান রক্ষার্থে বাধ্য হয়ে বয়স্ক জমিদারের সাথে চন্দ্রের বিয়েতে রাজি হন চন্দ্রের মা। মানসিকভাবে অসুস্থ জমিদারের বিশ্বাস, পৃথিবীর সবকিছু হবে সুন্দর, কুৎসিত কিছুর স্থান পৃথিবীতে নেই। বিত্তবান পরিবারের কর্তাকে বিয়ের পর চন্দ্রের জীবনে আসে নানা রকম উদ্ভট ও মাত্রাতিরিক্ত বিধিনিষেধ। যে চন্দ্র সারাদিন বাইরে ঘুরে বেড়াত, সে এখন একটা ছোট সীমানায় বন্দী। পান থেকে চুন খসলেই নির্মম শাস্তি পেতে হয় চন্দ্রকে, কিন্তু মুখ বুজে সহ্য করে যেতে হয় সবকিছু।
হুমায়ূন আহমেদের লেখা ও সুবীর নন্দীর গাওয়া এই সিনেমার ‘ও আমার উড়াল পঙ্খীরে’ গানটি বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় গানগুলোর একটি।
৫. শ্যামল ছায়া (২০০৪)
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে তৈরি হুমায়ূন আহমেদের দ্বিতীয় সিনেমা ‘শ্যামল ছায়া’। যুদ্ধকালে পশ্চিম পাকিস্তানি সেনাদের হাত থেকে বাঁচতে, এক গ্রামের কয়েকজন মানুষ ইঞ্জিনচালিত নৌকা ভাড়া করে গ্রাম ছেড়ে চলে যায়। জীবন বাঁচাতে এক নৌকায় আশ্রয় নেওয়া বিভিন্ন ধর্মের, বিভিন্ন বয়সের এবং নানা মানসিকতার মানুষগুলোকে নিয়ে তৈরি এই সিনেমাটি।
নৌকার মানুষগুলোর রাজনৈতিক মতামত ও ধর্মীয় সমালোচনায় অনেক পার্থক্য থাকায়, তাদের কথোপকথন দর্শকদের মাঝে কৌতূহল সৃষ্টি করে। শুধু তাদের কার্যকলাপ নয়, মুক্তিযুদ্ধকালে পানিপথের নানারকম বিপদের দৃশ্যও দেখানো হয়েছে শ্যামল ছায়ায়। নৌকা নষ্ট হয়ে যাওয়া, পাকসেনাদের সম্মুখীন হওয়া, মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করাসহ আরো অনেক ঘটনা সিনেমাটিতে রয়েছে। যুদ্ধের ভয়াবহতা সরাসরি না দেখিয়েও নির্মাতা এতে মুক্তিযুদ্ধের আবহ সৃষ্টি করতে পুরোপুরি সফল হয়েছেন।
চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন হুমায়ুন ফরীদি, মেহের আফরোজ শাওন, শিমুল, রিয়াজ, স্বাধীন খসরু এবং আরো অনেক প্রখ্যাত অভিনেতা-অভিনেত্রী। সিনেমাটিকে ২০০৬ সালে একাডেমি অ্যাওয়ার্ড বা অস্কারের ‘সেরা বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র’ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ থেকে নিবেদন করা হয়।
৬. নয় নম্বর বিপদ সংকেত (২০০৭)
পূর্বে উল্লেখিত ‘দুই দুয়ারী’-তে বেশ কিছু হাস্যকর দৃশ্য থাকলেও, ‘নয় নম্বর বিপদ সংকেত’ সম্পূর্ণভাবে একটি কমেডি ধাঁচের চলচ্চিত্র। হাস্যরসে পূর্ণ এই সিনেমাটি হুমায়ূন আহমেদের গাজীপুরের নুহাশ পল্লীতে চিত্রায়িত।
চলচ্চিত্রটিতে নির্মাতা তাঁর ব্যক্তিগতভাবে পছন্দের বিভিন্ন বিষয় ধারণ করেছেন। এই সিনেমাতে হুমায়ূন আহমেদ বিভিন্নভাবে তাঁর বর্ষাপ্রীতিও প্রকাশ করেন– ‘বৃষ্টিবিলাস’ নামক বাড়িতে বসবাস, টিনের ছাদে বৃষ্টির শব্দ শোনা আর বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে রবি ঠাকুরের ‘আজি ঝরো ঝরো মুখর বাদল দিনে’ গান শোনা। চমৎকার কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্যের সঞ্চালনও হয় এই চলচ্চিত্রে। সিনেমাটি যেন পরিচালকের নুহাশ পল্লীর প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন।
গুরুগম্ভীর কোনো তাৎপর্য না থাকলেও, সিনেমাটি একটি পরিবারের সকল সদস্যদের একত্রিত হয়ে কয়েকদিন সময় কাটানোর এবং অদ্ভুত ও কৌতুকপ্রদ নানা ঘটনা সংঘটিত হওয়া নিয়ে তৈরি। অভিনয় করেছেন রহমত আলী, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, দিতি, তানিয়া আহমেদ, চ্যালেঞ্জার, স্বাধীন খসরু এবং আরো অনেকে।
৭. আমার আছে জল (২০০৮)
একজন রিটায়ার্ড ইন্সপেক্টর জেনারেল ও তার পরিবারের সবাই মিলে ছুটি কাটাতে পাহাড়ি এলাকায় যাওয়া এবং সেখানে বিভিন্ন ছোট-বড় ঘটনার সম্মুখীন হওয়ার গল্প নিয়ে তৈরি সিনেমা ‘আমার আছে জল’। ইন্সপেক্টরের দুই মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন মেহের আফরোজ শাওন ও বিদ্যা সিনহা মীম। এই পরিবারের সাথে আরো ঘুরতে গিয়েছেন জামিল ভাই (অভিনয়ে জাহিদ হাসান) এবং আমেরিকা ফেরত ফটোগ্রাফার সাব্বির (অভিনয়ে ফেরদৌস)।
মা-বাবার সাথে সন্তানের সম্পর্ক, বোনদের মধ্যে ভালোবাসার ও বিসর্জনের সম্পর্কসহ বেশ কয়েকটি মানবিক সম্পর্ক চলচ্চিত্রটিতে হুমায়ূন আহমেদ খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। এছাড়াও, সিনেমাটিতে বেশ কিছু জটিল রোমান্টিক সম্পর্কও অনুসন্ধান করেছেন নির্মাতা। প্রধান কাহিনীসূত্রের বাইরে, সিনেমার ছোট ছোট অংশে নির্মাতা সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করতে চেয়েছেন, যেমন- অতিথি পাখি শিকার করা উচিত না, একজন মানুষের চরিত্র তার আর্থিক অবস্থার উপর নির্ভর করে না ইত্যাদি।
হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য সিনেমার তুলনায় এটি বেশ আধুনিক ধাঁচের। সিনেমায় বেশ মজার ও বিচিত্র মুহূর্ত থাকলেও পুরোটা সময়ে একটা বিষণ্ণ ভাব রয়েছে। ‘আমার আছে জল’ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্মাননাও অর্জন করেছে।
৮. ঘেটুপুত্র কমলা (২০১২)
‘ঘেটুপুত্র কমলা’ হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত শেষ সিনেমা এবং গল্পের জন্য সবচেয়ে বেশি সমালোচিত। দেড়শত বছর আগের হবিগঞ্জ জেলার জলসুখা গ্রামের এক ঘেটুপত্রের কল্পকাহিনী নিয়ে তৈরি এই চলচ্চিত্রটি। সেই সময়ে ঐ অঞ্চলে ‘ঘেটুগান’ নামের নতুন সঙ্গীত ধারা তৈরি হয়েছিলো যাতে কিশোর বালকরা মেয়েদের কাপড় পরে নাচ-গান করতো। এই কারণে নানারকম বিচিত্র অশ্লীলতার সৃষ্টি হয়, বিশেষ করে শৌখিন বিত্তবানরা যৌনসঙ্গী হিসেবেও ঘেটুপুত্র ভাড়া করতেন।
পেটের দায়ে একটি গানের দল তিন মাসের জন্য বিত্তবান জমিদারের বাড়িতে থাকতে আসে। জমিদারের বাড়িতে ধর্মচর্চা থাকলেও এবং জমিদার মানুষ হিসেবে দয়াবান ও মানবিক হলেও তিনি শখের বসে ‘কমলা’ নামের ঘেটুপুত্র ভাড়া করেন। একজন মানুষের ধর্মীয় মতাদর্শ এবং জীবনচর্চায় যে প্রচণ্ড পার্থক্য থাকতে পারে তা এই চলচ্চিত্রে দেখানো হয়েছে। আরো আছে ঘেটুপুত্রের জীবনের প্রতিকূল অবস্থার চিত্র। হিংসার পরিণাম আর কান্না দিয়ে সিনেমাটির করুণ সমাপ্তি হয়।
সিনেমায় অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, মুনমুন আহমেদ, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, শামিমা নাজনিন, আগুনসহ আরো অনেকে। শিশু অভিনেতা মামুন ‘কমলা’ (বা জহির) চরিত্রে অভিনয় করে অনেক প্রশংসা কুড়িয়েছেন। ফজলুর রহমান বাবু এই সিনেমায় অভিনয় না করলেও তার গাওয়া বেশ কিছু গান সিনেমাটির গুরুত্বপূর্ণ অংশে ব্যবহার করা হয়েছে।
শুধুমাত্র এই ৮টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রই হুমায়ূন আহমেদের লিখিত ও পরিচালিত। এছাড়াও তাঁর লেখা নাম-করা ‘নন্দিত নরকে’ বইটিকে ২০০৮ সালে বেলাল আহমেদ বড়পর্দায় নিয়ে আসেন। তাঁর ‘সাজঘর’, ‘দারুচিনি দ্বীপ’, ‘দেবী’সহ আরো অনেক বই এবং উপন্যাসকেই নামকরা পরিচালকেরা চলচ্চিত্রে রূপান্তরিত করেছেন। বেশ কয়েকটিতে লেখক নিজে চিত্রনাট্যকার হিসেবেও কাজ করেছেন। পরিচালক হিসেবে হুমায়ূন আহমেদ আরও কাজ করেছেন অনেক নাটক এবং টেলিভিশন সিরিজেও।
সাতবার বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বাগিয়ে নেওয়া হুমায়ূন আহমেদ শুধুমাত্র প্রখ্যাত লেখকই নন, নিঃসন্দেহে এদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতাও।
আরো দেখুন- হুমায়ূন আহমেদ এর বই সমূহ