ম্যাড-আই মুডি নামটার সাথে জড়িয়ে আছে একগুচ্ছ আবেগ ও একরাশ উষ্ণ ভালোবাসা। লাঠিতে ভর দিয়ে হাঁটা, একচোখো এই জাদুকর হ্যারিকে পরিপূর্ণ সুরক্ষা দেবার চেষ্টা করেছেন সর্বদাই। জাদু জগতের প্রথম মহাযুদ্ধের পর সর্বদিক থেকে খ্যাতি কুড়িয়ে নেন ম্যাড-আই মুডি। বলা হয়ে থাকে, আজকাবানে যেসকল ডেথ ইটার বন্দি, তাদের অর্ধেককেই সেখানে পুড়েছেন ম্যাড-আই মুডি নিজে। তিনি যাদের পেছনে লেগেছিলেন, তাদের প্রায় সবাইকেই ধরতে সক্ষম হয়েছেন। স্লিদারিন হাউজের ইভান রোজিয়ারদের মতো জাদুকরেরা বোকামি করে তার সাথে দ্বন্দ্বযুদ্ধ লাগতে গিয়ে ফলস্বরূপ প্রাণ হারিয়েছে। জাদু জগতের মহান এই জাদুকরকে নিয়ে এ আলোচনা।
জন্মদিনের উপহার
তিনি যে কত উঁচু মাপের একজন জাদুকর তা হ্যারি পটার বই এবং মুভি; দুই জায়গাতেই সমান গুরুত্বের সাথে উল্লেখ করা হয়েছে। জাদু জগতের পথভ্রষ্ট ডার্ক উইজার্ডদের পেছনে ছুটতে ছুটতে মানসিকভাবেও অনেক পরিবর্তন এসেছিল মুডির মধ্যে। তিনি যেকোনো কিছুকেই সন্দেহ করে বসতেন; তা হোক ভালো বা খারাপ। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, জন্মদিনের উপহারের কথা। একবার তিনি ব্যাসিলিস্কের ডিম ভেবে এক জন্মদিনের উপহার ধ্বংস করে ফেলেছিলেন। অথচ, সে জিনিসটা ছিল ছিমছাম গোছের দারুণ এক বহনযোগ্য ঘড়ি।
অপহরণ
হ্যারি পটার সিনেমায় কখনো উল্লেখ করা হয়নি কোথায় থেকে, কীভাবে বার্টি ক্রাউচ জুনিয়র ম্যাড-আই মুডির মতো শক্তিশালী একজন জাদুকরকে অপহরণ করে বন্দি করে রেখেছিল। বইয়ে অবশ্য কাহিনীটা একটু অন্যভাবে বর্ণনা করা আছে। ১৯৯৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে অ্যালবাস ডাম্বলডোর মুডিকে অনুরোধ করেন অবসর ভেঙে হগওয়ার্টসের ‘ডিফেন্স অ্যাগেইন্সট ডার্ক আর্টস’ এর শিক্ষক হিসেবে যোগদানের জন্য। এর এক বছর আগে পিটার পেটিগ্রিউ এবং বার্টি ক্রাউচ জুনিয়রের সাথে তার তুমুল লড়াই বেধেছিল। এই দুই ডেথ ইটারকে লড়াইয়ের আদেশ দিয়েছিল লর্ড ভলডেমর্ট। মুডিও ছেড়ে কথা বলার লোক নন। প্রচণ্ড লড়াইয়ের পর অবশেষে হারতে হয় ম্যাড-আই মুডিকে। তার জাদুকরী ট্রাঙ্কেই তাকে ইম্পেরিয়াস কার্স দিয়ে আটকে রাখা হয় প্রায় এক বছর।
ইম্পেরিয়াস কার্স
ম্যাড-আই মুডির রূপ ধরে বার্টি ক্রাউচ জুনিয়র সকলের নজর এড়িয়ে সুকৌশলে যে ফাঁকি দিয়ে গেছে, তা অবশ্যই বাহবা পাওয়ার যোগ্য। মুডিকে বন্দি রাখার জন্য বার্টি ক্রাউচ জুনিয়রকে পোশনের পাশাপাশি আশ্রয় নিতে হয়েছে ইম্পেরিয়াস কার্সেরও। তবে সেটা শুধু একবার নয়, কয়েকবার। প্রতিবারই যখন মুডির উপর প্রয়োগ করা কার্স প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে আসত, তখন আবার নতুন করে ইম্পেরিয়াস কার্স দিত বার্টি ক্রাউচ জুনিয়র। এভাবে লর্ড ভলডেমর্টের পুনরুত্থান পর্যন্ত মুডিকে বহুবার ইম্পেরিয়াস কার্সের যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে।
নিম্ফ্যাডোরা টঙ্কসের গুরু
‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য অর্ডার অভ দ্য ফিনিক্স’ বইয়ে সর্বপ্রথম হাউজ হাফলপাফের জাদুকর নিম্ফ্যাডোরা টঙ্কসের সাথে মোলাকাত হয় ম্যাড-আই মুডির। ১৯৯১ সালে হগওয়ার্টসের পাট চুকিয়ে জাদু মন্ত্রণালয়ে যোগ দেয়ার পর ম্যাড-আই মুডির অধীনে থেকে, সকল গুরুত্বপূর্ণ জাদু কৌশল আয়ত্তের মাধ্যমে নিম্ফ্যাডোরা নিজেকে পরিণত করেন অন্যতম সেরা এক অরোরে। সকল দক্ষতার পাশাপাশি মন্ত্রবিদ্যা, কালো জাদুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ, হার্বোলজি, পোশন, ব্রুমস্টিক ফ্লাইং ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও টঙ্কসের ছিল পরিপূর্ণ দখল। স্কোরিং চার্ম, স্টানিং স্পেল, শিল্ড চার্মের ব্যবহার তার কাছে ছেলেখেলা ছিল মাত্র। ডেথ ইটারদের মধ্যে শুধুমাত্র বেল্লাট্রিক্স লেস্ট্র্যাঞ্জই তাকে টেক্কা দেবার মতো ক্ষমতা রাখত। নিম্ফ্যাডোরার এই সাফল্য অর্জনের পেছনে মুডি একপ্রকার ইতিবাচক প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে।
মিস্টার উইজলির সাথে সাক্ষাৎ
‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য অর্ডার অভ দ্য ফিনিক্স’ এ ডিপার্টমেন্ট অভ মিস্ট্রি পাহারা দেবার সময় নাগিনীর হামলার শিকার হয়েছিলেন মি. উইজলি। সুস্থ করে তোলার জন্য তাকে সেন্ট মাঙ্গোস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অসুস্থ আর্থার উইজলিকে দেখতে হাসপাতালে এসেছিল হ্যারি, রন, ও হারমায়োনি। তাদের সাথে সেসময় যোগ দেয় ম্যাড-আই মুডিও। আর্টিফিশিয়াল চোখকে ঢাকার জন্য তিনি আশ্রয় নিয়েছিলেন এক বোলার হ্যাটের।
এসব কিছুই মুভিতে দেখায়নি। মুভিতে শুধু দেখিয়েছে, ‘টুয়েলভ গ্রিমোল্ড প্লেস’ এ ক্রিসমাস ডে’তে পুরো পরিবার এবং জাদু মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তার ঘিরে আছে আর্থার উইজলজি। আর তিনি তখন ক্রমে ক্রমে তার খারাপ অবস্থা কাটিয়ে উঠছেন।
শেষ বিদায়ে ডাম্বলডোর
হ্যারি পটার মুভি সিরিজের ষষ্ঠ কিস্তিতে সেভেরাস স্নেইপের হাতে প্রয়াণ ঘটে মহামতি অ্যালবাস ডাম্বলডোরের। তবে দুঃখের বিষয়, প্রত্যক্ষ মর্মপীড়ার অনুভূতি জাগানো এই দৃশ্যের পরবর্তী অংশটুকু সেলুলয়েডের ফিতায় ধারণ করা হয়নি। তাই মুভি ভক্তরা হৃদয়বিদারক এক উপাখ্যানের সমাপ্তি দেখতে পারেনি। সর্বকালের অন্যতম সেরা এ যশস্বী জাদুকরকে সম্মান প্রদর্শনের জন্য শেষকৃত্যে অংশ নিয়েছিল অর্ডার অভ দ্য ফিনিক্স, হগওয়ার্টস, জাদু মন্ত্রণালয়ের সকল কলাকুশলী। এদের মধ্যে সামনের সারিতেই ছিলেন, অ্যালিস্টর মুডি। ডাম্বলডোরের মৃত্যু তাকে দারুণভাবে নাড়া দিয়েছিলেন। বিমূর্ত এক আঁধারের ছায়া কয়েকদিন পর্যন্ত ঘিরে ধরেছিল তাকে।
ঘরের শত্রু বিভীষণ
জাদু জগতের প্রথম মহাযুদ্ধে ভলডেমর্টের পতনের পর ডেথ ইটার ধরপাকড় শুরু হয়ে যায়। এদের মধ্যে ইগর কার্কারফকেও বন্দি করে নরকতুল্য আজকাবানে প্রেরণ করা হয়। তবে শর্ত ছিল, ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত থাকা সকল ডেথ ইটারের নাম সে বলে দিলে, তার শাস্তির মেয়াদ কমিয়ে আনা হবে। ইগরের মুখ থেকে ডেথ ইটারদের নাম বের করার জন্য যে কয়জন অরোর নিযুক্ত করা হয়েছিল তাদের মধ্যে ম্যাড-আই মুডি অন্যতম। তিনি গোটাকতক ডেথ ইটারের নাম বের করাতে সক্ষম হয়েছিলেন। যেমন অ্যান্টোনিন ডলোহভ, ইভান রোজিয়ার, ট্র্যাভারস, মালসিবার প্রমুখ। এদের মধ্যে অনেককেই পাকরাও করা হয়েছে, অনেকে আবার অরোরদের সাথে যুদ্ধে প্রাণ খুইয়েছে। তবে মুডি এমন একজনের তথ্য ইগরের থেকে বের করতে পেরেছিলেন, যাকে পাকরাও না করলে পরবর্তীতে বিরাট ভজকট পাকিয়ে যেত। লোকটা হলো মন্ত্রণালয়ে চাকরিরত অগাস্টাস রুকওড, যিনি ভলডেমর্টের জন্য ডবল-অ্যাজেন্ট স্পাই হিসেবে কাজ করে সকল তথ্য পাচার করতেন।
মুডির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া
ম্যাড-আই মুডি মৃত্যুবরণ করেছিল ব্যাটেল অভ সেভেন পটারস এর সময়, ‘হি-হু-মাস্ট-নট-বি-নেইমড’ এর হাতে। লর্ড ভলডেমর্টের বিশ্বাস ছিল, ‘ব্যাটেল অভ সেভেন পটারস-এ হ্যারি’কে রাখা হবে সবচেয়ে তুখোড় ও বহুদর্শী জাদুকরের সাথে। সেখানে মুডির চেয়ে দক্ষ আর কোনো জাদুকর ছিল না। সেজন্য ভলডেমর্ট সর্বপ্রথম নিশানা বানিয়েছিল ম্যাড-আই মুডিকেই। অথচ, মুডির সাথে ছিল মূলত হ্যারি পটার রূপী মানডাঙ্গাস ফ্লেক্সার, যে কি না ভল্ডির অবয়ব দেখা মাত্রই ভয়ে পালিয়েছিল। ভলডেমর্ট তখন মারণ শাপ (কিলিং কার্স) দিয়ে ম্যাড আইকে ব্রুমস্টিক থেকে ফেলে দেয়। প্রায় হাজার ফুট উপর থেকে পড়লে বেঁচে থাকার কোনো আশা নেই, এবং ঘটনাও ঘটল সেরকমই। পরবর্তীতে চিরুনি অভিযান চালিয়ে তার লাশ খোঁজা হলেও, কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
ধারণা করা হয়, বিখ্যাত এই অরোরের লাশ ডেথ ইটারদের কাছে থাকায় সেটা সৎকার করতে পারেনি অর্ডার অভ দ্য ফিনিক্স বা ডাম্বলডোর’স আর্মির সদস্যরা। তাই হগওয়ার্টসে ঘটা করে কোনো অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াও সম্পন্ন হয়নি। হ্যারি পটার শুধু সন্ধান পেয়েছিল মুডির সেই আর্টিফিশিয়াল চোখের, যেটা বিজয় নিশানা হিসেবে সংরক্ষিত ছিল ডলোরেস আমব্রিজের অফিসে। আমব্রিজ সেই চোখকে আসলে স্পাই এজেন্ট হিসেবে ব্যবহার করে দরজার ওপারে কী হচ্ছে সে বিষয়ে নজর রাখতেন। মুভিতে চোখটা দেখানো হলেও, কীভাবে ডেথ ইটাররা মুডির চোখটা সংগ্রহ করেছে, তা নিয়ে কিছু বলা হয়নি।
জাদু মন্ত্রণালয়ে পলিজুস পোশন পান করে ঢুকে, বাকি কাজ সারার সাথে সাথে হ্যারি মুডির সেই চোখটিও বাগিয়ে নিতে সক্ষম হয়। পরেরদিন সকালে রন ও হারমায়োনির আগেই ঘুম থেকে উঠে হ্যারি ডার্টমুর জঙ্গলে চোখটিকে দাফন করে দিয়েছিল। অ্যালেস্টর মুডির মৃত্যুটা জাদু জগতের ইতিহাসে এক মর্মান্তিক উপাখ্যান হিসেবে চিহ্নিত থাকবে।
চোখের বিস্ময়কর ক্ষমতা
ম্যাড আই মুডির জাদুকরী চোখের কিছু আশ্চর্য ক্ষমতা ছিল। মুডি সেই চোখ দিয়ে অদৃশ্য আলখাল্লাও শনাক্ত করতে পারত, জাদু জগতে যে দক্ষতা খুব কম জাদুকরেরই আছে। হ্যারি পটারের অদৃশ্য আলখাল্লাটি সাধারণ কোনো আলখাল্লা নয়। এটি ছিল কিংবদন্তীতুল্য তিনটি ডেথলি হ্যালোসের মধ্যে অন্যতম। মজার ব্যাপার হলো, এই আলখাল্লার অদৃশ্য শক্তিও ধোঁকা দিতে পারেনি মুডির চোখকে।
বইয়ে বর্ণনায় উল্লেখ করা চোখ, আর মুভিতে দেখানো চোখের মধ্যে কিছু বৈসাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও বই অনুসারে তার আর্টিফিশিয়াল চোখটি ডান চোখের জায়গায় স্থাপিত থাকলেও, সিনেমায় তা বাম চোখ হিসেবে দেখানো হয়েছে।
দুটি অদৃশ্য আলখাল্লা
হ্যারি পৈতৃক-সূত্রে একটা জাদুকরী অদৃশ্য আলখাল্লা পেয়েছিল, এই কাহিনী তো প্রায় সকলেরই জানা। কিন্তু একটা বিষয় হয়তো অনেকেই জানে না, মুডির কাছে দুই দুইটা অদৃশ্য আলখাল্লা মজুদ ছিল। এর মধ্যে একটা তিনি ধার দিয়েছিলেন অর্ডার অব দ্য ফিনিক্সের সদস্য স্টারগিস পডমোরকে, যেটা তিনি কখনো ফেরত পাননি। আরেকটা আলখাল্লার হদিস পাঠকরা কখনো খুঁজে পায়নি। ধারণা করা হয়, তিনি তার কোটের নিচে সেটা লুকিয়ে রেখে প্রয়োজনের সময় ব্যবহার করতেন।
স্নেইপের প্রতি বিদ্বেষ
ডেথ ইটারদের কাছে এক জ্বলন্ত আতঙ্কের নাম ছিল ম্যাড-আই মুডি। সেভেরাস স্নেইপ ডেথ ইটারের ভান ধরে থাকলেও, সবসময়ই ডাম্বলডোর এবং অর্ডার অভ দ্য ফিনিক্সের কাছে নিজের আনুগত্য প্রমাণ করেছেন। তবে এই হাফ ব্লাড প্রিন্সকে বরাবরই তীব্র সন্দেহের পাল্লা দিয়ে মেপেছেন অ্যালেস্টর মুডি। অনেকবার ডাম্বলডোরকে তিনি সতর্ক করেছিলেন, সেভেরাস স্নেইপের উপর কড়া নজর রাখার জন্য। মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত স্নেইপকে চরম অবিশ্বাস করে গেছেন তিনি।
বিবিধ
অ্যালেস্টর মুডি জন্মেছিলেন এক পিউর-ব্লাড উইজার্ড পরিবারে। তার জন্মের তারিখ ও সাল এখনো অজানা। মুডির পিতা-মাতা সহ তার পরিবারের অনেক জাদুকরই জাদু মন্ত্রণালয়ে অরোরের ভূমিকা পালন করেছে। সেজন্য জাদু জগতে মুডি পরিবারের আলাদা সুখ্যাতি ছড়িয়ে আছে। মুডি তার ছড়ি অলিভেন্ডারের দোকান থেকে খরিদ করেছিলেন নাকি পরিবার থেকে পেয়েছিলেন, সে ব্যাপারে কোনো পরিষ্কার তথ্য উঠে আসেনি। এমনকি তিনি কত সালে হগওয়ার্টসের আঙিনায় পা রেখেছিলেন, এবং সর্টিং হ্যাট তাকে কোন হাউজে পাঠিয়েছিল, এ রকম তথ্য জে. কে. রোলিং এখনো উইজার্ডিং ওয়ার্ল্ডে প্রকাশ করেননি। তবে তিনি যে অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র হিসেবে হগওয়ার্টস কাঁপিয়েছেন সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
ম্যাড- আই মুডি ছিলেন এমন একজন অরোর ও জাদুকর, যিনি সর্বদা সত্য ও সুন্দরের পক্ষে লড়ে গেছেন। এমনকি সেজন্য মৃত্যুকে বীরের মতো আলিঙ্গন করতেও পিছপা হননি তিনি। জাদু জগৎ তার এই আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করার পাশাপাশি তার এই কিংবদন্তি ছড়িয়ে দিক প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।