উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে কিন্তু সেটির গায়ে বেস্টসেলারের তকমা জুটেনি এমন ঘটনা স্টিফেন কিং-এর জীবনে ঘটেছেই কদাচিৎ। ভৌতিক ঘরানার উপন্যাসের জন্য জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছানো এই লেখক বই লিখতে শুরু করেছেন সেই ৭০ এর দশকের শুরুর দিকে। এখন পর্যন্ত ২০০টি ছোট গল্প ছাড়াও উপন্যাস লিখেছেন ৬৩টি। যার মধ্যে ৩৪টি বই পরবর্তীতে সিনেমার চিত্রনাট্য হিসেবে রূপ নিয়েছে। তবে ভৌতিক উপন্যাসের জন্য খ্যাতি লাভ করলেও গতানুগতিক ধারার বইও লিখেছেন তিনি। বইয়ের সাথে সাথে সেগুলো চিত্রনাট্য হিসেবেও বেশ সফল।
শশাংক রিডেম্পশন
আইএমডিবিতে প্রায় ২২ লাখের মতো ভোটে ৯.৩ রেটিং নিয়ে বেশ কয়েকবছর ধরেই অবিসংবাদিতভাবে এক নাম্বার স্থানটি দখল করে রেখেছে শশাংক রিডেম্পশন মুভিটি। সে কথা যারা এক আধটু মুভি দেখে থাকেন তাদের সবারই জানা। কিন্তু মুভির পর্দার সামনের দুই নায়ক মরগান ফ্রিমান ও টিম রবিন্স যতটা পরিচিত ঠিক ততটাই অপরিচিত পেছনের দুই নায়ক। এমনকি পরিচালক ফ্রাঙ্ক ডারাবন্টকে অনেকে চিনলেও এ মুভির মূল চিত্রনাট্যের লেখক যে স্টিফেন কিং সে কথা না জানার লোকই বেশি পাওয়া যাবে। ভৌতিক উপন্যাস ও মুভির জন্য বিখ্যাত হলেও এ ধারার বাইরেও যে তার কালজয়ী লেখা রয়েছে তার প্রমাণ এই শশাংক রিডেম্পশন। উল্লেখ্য যে গুডরিডসে বইটির রেটিং ৫ এর মধ্যে ৪.৫।
সত্যিকার অর্থে সিনেমাপ্রেমী হয়ে থাকলে এই বিখ্যাত চলচ্চিত্র নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। প্রায় কম বেশ সব মানুষই উপভোগ করেছেন এটি। উপভোগের আড়ালেও ছবিটি আমাদের হাল না ছাড়ার শিক্ষা দিয়েছে বারবার। আমাদের মানতে বাধ্য করেছে ‘Hope is a good thing, may be best of things, and no good things ever dies.’
১৯৯৪ সালে এই বিখ্যাত এই মুভিটি মুক্তি পেলেও মূল বইটি স্টিফেন কিং লিখেছিলেন ১৯৮২ সালে। মুভির নাম শশাংক রিডেম্পশন হলেও মূল বইয়ের নামটি একটু বড়। ‘রিটা হেওয়ার্থ এন্ড শশাংক রিডেম্পশন’ নামের এই বইটি স্টিফেন কিং লিখেছিলেন লিও টলস্তয় এর ছোট গল্প ‘God sees truth, but waits’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে এসে মঞ্চ নাটকেও এই উপন্যাসটি মঞ্চস্থ হয়। ১৯৯৫ সালের অস্কারে সেরা মুভির জন্য মনোনীত হওয়া মুভিটিকে নিজের উপন্যাস থেকে নির্মিত আর যেকোনো মুভির চেয়ে বেশি প্রিয় বলে জানিয়েছেন স্টিফেন কিং। এমনকি এই মুভির স্বত্ব অধিকার থেকে পাওয়া এক হাজার ডলার কখনোই ব্যাংক থেকে তুলে আনেননি তিনি। বরং সেই চেকটি বাধাই করে সাজিয়ে রেখেছিলেন নিজ ঘরে।
দ্য গ্রিন মাইল
শশাঙ্ক রিডেম্পশনের পর ডারাবন্ট-স্টিফেন কিং মুভি লাভারদের উপহার দেন আরেক মাস্টারপিস ‘দ্য গ্রিন মাইল’। ১৯৯৯ সালে মুক্তি পায় টম হ্যাংকস অভিনীত এই মুভিটি। শশাংক রিডেম্পশনের পথ অনুসরণ করে এই মুভিটিও দর্শকদের বাহবা কুড়ায় এবং অস্কারে সেরা মুভির জন্য মনোনীত হয়।
স্টিফেন কিংয়ের এই উপন্যাসটি মূলত সর্বপ্রথম খণ্ড আকারে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। ছয় খণ্ডের সর্বশেষটি প্রকাশিত হয় ১৯৯৬ সালের ২৯ আগস্ট। কিন্তু মূল বইটি এক খণ্ডে প্রকাশিত হয় মুভি মুক্তির আরো এক বছর পর। বইটি স্টিফেন কিং লিখেছিলেন এক সত্য কাহিনীর উপর ভিত্তি করে। বিংশ শতাব্দীতে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে ১৪ বছরের বালক জর্জ স্টিনিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। কৃষ্ণাঙ্গ স্টিনির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল দুইজন শ্বেতাঙ্গ মেয়েকে হত্যা করার।
যদিও বারবার বাইবেল ছুঁয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবী করেছিলেন স্টিনি তাও শেষ রক্ষা হয়নি। তৎকালীন নিয়ম অনুযায়ী ইলেকট্রিক চেয়ারে বেঁধে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। পরবর্তীতে অনেক বছর পর জানা গেলো স্টিনি ছিল সম্পূর্ণ নির্দোষ। এই বিয়োগান্তক ঘটনার উপর শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘দ্য গ্রিন মাইল’ বইটি লিখেন তিনি। গুডরিডসে এর রেটিং ৪.৪। অন্যদিকে আইএমডিবিতে দর্শক ভোটে মুভির রেটিং বর্তমানে ৮.৬।
ফ্যান্টাসি ও মেলোড্রামার মিশেলে ‘দ্য গ্রিন মাইল’ সমাজের কলুষিত দিককে তুলে ধরেছে সুনিপুনভাবে। গায়ের রং ভেদ করে একজন মানুষের ভেতরটা দেখা যে সবার আগে প্রয়োজন এই সমাজ প্রায়ই সেই সহজ সত্য ভুলে যায়। মুভির অন্যতম চরিত্র জন কফি আমাদের মুগ্ধ করেছিল তার সরলতা দিয়ে। গায়ের রং সেখানে ছিল নিতান্তই গৌণ। মূলত ফ্রাঙ্ক ডারাবন্ট ও স্টিফেন কিং মিলে মন ছুঁয়ে যাওয়া এই গল্প উপহার দিয়েছিলেন কলুষিত এক সমাজকে।
স্ট্যান্ড বাই মি
‘দ্য গ্রিন মাইল’ মুক্তি পাওয়ার প্রায় এক যুগ আগে মুভি থিয়েটারে এসেছিল রব রেইনার পরিচালিত ‘স্ট্যান্ড বাই মি’। এক লেখকের ছোটবেলায় নিজের বন্ধুর হারিয়ে যাওয়া মৃতদেহ খোঁজার স্মৃতিচারণা নিয়ে এগিয়ে যায় মুভির কাহিনী। এই সিনেমাটিও তৈরি করা হয় স্টিফেন কিংয়ের বিখ্যাত উপন্যাস ‘দ্য বডি’ থেকে। ১৯৮২ সালে প্রকাশিত হওয়ার চার বছর পর বইটি মুভির চিত্রনাট্যের জন্য গৃহীত হয়। যদিও মূল বইয়ের গল্প খানিকটা এদিক সেদিক করেই মুভিটি তৈরি করেন রব রেইনার। তবে তাতে বিরক্ত হওয়ার চেয়ে স্টিফেন কিং আনন্দিতই হয়েছেন বেশি। রব রেইনারের ভাষ্যমতে মুভিটির প্রথম কাট দেখার পর আনন্দে অভিভূত হয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন স্টিফেন। পরবর্তীতে এই ঔপন্যাসিক জানান যে নিজের উপন্যাস থেকে যত সিনেমা তৈরি হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে কাছাকাছি এডাপ্টেশন করতে সক্ষম হয়েছে ‘স্ট্যান্ড বাই মি’। গুডরিডসে বইটির ৪.৩ রেটিংয়ের বিপরীতে আইএমডিবিতে মুভিটি পেয়েছে ৮.১ রেটিং।
দ্য শাইনিং
‘Here’s Jhonny’- জ্যাক নিকোলসনে রক্ত হিম করা বিখ্যাত এই ডায়ালগ সিনে পাড়ায় বেশ ভালোই পরিচিত। বিখ্যাত পরিচালক স্ট্যানলি কুব্রিকের সাথে স্টিফেন কিংয়ের মেলবন্ধন হয় এই ভৌতিক মুভির মাধ্যমেই। যদিও স্টিফেন কিং বলেছেন তিনি এখনো বুঝে উঠতে পারেননি ‘দ্য শাইনিং’কে কেন মানুষ ভৌতিক মুভি হিসেবে আখ্যা দেয়। আধুনিক ভৌতিক মুভির মতো গতানুগতিক না হলেও জনমানবশূন্য এক হোটেলে একটি নিঃসঙ্গ পরিবারের প্রধান কর্তার ধীরে ধীরে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠার গল্প নিয়ে তৈরি ‘দ্য শাইনিং’ মুভিটি শেষ পর্যন্ত উত্তেজনা নিয়ে দর্শক ধরে রাখতে সক্ষম। ভয়, উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা নিয়ে এগোতে থাকা এই মুভিটি মুক্তি পায় ১৯৮০ সালে। প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন কিংবদন্তী অভিনেতা জ্যাক নিকোলসন। সাথে তো ছিলেনই সিনেমা নিয়ে ঘোরে থাকা স্ট্যানলি কুব্রিক। স্টিফেন কিংয়ের লেখা আর কুব্রিকের পরিচালনা দুইয়ে দুইয়ে চার মিলে গিয়ে তৈরি হয় এক অনবদ্য সৃষ্টির। ‘দ্য শাইনিং’ মুক্তি পাওয়ার ২৯ বছর পর ২০১৯ সালে এই মুভির পরবর্তী সিক্যুয়েল হিসেবে সিনেমা হলে আসে ডক্টর স্লিপ। যেটিও গতবছরের ব্যবসা সফল হওয়ার পাশাপাশি ক্রিটিক্সে বাজিমাত করা ছবিগুলোর মধ্যে একটি।
একই নামে উপন্যাসটি অবশ্য প্রকাশিত হয়েছিল তিন বছর আগে। ১৯৭৭ সালের এই বইটি স্টিফেন কিংয়ের লেখা তৃতীয় বই হিসেবে প্রকাশিত হয়। আর স্টিফেনের প্রথম বই হিসেবে ‘বেস্টসেলার’ তকমা জুটে নেয় সে বছরই। বলা চলে ‘দ্য শাইনিং’ বইয়ের হাত ধরেই স্টিফেন কিংয়ের লেখক পরিচয়ে তুমুল জনপ্রিয়তার সিঁড়ি বেয়ে উঠা। গুডরিডসে বইটির রেটিং ৪.২। কিন্তু ভৌতিক মুভিগুলো আইএমডিবিতে ততটা ভালো রেটিং না পেলেও ‘দ্য শাইনিং’ এর ব্যতিক্রম। আইএমডিবিতে এই মুভির রেটিং ৮.৪।
আইটি
২০১৭ সালে সাড়া জাগানো ভৌতিক মুভি আইটির চিত্রনাট্য নেওয়া হয়েছে একই নামের স্টিফেন কিংয়ের বই থেকে। পুরোপুরি হরর ধাঁচের মুভিটির দ্বিতীয় পর্ব মুক্তি পেয়েছিল গত বছরেই। তবে ২০১৭ সালে মুভি মুক্তি পেলেও মূল বইটি স্টিফেন কিং লিখেছিলেন ১৯৮৬ সালে। সেটি ছিল তার লেখক হিসেবে ২২তম বই। ২৭ বছর পর পর এক শহরে অশুভ আত্মার হানা দেওয়া নিয়ে কাহিনী গড়ে উঠে। ভয়কে জয় করে কীভাবে সেই অশুভ আত্মার সাথে পেরে উঠেছিল কয়েকজন বন্ধু তা জানতে আপনার দেখতে হবে ব্যবসাসফল এই চলচ্চিত্রটি। মুভি বোদ্ধাদের সন্তুষ্ট না করতে পারলেও বক্স অফিসে বেশ ভালোই টাকাকড়ি নিয়ে আসে মুভিটি।
অন্যদিকে স্টিফেন কিংয়ের মূল বইটির পৃষ্ঠা সংখ্যা ১১৩৮। যার কারণে কাহিনীকে দুই ভাগে ভাগ করে মুভি নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রথম ছবি মুক্তির ২ বছর পর বড়পর্দায় আসে পরের সিক্যুয়েলটি। গুডরিডসে বইটির রেটিং ৪.২। অন্যদিকে প্রথম পর্বে আইএমডিবিতে ৭.৩ রেটিং পেলেও দ্বিতীয় পর্বে দর্শকদের হতাশ করেছে মুভিটি। যার কারণে চ্যাপ্টার টু এর রেটিং দাঁড়ায় ৬.৬। তবে বক্স অফিসে প্রথম পর্ব তুমুল সাড়া ফেলে। ৭০০ মিলিয়ন ডলার ঘরে তোলার পর দ্বিতীয় চ্যাপ্টারটিও আয় দাঁড়ায় ২১১ মিলিয়ন ডলার।
মিজারি
বিখ্যাত লেখক পল শেলডন বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে গাড়ি দুর্ঘটনায় আঘাত প্রাপ্ত হলেও এক সেবিকা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে নিজ বাড়িতে। পল আবিষ্কার করেন সেই সেবিকা তার লেখার একনিষ্ঠ এক ভক্ত। কিন্তু তিনি কল্পনাতেও টের পেলেন না সেবিকার পছন্দের এক চরিত্রকে বইয়ের ভেতর মেরে ফেলায় তাকে সামনে কী দুর্বিষহ যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে কাটাতে হবে। অনেকটা নিজের লেখক সত্ত্বার বিরুদ্ধে নিজের এলকোহল আসক্তিকে দাড় করিয়ে মিজারি নামের উপন্যাসটি লিখেছেন স্টিফেন কিং। দুই দশক পরে তিনি জানিয়েছিলেন সেবিকা চরিত্রটি তিনি তৈরি করেছিলেন নিজের এলকোহলিক আসক্ত সত্ত্বাকে ভেবে।
বরাবরের মতোই বেস্টসেলার তকমা জুটে ১৯৮৭ সালে প্রকাশিত হওয়া এই বইটির কপালে। গুডরিডসে পাঠক ভোটে বইটির রেটিং হয় ৪.২। অন্যদিকে মুভিটি সিনে জগতে মুক্তি পায় ১৯৯০ সালে। মুভিটিতে সেবিকা চরিত্রে অভিনয় করে অস্কার বাগিয়েছিলেন ক্যাথি বেটস। এমনকি তার অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে পরবর্তীতে ক্যাথির কথা ভেবে আরো দুইটি মুভি চরিত্র লিখেছিলেন স্টিফেন কিং। আইএমডিবিতে দর্শক ভোটে মিজারি মুভিটির রেটিং ৭.৮।
দ্য মিস্ট
শশাংক রিডেম্পশন ও গ্রিন মাইল এর প্রায় এক যুগ পর ২০০৭ সালে ফ্রাঙ্ক ডারাবন্ট-স্টিফেন কিং বড় পর্দায় হাজির হন তাদের তৃতীয় ছবি ‘দ্য মিস্ট’ নিয়ে। ১৯৮০ সালে প্রকাশিত হওয়া বইটির কাহিনী এক শহরে বিশালাকার কিছু অদ্ভুত প্রাণীর আগমনে সৃষ্ট ভয়াবহতা নিয়ে। স্টিফেন কিংয়ের মতে এক সুপার মার্কেটের জানালার পাতলা কাঁচ দেখে এই বই লেখার ধারণা আসে তার মাথায়। মুভিটিও বইয়ের সাথে মিল রেখে এক সুপার মার্কেটকে ঘিরেই।
তবে স্টিফেন কিংয়ের অন্যান্য বইয়ের মতো ততটা দর্শক জনপ্রিয়তা পায়নি এই বইটি। গুডরিডসে বইটির রেটিং ৩.৯। বইয়ের মতো মুভিটি ক্রিটিক্সে অতটা সাড়া না ফেললেও দর্শক নন্দিত হয়। মূলত মুভি শেষে এক নিদারুণ অন্তর্বেদনা আপনাকে পুড়িয়ে মারতে বাধ্য। যার কারণেই সিনেমাপ্রেমীদের অনেকেই বেশ পছন্দ করেছেন এই সিনেমাটি। আইএমডিবিতে মুভিটির বর্তমান রেটিং ৭.১। তবে সর্বোপরি আগের দুই মুভির সাথে তুলনা করলে এই মুভিটির ক্ষেত্রে বেশ ব্যর্থই বলা যায় ডারাবন্ট-স্টিফেন জুটিকে।
ক্যারি
স্কারফেস মুভির জন্য খ্যাত পরিচালক ব্রায়ান ডি পালমার হাত ধরে স্টিফেন কিংয়ের প্রকাশিত হওয়া প্রথম উপন্যাসটি বড় পর্দায় হাজির হয় ১৯৭৬ সালে। ক্যারি মুভিটিই এই লেখকের লেখা প্রথম মুভি চিত্রনাট্য। ১৯৭৪ সালে লেখা বইটির কাহিনী গড়ে উঠে ক্যারি নামের একজন লাজুক ও একাকী কিশোরীকে নিয়ে। যার ভেতরে জন্ম থেকেই এক অদ্ভুত টেলিকাইনেটিক সক্ষমতা দেখা যায়। যদিও বইটির সমাপ্তির সাথে মুভির শেষাংশের কোনো মিল নেই। কিন্তু স্টিফেন কিং নিজের বই থেকে মুভির সমাপ্তিটিই বেশি পছন্দ করেছিলেন।
ভৌতিক ধাঁচের এই উপন্যাসটি গুডরিডসে রেটিং পেয়েছে ৪। অন্যদিকে আইএমডিবিতে মুভিটির অর্জন ৭.৪ রেটিং।
১৯৭৬ সালের ‘ক্যারি’ থেকে শুরু করে ২০১৯ সালের ‘ডক্টর স্লিপ’। স্টিফেন কিং বড় পর্দায় বিচরণ করছেন চার দশকেরও বেশি সময় ধরে। উপরের উল্লিখিত মুভি ছাড়াও জেরাল্ডস গেইম, সিক্রেট উইন্ডো, দ্য ডেড জোন, চিলড্রেন অফ দ্য কর্ন, পেট সিমেটারি প্রমুখ ছবিও বেশ সফল। তবে দুনিয়া জুড়ে ছড়িয়ে থাকা স্টিফেন কিং ভক্ত ও সিনেমাপ্রেমীদের চাওয়া তিনি যেন আরো অনেকদিন বিচরণ করে বেড়ান সিনে পাড়ায়।