ফার্স্ট উইজার্ডিং ওয়ার এবং অর্ডার অব দ্য ফিনিক্স | ১ম পর্ব

উইজার্ডিং ওয়ার্ল্ডে (জাদুজগত) ‘প্রথম উইজার্ডিং ওয়ার‘ বা ‘জাদুজগতের প্রথম মহাযুদ্ধ’ অতি গুরুত্বপূর্ণ এক অধ্যায়। কারণ, সর্বকালের অন্যতম সেরা ডার্ক উইজার্ড লর্ড ভলডেমর্টের উত্থান ঘটে সেসময়। ভলডেমর্টের এককাধিপত্য, রমরমা দাপট এবং ত্রাসের কালোছায়া ব্রিটেন জুড়ে বিস্তৃত ছিল তখন। ১৯২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর লর্ড ভলডেমর্ট তথা টম মারভলো রিডলের জন্মের মাধ্যমেই পরোক্ষভাবে এই মহাযুদ্ধের বীজ বোনা হয়ে যায়। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এর যাত্রা শুরু হয় জাদুজগতের আরেক শক্তিশালী ডার্ক উইজার্ড গেলার্ট গ্রিন্ডেলওয়াল্ডের আমলে। আর সেটা একেবারে ফুলে-ফেঁপে ওঠার সময় ১৯৭০-৮১ সাল পর্যন্ত।

এল্ডার ওয়ান্ড হাতে গ্রিন্ডেলওয়াল্ড; Image Source: Alexandre Mougenot.

উইজার্ডিং ওয়ার্ল্ডে মাগলবিরোধী তোরজোড়ের শুরুটা করেন গেলার্ট গ্রিন্ডেলওয়াল্ড। অ্যালবাস ডাম্বলডোরের কৈশোরের এই ঘনিষ্টবন্ধু চাইতেন মাগলদের উপর হুকুম চালিয়ে জাদুকর সম্প্রদায়কে দুনিয়ার সর্বোচ্চ আসনে বসানোর। ফলে গ্রিন্ডেলওয়াল্ড তার মগজধোলাইয়ের কৌশল, এবং জাদুবিদ্যার সাহায্য নিয়ে তার দল ভারী করেছিলেন। পুরো ইউরোপের জাদু সম্প্রদায় তার ভয়ে তটস্থ থাকত।

ডেথলি হ্যালোসের তিন উপাদানের একটি, পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী জাদুর ছড়ি ‘এল্ডার ওয়ান্ড’ ছিল তার দখলে, যা তিনি ছড়িনির্মাতা মাইকেউ গ্রেগোরোভিচের কাছ থেকে চুরি করেন। পরিকল্পনা মোতাবেক তিনি অনেক দূর এগিয়ে যান। ১৯৪৫ সালে সর্বকালের সেরা জাদুকর, মহামতি অ্যালবাস ডাম্বলডোরের সামনে এসে থামে গ্রিন্ডেলওয়াল্ডের জয়রথ।

যুবক ডাম্বলডোর ও গ্রিন্ডেলওয়াল্ড; Image Source: Daniel Domerk.

১৯২৭ সালে হাউজ হাফলপাফের ছাত্র, জগদ্বিখ্যাত ম্যাজিজুওলুজিস্ট নিউট স্ক্যামান্ডার তার বই ‘ফ্যান্টাস্টিক বিস্টস: হোয়ার টু ফাইন্ড দেম’ বের করে, যেটা হগওয়ার্টসের শিক্ষার্থীদের জন্য অবশ্যপাঠ্য। গ্রিন্ডেলওয়াল্ডকে দুবার পাকড়াও করার কারণে তিনি ইউরোপের জাদুকর সম্প্রদায়ের নিকট নায়ক বনে যান।

১৯৩০ এর দশকে, জাদু ইতিহাসবিদ ক্যান্ট্যানকেরাস নট ‘Pure-Blood Directory‘ নামে এক বইয়ে গ্রেট ব্রিটেনের ২৮টি পিওর ব্লাড জাদুকর পরিবারের কথা উল্লেখ করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল অ্যাবট, গন্ট, লেস্ট্রেঞ্জ, ম্যালফয় পরিবার ইত্যাদি। তার বইয়েই সর্বপ্রথম প্রথম ‘ব্লাড ট্রেইটর’, ‘মাডব্লাড’ শব্দগুলো উঠে আসে। তবে মাডব্লাড (মাগলবর্ন), হাফ ব্লাডদের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ায় ডাম্বলডোর পরিবার, পটার পরিবার, স্ক্যামান্ডার পরিবারকে তিনি বিশুদ্ধের তালিকায় স্থান দেননি।

ব্রিটেনের ২৮ পিওর ব্লাড পরিবার; Image Source: Wizarding World.

হগওয়ার্টসে পদার্পণের মাধ্যমে ১৯৩৮ সালে উইজার্ডিং ওয়ার্ল্ডের সাথে পুরোপুরি যুক্ত হয়ে যায় টম মারভোলো রিডল। সালাজার স্লিদারিনের বংশধর হওয়ায় ‘সর্টিং হ্যাট’ তাকে ‘হাউজ স্লিদারিন’-এ পাঠায়। ধীরে ধীরে নিজ মেধার পরিস্ফুটন ঘটাতে থাকে টম রিডল। শ্রেণীকক্ষের সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে প্রশংসার ফুলঝুরি কুড়িয়ে নেয় সে। ইতোমধ্যে সে স্লিদারিনের কয়েকজন পিওর ব্লাড শিক্ষার্থীকে নিয়ে খুলে বসে একটা গ্যাং, যেটা থেকেই পরে ‘ডেথ ইথার’ দলের জন্ম হয়। স্কুলে নানা ঘৃণিত কর্মকাণ্ড ঘটানোর পাশাপাশি এরা সবাই রক্তের বিশুদ্ধতা নিয়ে অহঙ্কার করত।

হগওয়ার্সের শিক্ষার্থী থাকাকালীন টম রিডল এবং তার সাঙ্গোপাঙ্গরা; Image Source: Warner Bros.

হঠাৎ একসময় সে নিজ পূর্বপুরুষ ও পরিবার সম্পর্কে জানার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে। সে ভেবেছিল, তার মা-বাবা দুজনই জাদুকর; অর্থাৎ সে পিওর-ব্লাড। সেজন্য সে পিওর-ব্লাড ছাড়া বাকিদের প্রতি (হাফ-ব্লাড, মাগলবর্ন, মাগল) ঘৃণাপোষণ করত। বাবার পরিচয় জানার জন্য স্কুলের ট্রফি কক্ষ, জাদুজগতের নথিবদ্ধ ইতিহাস, সবকিছু তন্ন তন্ন করে খুঁজেও কোনো হদিস পেল না। ‘টম মারভোলো রিডল’ নামের মারভোলো শব্দের সূত্র ধরে মাতামহ মারভোলো গন্টের মাধ্যমে সালাজার স্লিদারিনের সাথে সে তার যোগসূত্র খুঁজে পেল। সালাজার স্লিদারিনকে নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে করতে হঠাৎ সে একদিন ‘চেম্বার অব সিক্রেটস’ সম্পর্কে জানতে পারে।

শিক্ষার্থী টম রিডল ও ব্যাসিলিস্ক; Image Source: Vladislav Pantic.

এরপর মাগলবর্ন মার্টেল ওয়ারেন হত্যা, হ্যাগ্রিডকে দোষী বানিয়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীর পুরষ্কার বাগিয়ে নেওয়া- এসব কিছু আগেই আলোচনা করা হয়েছে ভলডেমর্টের জীবনী নিয়ে লিখা আর্টিকেলে। তাই ওদিকে আর যাচ্ছি না। কারণ, এতে বিষয়টি মূল আলোচনা থেকে বিচ্যুত হয়ে যাবে।

ভলডেমর্ট সম্পর্কে জানতে পড়ুন লর্ড ভলডেমর্ট: এক দুর্ধর্ষ খলনায়কের উপাখ্যান

১৯৪৫ সালে গ্রিন্ডেলওয়াল্ডকে হারানোর পর এল্ডার ওয়ান্ডের মালিক হয়ে যান ডাম্বলডোর। তারপর গ্রিন্ডেলওয়াল্ডকে অস্ট্রিয়ায় অবস্থিত তার নিজ কারাগার নারমেনগার্ডে বন্দি করে রাখা হয় আজীবনের জন্য। এর ফলেই ইউরোপে সমাপ্তি ঘটে গ্রিন্ডেলওয়াল্ডের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের। ইউরোপ জুড়ে নেমে আসে শীতল শান্তির ছায়া।

উইজার্ডিং ওয়ার্ল্ডের ব্লাড স্ট্যাটাস; Image Source: Mohasin Alam Roni.

সবকিছু দূর থেকে গোপনে অবলোকন করছিল টম রিডল। ওদিকে, সে-ও দিন দিন তার মনে পুষে রাখা কু-মতলব বড় করে তুলছিল। অসীম ক্ষমতার মোহ আচ্ছন্ন করে ফেলেছিল তাকে। ষষ্ঠ বর্ষে থাকাকালীনই নিজের প্রথম হরক্রাক্স তৈরি করতে সক্ষম হয় টম। ডার্ক ম্যাজিকে ব্যাপক উৎসাহ থাকায় গ্রাজুয়েশনের পর হগওয়ার্টসে ডিফেন্স অ্যাগেইন্সট ডার্ক আর্টস বিষয় পড়াতে চায় সে। কিন্তু শিক্ষকতার জন্য তার বয়স খুব কম হওয়ায় তৎকালীন প্রধান শিক্ষক আরমান্ডো ডিপেট তাকে সাফ মানা করে দেন।

আরমান্ডো ডিপেট; Image Source: Wizarding World.

তখন ইউরোপ এবং এশিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে সে দুর্লভ ডার্ক ম্যাজিক চর্চার পাশাপাশি হরক্রাক্স বানানোর কাজও সম্পন্ন করে ফেলল। টম মারভোলো রিডল নামে মাগল নাম (রিডল) থাকার কারণে ঘৃণায় সে নাম পাল্টে লর্ড ভলডেমর্ট রাখল সে। কারণ, ‘Tom Marvolo Riddle’ নামের অক্ষরগুলোকে বিন্যাস করলে ‘I am Lord Voldemort’ পাওয়া যায়। নিজ সমর্থনে বহু অনুসারী জুটিয়ে ফেলল ভলডেমর্ট।

টম রিডল যখন ষষ্ঠ বর্ষের শিক্ষার্থী; Image Source: Warner Bros.

১৯৬৮ সালে টুপিওয়ালা আলখাল্লা পরতে শুরু করল ভলডেমর্ট। কারণ, আত্মাকে অনেক টুকরায় ভেঙে তার শারীরিক গঠনে অনেক পরিবর্তন এসেছিল। পুরো জাদুকর সম্প্রদায়ের উপর সে ছড়ি ঘুরাতে চাচ্ছিল। তার দলের সদস্যরা মাগলবর্নদের সহ্য করতে পারত না। দুনিয়া থেকে মাগলবর্নদের খতম করাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য। কোনো কোনো জাদুকর তাদের নিজস্ব ধ্যানধারণা, কেউ ভলডেমর্টের কর্মকাণ্ডে অনুপ্রাণিত হয়ে, আবার কেউ ভয়ে ভলডেমর্টের দলে সামিল হতে লাগল।

হুডিসদৃশ আলখাল্লায় ভলডেমর্ট; Image Source: Warner Bros.

মানুষের মাথার খুলির মুখ থেকে একটি সাপ বেরিয়ে আসছে- এমন কারুকার্যের একটি ‘ডার্ক মার্ক’ চিহ্ন তৈরি করে ভলডেমর্ট। তবে ভলডেমর্টের হাজার হাজার অনুসারীর মাঝে যারা ছিল সর্বোচ্চ পরিমাণে নিবেদিত, তাদের বলা হতো ডেথ ইটার। বিশ্বস্ত ডেথ ইটাররা ওই ডার্ক মার্ক তাদের হাতে চিরস্থায়ীভাবে খোদাই করত, যাতে করে তারা সহজেই লর্ড ভলডেমর্টকে যেকোনোসময় ডাকতে পারে। সাধারণ দুনিয়া এবং জাদুজগত দুই জায়গাতেই ডেথ ইটাররা চালাতে লাগল তাদের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড। ডার্ক ম্যাজিকের কালো থাবায় অন্ধকারে ছেয়ে গিয়েছিল পুরো গ্রেট ব্রিটেন, যা মনে করিয়ে দেয় গ্রিন্ডেলওয়াল্ডের সময়ের কথা। 

আসমানে ভেসে ওঠা ডার্ক মার্ক; Image Source: Wizarding World.

ভলডেমর্ট তার অনুসারীদের নিয়ে সাথে গোপনে দরিদ্র এবং গৃহহীন মাগলদের হত্যা করা শুরু করে। শুধুমাত্র একটি হরক্রাক্সকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য সে এক হাজার মানুষকে হত্যার পর তাদেরকে ইনফেরিতে রূপান্তর করে, যা জাদুজগতের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য গণহত্যা হিসেবেই ধরা হয়। তখনও ব্রিটিশ জাদুজগতে ডেথ ইটারদের কার্যকলাপগুলো ছিল লোকচক্ষুর অন্তরালে। জাদু মন্ত্রণালয়ও তাদের সম্পর্কে তেমন কিছু জানত না। ১৯৬৫ সালের মার্চে, কুখ্যাত ওয়্যারওল্ফ ফেনরির গ্রেব্যাক দুজন মাগন বাচ্চাকে হত্যার পাশাপাশি জাদু মন্ত্রণালয়ের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সন্তানকে আঘাত করে বসে। তাকে দোষী সাব্যস্ত করে তার উপর মামলা ঠুকে দেয় মন্ত্রণালয়ের আদালতে। সে বছরই মন্ত্রণালয় সকল প্রকার ভয়ঙ্কর জাদুকরী প্রাণী প্রজননকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এর পেছনে অবশ্য কলকাঠি নেড়েছেন নিউট স্ক্যামান্ডার।

ব্রিটিশ জাদু মন্ত্রণালয়; Image Source: Warner Bros.

এর কিছুদিন পর হগওয়ার্টসের প্রধান শিক্ষক পদে আসীন হন অ্যালবাস ডাম্বলডোর। দক্ষতা এবং সুনামের জন্য তাকে ‘International Confederation Of Wizards [ICW]’ এবং ‘Wizenagamot’ আদালতের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।ইতোমধ্যেই আত্মাকে টুকরো করে পাঁচটি হরক্রাক্স বানিয়ে ফেলেছে ভলডেমর্ট। ডাম্বলডোর প্রধান শিক্ষক হবার পরেই ভলডেমর্ট হগওয়ার্টসে পুনরায় ডিফেন্স অ্যাগেইন্সট ডার্ক আর্টস বিষয় পড়ানোর জন্য আবেদন করে।

অ্যালবাস ডাম্বলডোর; Image Source: Warner Bros.

কিন্তু ভলডেমর্টের ব্যাপারে পূর্ণ সতর্ক থাকায় সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেন ভলডেমর্ট। রেগেমেগে ভলডেমর্ট তখন ওই পদের উপর অভিশাপ দিয়ে যায়, যাতে ওই পদে কেউ এক বছরের বেশি শিক্ষকতা করতে না পারে। সত্যি সত্যিই সেই অভিশাপের পর ওই পদে কেউ এক বছরের বেশি শিক্ষকতা করতে পারেনি। ডাম্বলডোর সবকিছুতে কড়াকড়ি নিয়ম আরোপ এবং ভলডেমর্টের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা জোরদার করায় ভলডেমর্ট ক্ষোভে ফেটে পড়ে।

ভলডেমর্ট ও ডেথ ইটাররা; Image Source: Warner Bros.

১৯৭০ সালে ভলডেমর্ট জাদুজগতে আত্মপ্রকাশ করে বসে। সে নিজেকে ‘ডার্ক লর্ড’ দাবি করে দিনে-দুপুরে ব্রিটেনে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে থাকে। নিজ অনুগত শিষ্য এবং দৈত্য-দানবদের সে ব্রিটিশ জাদু মন্ত্রণালয়ের দিকে লেলিয়ে দেয়। তার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল এমন এক জাদুজগত গঠন করা, যেখানে শুধু পিওর ব্লাড উইজার্ড এবং উইচেরা জাদুচর্চা করতে পারবে। সেজন্য, সে হাফ-ব্লাড, মাডব্লাডদের ধরে ধরে খুন করতে লাগল। জাদুজগত তার হাজার বছরের ইতিহাসে এমন হিংস্র কর্মকাণ্ডের সাক্ষী হলো এই প্রথম।

দৈত্য-দানবও যোগ দিয়েছিল ভলডেমর্টের দলে; Image Source: Wizarding World.

প্রাচীনকালে মাগলেরা ধরে ধরে ডাইনি অপবাদ দিয়ে জাদুকর নিধন করেছে, কিন্তু নিজ সম্প্রদায়ের উপর হত্যাযজ্ঞ চালানোর ঘটনা ভলডেমর্টই প্রথম শুরু করেছিল। মাগলবর্ন ছাড়াও তাদের হিংস্রতার বলি হয় হাউজ-এল্ফ, এবং গবলিনেরা। প্রত্যেক জীবকে হত্যার পর ডেথ ইটাররা ছড়ি উঁচিয়ে ‘মরমর্ডে’ বলে আকাশে ডার্ক মার্ক প্রকাশ করত। তাদেরকে ঠেকানোর জন্য জাদু মন্ত্রণালয় থেকে ইম্পেরিয়াস কার্স ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়।

ডেথ ইটার; Image Source: Rado Markovic.

ভলডেমর্ট তার নিজের নামের উপর মন্ত্র ফুঁকে দেয়, যাতে সেই নাম কেউ মুখে নিলেই তার অবস্থান ভলডেমর্ট সাথে সাথে জেনে ফেলতে পারে। সকলেই ভয়ে চুপসে যেতে থাকল। ভাবল, ভলডেমর্টের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো মানে নিজ ও নিজের পরিবারের উপর ধ্বংস ডেকে আনার সামিল। ওদিকে তাদের উপর ইম্পেরিয়াস কার্স ব্যবহার করতে করতে অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ছিল জাদু মন্ত্রণালয়।

ডেথ ইটার; Image Source: Hepcat Jester.

অনেক ডেথ ইটার আবার গোপনে জাদু মন্ত্রণালয়ে গুপ্তচর হিসেবে কাজ করতে থাকে। ভেতর থেকে ফুঁসলে উঠা পিওর ব্লাড সুপ্রিমেসির বিদ্রোহ সামাল দেওয়া ক্রমশই জটিল হয়ে উঠছিল। জাদু মন্ত্রণালয়ের রহস্য বিভাগের কর্মকর্তা অগাস্টাস রুকওড গোপনে মন্ত্রণালয়ে নিজেদের জাল বিস্তৃত করেছিল। পৃথিবীর কাছে নিজের শক্তিমত্তা জাহির করার জন্য ভলডেমর্ট একশোরও বেশি জাদুকরকে হত্যা করে। দুর্ধর্ষ সকল ডার্ক উইজার্ড এবং দৈত্য-দানব নিয়ে গড়ে তোলা ভলডেমর্টের বিশাল বাহিনীকে টেক্কা দেওয়ার মতো তখন তেমন কেউই অবশিষ্ট ছিল না। তার অসীম শক্তিকে পরাজিত করা প্রায় অসম্ভব ব্যাপারই হয়ে দাঁড়ায়। এভাবে গেলার্ট গ্রিন্ডেলওয়াল্ডকে ছাপিয়ে ভলডেমর্টের হয়ে ওঠে পৃথিবীর সবচেয়ে কুখ্যাত এবং শক্তিশালী ডার্ক উইজার্ড।

চলবে…

This is a Bengali article about First Wizarding War and Order Of The Phoenix. References have been hyperlinked inside.
Feature Image: Warner Bros.

Related Articles

Exit mobile version