সাম্প্রতিক অতীতের সবচেয়ে জনপ্রিয় টিভি শো কোনটি? চোখ বুজেই নামটি বলে দেয়া যায়, এইচবিও’র ফ্যান্টাসি সাগা, গেম অব থ্রোন্স। অথচ ড্রাগন, আইস জম্বি কিংবা অবিশ্বাস্য মাত্রার সহিংসতাপূর্ণ এই শো-টির তো টিভি পর্দার ধারে-কাছেও আসার কথা ছিল না। কিংবা বলা ভালো, আপাতদৃষ্টিতে সম্ভবই ছিল না। আর আসলেও, আজকের এই পিজি-১৩ যুগে, দর্শকমহলে সেটির খুব একটা ইতিবাচক গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হওয়ারও কথা ছিল না। অথচ সেটিই কি না পরিণত হয়েছে এইচবিও ইতিহাসের সর্বকালের সবচেয়ে বেশি দেখা টিভি শো, সেটিই জিতেছে এখন পর্যন্ত তিনবার সেরা টিভি ড্রামাসহ মোট ৪৭টি এমি, এবং সেটি নিয়েই একসময় সৃষ্টি হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছোট পর্দাকেন্দ্রিক সবচেয়ে বড় ট্রেন্ড (#JonSnowLives)। কীভাবে সম্ভব হলো এগুলো? কীভাবে গেম অব থ্রোন্স এলো টিভি পর্দায়?
প্রথমেই জানিয়ে রাখা ভালো, থ্রোন্সের পর্দায় আসার সম্ভাবনাকে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করে দেয়া ‘অপচেষ্টা’ চালানো হয়েছিল, আর সেটি করেছিলেন স্বয়ং জর্জ আর আর মার্টিন, যার আ সং অব আইস অ্যান্ড ফায়ার সিরিজ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে গেম অব থ্রোন্স। অন্য বেশিরভাগ লেখকেরই লক্ষ্য থাকে, কোনোভাবে যদি হলিউডকে আকৃষ্ট করা যায়, তাদের উপন্যাসের স্বত্ত্ব বিক্রি করে সাত অংকের বিশাল অর্থ বাগিয়ে নেয়া যায়। কিন্তু মার্টিন সুস্পষ্টভাবেই চেয়েছিলেন, তার সিরিজটির দিকে যেন হলিউড নজর না দেয়।
আ সং অব আইস অ্যান্ড ফায়ার শুরু করার আগে মার্টিন ছিলেন একজন টিভি লেখক। সিবিএস চ্যানেলের দ্য টোয়ালাইট জোন এবং বিউটি অ্যান্ড দ্য বিস্টের জন্য চিত্রনাট্য লিখতেন তিনি। কিন্তু তার সেই অভিজ্ঞতা একদমই সুখকর ছিল না। তিনি টিভি নেটওয়ার্কের কাছে যে প্রাথমিক খসড়া জমা দিতেন, তা দেখে তারা বলত, “জর্জ, আমাদের এটা খুবই ভালো লেগেছে। কিন্তু এটা আমাদের বাজেটের পাঁচগুণ হয়ে গেছে। তুমি যে যুদ্ধের কথা লিখেছ সেখানে এক দলেই আছে ১০,০০০ মানুষ। এর বদলে এটাকে নায়ক আর খলনায়কের মধ্যকার লড়াই করে দাও।”
নিজের প্রাথমিক খসড়া চিত্রনাট্যে পরিবর্তন আনা, কিংবা সেটিকে কাটছাঁট করে ছোট করার এই প্রক্রিয়া মার্টিনের খুবই অপছন্দনীয় একটি কাজ ছিল। আকৃতি কিংবা বাজেটের দোহাই দিয়ে নিজের সৃষ্টিশীলতাকে বারবার নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যে আটকে ফেলতে ফেলতে হাঁপিয়ে উঠেছিলেন তিনি। তার পক্ষে আর কিছুতেই সম্ভব হচ্ছিল না নিজের মনের বিরুদ্ধে গিয়ে চিত্রনাট্য রচনার কাজ চালিয়ে যাওয়া।
“আমি ভাবলাম, এমন করতে করতে আমি অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। এখন আমি এমন কিছু একটা লিখব, যেটা তত বড় হবে, যত বড় আমি চাই। আর সেখানে চরিত্রের সংখ্যাও হাজার ছাড়িয়ে যাবে। সেখানে বিশাল বিশাল প্রাসাদ থাকবে, যুদ্ধ থাকবে, ড্রাগনও থাকবে। আমি যা যা চাই, তার সবকিছুই থাকবে সেখানে।” – জর্জ আর আর মার্টিন
অর্থাৎ মার্টিন সচেতনভাবেই চেষ্টা করলেন এমন কিছু একটা লেখার, যেটি কেবল বইয়ের পাতাতেই সীমাবদ্ধ থাকবে, যেটিকে কেউ কোনোদিন পর্দায় রূপান্তরের দুঃসাহস দেখাবে না। এমন চিন্তা নিয়েই তিনি ১৯৯১ সালে সিরিজের প্রথম পর্ব অর্থাৎ আ গেম অব থ্রোন্স লেখা শুরু করলেন, এবং ১৯৯৬ সালে অবশেষে প্রকাশিত হলো সেটি। সেই থেকে এক অবিস্মরণীয় যাত্রা শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত পাঁচটি পর্ব প্রকাশ পেয়েছে, আর পৃষ্ঠাসংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪,৫০০ পাতা। সামনে আরো দুটি পর্ব প্রকাশের অপেক্ষায় আছে।
কিন্তু এমন নয় যে আ সং অব আইস অ্যান্ড ফায়ারের বিশালত্ব দেখে হলিউড কোনো আগ্রহই দেখায়নি এটিকে পর্দায় রূপান্তরের। সিরিজটি পড়ার পর মার্টিনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন চিত্রনাট্যকারই, এবং তারা চেয়েছিলেন পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বানাতে। কিন্তু তিনি ভেবে দেখলেন, এমনকি টলকিনেরও তিনটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র লেগেছে, আর টলকিনের তিনটি বই সমান তার একটি বই।
তখন মার্টিনের মাথায় আরেকটি চিন্তাও এলো, “এটি তাহলে কোনোভাবেই পর্দায় রূপান্তর করা সম্ভব না। কোনো নেটওয়ার্ক টেলিভিশনের জন্য তো না-ই। কারণ এটি খুবই অ্যাডাল্ট একটি সিরিজ। যে মাত্রার যৌনতা ও সহিংসতা স্থান পেয়েছে কাহিনীতে, তা কোনোভাবেই পর্দায় উপস্থাপনের যোগ্য নয়।”
এবার দৃশ্যপটে হাজির আরো দুই ব্যক্তি। তাদের নাম ডেভিড বেনিওফ ও ডি বি ওয়েস। সেই স্কুলজীবন থেকেই খুব ভালো বন্ধু তারা। একসাথে তারা পড়াশোনা করেছেন ডাবলিনের ট্রিনিটি কলেজেও। পরবর্তীতে বেনিওফ খুব বড় একজন চিত্রনাট্যকারে পরিণত হন। তিনি চিত্রনাট্য তৈরি করেন স্পাইক লি’র টুয়েন্টি ফিফথ আওয়ার চলচ্চিত্রের জন্য, পাশাপাশি হাত লাগান দি কাইট রানার চলচ্চিত্রটির পর্দায় রুপান্তরেও। অপরদিকে ওয়েস আরেকটু বেশি সাহিত্যঘেঁষা ছিলেন। ২০০৩ সালে তিনি প্রকাশ করেন নিজের প্রথম উপন্যাস লাকি ওয়েন্ডার বয়, যা সমালোচকদের কাছ থেকে বেশ ভালো প্রশংসা কুড়িয়েছিল।
যা-ই হোক, বলা যায় ঘটনাচক্রেই আ গেম অব থ্রোন্সের একটি কপি চলে এলো বেনিওফের হাতে। ৩০০ পাতার মতো পড়েই এতটা মুগ্ধ হয়ে গেলেন তিনি যে, কল দিয়ে বসলেন ওয়েসকে। বললেন, “তুমি কি কখনো গেম অব থ্রোন্সের নাম শুনেছ? তোমার উচিত অবশ্যই এটি পড়া। কারণ আমি যদি পাগল হয়ে গিয়ে না থাকি, এটা আমার গত কয়েক বছরের মধ্যে পড়া সেরা উপন্যাস।”
বেনিওফের কথাকে খুবই গুরুত্ব সহকারে নিলেন ওয়েস। কারণ তারা দুজন সেই ছোটবেলা থেকেই ফ্যান্টাসি জগতে বিচরণ করে এসেছেন, এবং একে অপরের রুচি সম্পর্কে বেশ ভালো করেই জানেন। ঢাউস আকৃতির বইটি ওয়েস পড়ে শেষ করলেন মাত্র দুই দিনের মধ্যেই। আর তারপর দুই বন্ধু মিলে শুরু করলেন চিন্তাভাবনা, কীভাবে অসাধারণ এই উপন্যাসটিকে পর্দায় নিয়ে আসা যায়।
শুরুতেই তারা চলচ্চিত্র নির্মাণের চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেললেন। কারণ তারা জানতেন, যদি তিন ঘন্টার একটি চলচ্চিত্রও বানাতে চান, তাহলেও প্রথম বইটির ৯০ শতাংশই তাদেরকে ফেলে দিতে হবে। তাদের কাছে টিভিকেই অপেক্ষাকৃত নিরাপদ একটি মাধ্যম বলে মনে হলো। কিন্তু সেখানে তো আরো বেশি সমস্যা। কারণ তাদের দুজনের মধ্যে কারোই নেই অতীতে টিভিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা। তারপরও তারা নিজেদের প্রজ্ঞা দিয়ে বুঝে ফেললেন, এই সিরিজটিকে যদি টিভি শো-তে রূপান্তর করতেই হয়, তাহলে এইচবিও-ই হতে পারে সর্বোৎকৃষ্ট ঠিকানা। কারণ মার্টিনের উপন্যাসে যেসব উপাদান আছে, সেগুলোকে অবিকৃত রাখার দুঃসাহস কেবল এইচবিও-ই দেখাবে। ইতিমধ্যেই তারা কার্নিভাল, ডেডউড এবং রোমের মতো কয়েকটি এপিক তৈরি করেছে।
এইচবিও-র কাছে যাওয়ার আগে, বেনিওফ ও ওয়েস মার্টিনের সাথে সান্তা মনিকার একটি রেস্টুরেন্টে বসে টানা পাঁচ ঘন্টার মিটিং করলেন। সেই মিটিংয়ে তারা মার্টিনের সামনে তুলে ধরলেন নিজেদের যাবতীয় পরিকল্পনার কথা। জানালেন, প্রতি সিজনে একটি করে পর্ব রূপান্তর করতে চান তারা। তাহলেই উপন্যাসের সুবিস্তৃত কাহিনী ও অজস্র চরিত্রকে পর্যাপ্ত দম ফেলার সুযোগ করে দেয়া যাবে। কিন্তু এসব শোনার পরও মার্টিনের মন পুরোপুরি গলেনি। তার মনে হচ্ছিল, সামনে থাকা মানুষ দুজন হয়তো আদৌ তার লেখা ভালো করে পড়েননি, তাই তারা এমন উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনা করতে পারছেন। তখন তিনি আচমকাই তাদের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, “বলুন তো, জন স্নোর মা কে?” বেনিওফ ও ওয়েস দুজনই যখন সেই প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারলেন, তখনই সন্তুষ্ট হলেন মার্টিন। আর তার আশীর্বাদধন্য হয়ে বেনিওফ-ওয়েস জুটি পা বাড়াল এইচবিওর উদ্দেশে, আ সং অব আইস অ্যান্ড ফায়ারের স্বত্ত্ব কেনার ব্যাপারে তাদেরকে রাজি করাতে।
এইচবিও কর্তৃক স্বত্ত্ব কেনা হয়ে গেলে বেনিওফ ও ওয়েসের পরবর্তী কাজ ছিল পাইলট পর্বের চিত্রনাট্য তৈরি করে ফেলা। তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যেই চিত্রনাট্য তৈরি করে এইচবিওর কাছে জমা দিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু ২০০৭-০৮ সালের দিকে হলিউডে লেখকদের ধর্মঘট চলছিল, যে কারণে তাদের চিত্রনাট্যটির সবুজ সংকেত পেতে বিলম্ব হচ্ছিল। অবশেষে ২০০৮ সালের নভেম্বরে সেটি অনুমোদন পায়।
বেনিওফ ও ওয়েসের কাছে মনে হয়েছিল, তাদের সংগ্রামের বুঝি ওখানেই সমাপ্তি। কিন্তু না। তাদের সংগ্রামের তো তখন কেবল শুরু। গেম অব থ্রোন্সের পাঁড় ভক্তরা নিশ্চয়ই জানেন, এই সিরিজটির একটি অসম্প্রচারিত পাইলট সংস্করণ আছে। সেটি কখনো সম্পচারিত হয়নি, কারণ সেটি হয়েছিল প্রচন্ড মাত্রায় বাজে। এতটাই বাজে যে, এইচবিও প্রায় সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছিল এই সিরিজটি নিয়ে আর না এগোতে।
এ ব্যাপারে ওয়েস বলেন,
“পাইলট পর্বটি দেখার পর এইচবিও চিন্তাভাবনা শুরু করে দেয়, তারা আসলেই এই সিরিজটি বানাবে কি না। চার মাসের মতো সময় নিয়েছিল তারা। ওই চারটি মাস ছিল আমাদের দুজনের জীবনেরই দীর্ঘতম চারটি মাস। প্রতিদিনই আমরা বসে বসে ভাবতাম, এই একটি প্রকল্প নিয়ে এতদিন খেটেছি আমরা, এত বিশাল একটি সুযোগও পেয়েছি যা আর কোনোদিন হয়তো আসবে না, অথচ এভাবে আমরা সেই সুযোগটির অপব্যয় করে ফেললাম!”
ঠিক কী সমস্যা ছিল পাইলট পর্বটিতে? বেনিওফ ব্যাখ্যা দেন সে প্রশ্নের:
“হায় ঈশ্বর! চিত্রনাট্য রচনার একদম প্রাথমিক ধাপ থেকেই আমরা সবকিছু ভুল করে ফেলেছিলাম। আমরা আমাদের তিন-চারজন বন্ধুকে নিয়ে এসেছিলাম তাদের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া নেয়ার জন্য। তাদেরকে পাইলট পর্বটি দেখতে দেখা ছিল আমাদের জন্য চরম অপমানজনক একটি অভিজ্ঞতা। কারণ তারা প্রত্যেকেই ছিলেন খুবই বিচক্ষণ ব্যক্তি। এবং আমরা যা বানিয়েছি, একদম প্রাথমিক ধাপ থেকেই তা তাদেরকে সন্তুষ্ট করতে পারছিল না। পাইলট পর্বের একদম শেষে, জেইমি ল্যানিস্টার ব্র্যানকে জানালা থেকে ঠেলে ফেলে দেয়। এরপর জেইমি তার বোন সারসেইয়ের সাথে শুয়ে থাকে। কিন্তু আমাদের একজন বন্ধুও এই বিষয়টি অনুধাবন করতে পারেনি যে জেইমি আর সারসেই আসলে ভাই-বোন। এটি ছিল আমাদের প্লটের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ, যা আমরা প্রতিষ্ঠিত করতে ব্যর্থ হয়েছিলাম।”
এইচবিও-কে পুনরায় রাজি করানো ছিল খুবই শ্রমসাধ্য একটি কাজ। প্রথম বছরটা নিজেদেরকে আনাড়ি শিক্ষানবিশ বলে মনে হচ্ছিল বেনিওফ ও ওয়েসের। তবে এইচবিও সরাসরি তাদেরকে ‘না’ করে দেয়নি। তাদের মনোভাব অনেকটা ছিল এমন যে, “আচ্ছা ঠিক আছে, এই মানুষ দুজন হয়তো নিজেদের কাজটিতে খুব একটা ভালো নন। কিন্তু ইতিমধ্যেই আমরা পাইলট পর্বটির পেছনে অনেক বেশি অর্থ ঢেলে ফেলেছি। তাই আরেকটু দেখাই যাক তারা কতদূর কী করতে পারেন। হয়তো কোনোভাবে আমরা অন্তত একটি সিজন তৈরি করতে পারব।”
পাইলট পর্বের চিত্রনাট্য সম্পন্ন করার পর, আবারো সেটি শ্যুট করার দিনক্ষণ ঘনিয়ে এলো। কিন্তু পাইলট পর্বে যেসব অভিনেতা কাজ করেছিলেন, তাদের মধ্যে অনেকেরই দ্বিতীয়বারের মতো শিডিউল পাওয়া গেল না। তাই দর্শক আর কেটলিন স্টার্ক হিসেবে জেনিফার এল কিংবা ড্যানেরিস টারগারিয়ান হিসেবে টামজিন মার্চেন্টকে পর্দায় দেখতে পায়নি।
পাইলট পর্বের দ্বিতীয় সংস্করণটি বেশ ভালোভাবেই এইচবিও-র কাছ থেকে সবুজ সংকেত পেয়ে যায়, এবং ১৭ এপ্রিল, ২০১১ সালে সেটি এইচবিওতে প্রচারিতও হয়। সমালোচকরা পর্বটির ভূয়সী প্রশংসা তো করেই, পাশাপাশি ২.২ মিলিয়ন দর্শকও প্রথমদিন গেম অব থ্রোন্সের অভিষেক দেখে। এরপর ওয়ার্ড অব মাউথের কল্যাণে, প্রথম সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগেই পুনঃপ্রচার ও অন-ডিমান্ডের বদৌলতে দর্শকসংখ্যা তিনগুণ বেড়ে যায়। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি বেনিওফ ও ওয়েসকে। প্রথম সপ্তাহের পরিসংখ্যান দেখেই এইচবিও দ্বিতীয় সিজনের জন্য সিরিজটিকে রিনিউ করে।
এরপর? বাকিটা তো ইতিহাস। গত আট বছর ধরে আমরা দেখেছি গোটা বিশ্বব্যাপী গেম অব থ্রোন্স নিয়ে মানুষের সে কী উন্মাদনা! একুশ শতকের সবচেয়ে বড় কালচারাল ফেনোমেনন বলা হচ্ছে এটিকেই। কিন্তু জগতে কোনোকিছুই তো চিরস্থায়ী নয়। তাই আগামী সোমবার থেকে শুরু হবে গেম অব থ্রোন্সের শেষের শুরু। আর তার পাঁচ সপ্তাহ পরই ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই নেবে সিরিজটি।
চমৎকার সব বিষয়ে রোর বাংলায় লিখতে আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন এই লিঙ্কে: roar.media/contribute/