বহুল প্রচলিত একটি অভিযোগ আছে, আরবরা নাকি গণতন্ত্রের জন্য উপযোগী না। বিশেষ করে আরব বসন্তের ধারাবাহিকতায় তিউনিসিয়া, মিসর, লিবিয়া এবং পরবর্তীতে ইয়েমেন, আলজেরিয়া ও সুদানের স্বৈরশাসকদের পতনের পরেও দেশগুলোর পরিস্থিতির কোনো উন্নতি না হয়ে বরং আরও অবনতি হওয়ায় অনেকের কাছেই এ তত্ত্ব নতুন করে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।
কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, আজ থেকে শত বছর আগে, ইউরোপেরও অনেক দেশে যখন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি, তখনই সিরিয়ান আরবরা উদ্যোগ নিয়েছিল সময়ের তুলনায় অনেক আধুনিক একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার। সেসময় সিরিয়ার নির্বাচিত জনপ্রতিধিরা এমন একটি সংবিধান রচনা করেছিলেন, শত বছর পরেও বিশ্বের অনেক দেশের জন্য যা ঈর্ষণীয় হয়ে আছে।
সেই সংবিধানে বিলাদ আল-শাম তথা বৃহত্তর সিরিয়াকে ঘোষণা করা হয়েছিল একটি গণপ্রতিনিধিত্বমূলক রাজতন্ত্র হিসেবে, যেখানে রাজার ক্ষমতা ছিল খুবই সীমিত এবং অধিকাংশ ক্ষমতা ছিল নির্বাচিত সংসদের হাতে ন্যস্ত। কামাল আতাতুর্কের তুর্কি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠারও তিন বছর আগে রচিত সিরিয়ার এই সংবিধান ছিল একটি ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান। এই সংবিধানে কোনো রাষ্ট্রধর্ম ছিল না। বরং সকল ধর্মের নাগরিকদের জন্য সেখানে ছিল সমানাধিকার।
ধর্ম বিষয়ে সেখানে কেবল বলা ছিল, রাজার ধর্ম হতে হবে ইসলাম। অথচ যে সংসদ সদস্যরা এই সংবিধান পাশ করেছিলেন, তাদের অধিকাংশ সদস্যই ছিলেন অটোমান আমলের রক্ষণশীল নেতা। এবং সেসময় সংসদের প্রেসিডেন্ট, যার উদ্যোগেই মূলত এই সংবিধান আলোর মুখ দেখেছিল, তিনি ছিলেন সে সময়ের আরব বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী ইসলামিক স্কলার রাশিদ রিদা।
এমনকি খোদ আমেরিকায়ও যখন নারীরা ভোটাধিকার পায়নি, তখন এই সংবিধানের খসড়া প্রস্তুত করার সময় সিরিয়ান আরব কংগ্রেসের সদস্যরা সিরিয়ান নারীদেরকে ভোটাধিকার দেওয়ার সম্ভাবনা যাচাই করেছিলেন। শেষপর্যন্ত সমাজের প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কায় ঐ মূহুর্তে নারীদেরকে ভোটাধিকার না দিলেও তারা সংবিধানের ঐ ধারার জন্য এমনভাবে লিঙ্গ-নিরপেক্ষ শব্দ নির্বাচিত করেছিলেন, যেন যেকোনো মুহূর্তে নারীদেরকে ভোটাধিকার দিতে কোনো সমস্যা না হয়।
সিরিয়ার এই সংবিধান যদি কার্যকর হতে পারত, তাহলে তার ধারাবাহিকতায় আজ হয়তো আমরা সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি আরব বিশ্ব দেখতে পেতাম, যে বিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্রই হতো গণতান্ত্রিক। কিন্তু সেটি যে হয়নি, তার কারণ আর কিছুই না, ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের ঔপনিবেশিক স্বার্থ। আজ থেকে শত বছর আগে ব্রিটেন এবং ফ্রান্স কীভাবে সিরিয়ানদের গণতন্ত্রের পথে যাত্রাকে ধুলোর সাথে মিশিয়ে দিয়েছিল, সেই কাহিনীই “How the West Stole Democracy from the Arabs” বইয়ের মাধ্যমে পাঠকদের সামনে তুলে এনেছেন মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক ইতিহাসবিদ এলিজাবেথ এফ. থম্পসন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ ভার্জিনিয়ার ইতাহাসের অধ্যাপিকা এলিজাবেথ এফ. থম্পসনের মূল গবেষণার ক্ষেত্র প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ের মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাস। এর আগেও তিনি এই বিষয়ের উপর বই লিখেছিলেন। কিন্তু তার এই বইয়ে তিনি যে বিষয়টির উপর আলোকপাত করেছেন, তার ভাষায় ইংরেজিতে এই বিষয়ে এর আগে কোনো বই রচিত হয়নি।
থম্পসনের How the West Stole Democracy from the Arabs বইটিতে মূলত ১৯১৮-২০ সাল পর্যন্ত বৃহত্তর সিরিয়ার রাজনীতিতে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলিই গুরুত্ব পেয়েছে। বইটির সাবটাইটেল থেকেই তা পরিষ্কার: The Arab Congress of 1920, the Destruction of the Syrian State, and the Rise of Anti-liberal Islamism। থম্পসন দেখানোর চেষ্টা করেছেন, বর্তমান আরব বিশ্বে যে একনায়কতন্ত্রের এবং লিবারেলিজম-বিরোধী ইসলামপন্থার একচেটিয়া দাপট, তার জন্য দায়ী ব্রিটেন এবং ফ্রান্স, যারা ১৯২০ সালে সিরিয়ার স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে এবং সিরিয়ান কংগ্রেসকে বিলুপ্ত করে দিয়ে সিরিয়াতে অন্ধকার যুগের সূচনা করে দিয়েছিল।
How the West Stole Democracy from the Arabs বইটির কাহিনী আবর্তিত হয়েছে মক্কার শরিফ হুসেইন বিন আলির তৃতীয় পুত্র প্রিন্স ফয়সালকে ঘিরে। ফয়সাল ছিলেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষপর্যায়ে গঠিত নর্দান আরব আর্মির কমান্ডার, যিনি ব্রিটিশ গুপ্তচর টি.ই. লরেন্সের সাথে মিলে জর্ডানে অটোমান বাহিনীকে পরাজিত করার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
ইস্তাম্বুলে বেড়ে ওঠা ফয়সাল প্রথম জীবনে অটোমান সুলতানের প্রতি অনুগত থাকলেও পরবর্তীতে তরুণ তুর্কিদের উগ্র তুর্কি জাতীয়তাবাদ, আরবদের প্রতি বৈষম্য এবং বিশ্বযুদ্ধের শুরুর দিকে অটোমানদের পরাজয় তাকে নতুন পথের সন্ধান করতে বাধ্য করে। এমন সময় দামেস্কে যখন তার সাথে আরবদের স্বায়ত্তশাসনের লক্ষ্যে গঠিত গুপ্ত আরব সংগঠন ফাতাত-এর সদস্যদের পরিচয় হয়, তখন তিনি তাদের দ্বারা প্রভাবিত হন এবং পরবর্তীতে তার বাবাকে দিয়ে অটোমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ব্রিটিশদের সাথে যোগাযোগ করান।
ব্রিটিশরা শরিফ হুসেইন এবং ফয়সালকে প্রতিশ্রুতি দেয়, তারা যদি অটোমানদেরকে পরাজিত করতে ব্রিটিশদেরকে সাহায্য করে, তাহলে যুদ্ধের পর সমগ্র আরব বিশ্বকে স্বাধীনতা দিয়ে তাদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু বাস্তবে ব্রিটিশদের পরিকল্পনা ছিল ভিন্ন। তারা আগেই ফ্রান্সের সাথে করা সাইক্স-পিকো চুক্তি অনুযায়ী ইরাক এবং সিরিয়াকে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তাছাড়া ইহুদীদেরকেও তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ফিলিস্তিনের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে ছেড়ে দেওয়ার।
বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার আগেই ফয়সাল ব্রিটিশদের এই দুরভিসন্ধি টের পান। ১৯১৮ সালের আগস্টে বর্তমান সিরিয়ার দেরা শহর জয় করার পরপরই ফয়সাল জানতে পারেন, ব্রিটিশরা তার আগেই দামেস্কে প্রবেশ করে সিরিয়ার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। তাদেরকে সেই সুযোগ না দিয়ে ফয়সাল নিজেই তার বাহিনী নিয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর অটোমানদেরকে পরাজিত করে দামেস্কে প্রবেশ করে সেখানে আরবদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন। ব্রিটিশ এবং অটোমান উভয়ের হাত থেকে সিরিয়াকে মুক্ত রাখার জন্য তিনি এ সময় শিয়াদের সাথেও মৈত্রী স্থাপন করেন।
মূলত এই ঘটনার মধ্য দিয়েই বইয়ের কাহিনী শুরু। ব্রিটিশ, ফরাসি এবং আরব দেশগুলোর আর্কাইভ থেকে উদ্ধার করা বিভিন্ন নথিপত্র, আত্মজীবনী এবং ডায়েরির রেফারেন্স দিয়ে থম্পসন তার বইয়ে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছেন, কীভাবে ফয়সাল বৃহত্তর সিরিয়ার সার্বভৌমত্ত্ব এবং অখন্ডতার জন্য সামরিক এবং কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
ফয়সাল চেষ্টা করছিলেন ব্রিটিশদের সাথে সমঝোতা করে তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বর্তমান সিরিয়া, জর্ডান, লেবানন, ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল, এবং তুরস্ক ও ইরাকের অংশবিশেষ নিয়ে স্বাধীন, সার্বভৌম ও অখন্ড সিরিয়ান আরব রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে। কিন্তু ব্রিটিশদের ভঙ্গুর অর্থনীতির কারণে সেসময় তাদের ইরাকের তেলক্ষেত্রগুলোর দখল ধরে রখা দরকার ছিল। আর নিজেরা ইরাকের দখল ধরে রাখায় সাইক্স-পিকো চুক্তি অনুযায়ী তাদেরকে সিরিয়াকে তুলে দিতে হয় ফরাসিদের হাতে। ফরাসিরা নিজেরাও চায়নি মধ্যপ্রাচ্যে কোনো দেশ স্বাধীন হয়ে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে তাদের উপনিবেশগুলোকে স্বাধীনতার অনুপ্রেরণা দিক।
ব্রিটিশদের প্রতিশ্রুতি আদায়ে ব্যর্থ হয়ে ফয়সাল দৃষ্টি ফেরান আমেরিকার দিকে। বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসনের স্বায়ত্ত্বশাসনের ১৪ দফা নীতি তাকে মুগ্ধ করে, যেখানে ছোটবড় সকল জাতির স্বাধীনতার প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করা হয়েছিল। সিরিয়ানরা আরবরা যে স্বাধীনতার যোগ্য একটি জাতি, তাদের যে কারো উপনিবেশ বা তথাকথিত “ম্যান্ডেট” শাসনের অধীনে থাকার প্রয়োজনীয়তা নেই, সেটা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ফয়সাল ছুটে যান প্যারিস শান্তি সম্মেলনে।
বিশ্বনেতাদের সামনে তিনি তার বলিষ্ঠ বক্তব্য তুলে ধরেন। একাধিকবার দেখা করেন আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের নেতাদের সাথে। কখনো যুক্তি-তর্ক, কখনো সমোঝতার মাধ্যমে চেষ্টা করেন সিরিয়ার স্বাধীনতা আদায় করে নেওয়ার। কিন্তু উইলসনের সমর্থন থাকলেও ব্রিটেনের প্রতারণায় এবং ফ্রান্সের ষড়যন্ত্রে তার প্রচেষ্টা বারবার ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে থাকে। শেষপর্যন্ত তিনি দেশে ফিরে আসেন, এবং সিরিয়ানরা যে আসলেই যোগ্য সেটা প্রমাণ করার জন্য সমগ্র সিরিয়া থেকে জনপ্রতিনিধিদেরকে নিয়ে সিরিয়ান আরব কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে সিরিয়াতে গণতন্ত্রের সূচনা করেন।
থম্পসন তার বইয়ে ফয়সালের চরিত্র উপস্থাপন করেছেন অত্যন্ত সাবধানতার সাথে। পাঠকের কাছে প্রথমে ফয়সালকেই নায়ক মনে হতে থাকে। কিন্তু সংসদ গঠিত হওয়ার পর যখন এর সদস্যদের সাথে ফয়সালের বিরোধ শুরু হয়, তখনই তার আসল পরিচয় ফুটে ওঠে। বোঝা যায়, ফয়সাল মোটেও স্বাধীনতাকামী বিপ্লবী নেতা ছিলেন না। তিনি ছিলেন ভীরু, দুর্বল এবং ক্ষমতালোভী একজন রাজপুত্র, যিনি পশ্চিমাদের উপর অনেক বেশি নির্ভরশীল ছিলেন।
অল্পদিনের মধ্যেই ফয়সালের সাথে তার নিজের প্রতিষ্ঠিত কংগ্রেসের দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছে। সংসদের অনেক সদস্য যেখানে ফ্রান্সের ম্যান্ডেট নামের ঔপনিবেশিক শাসনের চরম বিরোধী ছিল, ফরাসি সৈন্যদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সম্ভাবনাও ছিল, সেখানে ফয়সাল শেষপর্যন্ত গোপনে ফ্রান্সের সাথে সমঝোতা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু শেষপর্যন্তও তিনি সফল হতে পারেননি।
মাইসালুনের যুদ্ধে সিরীয় বাহিনীকে শোচনীয়ভাবে পরাজিত করার মধ্য দিয়ে ফ্রান্স শুধু সিরিয়ার গণতন্ত্রকে আঁতুড়ঘরেই হত্যা করেনি, তারা ফয়সালকেও সিরিয়া থেকে বহিষ্কার করেছিল। এবং এর পরবর্তী বছরগুলোতে তারা নিজেদের আক্রমণকে বৈধতা দেওয়ার লক্ষ্যে গণতান্ত্রিক পথে সিরিয়ার এই যাত্রার ইতিহাসও গোপন এবং বিকৃত করার চেষ্টা করে।
থম্পসনের বইয়ের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ইসলামিক স্কলার রাশিদ রিদা। তার বইয়ে সত্যিকার অর্থে যদি কেউ নায়ক থেকে থাকেন, তিনি ফয়সাল নন, বরং রিদা। বর্তমান লেবাননের ত্রিপোলির অধিবাসী রাশিদ রিদা সেসময় মিসরে অবস্থান করছিলেন। কিন্তু সিরিয়ার রাজনৈতিক অস্থিরতা প্রত্যক্ষ করে তিনি সেখানে ছুটে যান ফয়সালকে পরামর্শ দিতে। একপর্যায়ে তাকেই নির্বাচিত করা হয় সিরিয়ার নবগঠিত কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে।
সিরিয়ার এই কংগ্রেসের সদস্যরা ছিলেন সমাজের নানা স্তর থেকে উঠে আসা নানা মত এবং আদর্শের অনুসারী। এদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন রক্ষণশীল, কিন্তু এর বিপরীতে অনেকে ছিলেন অত্যন্ত লিবারেল, অনেকে ছিলেন কট্টর আরব জাতীয়তাবাদী। এই সম্পূর্ণ বিপরীত দল ও মতের অনুসারীরা যে একমত হয়ে স্বল্প সময়ের মধ্যে একটি সফল সংবিধান প্রণয়ন করতে পেরেছিলেন, তার কৃতিত্ব থম্পসন রাশিদ রিদাকেই দিয়েছেন।
উল্টোদিকে, শত বছর পরে আজ যে বিভিন্ন আরব দেশে ইসলামপন্থীদের সাথে লিবারেলদের ঐকমত্য সম্ভব হচ্ছে না, তার দায় থম্পসন চাপিয়েছেন ঔপনিবেশিক শক্তির উপর। কারণ সিরিয়ার গণতন্ত্রকে যদি নির্বিঘ্নে চলতে দেওয়া হতো, তাহলে তারা নিজেরাই হয়তো তর্ক-বিতর্কের মধ্য দিয়ে এগিয়ে তাদের গণতন্ত্রকে আরও সুসংহত করতে পারত। কিন্তু পশ্চিমারা তাদের গণতন্ত্র ছিনিয়ে তাদের সার্বভৌমত্ত্ব কেড়ে নেওয়ার পর তারা নিজেদের ব্যর্থতার জন্য একে অন্যকে দায়ী করতে শুরু করে। এক পক্ষের প্রতি অপরপক্ষের সেই অবিশ্বাস এবং অভিযোগ আজও চলমান।
এলিজাবেথ এফ. থম্পসনের বইটি রেফারেন্স, খুঁটিনাটি তথ্য এবং প্রত্যক্ষ উক্তিতে ঠাঁসা সমৃদ্ধশালী একটি বই। মাত্র দেড় বছর সময়কালের ইতিহাসের উপর রচিত প্রায় ৬০০ পৃষ্ঠার বিশাল এই বই সাধারণ পাঠকদের কাছে একটু দীর্ঘই মনে হতে পারে। কিন্তু ইতিহাসের ছাত্রদের কাছে বা মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাস বিস্তারিতভাবে জানতে আগ্রহীদের কাছে বইটি নিঃসন্দেহে অমূল্য একটি দলিল বলে বিবেচিত হবে।
বইটি Grove Press UK থেকে ২০২০ সালে প্রকাশিত হয়েছে। ইতোমধ্যেই বইটি বেশ প্রশংসা অর্জন করেছে। পাঠকদের ভোটে বইটির অ্যামাজন রেটিং 4.6/5 এবং গুডরিডস রেটিং 4/5।