Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

হাউ টু ট্রেইন ইওর ড্রাগন: ড্রাগনদের দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম

হাউ টু ট্রেইন ইওর ড্রাগন 

সে অনেককাল আগের কথা, বার্ক নামক এক দ্বীপের উত্তর দিকে হিক্কাপ নামের এক তরুণ ভাইকিং ছিল, যে কি না তার দ্বীপের অন্য সবার সাথে ড্রাগনদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ নামে; কেননা এই ড্রাগনগুলো প্রতিনিয়তই ওদের দ্বীপে আক্রমণ করে ধ্বংসস্তূপ বানিয়ে তোলে দ্বীপটাকে। কিন্তু হিক্কাপের বাবা এবং দ্বীপের প্রধান, স্টোয়িক দ্য ভাস্ট, তার বোকা কিন্তু বুদ্ধিদীপ্ত ছেলেকে এই যুদ্ধ থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে সদা তৎপর; কেননা অনেককাল আগের এক রাতে স্টোয়িক তার প্রাণপ্রিয় স্ত্রী ভালকাকে হারিয়েছিল চিরতরে এই ড্রাগনদের কাছেই।

হাউ টু ট্রেইন ইওর ড্রাগন মুভির একটি দৃশ্য; Image Source: denofgeek.com

কিন্তু, শত মানা সত্ত্বেও হিক্কাপ যুদ্ধে যায় এবং নাইট ফিউরি নামক কালো কুচকুচে রঙের রহস্যময় এক ড্রাগন আবিষ্কার করে এবং কোনোভাবেই ড্রাগনটাকে হত্যার জন্য নিজেকে মানসিকভাবে তৈরি করতে পারে না হিক্কাপ। এর পরিবর্তে দুজনের মধ্যে বেশ ভালো একটা বন্ধুত্ব তৈরি হয়ে যায় এবং একটা সময় পর হিক্কাপ বুঝতে পারে- বিলুপ্ত আর অদ্ভুত সুন্দর এই প্রজাতিটি সম্পর্কে ভুল ধারণা তার নিজের লোকেদেরই আছে। তাই হিক্কাপ চায় বন্ধুত্বপূর্ণ, বিশ্বস্ত এবং অদ্ভুত সুন্দর এই প্রজাতির সাথে নিজের লোকেদের এক সম্পর্ক তৈরি করে দিতে। সম্পূর্ণ ভিন্ন দুটি দুনিয়া এক বন্ধুত্বের সম্পর্কে বাঁধতে চায় হিক্কাপ।

এটিই ছিল ২০১০ সালে মুক্তি পাওয়া অ্যানিমেশন মুভি হাউ টু ট্রেইন ইওর ড্রাগন মুভিটির পটভূমি। ড্রিমওয়ার্কস অ্যানিমেশনের মুভিটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং সে বছরই সিনেমার সম্মানজনক পুরষ্কার অস্কারের দুটি ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পায় সিনেমাটি। ক্রেসিডা কোওয়েলের বই অবলম্বনে নির্মিত এই মুভিটি জনপ্রিয়তা এবং বক্স অফিস দুই জায়গাতেই ঝড় তুলেছিল তুমুলভাবে, যার ফলশ্রুতিতে ২০১৪ সালে হাউ টু ট্রেইন ইওর ড্রাগন পার্ট টু এবং সম্প্রতি ২০১৯ সালে এই মুভিটির শেষ কিস্তি হিসেবে হাউ টু ট্রেইন ইউর ড্রাগন: দ্য হিডেন ওয়ার্ল্ড নামে বিশ্বব্যাপী মুক্তি পায়। ধারাবাহিকভাবেই মুভিটি জনপ্রিয়তা এবং বক্স অফিসের ঝড়কে অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছে। আজকের আলোচনায় থাকছে সদ্য মুক্তি পাওয়া ট্রিলজি মুভিটির শেষ কিস্তি হাউ টু ট্রেইন ইওর ড্রাগন: দ্য হিডেন ওয়ার্ল্ড নিয়ে। তবে আলোচনা শুরুর আগে যেহেতু প্রথম পর্বের গল্পের পটভূমি খানিকটা জানানো হয়েছে, তাই দ্বিতীয় পর্বের গল্পের পটভূমিটা আগে জেনে নিয়েই মূল আলোচনা শুরু হবে।

হাউ টু ট্রেইন ইউর ড্রাগন – পার্ট টু 

পাঁচ বছর পরের কথা, বার্কে এখন ভাইকিং আর ড্রাগনদের মধ্যে কোনো যুদ্ধ হয় না, বরং সব ভাইকিংয়েরই একটি করে নিজস্ব পোষা ড্রাগন আছে। এখন বার্কে প্রায়শই প্রতিযোগিতামূলক বিভিন্ন খেলা হয়, যেসব খেলায় অংশ নেয় ভাইকিং এবং ড্রাগনরা। এমনই এক খেলা শেষে কৌতূহলী হয়ে অজানা কিছুর দিকে ছুটে চলে হিক্কাপ ও তার ড্রাগন টুথলেস এবং অস্ট্রিড ও তার ড্রাগন স্টর্মফ্লাই। সবুজ রঙের বরফে আবৃত এক গ্রাম আবিষ্কার করে ওরা আর এর পর পরই শুনতে পায় রহস্যময় একজন ড্রাগন রাইডারের কথা, যার নাম ড্রাগো, এবং সবাই বলে ড্রাগোর কাছে নাকি এমন কিছু আছে যার জন্য যেকোনো ড্রাগন নাকি ওর পোষ মানতে বাধ্য।

হাউ টু ট্রেইন ইওর ড্রাগন – পার্ট টু এর পোস্টার; Image Source: dreamworksanimation.com

ড্রাগো চায় পৃথিবীর সব ড্রাগনকে নিজের আয়ত্বে নিয়ে আসতে এবং এটা করার জন্য যেকোনো কিছু করতে ড্রাগো প্রস্তুত। বিওয়াইল্ডার বিস্ট নামক ভয়ঙ্কর ড্রাগন নিয়ে আসে ড্রাগো। ব্যাপারটা ব্যাপকভাবে নাড়া দেয় হিক্কাপকে। ওদিকে স্টোয়িক খুঁজে পায় হারিয়ে যাওয়া তার প্রাণপ্রিয় স্ত্রী ভালকাকে। ভালকা ড্রাগনদের এক গোপন দুনিয়ার খবর জানে, যেটা জানতে এবং ঐসব ড্রাগনকে নিজের আয়ত্বে আনতে মরিয়া হয়ে ওঠে ড্রাগো। একদিকে নিজেদের ড্রাগনদের নিরাপত্তা এবং অন্যদিকে দুনিয়ার সমস্ত ড্রাগনদের নিরাপত্তা- এই দুই-ই নির্ভর করছে হিক্কাপ এবং তার পোষা ড্রাগন নাইট ফিউরি টুথলেসের উপর।

হাউ টু ট্রেইন ইওর ড্রাগন: দ্য হিডেন ওয়ার্ল্ড

বছরখানেক পরের কথা। বার্কের প্রধান এখন হিক্কাপ এবং বার্কের ড্রাগনদের আলফা বা প্রধান হচ্ছে হিক্কাপের নাইট ফিউরি টুথলেস। হিক্কাপের চিন্তাভাবনা এখন কেন্দ্রীভূত হয়ে আছে নিজের গোত্রের লোকদের দেখাশোনা করা এবং বার্কের বাইরে থাকা সেসমস্ত ড্রাগনদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, যেসব ড্রাগনরা এখনো মানুষদের হুমকির মুখে পড়ে আছে। যেজন্য টুথলেস, অ্যাস্ট্রিড, রাফনাট, টাফনাট, ফিশলেগ, স্নাটলাউট সবাই মিলে রাতের অন্ধকারে বিভিন্ন গ্রামে কিংবা জাহাজে বন্দি অসংখ্য ড্রাগনদের উদ্ধার করে এবং বার্কে ফিরিয়ে নিয়ে আসে।

হাউ টু ট্রেইন ইওর ড্রাগন: দ্য হিডেন ওয়ার্ল্ড মুভির পোস্টার; Image Source: fandango.com

হিক্কাপ খুব ছোট থাকতে তার বাবা দিগন্তরেখার দিকে দেখিয়ে ওকে বলতো এক অদেখা আর গোপন ড্রাগন-দুনিয়ার কথা। নাবিকেরা জাহাজ নিয়ে সেখানে যেত, দুনিয়ার একেবারে শেষ প্রান্তে, যেখানে সমুদ্রের মাঝে এক অদ্ভুত আর রহস্যময় জলপ্রপাত আছে; যারা সেখানে গিয়েছে তাদের অনেকেই আর ফেরেনি এবং যারা ফিরে এসেছে তারা বলতো ওটা নাকি শুধুমাত্র ড্রাগনদের দুনিয়া; যেখানে ড্রাগনরা শান্তিতে থাকে। স্টোয়িক অর্থাৎ হিক্কাপের বাবার ইচ্ছা ছিল সেই জায়গাটা খুঁজে বের করে নিষিদ্ধ করে দেবে, যেন আর কখনো ড্রাগন ও মানুষদের মধ্যে কোনোপ্রকার যুদ্ধ না হয়। এই স্বপ্নটাই হিক্কাপ দেখে প্রতিনিয়ত। হিক্কাপ চায় দ্য হিডেন ওয়ার্ল্ড খুঁজে বের করতে এবং বার্কের সবাইকে নিয়ে সেখানে নতুন এক বার্ক প্রতিষ্ঠা করতে।

ইতিমধ্যেই হিক্কাপ অনেক জাতি এবং উপজাতির শত্রুতে পরিণত হয়েছিল তাদের উপর আক্রমণ করে এবং তাদের ড্রাগনগুলোকে মুক্ত করে দিয়ে। কিন্তু তারা সবাই মিলেও হিক্কাপের বার্কে আক্রমণ করতে পারবে না, কারণ বার্কের আলফা নাইট ফিউরি। তবে তারা একটি সমাধানে আসে। গ্রিমেল দ্য গ্রিসলিকে খুঁজে বের করে তারা। গ্রিমেল হচ্ছে এমন একজন মানুষ, যে কি না ড্রাগন শিকারেই পরিপূর্ণ আনন্দ পায়। কিন্তু গ্রিমেল ওদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে রাজি হয়নি প্রথমে।

গ্রিমেল দ্য গ্রিসলি এবং হান্টার ড্রাগন; Image Source: howtotrainyourdragon.com

কিন্তু যখন নাইট ফিউরির কথা শোনে তখন গ্রিমেলের খানিকটা চিন্তাবোধ হয়, কেননা গ্রিমেলের হাতেই শেষ নাইট ফিউরিটা মারা গিয়েছিল। তাই ওরা একটা চুক্তি করতে চায় গ্রিমেলের সাথে, আর সেটা হচ্ছে হিক্কাপের নাইট ফিউরি টুথলেসের বদলে ওদের কাছে থাকা একটা ধবধবে সাদা রঙের মাদি নাইট ফিউরি, যা লাইট ফিউরি নামে পরিচিত সেটির সওদা। তাই গ্রিমেল মুহুর্ত বিলম্ব না করে লাইট ফিউরির সাথে নাইট ফিউরি তথা টুথলেসের পরিচয় করিয়ে দেয় আর টুথলেসও লাইট ফিউরির প্রেমে পড়ে যায়।

গ্রিমেল একদিন নিজের পরিচয় দিতে বার্কে আসে। সে জানায়, ছোট থাকতেই নাইট ফিউরি মারার জন্য গ্রামবাসী ওকে হিরো বানিয়েছিল। এরপর থেকেই নাইট ফিউরি মারাটা যেন এক নেশায় পরিণত হয়েছে। তাই, যেটা শুরু করেছে, সেটা শেষ করতে চায় গ্রিমেল। সেই হিসেবে টুথলেসকেও মরতে হবে গ্রিমেলের হাতে। কিন্তু হিক্কাপের বাঁধায় তাৎক্ষণিকভাবে গ্রিমেল নিজের ড্রাগন কিলারদের দিয়ে বার্ককে ধ্বংসস্তূপ বানিয়ে চলে যায়। হিক্কাপ নিজের গোত্রের সবাইকে নিয়ে এমন কোথাও চলে যায়, যেখানে গ্রিমেল ওদের খুঁজে পাবে না।

লাইট ফিউরি এবং নাইট ফিউরি; Image Source: howtotrainyourdragon.com

টুথলেস চলে যায় লাইট ফিউরির সাথে দ্য হিডেন ওয়ার্ল্ডে। এর মাঝে হিক্কাপ এবং তার দলবল গ্রিমেলের উপর অতর্কিত হামলা চায়; কিন্তু গ্রিমেলের বর্বরতা এবং নৃশংসতার হাত থেকে কোনোমতে প্রাণ বাঁচিয়ে পালায় সবাই। কিন্তু রাফনাট বন্দি হয়ে রয়ে যায় গ্রিমেলের কাছে। হিক্কাপ এবং অ্যাস্ট্রিড মিলে স্টর্মফ্লাইকে সাথে নিয়ে বের হয় দ্য হিডেন ওয়ার্ল্ড খুঁজতে এবং ওরা পেয়েও যায়। টুথলেসকে নিয়ে ফিরে আসে হিক্কাপ এবং ওদের পেছন পেছন আসে লাইট ফিউরিও। আর ঠিক তখনই রাফনাট একটি বাচ্চা ড্রাগনের পিঠে চড়ে এসে নামে ওদের গোপন এই আস্তানায়। অতর্কিত হামলায় টুথলেস এবং লাইট ফিউরিকে বন্দি করে নিয়ে যায় গ্রিমেল এবং আলফার সাথে সাথে সকল ড্রাগনও চলে যায় গ্রিমেলের বন্দি হয়ে।

হিক্কাপ কী করবে এখন? ওদের কাছে তো অবশিষ্ট কোনো বাচ্চা ড্রাগনও নেই। তাহলে ওরা কীভাবে যাবে টুথলেস এবং বাকি ড্রাগনগুলোকে উদ্ধার করতে? অবশেষে কি বিলুপ্তপ্রায় ফিউরি প্রজাতি নাইট এবং লাইট ফিউরিকে মেরে ফেলতে সক্ষম হয় গ্রিমেল? তাহলে দ্য হিডেন ওয়ার্ল্ডের সব ড্রাগনকে মেরে ফেলবে গ্রিমেল? নাকি হিক্কাপ ওর বন্ধু টুথলেসকে বাঁচাতে খালি হাতেই গিয়েছিল গ্রিমেলের সাথে যুদ্ধ করতে? এই সব কিছুই জানা যাবে ১ ঘন্টা ৪৪ মিনিটের এই মুভিটিতে।

দ্য হিডেন ওয়ার্ল্ডে অ্যাস্ট্রিড এবং হিক্কাপ; Image Source: howtotraindragon.com

ক্রেসিডা কোওয়েলের বই অবলম্বনে তৈরি এই ট্রিলজি মুভির চিত্রনাট্য লিখেছেন ক্রেসিডা নিজেই এবং ডিন ডিবলয়েস। ডিন ডিবলয়েসের পরিচালনায় এই মুভিতে অভিনয় করেছেন জে বারুচেল (হিক্কাপ), অ্যাস্ট্রিড (আমেরিকা ফেরেইরা), এফ. মারে আব্রাহাম (গ্রিমেল দ্য গ্রিসলি), জেরার্ড বাটলার (স্টোয়িক দ্য ভেস্ট), কেট ব্লানচেট (ভালকা) এবং কেট হেরিংটন (এরিক) সহ আরো অনেক অভিনেতা ও অভিনেত্রী। মুভিটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করেছে ড্রিমওয়ার্কস অ্যানিমেশন, ফুজি টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এবং ম্যাড হ্যাটার এন্টারটেইনমেন্ট। মুভিটির প্রযোজনা করেছেন যথাক্রমে ব্র্যাডফোর্ড লুইস (র‍্যাটাটুলি), বনি আর্নোল্ড (টয় স্টোরি, হাউ টু ট্রেইন ইওর ড্রাগন পার্ট ১ এবং ২), মাইকেল কনেলি, ডউগ ডেভিডসন (দ্য ডিপার্টেড), ক্রিস স্যান্ডার্স, ডিন ডিবলয়েসসহ আরো অনেকে।

দ্য হিডেন ওয়ার্ল্ডের আলফা নাইট ফিউরি এবং ওর সঙ্গী লাইট ফিউরি; Image Source: howtotrainyourdragon.com

এই ট্রিলজি মুভির সবচাইতে প্রধান এবং অন্যতম সেরা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর ফটোরিয়েলিস্টিক সৌন্দর্য, যা আপনাকে মুগ্ধ করবেই। প্রোডাকশন ডিজাইন থেকে শিল্প নির্দেশনা, চিত্রগ্রহণ থেকে মিউজিক- কোনো দিকেই কোনো কার্পণ্য দেখাননি পরিচালক। মুভিটি দেখে মনে হয়েছে পাঁচ বছর ধরে একটি গল্পকে সাজিয়ে গুছিয়ে পরিপূর্ণভাবে নিয়ে এসেছেন দর্শকদের জন্যে। বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধতা কাজ করে যখন স্টর্মফ্লাইকে সাথে নিয়ে অ্যাস্ট্রিড এবং হিক্কাপ দ্য হিডেন ওয়ার্ল্ড আবিষ্কার করে আর ঠিক তখনই বুঝবেন এই মুভির নামকরণও একদম সার্থক।

তবে অসঙ্গতি বলা যেতে পারে আবার না-ও বলা যেতে পারে এমন কিছু কথা না বললেই নয়। বেশিরভাগ সময়ই কেটেছে নাউট ফিউরি আর লাইট ফিউরির প্রেমের দৃশ্যে, যদিও এখানে বলা বাহুল্য, মূলত এই দুই ড্রাগনের কাহিনীকে উপজীব্য করেই এই গল্প রচিত হয়েছে, যেটা মূলত মুভির শেষেই বুঝতে পারা যায়। তাই একে অসংগতির পর্যায়ে না ফেলাই ভালো। আর গ্রিমেলকে দেখানো হয়েছে এই সিরিজের সবচাইতে শক্তিশালী ভিলেন রূপে, তবে ব্যক্তিগতভাবে বলতে গেলে গ্রিমেলের চাইতে দ্বিতীয় পর্বের ড্রাগোকেই বেশি ভয়ঙ্কর মনে হয়।

লাইট ফিউরিকে মুগ্ধ করতে ব্যস্ত টুথলেস; Image Source: pinterest.com

গ্রিমেলের চরিত্র যে ফুটে ওঠেনি তা নয়, তবে ড্রাগোকে ভালো লাগার কারণ ছিল ওর কন্ঠস্বর আর কদাকার রূপ; সেদিক থেকে গ্রিমেল দ্য গ্রিসলি অনেক বেশি ঠান্ডা মাথার এবং চতুর। তবে আগের দুই পর্বের চেয়ে এই পর্বে টুথলেসের কান্ড-কারখানা খুব বেশি মজার আর আনন্দদায়ক ছিল, বিশেষ করে যখন লাইট ফিউরিকে মুগ্ধ করতে যায় তখন। আবার এই পর্বেও টুথলেস আর হিক্কাপের মধ্যকার আবেগগুলো স্পষ্টভাবে দেখানো হয়েছে। কমেডি, রোমাঞ্চ, বন্ধুত্ব, সঙ্গী হারানোর ব্যথা, একরাশ মুগ্ধতা, গ্রিমেলের মতো বর্বর আর দুর্দান্ত ভিলেন- কী নেই এই মুভিতে? একজন অ্যানিমেশন মুভিপ্রেমী হিসেবে এর চাইতে বেশি কী-ই বা দরকার পড়বে?

This article is in Bangla language. It's a review about the trilogy movie series How To Train Your Dragon. 
Necessary references have been hyperlinked inside the article.
Feature Image: howtotrainyourdragon.com 

Related Articles