“Dragons are intelligent–more intelligent than men according to some maesters,”
– Tyrion Lannister.
ড্রাগন, অতিকায় এক কাল্পনিক প্রাণী, যার কিংবদন্তি ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে বিভিন্ন পুরাণ ও উপকথার পরতে পরতে। এ এমন এক জীব, যাকে ছাড়া কল্পনাপ্রসূত ফ্যান্টাসি জগৎ যেন অপূর্ণই থেকে যায়। ফ্যান্টাসি লেখকেরা তাদের নিজস্ব ধাঁচে সাজিয়েছেন একেকটি ড্রাগনকে, স্থান দিয়েছেন তাদের তৈরি ফ্যান্টাসি ইউনিভার্সে। সেজন্য, লর্ড অব দ্য রিংস থেকে শুরু করে হ্যারি পটার, দ্য উইচার, গেম অব থ্রোন্সসহ দুনিয়াকাঁপানো সকল ফ্যান্টাসি উপকরণেই ড্রাগনের অবাধ বিচরণ বিদ্যমান। জর্জ আর. আর. মার্টিনের সৃষ্ট ‘অ্যা সং অব আইস অ্যান্ড ফায়ার’ ইউনিভার্সে টারগেরিয়ান রাজবংশের পুরো ইতিহাসই লেখা হয়েছে ড্রাগনের মাধ্যমে। এগন টারগেরিয়ান থেকে ডেনেরিস টারগেরিয়ান, প্রত্যেকেই রাজত্ব করতে চেয়েছেন এই ড্রাগন দ্বারা। তাই আইস অ্যান্ড ফায়ার ইউনিভার্সের বড় এক অংশজুড়ে ড্রাগনের মাহাত্ম্য ও উপাখ্যান বিস্তৃত। এই ইউনিভার্সের শক্তিশালী সকল ড্রাগন নিয়েই আজকের এই আলোচনা। গেম অব থ্রোন্সে দেখানো ডেনেরিসের তিন ড্রাগনকে বাদ দিয়ে বাকি সব ড্রাগন প্রাধান্য পাবে এখানে। পাঠকের সুবিধার্থে লেখাটি মোট দুই পর্বে ভাগ করে নেওয়া হয়েছে।
বলে নেওয়া ভালো, আর্টিকেলে ব্যবহৃত বহুল দুটি শব্দ হলো এসি (AC) এবং বিসি (BC)।
- AC = After the Conquest (সেভেন কিংডম জয়ের পর এগন ফার্স্ট টারগেরিয়ানের রাজত্ব যখন শুরু হয়);
- BC = Before the Conquest (এগনের রাজত্ব শুরুর পূর্বের সময়)।
সিটাডলের মেইস্টাররা ওয়েস্টেরসে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসের সময় লিপিবদ্ধ এবং চিহ্নিত করে রাখতেন এই এসি-বিসি ব্যবহার করে।
‘অ্যা সং অব আইস অ্যান্ড ফায়ার’ ইউনিভার্সে একেবারে শুরুর কিংবদন্তিতেই উঠে এসেছে শক্তিশালী প্রাচীন ড্রাগন ন্যাগার অনুকাহিনি। এর সম্পর্কে লিখিত কোনো ইতিহাস পাওয়া যায় না। কাহিনি যতটুকুই ছড়িয়ে আছে, তার পুরোটাই জনশ্রুতি। ড্রাগন ন্যাগা ছিল সমুদ্রের অধিবাসী।
লোককাহিনী অনুসারে, ন্যাগা সমুদ্রের নীল জলরাশি দাপিয়ে বেড়িয়েছে ‘Age of Heroes‘ এর সময়ে। ‘এইজ অব হিরোজ’ আইস অ্যান্ড ফায়ার ইউনিভার্সের একেবারে শুরুর দিকের কাহিনি নির্দেশ করে। ফার্স্ট মেন এবং চিলড্রেনরা তাদের মধ্যকার যুদ্ধে ক্ষান্তি দিয়ে নিজেদের মধ্যে শান্তি চুক্তি করে নিলে এর দুই হাজার বছর পর সমাপ্তি ঘটে ‘Dawn Age‘ এর। তারপরেই আরম্ভ হয় ‘Age of Heroes’। উল্লেখ্য, ডন এইজের সূচনা ঘটে এগন কনকোয়েস্টের ১২,০০০ বছর পূর্বে। আয়রনবর্ন কিংবদন্তি অনুসারে, ন্যাগা ছিল প্রথম সমুদ্রড্রাগন, যে বেঁচে থাকত ক্র্যাকেন (পৌরাণিক সমুদ্র-দানব) ও লেভিয়াথান্স (পৌরাণিক সমুদ্র-দানব) ভক্ষণ করে। মাথায় ক্রোধ চেপে বসলে সে এক চুটকিতে গোটা একটা দ্বীপ ডুবিয়ে দিতে দ্বিধা বোধ করত না। ড্রোন গডের সহায়তায় ‘গ্রে কিং’ নামক তৎকালীন এক বাদশাহ ন্যাগাকে ওল্ড ওয়াইক দ্বীপের তীরে বধ করতে সক্ষম হন। পরবর্তীতে ন্যাগার অস্থি-কঙ্কাল দিয়ে ওখানে ঝকঝকে বিশাল এক অট্টালিকা নির্মাণ করা হয়।
চোয়াল দিয়ে তৈরি করা হয় রাজার সিংহাসন, এবং দাঁত দিয়ে নির্মিত হয় রাজমুকুট। ন্যাগার জাদুকরী আগুন দিয়ে রাজপ্রাসাদ উষ্ণ রাখার ব্যবস্থাও করা হয়। একসময় গ্রে কিং এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলে স্টর্ম গড ড্রাগনের সেই আগুন নিভিয়ে সিংহাসনে নিয়ে আসেন সমুদ্রের গহীন অতলে। সেখানে রয়ে যায় ন্যাগার অস্থি-কঙ্কাল দ্বারা তৈরি প্রাসাদের স্তম্ভগুলো।
মুনড্যান্সার
আসমান-জমিন দুই জায়গাতেই মুনশিয়ানা দেখাতে পারত ড্রাগন মুনড্যান্সার। তবে অন্যান্য ড্রাগনের তুলনায় সে ছিল বেশ কৃশকায়, রোগা-পাতলা, এবং ম্লান বর্ণের। ১২৯ এসিতে সে ১৩ বছর বয়সী বেইলা টারগেরিয়ানকে পিঠে নেওয়ার জন্য সক্ষম ছিল না। এর এক বছর পর মুনড্যান্সারের পিঠে চড়তে সফল হন বেইলা। ঐসময় ড্রাগনটি আকারে ছিল সেই যুদ্ধে ব্যবহৃত একটা ঘোড়ার সমান।
টারগেরিয়ান শাসনামলে সেভেন কিংডমে চলমান গৃহযুদ্ধ ‘ড্যান্স অব দ্য ড্রাগনস’ শুরু হবার পর দুই বছর পর্যন্ত বেলা টারগেরিয়ানের সাথে ড্রাগনস্টোনেই ছিল মুনড্যান্সার। ড্রাগনস্টোন এগন সেকেন্ড টারগেরিয়ানের নিকট পরাভূত হলে মুনড্যান্সারের পিঠে চড়ে পালিয়ে যেতে চান বেইলা। কিন্তু এগন সেকেন্ড সানফায়ারকে লেলিয়ে দেন তার পেছনে।
তুমুল সংঘর্ষ বাধে সানফায়ার এবং মুনড্যান্সারের মাঝে। অর্ধ-খোঁড়া সানফায়ারের তুলনায় বেশ ক্ষিপ্রতা প্রদর্শন করে মুনড্যান্সার। হঠাৎ করেই সানফায়ারের আগুনের এক হলকা এসে লেগে যায় মুনড্যান্সারের চোখে। বেইলা তখন মুনড্যান্সারকে নিয়ে ভূপাতিত হয়। তবে, জমিতে এসে সানফায়ারের আকার এবং ওজনের সাথে টেক্কা দিয়ে উঠতে পারেনি মুনড্যান্সার। তখন তাকে মৃত্যুবরণ করতে হয়।
সিরাক্স
ড্রাগন সিরাক্সে চড়া একমাত্র আরোহী ছিলেন রিনেরা টারগেরিয়ান। ১০৪ এসিতে রিনেরার যখন মাত্র সাত বছর বয়স, তখনই তিনি সিরাক্সের পিঠে চড়ে বসেন। সিরাক্স নামটা এসেছে প্রাচীন এক ভ্যালেরিয়ান দেবীর নাম থেকে। ভিসেরিস ফার্স্ট টারগেরিয়ানের রাজত্বকালে সিরাক্স একসাথে অনেকগুলো ডিম পেড়েছিল। একসময় সিরাক্সকে কিংস ল্যান্ডিংয়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল। শিকলের দৈর্ঘ্য বেশ বড় হওয়ায় সেটা গলায় নিয়ে প্রাঙ্গণে ঘুরে বেড়াতে পারত। কিন্তু নিজ ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোথাও উড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করত এই শিকল। স্টর্মিং অব দ্য ড্রাগনপিটের পর হত্যা করা হয় সিরাক্সকে।
টেসারিয়ন
ব্লু কুইন নামে পরিচিত টেসারিয়ন ছিল প্রিন্স ডেইরন টারগেরিয়ানের ড্রাগন। গাঢ় নিকেল বর্ণের ডানা এবং উজ্জ্বল তামাটে বর্ণের থাবা, ঝুঁটি এবং পেটের তলদেশ নিয়ে সে দেখতে ছিল বেশ সুন্দরী। তার অগ্নিশিখার রঙ ছিল নীল। ১২০ এসিতে টেসারিয়নের সাথে জোট বাধেন প্রিন্স ডেইরন টারগেরিয়ান। তবে তখনও তিনি টেসারিয়নের পিঠে আরোহণ করেননি। ১২৯ এসিতে টেসারিয়ন যুদ্ধে অংশগ্রহণের উপযুক্ত হয়ে ওঠে। ড্যান্স অব দ্য ড্রাগন্সের সময়ে সে ছিল এগন সেকেন্ড টারগেরিয়ানের দলে, এবং বয়সে ভ্যাগার, ড্রিমফায়ার, এবং সানফায়ারের তুলনায় ছোট। প্রিন্স ডেইরন তখন লর্ড হাইটাওয়ার এবং তার ফৌজকে বাঁচাতে টেসারিয়নকে নিয়ে হানিওয়াইনের যুদ্ধে রওয়ানা হন। ফলে ওই যুদ্ধে জয়লাভ করেন হাইটাওয়ার। ১৩০ এসিতে টাম্বলটোনে মৃত্যু ঘটে টেসারিয়নের।
টিরাক্সিস
ড্যান্স অভ দ্য ড্রাগন্সের সময় টিরাক্সিসের চালক ছিলেন জফ্রি ভেলারিয়ন। আকারে সে ছিল ভারম্যাক্স এবং অ্যারাক্স থেকে খানিকটা ছোট। প্রথমে জফ্রি ড্রাগনে চড়ে যুদ্ধে যাওয়ার আবদার করলেও তার মা তাতে সায় দেননি। পরবর্তীতে জ্যাকারিস জফ্রি ও তার বোন রেইনাকে ভ্যাইল অব অ্যারিনে যাওয়ার নির্দেশ দেন। সাথে সাথে জফ্রি রেইনাকে সাথে নিয়ে টিরাক্সিসের পিঠে চড়ে ড্রাগনস্টোন থেকে সেই জায়গার উদ্দেশে রওয়ানা দেন। ১১৭ এসিতে জন্ম নেওয়া এই ড্রাগন মৃত্যুবরণ করে ১৩০ এসিতে, ড্রাগনপিটে।
গ্রে ঘোস্ট
টারগেরিয়ান শাসনামলে কিছু ড্রাগন ছিল, যাদের পিঠে কেউ কখনো চড়েনি, বা চড়তে পারেনি। এই ড্রাগনসমূহ ‘Wild Dragon’ বা ‘বুনো-ড্রাগন’ নামে পরিচিত ছিল। তেমনি বিখ্যাত এক বুনো ড্রাগন হলো গ্রে ঘোস্ট। তার নাম দিয়েছিল ড্রাগনস্টোনের স্মলফোকেরা। সে বাস করত পাথুরে এক দ্বীপে। গ্রে ঘোস্ট দেখতে ছিল কিছুটা ধূসর বর্ণের। যেন ঠিক সকালের কুয়াশার মতো। একটু লাজুক স্বভাবের ছিল বলে সে সবসময় জনসমাগম এড়িয়ে চলত।
গ্রে ঘোস্টের প্রিয় খাদ্য ছিল মাছ। ‘ন্যারো সি’র উপরে তাকে প্রায়সময়ই উড়তে দেখা যেত। সমুদ্র থেকেই মাছ ধরে সে খিদে মিটাত। কখনও কোনো আরোহী তার পিঠে চড়েনি। সে ছাড়া বাকি আর দুই বুনো ড্রাগন হলো ‘শিপস্টিলার’ এবং ‘দ্য ক্যানিবল’। ড্যান্স অব দ্য ড্রাগন্সের সময় প্রিন্স জ্যাকারিসের নির্দেশে ড্রাগনসিডেরা গ্রে ঘোস্টের খোঁজে বের হয়েছিল। কিন্তু তখন কোথাও তার হদিস পাওয়া যায়নি।
১৩০ এসিতে, নেসারিয়ার নাবিকেরা ড্রাগনমন্টের আকাশে তাকিয়ে দেখে, গ্রে ঘোস্ট সাথে সানফায়ারের সাথে মরণ-যুদ্ধ লেগেছে। ওই যুদ্ধে প্রাণ হারায় গ্রে ঘোস্ট। সার রবার্ট কুইন্স গ্রে ঘোস্টের মৃত্যুর খবর শুনে ভেবেছিলেন, কাজটা হয়তো স্বগোত্রভোজী দ্য ক্যানিবলের হতে পারে।
মেলিস
ড্রাগন মেলিস দ্য রেড কুইন নামেও পরিচিত ছিল। ড্যান্স অব ড্রাগন্স চলাকালে যুদ্ধের ময়দানে যে কয়টা ড্রাগন যুদ্ধ শুরুর দিকে প্রাণ হারিয়েছিল, তাদের মধ্যে মেলিস অন্যতম। দ্রুতগামী ড্রাগন হিসেবে ওয়েস্টেরসে বেশ নাম-ডাক ছিল তার। বয়সের ভারে ঝুঁকে পড়ায় যুদ্ধক্ষেত্রে তরুণ ড্রাগনদের সামনে তেমন পারদর্শিতা প্রদর্শন করতে পারেনি মেলিস। প্রথমে তার চালক রাজকুমারী অ্যালিসা টারগেরিয়ান থাকলেও পরবর্তীতে মেলিসের মালকিন হয়ে যান রাজকুমারী রেনিস টারগেরিয়েন। মেলিসের আঁশ ছিল লালবর্ণের, আর ডানার ঝিল্লি ছিল গোলাপি রঙয়ের। তার ঝুঁটি, শিং এবং নখ ছিল তামার মতো উজ্জ্বল। এমনিতে সে অলস গোছের হলেও চটে গেলে অগ্নিমূর্তি ধারণ করত। তার বাসস্থান ছিল কিংস ল্যান্ডিংয়ের ড্রাগনপিটে।
৭৫ এসিতে রাজকুমারী অ্যালিসা টারগেরিয়ান ড্রাগনপিটে এসেছিলেন নিজের জন্য যুতসই একটি ড্রাগন বেছে নিতে। প্রথমে তিনি ড্রাগন ব্যালেরিয়নকে বাছাই করে নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অ্যালিসা তরুণ এবং দ্রুতগতির ড্রাগন চাইছিলেন বলে সেখানে উপস্থিত ড্রাগনরক্ষীরা তখন তাকে মেলিসের পিঠে চড়ার পরামর্শ দেয়। ৭৭ এসিতে অ্যালিসা তার নয় দিন বয়সের ছেলে সন্তান নিয়ে মেলিসের পিঠে চড়েছিল। ৮১ এসিতে তিনি দ্বিতীয় পুত্র ডেমনকে দিয়ে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটান।
৮৪ এসিতে অ্যালিসা মৃত্যুবরণ করলে প্রভুশূন্য হয়ে পড়ে ড্রাগন মেলিস। তবে তিন বছর পর, ৮৭ এসিতে, রাজকুমারী রেনিস টারগেরিয়ান মেলিসকে নিজের করে নেন। রেনিস এবং ওল্ড কিং জ্যাহারিস পুরো রাজ্য ঘুরে বেড়ানোর সময় মেলিস আর ভারমিথর তাদের বিশাল ডানা মেলে বায়ু ভেদ করে আকাশে উড়েছে।
রাজকুমারী রেনিস ম্যালিসের পিঠে চড়ে ‘ড্যান্স অব দ্য ড্রাগন্স’-এ যোগদান করেন। রুক’স রেস্টের যুদ্ধে রেনিসের নির্দেশে মেলিস বিপক্ষদলের সেনাবাহিনী, তীর, স্করপিয়ন, সবকিছু আগুনের হলকায় নিমিষেই জ্বালিয়ে ছাই করে দেয়। এই অবস্থা দেখে এইমন্ড টারগেরিয়ান এবং এগন সেকেন্ড টারগেরিয়ান তাদের দুই ড্রাগন ভ্যাগার এবং সানফায়ারকে মেলিসের পিছনে লেলিয়ে দেন। মেলিস তখন সানফায়ারের ডানা কামড়ে ধরে বেশ অর্ধেকের মতো ছিঁড়ে ফেললে পেছন থেকে অতর্কিত হামলা চালায় ভ্যাগার। আয়তনে ভ্যাগারের সমান না হলেও মুখোমুখি লড়াইয়ে হয়তো মেলিসের জেতার সুযোগ থাকত। কিন্তু হিংস্র ও শক্তিশালী দুই ড্রাগনের সাথে লড়াইয়ে প্রাণ খোয়াতে হয় মেলিসকে।
কারাক্সিস
কারাক্সিস ড্রাগনের চালক ছিলেন রাজকুমার ডেমন টারগেরিয়ান। বহু যুদ্ধের সম্মুখীন হওয়া যুদ্ধোন্মাদ এই ড্রাগন তার লালচে পশমের জন্য ‘Blood Wyrm’ নামেও পরিচিত ছিল। শিং পুরো দাড়ির মতো ছড়িয়ে ছিল তার মুখমণ্ডলে চারদিকে। তার পায়ের চারপাশে ডানার ন্যায় ঝিল্লি ছিল। ফায়ার অ্যান্ড ব্লাড বইয়ে ‘ড্যান্স অব দ্য ড্রাগন্স’ এর সময় কারাক্সিসকে অন্যতম বয়োজ্যেষ্ঠ এবং বৃহৎ ড্রাগন হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। কারাক্সিসের প্রথম আরোহী ছিলেন কিং জ্যাহারিস ফার্স্টের পুত্র প্রিন্স এইমন টারগেরিয়ান। কারাক্সিসের উপনাম নির্বাচন করেছিল ড্রাগনকিপাররা। সে প্রথম লড়াইয়ের স্বাদ পায় চতুর্থ ডোর্নিশ যুদ্ধে। ওই যুদ্ধে সে ছিল প্রিন্স এইমন টারগেরিয়ানের বাহক।
ভারমিথর এবং ভ্যাগারকে সাথে নিয়ে পুরো ডর্নিশ ফ্লিট পুড়ে ছারখার করে দেয় কারাক্সিস, তাদের পক্ষের বিন্দুমাত্র ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই। এরপর সে এইমনকে সঙ্গ দিয়েছিল টার্থে, যখন তিনি মাইরিশ দস্যুদের বিরুদ্ধে ইভেনস্টারে লড়েছিলেন। মাইরিশে কারাক্সিসের আগুন দেখে এক তীরন্দাজ বিশাল এক তির ইভেনস্টারের দিকে লক্ষ্য করে ছুড়েছিল। সেই তির কারাক্সিসের বদলে গিয়ে বিঁধে এইমনের শরীরে। সেই ক্ষত নিয়ে মারা যান ড্রাগনস্টোনের রাজকুমার। কারাক্সিস হয়ে পড়ে অভিভাবকহীন। পরবর্তীতে কারাক্সিসকে নিজের করে নেয় এইমনের ভাই বেইলনের সন্তান ডেইমন টারগেরিয়ান।
[চলবে]