ভাগ্য ফুরিয়ে এসেছিল আবদুল বারীর।
পূর্ব বাংলার আরো হাজার হাজার মানুষের মতো সে-ও একই ভুল করে বসেছিল। খুবই মারাত্মক ভুল সে করেছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর টহলের সামনে দিয়ে পালাতে গিয়ে। সে ছিল ২৪ বছর বয়সী ছোটখাটো এক যুবব, যাকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরেছিল সৈন্যরা। সে ভয়ে থরথর করে কাঁপছিল, কারণ একটু পরই তাকে গুলি করা হবে।
“সাধারণত দৌড়ানো অবস্থায়ই আমরা তাকে হত্যা করতাম,” খোশগল্পের ছলে আমাকে জানিয়েছিলেন মেজর রাঠোর, জি-২ অপারেশন্স, ৯ম ডিভিশন। আমরা দাঁড়িয়ে ছিলাম কুমিল্লার বিশ মাইল দক্ষিণে মুদাফারগঞ্জের কাছে ছোট একটি গ্রামের প্রান্তে। “শুধু আপনার খাতিরে আমরা তাকে চেক করছি। আপনি এখানে নতুন, আর আমার মনে হচ্ছে আপনার পেটের পীড়া আছে।”
“তাকে কেন হত্যা করতে হবে?” আমি সন্দিগ্ধভাবে জিজ্ঞেস করেছিলাম। উত্তর এসেছিল, “কারণ সে একজন হিন্দু হতে পারে, কিংবা হতে পারে একজন বিদ্রোহী। সম্ভবত সে একজন ছাত্র, আর নয়ত একজন আওয়ামী লীগার। তারা জানে আমরা তাদেরকে খোঁজার চেষ্টা করছি, আর এভাবে পালিয়ে গিয়ে তারা নিজেদেরকেই ধোঁকা দিচ্ছে।”
“কিন্তু আপনারা কেন তাদেরকে খুন করছেন? এবং কেনই বা হিন্দুদের প্রতি এমন আক্রোশ?” আমি প্রতিবাদ করেছিলাম। “আপনাকে কি আমার স্মরণ করিয়ে দিতে হবে,” এবার খানিকটা তীব্রভাবে রাঠোর বলেছিলেন, “কীভাবে তারা পাকিস্তান ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে? এখন যুদ্ধের আড়ালে আমাদের সামনে চমৎকার সুযোগ এসেছে তাদেরকে শেষ করে দেয়ার।”
“তবে অবশ্যই,” তিনি দ্রুত যোগ করেছিলেন, “আমরা শুধু হিন্দু পুরুষদেরই হত্যা করছি। আমরা হলাম সৈনিক, অমন কাপুরুষ নই বিদ্রোহীদের মতো। ওরা তো আমাদের নারী ও শিশুদেরকে হত্যা করছে।”
ঠিক এভাবেই শুরু হয়েছিল বিগত অর্ধশতাব্দীতে দক্ষিণ এশীয় সাংবাদিকতার ইতিহাসে সবচেয়ে প্রভাবশালী সংবাদ প্রতিবেদনগুলোর একটি। অ্যান্থনি মাসকারেনহাস নামের এক পাকিস্তানি প্রতিবেদকের লেখা প্রতিবেদনটি ছাপা হয়েছিল যুক্তরাজ্যের দ্য সানডে টাইমস পত্রিকায়, আর এর মাধ্যমেই প্রথমবারের মতো বৃহৎ পরিসরে প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৭১ সালে ঠিক কীভাবে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নিদারুণ ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছিল বাংলাদেশে।
প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৭১ সালের ১৩ জুন। ‘GENOCIDE’ শিরোনামে দুই পাতায় ১৬ কলাম জুড়ে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে প্রতিবেদনটি ছেপেছিল লন্ডনভিত্তিক পত্রিকাটি। বিশ্ববাসীর জন্য প্রতিবেদনটি এক চরম বিস্ময় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল। সেই ২৫ মার্চ রাত থেকেই বাংলাদেশ নিজেদেরকে স্বাধীন ঘোষণা করে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছিল বটে, কিন্তু জুনের মাঝামাঝি সময়ে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার আগপর্যন্ত, অর্থাৎ যুদ্ধের প্রথম প্রায় তিনমাস পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী যুদ্ধ নিয়ে প্রোপাগান্ডা চালিয়ে বেশ ভালোই পার পেয়ে যাচ্ছিল। এই প্রতিবেদনের মাধ্যমেই প্রথমবারের মতো ফাঁস হয়ে যায় পাকিস্তানিদের গুমর, উন্মোচিত হয় তাদের মুখোশ, আর বিশ্ববাসীর সামনে উঠে আসে প্রকৃত সত্যটা।
পাকিস্তানের প্রোপাগান্ডা
মার্চের শেষদিক থেকে পূর্ব পাকিস্তানে যা হচ্ছিল, তা নিয়ে বহির্বিশ্বের অনেকেই উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিল। এমনকি খোদ পশ্চিম পাকিস্তানের অনেক জনগণও চিন্তিত ছিল পূর্ব পাকিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকদের সর্বোচ্চ চেষ্টা ছিল প্রকৃত সত্যটা যেন বাইরের কেউ জানতে না পারে। তাই তারা প্রথমে এমন প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর চেষ্টা করছিল যে,
“মার্চের শেষের দিকে পূর্ব পাকিস্তানে দুই ডিভিশন পাকসেনা গোপনে পাঠানো হয় স্রেফ বিদ্রোহীদের ‘খুঁজে বের করার’ জন্য।”
শুধু এই প্রোপাগান্ডা ছড়িয়েই থেমে যায়নি তারা। বরং পূর্ব পাকিস্তানে যে সবকিছু ‘স্বাভাবিক’ রয়েছে, সেটিকে একটি প্রতিষ্ঠিত সত্যে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে এপ্রিল মাসে তারা আটজন পাকিস্তানি সাংবাদিককে আমন্ত্রণ জানায় পূর্ব পাকিস্তানে উড়ে যাওয়ার জন্য। এর আগেই অবশ্য পূর্ব পাকিস্তানে অবস্থানরত বিদেশি সাংবাদিকদের বহিষ্কার করা হয়েছিল। যা-ই হোক, আমন্ত্রিত ওই আট পাকিস্তানি সাংবাদিক ঢাকায় পা রাখার পর থেকে সরকারি কর্মকর্তারা তাদেরকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করতে থাকে এটি বিশ্বাস করতে, যে আসলেই দেশের পূর্বাংশে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে এসেছে।
এক ব্যতিক্রমী সাংবাদিক
আটজন সাংবাদিকের মধ্যে সাতজনকেই সরকারি কর্মকর্তারা প্রভাবিত করতে সক্ষম হয়েছিল। তারা পাকিস্তানি শাসকদের প্রোপাগান্ডা বাস্তবায়নে সাহায্যও করেছিল। কিন্তু ব্যতিক্রম ছিলেন কেবল একজন। তিনি অন্যদের মতো পরের কথায় পরিচালিত হননি। সেই মানুষটিই হলেন অ্যান্থনি মাসকারেনহাস। তিনি একাধারে ছিলেন করাচির মর্নিং নিউজ পত্রিকার সহকারী সম্পাদক এবং লন্ডনের দ্য সানডে টাইমস পত্রিকার পাকিস্তান প্রতিনিধি।
কে এই অ্যান্থনি মাসকারেনহাস? নাম শুনে অনেকেরই তাকে পশ্চিমা বিশ্বের কোনো সাংবাদিক বলে মনে হতে পারে। তাই তাকে পাকিস্তানি সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়ায় কেউ কেউ হয়তো সন্দিহান হয়ে পড়েছেন। তবে আদতে তিনি পাকিস্তানি নাগরিকই ছিলেন। ১৯২৮ সালের ১০ জুলাই কর্ণাটকের বেলগাভিতে এক গোয়ান ক্যাথলিক পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। আর তার পড়াশোনা ছিল করাচিতে।
‘যা দেখেছি, তা-ই লিখতে হবে আমাকে’
পূর্ব পাকিস্তান পরিদর্শনের পর করাচিতে ফিরে যান মাসকারেনহাস। সেখানে পূর্ব পাকিস্তানে গিয়ে যে অভিজ্ঞতা তার হয়েছে, আর যেসব ঘটনা তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন, তাতে তিনি হয়ে পড়েছিলেন খুবই ক্ষুব্ধ, বিষণ্ণ ও আবেগী।
মাসকারেনহাস ছোটবেলায় মায়ের কাছ থেকে পেয়েছিলেন সবসময় সত্যের পক্ষে থাকার উপদেশ। মায়ের সে কথা অক্ষরে অক্ষরে পালনের চেষ্টা করতেন তিনি। বরাবরই বলতেন,
“আমার সামনে একটি পাহাড়ও যদি রাখো, (সত্য প্রকাশের জন্য) আমি সেটি টপকে যাব।”
এমন একজন মানুষকেই যদি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ মহল থেকে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর জন্য চাপ দেয়া হয়, তাহলে তো তার দিশেহারা অবস্থা হওয়াই স্বাভাবিক। তাই সহধর্মিনী ইভোন মাসকারেনহাসকে তিনি বারবারই বলছিলেন,
“আমি যা দেখেছি, সেটা যদি আমি লিখতে না পারি, তাহলে আমি আর কখনোই অন্য কোনোকিছু লিখতে পারবো না।”
কিন্তু পাকিস্তানে বসে তো আর সেটি লেখা সম্ভব না। কারণ, পশ্চিম পাকিস্তানের গণমাধ্যম তখন পুরোপুরি সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত। তিনি যদি দখলদার সরকারের বিরুদ্ধে কিছু লেখার চেষ্টা করেন, সেগুলো অবশ্যই আটকে দেওয়া হবে। লেখাগুলো আলোর মুখ তো দেখবেই না, উল্টো দেশদ্রোহিতার অভিযোগে তাকেই হয়তো গুলি করে মারা হবে।
দেশত্যাগ
মাসকারেনহাস বিকল্প কোনো উপায়ের খোঁজ করতে থাকেন, এবং সেটি তিনি পেয়েও যান। অসুস্থ বোনকে দেখার নাম করে তিনি পাড়ি জমান লন্ডনে। এরপর ১৮ মে তিনি অপ্রত্যাশিতভাবে হাজির হন দ্য সানডে টাইমসের কার্যালয়ে। সম্পাদক হ্যারল্ড ইভান্সকে গিয়ে তিনি বলেন,
”আমি পূর্ব পাকিস্তানে পরিকল্পিত গণহত্যার একজন প্রত্যক্ষদর্শী এবং আর্মি অফিসারদের বলতে শুনেছি যে এটাই একমাত্র সমাধান।”
এরপর তিনি একে একে বর্ণনা করেন পূর্ব বাংলায় গিয়ে তার হওয়া যাবতীয় অভিজ্ঞতার কথা। ব্যাখ্যা করেন পূর্ব বাংলা ছেড়ে ৫০ লক্ষ মানুষকে (তখন পর্যন্ত) কেনই বা ভারতে পালিয়ে যেতে হয়েছে, সে কারণও।
সবকিছু শোনার পর ইভান্স সিদ্ধান্ত নেন প্রতিবেদনটি প্রকাশের। কিন্তু তখন মাসকারেনহাস তাকে জানান, এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর তার পক্ষে আর করাচি ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়। তাছাড়া তিনি নিজেও আর চান না পাকিস্তানে থাকতে। সত্যটা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে চান তিনি, এবং সেজন্য পাকিস্তানে নিজের বাড়ি, সম্পত্তি এবং দেশটির সবচেয়ে সম্মানিত সাংবাদিকদের একজন—সবকিছু বিসর্জন দিতেও রাজি। তার শুধু একটাই চাওয়া: করাচি থেকে স্ত্রী ইভোন আর সন্তানদের সুস্থ শরীরে বের করে আনতে হবে।
ব্যক্তিগত অভিযান
মাত্র কিছুদিন আগেই পূর্ব বাংলায় দেখেছেন যুদ্ধের বিভীষিকা। এবার মাসকারেনহাসের সামনে এসে হাজির হয় তার নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় অভিযানটি। সেটি হলো পাকিস্তান থেকে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে আসা।
দ্য সানডে টাইমসের সাথে তার চুক্তি হয়ে গেছে, স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে লন্ডনে ফেরার পরেই তারা তার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করবে। তাই মাসকারেনহাস ফিরে যান পাকিস্তানে। স্ত্রী-সন্তানের দেশত্যাগের অনুমতি যোগাড় করতেও সফল হন।
কিন্তু তার নিজের পাকিস্তান থেকে পুনরায় লন্ডনে প্রত্যাবর্তন সহজ কাজ ছিল না। তখনকার নিয়ম অনুযায়ী, পাকিস্তানী নাগরিকরা বছরে একবার বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ পেতেন। তাই পরিবার চলে যাওয়ার পর তিনি সড়ক পথে গোপনে সীমান্ত অতিক্রম করে আফগানিস্তানে ঢুকে পড়েন। সেখান থেকে উড়াল দেন লন্ডনের উদ্দেশে।
অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে অবশেষে ১২ জুন লন্ডনে মাসকারেনহাস তার পরিবারের সাথে একত্র হন। তার কিংবা তার পরিবারের নিরাপত্তার আর কোনো ঝুঁকি নেই— এটি নিশ্চিত হয়েই পরদিন দ্য সানডে টাইমস প্রকাশ করে সেই বিখ্যাত ও বহুল আলোচিত প্রতিবেদনটি।
একটি প্রতিবেদনের প্রভাব
কেউ যদি ভেবে থাকেন, একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে কী-ইবা এমন পরিবর্তন হয়, তারা ভুল ভাবছেন। কখনো কখনো একটি প্রতিবেদনেও বদলে যেতে পারে ইতিহাস। ঠিক যেমনটি মাসকারেনহাসের এই প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে ঘটেছিল। প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার পরই মোড় ঘুড়ে গিয়েছিল আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের গতিপথের।
যেমনটি আগেই বলেছি, মাসকারেনহাসের এই প্রতিবেদনের মাধ্যমেই প্রথমবারের মতো পূর্ব বাংলায় পাকিস্তানি হানাদারদের দমন-পীড়ন ও নিষ্ঠুরতার চিত্র বিশ্বের সামনে উঠে আসে এবং বিবিসি’র মার্ক ডামেটের মতে, এই প্রতিবেদনই সারা বিশ্বকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ করে তুলেছিল। একই সাথে প্রতিবেদনটি ভারতকেও উৎসাহিত করেছিল মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে এসে দাঁড়াতে, তাদের যুদ্ধজয়ে শক্ত ভূমিকা রাখতে।
এই প্রতিবেদনের একজন সরাসরি পাঠক ছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। তাকেও গভীরভাবে নাড়া দিয়েছিল এই প্রতিবেদনটি। লেখাটি পড়ে তিনি পূর্ব বাংলার মানুষের সাথে এত বেশি আবেগিক সংযোগ অনুভব করেছিলেন যে, নতুন উদ্যমে তিনি ইউরোপীয় রাজধানীগুলো আর মস্কোতে ব্যক্তিগতভাবে কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিতে শুরু করেন, যেন ভারত চলমান এই মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র হস্তক্ষেপ করতে পারে।
এই প্রতিবেদনের প্রভাব ছিল এত বেশি যে, এটিকে অগ্রাহ্য করতে পারেনি পাকিস্তানও। তারা এটিকে দেখেছিল একধরনের প্রতারণা হিসেবে। মাসকারেনহাসকে ‘শত্রু এজেন্ট’ আখ্যাও দিয়েছিল তারা, আর প্রতিবেদনে উঠে আসা তথ্যগুলোকে অস্বীকার করে এটিকে ‘ভারতীয় প্রোপাগান্ডা’ তকমা দেয়ারও প্রবল চেষ্টা চালিয়ে গেছে তারা।
শেষ কথা
শুধু এই একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধে বহির্বিশ্বের সমর্থন লাভ ত্বরান্বিত হয়েছে, এমন দাবি হয়তো অত্যুক্তি হয়ে যাবে। কারণ, আমাদের মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান ছিল আরো অনেক বিদেশি সাংবাদিকেরও, এবং তাদের সেসব অবদানও কখনো ভোলার নয়। তবে মাসকারেনহাস যেভাবে সত্য প্রকাশের লক্ষ্যে নিজের দেশ এবং সেই সংশ্লিষ্ট আর সবকিছুকে বিদায় বলেছিলেন, সেটিও রীতিমতো অবিশ্বাস্য একটি ব্যাপার। তাই তো বাংলাদেশে তাকে আজো স্মরণ করা হয়, এবং তার বিখ্যাত প্রতিবেদনটিও সংরক্ষিত রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে।
১৯৭১ সালের পর থেকেই লন্ডনেই সপরিবারে বাস করেছেন মাসকারেনহাস, এবং ১৯৮৬ সালের ৩ ডিসেম্বর সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। অবশ্য নিজ দেশ পাকিস্তানের সাথেও সবসময়ই যোগাযোগ রক্ষা করে এসেছেন তিনি, যার ফলে ১৯৭৯ সালে পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি বিষয়ক প্রথম প্রতিবেদনটিও প্রকাশ করেন তিনিই।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে মাসকারেনহাসের বিখ্যাত বই ‘দ্য রেপ অব বাংলাদেশ’। এছাড়া বাংলাদেশের ১৯৭১ থেকে ১৯৮৬ সালের ঘটনাক্রম নিয়ে তার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বই ‘বাংলাদেশ: আ লিগেসি অব ব্লাড’।
ইতিহাসের চমৎকার, জানা-অজানা সব বিষয় নিয়ে আমাদের সাথে লিখতে আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন এই লিঙ্কে: https://roar.media/contribute/