চলচ্চিত্র নির্মাণের ইতিহাস বেশ পুরনো। সেই উনিশ শতকের শুরু থেকে এর পথ চলা শুরু। আজকের চলচ্চিত্রের যে উন্নত এবং সাবলীল রূপরেখা আমাদের দৃশ্যপটে ধরা দেয়, তার ইতিহাস তৈরির ক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের অবদান অনস্বীকার্য। পূর্ণ-দৈর্ঘ্যের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ চলচ্চিত্র থেকে শুরু করে সাইলেন্ট সিনেমার চিত্রনাট্যকার, পরিচালক, অভিনেতা এবং শ্রোতাদের সদস্য হিসাবে নারীরা চলচ্চিত্র শিল্পকে প্রবলভাবে প্রভাবিত করেছে। ক্যামেরা ঘুরিয়ে সেলুলয়েড ফিতের উপর ছবি তোলা থেকে শুরু করে তা দর্শকের সামনে উপস্থিত করা অব্দি যে বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে হত, তাতে পুরুষদের তুলনামুলকভাবে অধিক অবদান থাকলেও একথা অস্বীকার করার জো নেই যে, প্রাথমিকভাবে চলচ্চিত্রকে শিল্পে রূপায়িত করার ক্ষেত্রে নারীরাও শক্তিশালী ভূমিকা পালন করেছিলেন।
হঠাৎ করেই যদি প্রশ্ন ছুড়ে দেয়া হয় কয়েকজন নারী নির্মাতার পরিচিতির ব্যাপারে, তবে অনেকেই হয়ত নীরবতার পথ বেছে নেবেন। এর কারণ চলচ্চিত্র নির্মাণের নেপথ্যে কাজ করে যাওয়া নারীদের ব্যাপারে আমাদের জানার সুযোগ তুলনামুলকভাবেই কম। শুধু হলিউড নয়, আধুনিক সিনেমার জন্মস্থান ফ্রান্স থেকে শুরু করে ভারত, জাপানের মতন দেশেও চলচ্চিত্র নির্মাণে কাজ করে যাওয়া নারীরা হয়েছেন নিদারুণ উপেক্ষিত। তবে সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে। আজকের বিশ্ব নারী নির্মাতাদের নিয়ে বেশ আগ্রহী এবং তৎপর। তাই ক্যামেরা নেপথ্যে অবদান রেখে যাওয়া কিছু কিংবদন্তী নারী চলচ্চিত্র নির্মাতার ইতিকথা আর তার সাথে হাল আমলের কিছু নারী নির্মাতাকে নিয়ে আজকের এই লেখা।
চলচ্চিত্রের শুরুর দিকের কিছু নির্মাতা
অ্যালিস গি-ব্লাশে
চলচ্চিত্রের সূচনালগ্ন থেকে যে নারী চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করেন এবং প্রাক-হলিউড স্টুডিও তৈরি করেন তার নাম অ্যালিস গি-ব্লাশে। ১৮৯৬ থেকে ১৯০৬ সাল পর্যন্ত অ্যালিস গি-ব্লাশে ছিলেন ‘সম্ভবত পৃথিবীর একমাত্র নারী চলচ্চিত্র নির্মাতা’। মাত্র ২৩ বছর বয়সে তিনিই চলচ্চিত্র ইতিহাসের সর্বপ্রথম ‘ন্যারেটিভ ফিল্ম’ নির্মান করেন। কয়েক দশকব্যাপী তিনি তার পরিচালনা, প্রযোজনা এবং চিত্রনাট্য দ্বারা চলচ্চিত্রকে একটি শক্তিধর শিল্প হিসেবে বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠিত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। অ্যালিস ১৮৭৩ সালে ফ্রান্সে জন্মগ্রহণ করেন এবং চলচ্চিত্রের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির একজন সচিব হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এক হাজারেরও বেশি চলচ্চিত্র তৈরি করার পাশাপাশি তিনি নিউ জার্সিতে তার নিজের চলচ্চিত্রের স্টুডিওতে অভিনয় করেন, শব্দ সিঙ্কিং, ভিন্ন ভিন্ন কাস্টিং এবং বিশেষ প্রভাব নিয়ে গবেষণা করেন।
লুসি ওয়েবার
লুসি ওয়েবার হলেন প্রথম আমেরিকান নারী চলচ্চিত্র পরিচালক। অ্যালিস গিয়ের স্বামী হারবার্টের মাধ্যমে ১৯০৮ সালে তিনি প্রথমে চলচ্চিত্রে অভিনয় করার সুযোগ লাভ করেন। তার স্বামী ফিলিপস মলির সহযোগিতায় তিনি একজন সফল নারী নির্মাতা হয়ে ওঠেন। তিনি তার জীবদ্দশায় একশরও বেশি সিনেমার নির্দেশনা দেন যার বেশিরভাগ সিনেমার মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল নৈতিকতার শিক্ষা।
ডরোথি আর্জনার
হলিউড বিশ্বের আরেক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম ডরোথি আর্জনার। এর কারণ হলিউডের ‘গোল্ডেন এজ’ চলাকালীন সময়ে তিনিই ছিলেন একমাত্র নারী পরিচালক যার হাত ধরে সিনেমার ইতিহাস এগিয়েছে বহুদূর। বলা যায়, ততকালীন সিনেমায় শব্দের প্রবর্তন তার অবদান। তবে তার ক্যারিয়ারের শুরু স্টেনোগ্রাফার এবং পরবর্তীতে চলচ্চিত্র সম্পাদক হিসেবে, যদিও শেষ পর্যন্ত পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনটি সাইলেন্ট ফিল্ম তৈরির পাশাপাশি তিনি ১৪টি টকিজ তৈরি করেন। তার একান্ত সহযোগিতা এবং অনুপ্রেরণার কারণে নতুন ধারার চলচ্চিত্রের সাথে খুব সহজেই মানিয়ে নিতে শুরু করেন তার অভিনেতা এবং অভিনেত্রীগণ। ক্লারা বো নামক জনৈক অভিনেত্রীর ক্যামেরাভীতি দূরীকরণের জন্য তিনি আবিষ্কার করেন ‘বুম মাইক্রোফোন’। তিনিই ছিলেন ডিরেক্টর্স গিল্ড অফ আমেরিকা প্রথম মহিলা সদস্য।
তাযুকো সাকানি
জীবনের বিভিন্ন স্তরে অবজ্ঞা, অবহেলা এমনকি হয়রানীকে পিছনে ফেলে দিয়ে তাজুকোও বিশ্বের প্রথম মহিলা ডকুমেন্টারী চলচ্চিত্র নির্মাতাদের মধ্যে একজন হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ১৯৩৬ সালে ৩২ বছর বয়সে তিনি তৈরি করেন তার প্রথম সিনেমা ‘হাতসু সুহাতা’। মাঞ্চুরিয়ায় আক্রমণকালে তিনি উত্তর-পূর্ব চীনে ডকুমেন্টারী এবং প্রচারমূলক বেশ কিছু ছবিও তুলেছিলেন।
ফাতমাহ বেগম
ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম নারী পরিচালকের ভূমিকা পালন করেন ফাতমাহ বেগম। শুরুটা মঞ্চ অভিনয় করার মাধ্যমে হলে কী হবে! অভিনয়ের চেয়ে তাকে সিনেমার দিক নির্দেশনা দেয়াটাই বেশি আকর্ষণ করত। তাই ১৯২৬ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন তার নিজস্ব প্রযোজনাকারী প্রতিষ্ঠান ‘ফাতমাহ ফিল্মস’ এবং নির্মাণ করেন ভারতীয় উপমহাদেশের সর্বপ্রথম নারী পরিচালিত সিনেমা ‘বুলবুল-ই-পারিসতান’।
বর্তমান সময়ের কয়েকজন মেধাবী নারী নির্মাতা
সামিরা মাখমালবাফ
১৯৮৩ সালে তেহরানে জন্ম নেয়া সামিরার সিনেমার জগতে বিচরণ শুরু তার পিতা বিখ্যাত ইরানী চলচ্চিত্র নির্মাতা মোহসেন মাখমালবাফ পরিচালিত ‘দ্য সাইক্লিস্ট’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে। মাত্র ১৭ বছর বয়সে, তিনি ‘অ্যাপল’ শিরোনামের প্রথম সিনেমা পরিচালনা করেন এবং ১৯৯৮ সালের কান ফিল্ম ফেস্টিভালের অফিসিয়াল বিভাগে অংশগ্রহণকারী বিশ্বের কনিষ্ঠতম পরিচালক হিসেবে পরিচিত হন। তার চলচ্চিত্রের জন্য কিংবদন্তি জিন-লুস গর্ডার্ডের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তিনি প্রশংসিত ছিলেন। প্রদর্শিত হবার দুই’বছরের পরও ‘অ্যাপল’ ৩০টির বেশি দেশে প্রায় একশর মতো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আমন্ত্রিত হয়।
১৯৯৯ সালে সামিরা ইরানের কুর্দিস্তানে ‘ব্ল্যাকবোর্ড’ শিরোনামে তার দ্বিতীয় ফিচার ছবিটি তৈরি করেন এবং দ্বিতীয়বারের জন্য কান ফিল্ম ফেস্টিভালের অফিসিয়াল বিভাগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য নির্বাচিত হন। এজন্য তাকে বিশেষ জুরি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। ‘ব্ল্যাকবোর্ড’ ইউনেস্কোর ‘ফেডেরিকো ফেল্লানি অনার অ্যাওয়ার্ড’ এবং ইতালি থেকে ‘ফ্রাঙ্কোজ ট্রফিট অ্যাওয়ার্ড’ সহ অনেক আন্তর্জাতিক পুরষ্কার লাভ করে। চলচ্চিত্রটি ব্যাপকভাবে সারা বিশ্ব জুড়ে প্রকাশ করা হয়েছিল এবং দুই লাখেরও বেশি লোক শুধু ফ্রান্সেই ছবিটি দেখেছেন। এছাড়াও সামিরা কান, ভেনিস, বার্লিন, লোকেন্নো, মস্কো, মন্টের মত সম্মানিত চলচ্চিত্র উৎসবে জুরি সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন।
ইসাবেল কসেট
সিনেমা নির্মাণের জন্য যে পুথিগত বিদ্যার দরকার পড়ে না তার প্রমাণ ইসাবেল কসেট নিজেই। ১৯৬০ সালে স্পেনে জন্ম নেয়া কসেট একাধারে লেখিকা, নির্মাতা এবং বার্লিন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে অনুষ্ঠিত ‘অফিশিয়াল কম্পিটিশন’-এর জুরিবোর্ড সদস্য। ‘মিস ওসাবি ফিল্ম’ নামের নিজের প্রডাকশন হাউজ রয়েছে তার।
তার বিখ্যাত কাজগুলোর মাঝে অন্যতম কয়েকটি হলো ‘প্যারিস, যে টি’আইমে’, ‘মাই লাইফ উইদাউট মী’, ‘দ্য সিক্রেট লাইফ ওয়ার্ডস’।
জেন ক্যাম্পিয়ন
প্রথম শর্ট ফিল্ম ‘পিল’-এর মাধ্যমে আশির দশকে চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করেন জেন। ‘পিল’ ১৯৮২ সালে কান চলচ্চিত্র উত্সবে প্যালমে ডি’অর জয় করে। তার অন্যান্য ছোট চলচ্চিত্রগুলো হলো প্যাসনলেস মোমেন্টস, এ গার্লস ওউন স্টোরি এবং টেলিফোটার ২। তিনি তার প্রথম ফিচার চলচ্চিত্র ‘সুইটি’ দ্বারা ১৯৮৯ সালে বেস্ট ফরেন ফিল্মের জন্য জর্জ সডল পুরস্কার জিতেছিলেন এবং ১৯৯০ সালে এল.এ চলচ্চিত্রকারদের ‘নিউ জেনারেশন অ্যাওয়ার্ড’ শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯০ সালে জ্যাকেট ফ্রেমের আত্মজীবনীর উপর ভিত্তি করে তিনি পরিচালনা করেন ‘এঞ্জেল এট মাই টেবিল’, যা একই সালে ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে সিলভার লিয়নের সহ সাতটি সাত পুরস্কার জিতে নেয়। অনন্যসাধারণ মেধার অধিকারী এই নারী নির্মাতা তার নির্মিত ‘পিয়ানো’ সিনেমার জন্য কান ফেস্টিভ্যালের অত্যন্ত সম্মানজনক পুরষ্কার ‘প্লেমে ডি’অর’ জয় করেন। এছাড়াও তিনি তিনি ১৯৯৩ সালের অস্কারে সেরা অটিজিক স্ক্রিনপ্লেডে অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন এবং শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবেও মনোনীত হন।
মিরা নায়ার
‘সালাম বম্বে’ থেকে শুরু করে ‘কুইন অব কাটয়ে’- পথচলাটা খুব সোজা ছিল না মিরা নায়ারের। একে একে দর্শকদের তিনি উপহার দেন ‘মনসুন ওয়েডিং’, ‘মিসিসিপি মাসাল্লা’, ‘অ্যামেলিয়া’, ‘দ্য রিল্যাকট্যান্ট ফান্ডামেন্টালিস্ট’-এর মতন অসাধারণ কিছু সিনেমা। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই মার্কিন পরিচালকের ঝুলিতে রয়েছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের পুরস্কার। এছাড়াও তিনি জিতে নেন একাডেমি পুরস্কার, গোল্ডেন গ্লোব এবং বিএএফটিএ পুরস্কার। বিশাল ভারদওয়াজ, জয়া আখতারসহ অনেক বিশিষ্ট পরিচালক তার সঙ্গে কাজ করে শিক্ষা গ্রহণ করেছেন। তিনি ভারতের পথশিশুদের জন্য ‘সালাম বালাত ট্রাস্ট’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান স্থাপনে চলচ্চিত্র থেকে প্রাপ্ত আয় ব্যবহার করেন।
প্যাটি জেনকিন্স
সিনেমা ভালোবাসে অথচ ‘ওয়ান্ডার ওম্যান’ দেখেনি এমন কাউকে হয়ত পাওয়া দুস্কর। নারীকেন্দ্রিক অসাধারণ এই সিনেমার পিছনের কারিগরের কথা আমরা কতজনই বা জানি?
জেনকিনস এএমসির ‘দ্য কিলিং’-এর জন্য পাইলট এবং চূড়ান্ত পর্ব সহ অনেক বাণিজ্যিক এবং টিভি অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে গিয়েছিলেন, যার জন্য তিনি এমি মনোনয়ন পেয়েছিলেন এবং সেরা নাটকীয় নির্দেশিকার জন্য ডিজিএ পুরস্কার জিতেছিলেন। তিনি ফক্সের গ্রেস্কেড ডেভেলপমেন্ট এবং এইচবিও’র কয়েকটি টিভিশো এর পাইলট এপিসোড পরিচালনা করেন।স্তন ক্যান্সার নিয়ে নির্মিত একটি শর্ট ফিল্মের জন্য তিনি আরেকটি এমি এওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হন।
বাংলাদেশী মেধাবী নারী নির্মাতা
ভারতের পাটনায় অনুষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের দুই নারী নির্মাতা তাসমিয়াহ্ আফরিন মৌ এবং শবনম ফেরদৌসি তাদের নির্মিত দুইটি সিনেমার জন্য পুরস্কৃত হন। শবনম ফেরদৌসি পরিচালিত ‘জন্মসাথী’ পেয়েছে ইন্টারনাল ডকুমেন্টারি ফিল্ম বিভাগের স্পেশাল জুরি মেনশন অ্যাওয়ার্ড। অন্যদিকে খনা টকিজ প্রযোজিত তাসমিয়াহ্ আফরিন মৌ এর ‘কবি স্বামীর মৃত্যুর পর আমার জবানবন্দি’ সিনেমাটি পেয়েছে আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য বিভাগে সিলভার বোধিসত্ত্ব অ্যাওয়ার্ড।
চলচ্চিত্র শুরুর দিক থেকেই নারীরা পরিচালনার ক্ষেত্রে অতিক্রম করেছেন অজস্র বাধা-বিপত্তি। অভিনয়ের ক্ষেত্রে তাদেরকে সাদরে গ্রহণ করা হলেও পরিচালকের স্থানে অধিষ্ঠিত হতে তাদের ভাগ্যে জোটে নিদারুণ বৈষম্য। ২০১৬ সালের শীর্ষ ২৫০টি চলচ্চিত্রে, সমস্ত পরিচালক পরিচালিত সিনেমার মাত্র ৭ শতাংশ নারী, যার পরিমাণ ২০১৫ সালের ৯% থেকে কম। এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র একজন নারী শ্রেষ্ঠ পরিচালক অস্কার জিতেছেন এবং এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে মাত্র চারজন নারী। এই বিস্ময়কর কম সংখ্যা হলিউডের ভারসাম্যহীনতাই নয়, বরং যোগ্য প্রতিনিধিত্বের অভাবকে প্রতিফলিত করে।
তবে হাজার প্রতিকূলতা এবং পৃষ্ঠপোষকতার অভাব থাকা সত্ত্বেও আশা জাগানিয়া হিসেবে বর্তমানে পুরোদমে এগিয়ে চলছেন কিছু নারী। নিজেদের মেধা এবং মননের সমন্বয় ঘটিয়ে দর্শকের সামনে তুলে ধরতে যারা বদ্ধপরিকর। কখনও সমাজ, পরিবেশ, পরিবার কখনও বা নিজেদের সাথেই যুদ্ধ করে এগিয়ে যাচ্ছেন তারা নিজেদের লক্ষ্যে এবং বিশ্বের বুকে তুলে ধরছেন নিজেদের দেশ, নিজেদের সংস্কৃতিকে।