টাইটানিক; একটি নামের ভেতরেই যেন হাজারো কাহিনী জড়িয়ে আছে। একটি শব্দের মাধ্যমেই অনেক না বলা কথা যেন বলা হয়ে যায়। নামটি শুনলেই চোখের সামনে যে চিত্র ভেসে ওঠে, তাকে একটি শহর বললেও ভুল হবে না। যন্ত্র ও কলা মিলে যে এক অপরূপ, চোখ জুড়ানো শিল্পের সৃষ্টি হতে পারে, তা টাইটানিককে না দেখলে বিশ্বাস হয় না। প্রকৌশল, আভিজাত্য ও রূপে এর কোনো জুড়ি নেই। তাই তো অগস্ত্য যাত্রার শতাব্দী পার হয়ে গেলেও তার জীবনে বার্ধক্য নেমে আসেনি। এখনো মানুষ তাকে প্রথম দেখার মতো ভালোবাসে। শতাব্দীকাল আটলান্টিকের আড়াই মাইল গভীরে ঘুমিয়ে থেকেও যার জৌলুস এতটুকু কমেনি। বরং অকালমৃত্যু যেন তাকে অমরত্ব এনে দিয়েছে। কিন্তু আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি যে, এত বছর পার হওয়ার পরে আজও কেন মানুষ টাইটানিক সম্বন্ধে এত কিছু জানে?
টাইটানিকই একমাত্র জাহাজ নয়, যা তার প্রথম যাত্রাতেই ডুবে গেছে কিংবা একমাত্র জাহাজ নয়, যা আইসবার্গের সাথে সংঘর্ষ হয়ে ডুবে গেছে। এমনকি টাইটানিকের চেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ মারা গেছে এমন জাহাজডুবির ঘটনাও কিন্তু নেহাত কম নয়। কিন্তু তাদের কয়জনে মনে রেখেছে? কালের গর্ভে সবাই তাদের ভুলে গেছে। ভুলে যাওয়ারই কথা। টাইটানিককে ভুলে যাওয়াটাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু এখানেই টাইটানিক অনন্য। টাইটানিক নিয়ে তৈরি বিভিন্ন সিনেমা, লেখা বই তাকে পুনরায় জীবিত করে তুলেছে। আর যাদের হাত দিয়ে টাইটানিকের এই পুনর্জন্ম, তাদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন জন ওয়াল্টার লর্ড।
১৯৫৫ সাল। বেশিদিন হয়নি, রক্তক্ষয়ী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়েছে। ইউরোপ-এশিয়ার বড় বড় দেশও এখনো যুদ্ধ পরবর্তী অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। অতি অল্প ব্যবধানে দুটি বিশ্বযুদ্ধ সমগ্র পৃথিবীর বহু কিছু পাল্টে দিয়েছে। বিজ্ঞান, শিল্প, সাহিত্য, সমাজব্যবস্থা কিছুই বাদ পড়েনি তাতে। কিন্তু সে বছর ওয়াল্টার লর্ডের একটি বই যেন নতুন করে সবাইকে আবার যুদ্ধ পূর্ববর্তী জগতে নিয়ে গেল। একটি আপাত চাপা পড়া বিষয়কে ইতিহাসের পাতা থেকে বের করে আনলেন। এ প্রসঙ্গে লেখক জব ম্যাক্সটন-গ্রাহাম উক্তি করেছিলেন,
ওয়াল্টার লর্ড একা হাতেই টাইটানিকের প্রতি মানুষের আগ্রহ আবার জাগিয়ে তুললেন… নিঃসন্দেহে চমক জাগানিয়া একটি বই।
বইটির নাম ‘অ্যা নাইট টু রিমেম্বার’; বইটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় ব্যাপার হলো লেখকের সমন্বয়তা। জীবিত যাত্রীদের কথোপকথন, তাদের দেয়া তথ্যগুলো একের পর এক গুছিয়ে প্রকাশ করেছেন যে, এন্টারটেইনমেন্ট উইকলি মন্তব্য করেছিল, “এতটাই নিখুঁত ও দক্ষ… এ কারণেই বহু গবেষকের কাছে এটি টাইটাইনিক বাইবেল হিসেবে কাজ করে।” বইয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত লেখক যে ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন, তারই সুবাদে মাসিক আটলান্টিকের মন্তব্য, “প্রথম শব্দ থেকে শেষ পর্যন্ত নিখাঁদ রোমাঞ্চকর”।
টাইটানিক নিয়ে রহস্যের যেন কোনো শেষ নেই। কী হয়েছিল সেই রাতে? সবাই তখন কী করছিল? কীভাবে সাতশো’র মতন মানুষ বেঁচে ফিরতে পারল? কীভাবে ‘আনসিংকেবল’ টাইটানিক মাত্র দু’ঘণ্টা চল্লিশ মিনিটেই ডুবে গেল? আশেপাশে অন্য কোনো জাহাজ ছিল না? জাহাজের ক্যাপ্টেন, অফিসাররা তখন কী করছিলেন? এরকম হাজারটি প্রশ্ন উঠতে থাকে। সেসময় তো আর কোনো গুগল ছিল না যে, কয়েকটি বোতাম চাপলাম আর সব তথ্য বের হয়ে আসল। টাইটানিক নিয়ে ততদিনে বেশ কয়েকটি সিনেমা বের হয়েছে, কয়েকটি বইও হয়তো লেখা হয়েছে। কিন্তু কোনোটিতেই সে রাতের কথা অত বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা নেই। থাকলেও সেখানে ফ্যাক্টের চেয়ে কল্পনাই ছিল প্রবল। এদিক দিয়েই এই বইটি একমেবাদ্বিতীয়ম।
বইটির কাহিনীর শুরুই হয়েছে ১৪ এপ্রিল রাত ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে, যখন ফ্রেদেরিক ফ্লিট, রেজিন্যাল্ড লি ক্রো’স নেস্ট এ দাঁড়িয়ে আইসবার্গের জন্য কড়া নজর রাখছে। জাহাজ ছুটে চলেছে ২২ নটে। হঠাৎ করেই একেবারে সামনে আইসবার্গ চোখে পড়ায় ফ্লিট “আইসবার্গ এহেড” বলে চিৎকার দিয়ে ওঠেন। এর পরের ঘটনা সবার জানা। আইসবার্গটি জাহাজের স্টারবোর্ড (ডান) সাইডে আঘাত করে বের হয়ে যায়। ক্যাপ্টেন এডওয়ার্ড স্মিথ বুঝতে পারেন, জাহাজ ডুবে যাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। তিনি লাইফবোট নামানোর নির্দেশ দেন। একে একে ১৬টি লাইফবোট নামানো হয়। সাহায্যের জন্য অন্যান্য জাহাজের কাছে টেলিগ্রাম পাঠানো হয়।
রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে জাহাজটি সম্পূর্ণ জলের নিচে চলে যায়। কিন্তু এখানেই এই বইয়ের সাফল্য। বইটিতে আইসবার্গ দেখা থেকে শুরু করে উদ্ধারকারী জাহাজ ‘কার্পেথিয়া’র নিউইয়র্ক পৌঁছানো পর্যন্ত বিবরণ রয়েছে। একই সময়ে ভিন্ন ভিন্ন লোকের, জাহাজের ভিন্ন ভিন্ন অংশের বর্ণনা রয়েছে বইটিতে। সেদিন রাতের বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের অভিজ্ঞতা ও তথ্যকে নির্ভর করে লেখক ওয়াল্টার অদ্ভুতভাবে এই বইটি সাজিয়েছেন। একবার পড়তে শুরু করলে মনে হবে, পাঠক নিজেই বুঝি এখন টাইটানিকে অবস্থান করছেন এবং খুব শীঘ্রই তাদের এই জাহাজ ডুবতে চলেছে। এই উত্তেজনার জন্যই পুলিৎজার বিজয়ী লেখক ডেভিড ম্যাককুলগের মতে, বইটি একবার হাতে নিলে, তা শেষ না করা পর্যন্ত রাখা যায় না।
অনেকের মনেই হয়তো এ প্রশ্ন বারবার জেগেছে, টাইটানিক যখন আইসবার্গের সাথে ধাক্কা খায়, তখন জাহাজের সবার প্রতিক্রিয়া কী ছিল? অনেক জায়গায় বলা আছে, কেউ নাকি তেমন কিছু টেরই পায়নি। এ বইটি পড়ে কিন্তু একটু ভিন্ন ধারণা হবে। তখন জানা যায়, প্রথম শ্রেণির ডেক উপরের দিকে থাকায় অনেকে কিছু বোধই করেননি। তাদেরই একজন জেমস ম্যাকগগ যেমন তার কেবিনে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। হঠাৎ তিনি দেখতে পেলেন, তার রুমের খোলা পোর্টহোল জানালা দিয়ে কিছু বরফের চাঁই ছিটকে ঢুকল। যেন জাহাজ বরফের সাথে ধাক্কা খেয়ে তার কক্ষে ঢুকেছে। জানালা খোলা না থাকলে হয়তো তিনিও কিছু টের পেতেন না।
অপরদিকে, তৃতীয় শ্রেণির অনেক যাত্রী কিন্তু ঠিকই এক অস্বাভাবিক ঝাঁকি অনুভব করেছে। তাদেরই একজন কার্ল জনসন, যিনি ছিলেন জাহাজের একদম সামনের দিকের। এদিকে ছিল জাহাজের সবচেয়ে সস্তা কেবিন। তিনি তখন শুয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু রুমের বাইরে অস্পষ্ট আওয়াজ শুনে তিনি বের হয়ে দেখেন সেখানে কোথা থেকে যেন চুঁইয়ে চুঁইয়ে পানি আসছে। তিনি ঘরে গিয়ে পোশাক বদলে নিতে না নিতেই পানি তার পা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। তার পাশের কক্ষের ড্যানিয়েল বাকলি প্রথমে কিছু টের পাননি। কিন্তু যখন আশেপাশের আওয়াজ শুনে নিজের উপরের বাংকার থেকে নিচে নামলেন, তিনি দেখলেন, পানি তার গোড়ালি অব্দি উঠে এসেছে।
আবার জাহাজের একেবারে সামনের দিকে জাহাজের ল্যাম্প সার্ভিসম্যান স্যামুয়েল হেমিং এর তখন ডিউটি না থাকায় নিজের ঘরে এসে শুয়ে পড়ার পর হঠাৎ খেয়াল করলেন, বাইরে হিস হিস শব্দ। বের হয়ে দেখলেন, সামনের জাহাজের নোঙ্গর ঝুলিয়ে রাখার সেদিক দিয়ে সশব্দে বাতাস বের হয়ে যাচ্ছে। আর দূর থেকেই খেয়াল করলেন, জাহাজে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
অপরদিকে কিছুক্ষণের মধ্যেই জাহাজের কার্গো রুম, মেইল রুমে পানি ঢুকতে শুরু করে। সেখানে পাঁচজন ক্লার্কম্যান প্রায় দুইশত মেইল ব্যাগ সেখান থেকে উপরে ‘জি’ ডেকে তুলে আনেন। কিন্তু পাঁচ মিনিটের মধ্যে সেখানেও পানি উঠে আসলে তারা মেইলব্যাগের আশা ছেড়ে উপরে চলে গেল। বলা চলে, আইসবার্গের সাথে সংঘর্ষ হওয়ার মিনিট দশ-বিশের মধ্যেই জাহাজের সামনে প্রথম শ্রেণির যাত্রীদের লাগেজ, জাহাজের চিঠিপত্র-কুরিয়ার সব পানিতে ভেসে যায়। আবার অন্যদিকে, নিচের ডেকগুলোতে যখন পানি ঢুকতে শুরু করেছে, তখন উপরের ডেকের লোকজন তখনও কিছু অনুভব করেনি।
কয়েকজন আচমকা ধাক্কা অনুভব করলেও তেমন কোনো বিপদ বোধ করেননি। যারা ধাক্কা অনুভব করেছে, তারা বেশিরভাগই ডেকের বেয়ারাদের জিজ্ঞাসা করে নিশ্চিন্ত মনে ঘরে ফেরত গেছে। এরই মধ্যে কয়েকজন যুবক জাহাজের উপরের ডেকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বরফের চাঁই দিয়ে খেলতে লাগল। কয়েকজন বরফের টুকরো স্মারক হিসেবে নিয়ে যেতে লাগল। এককথায় আইসবার্গ যেন টাইটানিকের উপরের ডেকগুলোতে একটু রোমাঞ্চ ও সুখের ছোঁয়া দিয়ে গেল। অনেকের জন্যই তা ছিল তাদের জীবনের সর্বশেষ ভালো মুহূর্ত।
নিয়তি যেন টাইটানিকের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছিল সেদিন। না হলে কেবল দশ মাইল দূরত্বে থাকা আরেকটি জাহাজ ‘ক্যালিফোর্নিয়ান’ এর সাথে এত চেষ্টা করেও কেন কোনো যোগাযোগ করা সম্ভব হলো না? কেনই বা তাদের পাঠানো বিপদসংকেত, মোর্স কোড, টেলিগ্রাম, ডিস্ট্রেস রকেট কোনোটাই ক্যালিফোর্নিয়ান জাহাজের টনক নড়াতে পারল না?
লাইফবোটগুলোতে সব মিলিয়ে ১,১৭৮ জনের ধারণক্ষমতা ছিল, কিন্তু সেখানে লাইফবোটগুলো ৩৫ শতাংশ ফাঁকা রেখেই রওনা দেয়। সেখানে অন্তত আরও ৪৭৩ জনকে নেয়া যেত। কিন্তু অব্যবস্থাপনা, যাত্রীদের নিচু মন-মানসিকতার জন্য তা সম্ভব হয়নি। দুঃখজনক হলেও সত্য, টাইটানিক থেকে ছাড়া প্রথম লাইফবোটে মাত্র ২৮ জন যাত্রী ছিল, অথচ যেখানে অন্তত ৭০ জনের মতন যাওয়া যেত। প্রথমদিকে ছেড়ে যাওয়া বেশিরভাগ বোটের চিত্র কম-বেশি এরকম ছিল। যাত্রীদের যুক্তি, বেশি যাত্রী উঠে গেলে, বোট যদি ডুবে যায়! অথচ, এই বোট ন্যূনতম ৬৫ জনের ধারণক্ষমতাসম্পন্ন।
অনেক অব্যবস্থাপনা, সমন্বয়হীনতা থাকলেও সবাই চেষ্টা করেছে তাদের সর্বোচ্চ দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে। ইঞ্জিনিয়ার, বয়লার রুমের স্টোকারদের কথাই ধরা যাক। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও চেষ্টাতেই টাইটানিকের আয়ু ঘণ্টাখানেকের মতন বেড়েছিল। ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়াররা একদম শেষপর্যন্ত জাহাজের বিদ্যুৎ সরবরাহ রাখার জন্য কাজ করে গেছে। পরে জানা যায়, জাহাজের সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ারদের মধ্যে কেউই বেঁচে ছিলেন না।
তাদের এই চেষ্টাতেই হয়তো বেশ কিছু প্রাণ বেশি বেঁচেছে। অন্যদিকে, রেডিও রুমের প্রধান ইন-চার্জ জ্যাক ফিলিপসও যতক্ষণ বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল, ততক্ষণ একের পর এক ডিস্ট্রেস কল করে গেছেন। এমনকি অনেক প্রথম শ্রেণীর পুরুষ যাত্রীদের বোটে ওঠার কথা বললেও তারা ওঠেননি। বেশ কয়েকজন স্ত্রী আবার তাদের প্রিয় স্বামীদের ছেড়ে বোটে উঠতে চাননি। জীবনে-মরণে তারা তাদের সঙ্গীর সাথে থাকতে চেয়েছেন। এ বিষয়ে শিকাগো ডেইলিতে উল্লেখ করা হয়েছিল।
তবে পুরো সময় যাদের কথা না বললেই নয়, সেই মিউজিক ব্যান্ডদের বীরত্বগাঁথার কথা ফুটে উঠেছে ওয়াল্টারের লেখায়। তারা যেভাবে প্রাণভয়ে ভীত মানুষদের একটু ভালো লাগানোর জন্য অবিরাম তাদের বাদ্য বাজিয়ে গেছে, তাদের এই কীর্তি যুগ যুগ ধরে মানুষের মুখে মুখে ঘুরে ফিরবে।
আমরা টাইটানিক গল্পের শুধু রাত ২টা ২০ পর্যন্তই জানি। জাহাজটি সমুদ্রগর্ভে হারিয়ে যাওয়ার পরের কাহিনী আমরা ক’জন জানি? আমরা শুধু জানি, কার্পেথিয়া রাত চারটার দিকে এসে লাইফবোটের যাত্রীদের বাঁচিয়েছে। কিন্তু আমরা কি জানি, কার্পেথিয়ার ক্যাপ্টেন আর্থার রস্ট্রন কতটা ঝুঁকি নিয়ে টাইটানিককে বাঁচাতে ছুটে এসেছেন? আমরা কি জানি যে, টাইটানিক সমুদ্রগর্ভে চলে যাওয়ার পর বেশ কিছু লোক জলে ঝাঁপ দিয়েছিল এবং নৌকায় তুলে নেয়ার জন্য কাতর হয়ে ডাকছিল? কিন্তু আশেপাশে এতগুলো বোটের কেবল একটি ফিরে এসেছিল। ততক্ষণে মাইনাস দুই ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রার বরফশীতল পানিতে বেশিরভাগ লোকই মারা যায়। কেবল ছ’জনকে পরে জীবিত উদ্ধার সম্ভব হয়।
এরকম অনেকগুলো পরিস্থিতির কথা বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে। সেই দুর্যোগের রাতে এরকম অনেক পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়েছে সবাইকে। কেউ পাশ করেছে, কেউ বা ফেল। কেউ হয়তো পাশ করে হাসিমুখে মৃত্যুকে বরণ করেছে, আর কেউ হয়তো ফেল করেও জীবিত ফিরে এসেছে। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে পাশ-ফেলের সমীকরণ সবাই মেলাতে পারে না। ওয়াল্টার লর্ড এই ব্যাপারটিই খুব ভালোমতো তুলে ধরেছেন তার এ বইয়ে।
টাইটানিক সম্বন্ধে আরো বিস্তারিত জানতে পড়তে পারেন এই বইগুলো। বইয়ের লিংক নিচে দেওয়া হলো।
https://rb.gy/v4jqef
https://rb.gy/fka6mh
https://rb.gy/vilfzf