প্রতিবছরই বিজ্ঞানের আবিষ্কার, নতুন রোগের উদ্ভবসহ নানাবিধ ঘটনায় থাকে পূর্ণ। ২০২২ সালেও আশ্চর্যজনক সব আবিষ্কার, ভাইরাসজনিত অসুস্থতা এবং মৃত্যুসম্পর্কিত চিন্তাভাবনা ও মহাকাশে প্রযুক্তিগত সাফল্যে ছিল পরিপূর্ণ। আমাজন জঙ্গলের গহিনে হারিয়ে যাওয়া শহর যেমন আবিষ্কৃত হয়েছে তেমনই করোনার কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ৬ মিলিয়ন ছাড়িয়ে সুস্থ হবার পথে বাধা দিয়েছে Mpox (মাঙ্কিপক্স নামে পরিচিত) নামক রোগটি।
আবার, জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ যেমন মহাবিশ্বের অদ্ভুত সুন্দর সব ছবি দিয়েছে, তেমনই খনন করে পাওয়া প্রাচীন ফসিল মানবসভ্যতার ইতিহাসের নতুন অধ্যায় রচনা করেছে। তবে এসবই বছর শেষে লিপিবদ্ধ হয় গ্রন্থাকারে। কিন্তু এত এত বই কীভাবে পড়া সম্ভব?
এই কাজকেই সহজ করে দিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাদুঘর, গবেষণা এবং শিক্ষা কমপ্লেক্স স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউট। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই ইনস্টিটিউট কর্তৃক প্রকাশিত স্মিথসোনিয়ান ম্যাগাজিন প্রতি বছরের শেষের দিকে সেই বছরের সেরা ১০টি বিজ্ঞান বিষয়ক বই বাছাই করে পাঠকদের সুবিধার্থে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আর আজকের আয়োজন সাজানো হয়েছে বিজ্ঞানপ্রেমীদের জন্য ২০২২ সালের সেরা ১০টি বিজ্ঞান বিষয়ক বইকে কেন্দ্র করে।
অ্যান ইমেনস ওয়ার্ল্ড: হাউ অ্যানিমেল সেন্সেস রিভিল দ্য হিডেন রিল্ম অ্যারাউন্ড আস – এড ইয়ং
শব্দ শোনার মাধ্যমে, ঘ্রাণ নেয়ার মাধ্যমে কিংবা স্বাদ গ্রহণের মাধ্যমে আমরা পৃথিবীকে ভিন্নভাবে উপলব্ধি করতে পারি। কিন্তু প্রাণিদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা কেমন, ভেবেছে কেউ কখনও? এমন ভাবনা থেকে গবেষণা আর সেই গবেষণার ফল এড ইয়ংয়ের গ্রন্থ অ্যান ইমেনস ওয়ার্ল্ড। উদাহরণস্বরূপ, স্ক্যালপদের (একধরনের শামুক বিশেষ) অত্যন্ত উচ্চমাত্রার রেজুলেশনসহ ২০০টি চোখ থাকে; কিন্তু তাদের মস্তিষ্ক সম্ভবত চিত্রগুলো গ্রহণ এবং প্রক্রিয়া করার জন্য যথেষ্ট জটিল বা উন্নত নয়।
আবার কিছু প্রজাপতি তাদের ডানায় অতিবেগুনি রঙের প্যাটার্ন তৈরি করতে সক্ষম যা তাদেরকে অন্যান্য প্রজাতি থেকে আলাদা করে। হ্যামারহেল্ড শার্কের রিসেপ্টর রয়েছে যা সমুদ্রতল খুঁটিয়ে দেখতে সম্ভব; এমনকি লুকানো শিকারও। এড ইয়ং গ্রন্থে সাথে এটাও জানিয়েছেন যে, ইতিমধ্যেই অনেক প্রাণি মানুষের কারণে তাদের এমন সহজাত ইন্দ্রিয়গুলো হারাতে চলেছে। যেমন- কৃত্রিম আলো পরিযায়ী পাখি ও সামুদ্রিক কচ্ছপকে বিভ্রান্ত করে।
ভ্যাজাইনা অবসকিউরা: অ্যান অ্যানাটমিক্যাল ভয়াজ – র্যাচেল ই. গ্রস
একটি যোনি একজন নারীর প্রজনন শারীরবৃত্তির সম্পূর্ণটা নয়। বরং এটি হলো পেশিবহুল একটি স্থানবিশেষ যা বিভিন্ন লিঙ্গের প্রজনন ব্যবস্থার অংশ। তবে বিজ্ঞানের অজ্ঞতা, পৌরাণিক কাহিনীর অতিরঞ্জন, এবং সংস্কৃতির উপলব্ধি একে বোঝার ক্ষেত্রে জট পাকিয়ে আরো জটিল করে তুলেছে।
সাংবাদিক র্যাচেল এমন একটি বই রচনা করেছেন যেন পাঠকের ব্যক্তিগত জ্ঞান যা-ই হোক না কেন, বইটি যেন সবার জন্যই প্রাসঙ্গিক হয়। তিনি পাঠকদের শারীরবৃত্তীয় এক দুঃসাহসিক অভিযানে নিয়ে যান যেখানে পাঠক জরায়ুকে পুনরায় জন্মানোর পদ্ধতি সম্পর্কে জানে, ডিম্বাশয়ের কাজ সম্পর্কে অজ্ঞতা কাটে। জ্ঞান আর বিস্ময়ে পূর্ণ ভ্যাজাইনা অবসকিউরা হলো এমন একটি গ্রন্থ যা সকলের কাছে একই জ্ঞান পুনরায় প্রকাশ করে।
ব্রেথলেস: দ্য সায়েন্টিফিক রেইস টু ডিফিট অ্যা ডেডলি ভাইরাস – ডেভিড কোয়ামেন
নাহ, বইটি স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক কোনো নির্দেশিকা নয়; কিংবা কোভিড-১৯ সম্পর্কে মানুষের প্রতিক্রিয়াও নয়। এই গল্পের প্রধান চরিত্র ভাইরাস। এবং বিজ্ঞানীরা কীভাবে এই ভাইরাসকে শনাক্ত করলো, কীভাবে এর উৎস অনুসন্ধান করলো, এবং এর প্রতিক্রিয়া ও কার্যকলাপ সম্পর্কে বিস্তারিত কীভাবে খুঁজে বের করলো- এই গল্পই গোয়েন্দাকাহিনীর আবর্তে লিখেছেন ডেভিড কোয়ামেন। তিনি সর্বমোট ৯৫ জন বিজ্ঞানীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন।
এমনকি তাদের বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া কীভাবে বিশ্বব্যাপী কাজ করে তা দেখানোর জন্য তিনি একজন জিনোমিক অ্যাপিডেমিওলজিস্ট, ইভ্যলুশনারি ভাইরোলজিস্ট এবং একজন কম্পিউটেশনাল বায়োলজিস্টের কাজের বিবরণ পেশ করেছেন। বিবর্তন এবং প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে রোগ ছড়ানোসহ সমস্ত কিছুকে একটি গ্রন্থের আওতায় আনার জন্য যে বিশেষ জ্ঞান ও দক্ষতার প্রয়োজন আছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর তার প্রমাণও দেখিয়েছেন ডেভিড কোয়ামেন তার বইটিতে।
অরিজিন: অ্যা জেনেটিক হিস্টোরি অফ দ্য আমেরিকাস – জেনিফার র্যাফ
ইউরোপীয় অভিযাত্রীরা, যারা প্রথম আমেরিকায় এসেছিল, তারা বাড়ি ফিরেছিল নতুন এক ভূমির গল্প নিয়ে; এমনকি তারা একে ‘নতুন বিশ্ব’ বলেও সম্বোধন করেছিল। যদিও তখন এটি এতটাও নতুন ছিল না যতটা অতিরঞ্জিত করে ইউরোপীয়রা ছড়িয়েছিল। কেননা কলম্বাসের সময়েই আদিবাসীরা আমেরিকার সমস্ত দৈর্ঘ্য আর প্রস্থজুড়েই বিস্তার লাভ করতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু যদি প্রশ্ন করা হয়, তারা এসেছিল কোথা থেকে?
ইতিহাস ঘাটলে জানা যায় যে, আমেরিকানরা সাইবেরিয়া থেকে একটি স্থলসেতুর মাধ্যমে এখানে এসে বসতি স্থাপন করে। কিন্তু বিষয়টির সত্যতা সম্পর্কে র্যাফ আমাদের এই গ্রন্থ উপহার দেযন, যেখানে তিনি জানিয়েছেন নিউ মেক্সিকোতে সম্ভবত ২০,০০০ হাজার বছর আগেকার জীবাশ্মকৃত মানুষের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। আমেরিকা মহাদেশে নৃবিজ্ঞানের ইতিহাস এবং এর স্বীকৃতি নিয়েই বিস্তারিত গ্রন্থ রচনা করেছেন র্যাফ, যার নাম অরিজিন।
স্টারি ম্যাসেঞ্জার: কসমিক পারস্পেকটিভ অন সিভিলাইজেশন – নিল ডিগ্রাস টাইসন
কক্ষপথ থেকে পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে মহাকাশচারীরা তাদের চিন্তা-ভাবনার পরিবর্তনের কথা জানিয়েছেন। সেখান থেকে সমাজকে আরো একত্রিত এবং গ্রহকে রক্ষা করার প্রবল ঝোঁকের অনুভূতিও ব্যক্ত করেছেন। এই ঘটনাকে ওভারভিউ ইফেক্ট বলা হয়। এই বিষয়গুলোর ব্যপ্তি নিয়ে বিস্তারিত প্রকাশ করেছেন নিল ডিগ্রাস টাইসন তার স্টারি ম্যাসেঞ্জার নামক বইয়ে।
জ্যোতির্বিদ্যা মানুষকে অনুধাবন করতে বাধ্য করেছিল যে পৃথিবী মহাবিশ্বের কেন্দ্রে নেই। ‘বিশ্ব আমাদের এবং আমাদের মতামতের চারপাশে ঘোরে’ এই ধারণা থেকে পাঠকদের এড়াতে চান টাইসন। ২৮৮ পৃষ্ঠার এই বইয়ে তিনি যে বিষয়গুলোর মোকাবিলা করেছেন সেগুলো মোটেও কোনো বিস্তৃতি দৃষ্ঠিভঙ্গি নয়, বরং তার বিজ্ঞানভিত্তিক বিশ্বদৃষ্টির ভালো এবং মন্দ সম্পর্কিত সকল কিছু।
দ্য লাস্ট ডেইজ অব ডাইনোসরস: অ্যান অ্যাস্টেরয়েড, এক্সটিঙ্কশন অ্যান্ড দ্য বিগিনিং অব আওয়ার ওয়ার্ল্ড – রাইলি ব্ল্যাক
প্রায় ৬৬ লক্ষ বছর আগে কেমন ছিল এই পৃথিবী, কল্পনা করা যায়? ডাইনোসরের রাজত্ব চলতো তখন। একটা গ্রহাণু আঘাত হানে এবং গণবিলুপ্তিতে চিরদিনের জন্য নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় ডায়নোসর প্রজাতি। রাইলি ব্ল্যাক তার বইয়ে সেই গল্প বলে যেখানে ডাইনোসরসহ ৭৫ শতাংশ প্রজাতির বিলুপ্তি ঘটেছিল।
শুধু কি তা-ই? দুর্যোগের পরে কেমন ছিল সেই সময়কাল? প্রথম ঘণ্টা, প্রথম দিন, প্রথম মাস, কিংবা আরো এক লক্ষ বছর পরে?
এই গল্প শুধুমাত্র জীবাশ্মের মাধ্যমে প্রাচীন প্রাণিদের বোঝার জন্যে নয় কিংবা জীবাশ্মবিদদের অনুসন্ধানের সংক্ষিপ্ত কোনো বিবরণ নয়; বরং ডাইনোসর এবং অন্য প্রাণিদের অস্তিত্বকে বর্ণনা হিসেবে ব্যবহার করে পৃথিবীতে জীবন কেমন ছিল তার একটি কল্পনা মাত্র।
আনকমন মিজার: অ্যা জার্নি থ্রু মিউজিক, পারফরমেন্স অ্যান্ড সায়েন্স অব টাইম – নাটালিয়া হজেস
আনকমন মিজার হলো এমন একটি ব্যক্তিগত প্রবন্ধের সংকলিত গ্রন্থ যেখানে স্নায়ুবিজ্ঞান এবং কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যার ধারণাগুলোর সাথে লেখকের নিজস্ব প্রেম-ঘৃণা ও জীবনের উত্থান-পতনকে এক সুতোয় গেঁথে দেখিয়েছেন। সঙ্গীত আর বিজ্ঞানের মধ্যে অদ্ভুত সাদৃশ্যগুলোকে তিনি আলোকিত করেছেন।
এককালের প্রতিশ্রুতিশীল তরুণী যে কিনা একক বেহালাবাদক হতে চেয়েছিলেন, জীবনের দুই দশক সময় দিয়েছিলেন এই শিল্পের পেছনে; কিন্তু পারফরম্যান্সের ভয় থেকে কোনোদিন জনসম্মুখে বাজানোর সাহস পাননি। অতঃপর সব ছেড়ে দিয়েছিলেন। নিজের জীবনের এই গল্পগুলোই তিনি সাজিয়েছেন গ্রন্থাকারে। তার গল্প সঙ্গীত এবং বিজ্ঞানপ্রেমীদের একইসাথেই অনুরণিত করবে।
ফ্রেশ ব্যানানা লিভস: হিলিং ইনডিজিনিয়াস ল্যান্ডস্কেপস থ্রু ইনডিজিনিয়াস সায়েন্স – জেসিকা হার্নান্দেজ
১৫০০ সালের দিকে ইউরোপীয়দের সহায়তায় দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার স্থানীয় কলা আমেরিকায় প্রথম আসে। এই ফলের পুষ্টিগুণের কারণে এখানকার আদিবাসীরা একে নিজেদের ঐতিহ্যবাহী খাবারে অন্তর্ভুক্ত করেছে। পরিবেশবিজ্ঞানী জেসিকার কাছে অন্যত্র উৎপাদিত এই ফল আদিবাসীদের কাছে প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে উঠেছে; যেমনটা তার পরিবারের কাছে। জেসিকা লস অ্যাঞ্জেলসে বড় হয়েছেন, কিন্তু অভিবাসী হয়ে নিজের পিতৃভূমি থেকে বিতাড়িত হয়ে।
অকপটে এবং নিঃসঙ্কোচে জেসিকা এই গ্রন্থে ব্যাখ্যা করেছেন যে, কীভাবে আদিবাসীরা বহুজাতিক কর্পোরেশনের যাঁতাকলে পড়ে চলমান গণহত্যা এবং নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার শিকারে পরিণত হয়। কীভাবে সম্প্রদায়ের মাঝে সরকার গঠিত ও প্রভাবিত হয়, বসতি স্থাপনকারীদের দ্বারা পরিচালিত হয়, এবং বর্ণবাদী বর্ণপ্রথা যা সাদাকে বিশেষ অধিকার এবং কালোকে শাস্তি দেয় তা প্রভাব বিস্তার করে। এমনই বিস্তারিত তথ্যে পূর্ণ হার্নান্দেজের শক্তিশালী এই গ্রন্থ।
দ্য মনস্টারস বোনস: দ্য ডিসকভারি অব টি-রেক্স অ্যান্ড হাউ ইট শুক আওয়ার ওয়ার্ল্ডস – ডেভিড কে. র্যান্ডাল
ডাইনোসরের মধ্যে টাইরানোসরাস রেক্সের (টি-রেক্স) চেয়ে ভয়ংকর আর কোনোটা নেই। দ্য মনস্টারস বোনস বইয়ে লেখক ডেভিড আমাদের পূর্বের শতাব্দীতে নিয়ে যান, যখন ডাইনোসর শিকার করা অর্থাৎ সেগুলোর দেহাবশেষ বা জীবাশ্ম খুঁজে পাওয়া ছিল এক অন্যরকম নেশা।
প্রতিটি নতুন আবিষ্কার তাদের জন্য খ্যাতি ও স্বীকৃতি নিয়ে এসেছিল যারা জীবাশ্ম বা হাড়গুলো খুঁজে পেয়েছিল এবং যারা অর্থায়ন করেছিল তাদের জন্য প্রতিপত্তি ফিরে এসেছিল প্রদর্শনীর মাধ্যমে। ডাইনোসরের হাড়গুলো থেকে ডেভিড আমাদের এটাই বোঝাতে চেয়েছে যে, কোনো কিছুই চিরস্থায়ী হয় না, এমনকি শক্তিশালী প্রাণিও নয়।
হার্টব্রেক: অ্যা পারসোনাল অ্যান্ড সায়েন্টিফিক জার্নি – ফ্লোরেন্স উইলিয়ামস
লেখক ফ্লোরেন্স উইলিয়ামস মধ্যজীবনের বিবাহবিচ্ছেদের কারণে সৃষ্ট যন্ত্রণা থেকে ফিরে আসার জন্য তার প্রচেষ্টার বর্ণনা করেছেন হার্টব্রেক গ্রন্থকে। তিন দশক ধরে চলমান, কলেজ প্রেয়সীর সাথে সম্পর্কে ছিন্ন করেন দুটি সন্তান জন্ম দেবার পরও। এরপর তিনি এক আখ্যান তৈরি করেন যেখানে বৈজ্ঞানিক প্রতিবেদনের সাথে স্মৃতিকথা মিশ্রিত করে হৃদয় ভেঙে যাওয়ার পরে শরীর ও মনে কী ঘটে তার অনুসন্ধান করেন।
কষ্ট বোঝার জন্য এবং কীভাবে এ থেকে পুনরুদ্ধার করতে পারে সেই বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ডুব দেন তিনি। এমনকি উইলিয়ামস তার কষ্টের সাথে মোকাবিলা করতে সাইকেডেলিক ওষুধ গ্রহণেরও চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষমেশ তিনি তার ভালোবাসায় ফিরে আসেন। গ্রন্থটি কেবল তার নিরাময়ের প্রচেষ্টার কোনো প্রমাণ নয়, বরং তার ব্যথার জন্য একধরনের পরিত্রাণ হয়ে উঠেছে।