ট্রুম্যান যখন ওয়েস্টওয়ার্ল্ডে: ভবিষ্যতের রিয়্যালিটি শো

সকালবেলা ঘুম থেকে জেগে উঠলেন। আড়মোড়া ভেঙে, ব্রাশ আর নাস্তা করে বের হলেন কর্মক্ষেত্রের উদ্দেশ্যে। যেতে যেতে পরিচিত মুখদের সাথে কুশল বিনিময়, বাসে কন্ডাক্টরের সাথে ভাড়া নিয়ে মৃদু ঝগড়া আর সবশেষে অফিসে পৌঁছে ডেস্কে ব্যাগটা রেখে চেয়ারে গা এলিয়ে বসে পড়া। ক্লান্তিতে চোখটা একটু বন্ধ করেছেন, অমনি শুনলেন চারপাশে মৃদু গুঞ্জন। খানিকটা চোখ খুলতেই দেখলেন সব গুঞ্জন থেমে গেছে, পাশে বসে সবাই কাজ করছে। আবার চোখ বন্ধ করলেন, আবারও মৃদু গুঞ্জন। এবার আর একবারে চোখ না খুলে আড়চোখে তাকালেন, ওটুকু দৃষ্টিসীমাতেই দেখতে পেলেন পাশের তিন সহকর্মী ঠায় বসে আছে, তাদের মাথা থেকেই আসছে শব্দটা। অন্যদিকে ফিরে আবারও আড়চোখে তাকালেন, বাকি অফিসেরও একই অবস্থা। এবার চোখ বন্ধ করে ভালোমতো খোলার সাথে সাথেই দেখলেন, আবার সবাই যার যার কাজে ব্যস্ত!

বড়সড় খটকা লাগলো মনে। জানালা দিয়ে তাকালেন, জানালার সামনেই ল্যাটে কফির বিশাল এক বিলবোর্ড। সেই কফির স্যাশেই আবার আপনার ডেস্কে, মগটার দিকেও হঠাৎ খেয়াল করলেন, সেই কফিরই লোগো। পুরো অফিসে চোখ বুলালেন, সবার ডেস্কে একই কফি আর একই মগ। আবারও মনে খটকা লাগলো, অফিসের বয়কে ডেকে বললেন অন্য একটা কফি এনে দিতে। সে অবাক করে দিয়ে বলল- অন্য কোনো কফি তো নেই এখানে!

কফির অভ্যাসটা মূলত অফিসে এসেই। এর আগে রেগুলার ড্রিঙ্ক বলতে দুধই ছিল। সে কথা ভাবতে গিয়ে আবারও অবাক হয়ে আবিস্কার করলেন, সেই দুধও তো আপনার স্কুলের প্রতিটি ছেলে খেতো, সেই দুধের ব্র্যান্ড ছাড়া অন্য কোনো দুধ এলাকায় পাওয়াই যেত না। ঠিক তখনই আপনার হাত থেকে কফির মগটা পড়ে গেল এবং ভাঙা মগ পরিষ্কার করতে গিয়ে দেখলেন, একটা ক্যামেরাসদৃশ বস্তু পড়ে আছে। পাশের ডেস্ক থেকে আরেকটা মগ নিয়ে ভেঙে দেখলেন, সেখানেও এরকমই একটা ছোট্ট ক্যামেরা।

আশেপাশে আবার মৃদু গুঞ্জন শুরু হয়েছে। অফিসের সব স্টাফ, অফিসের নিচে দাঁড়ানো সব মানুষ আপনার দিকে তাকিয়ে আছে। কিছু একটা বুঝে ফেলেছেন আপনি। সবার ভীত দৃষ্টি তা-ই যেন বলছে। জীবনে প্রথমবারের মতো আপনি আবিস্কার করলেন, আপনার আশেপাশের পৃথিবী কৃত্রিম, আপনাকে দেখা হচ্ছে। কে বা কারা দেখছে তা আপনি জানেন না। কিন্তু কেন্দ্রবিন্দুতে যে আপনি, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আপনাকে ধরে ফেলতে লোকজন ছুটে আসছে, হয়তো এসব ঘটনা ভুলে যাবেন আপনি। কিন্তু আপনি তো চান সত্য জানতে। জানালার দিকে তাকিয়ে একবার জিভ ভিজিয়ে নিলেন, লাফ দেওয়ার ঠিক আগে ভেবে নিলেন নিজের পরিবারের কথা। আচ্ছা, ওরা কি সত্যি, নাকি ওরাও মিথ্যে! নিজের অজান্তেই জানালা খুলে দাঁড়িয়ে গেলেন প্রান্তে। কী হবে? কী হবে?

“সমাপ্ত।”

টিভিতে লেখাটি উঠতেই বারের সবার আহা-উহু শুরু হয়ে গেল।
ধুর। এমন ক্লিফহ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রেখে শেষ করাটাই এই শোয়ের কাজ।
বিরক্ত স্বরে বলে উঠলো ডেভিড।
তাও তো বছরের পর বছর ধরে দেখেই যাচ্ছিস।
হেসে উঠলো নাতাশা।
আরে, তাও আজকের মতো টুইস্ট কিন্তু এর আগে কখনো দেয়নি। আমার মনে হয় ও ধরে ফেলেছে ওর মূল অস্তিত্ব। চল দ্রুত একটা রিঅ্যাকশন ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড করে দেই।
– চল, চল। ইটস টাইম টু শো সাম ক্রিয়েটিভিটি।

জীবন যখন লাইভের বেড়াজালে; source: huffingtonpost.com

ক্রিয়েটিভ বলতে আমরা কী বুঝি? কাদের বলি সৃজনশীল মানুষ? যেকোনো কিছু সৃষ্টি করাই কি সৃজনশীল মানুষের কাজ? নাকি সেই সৃষ্টির মাঝে কিছু অনুভব করা বা করানোকেই বলবো সৃজনশীলতা! মানুষ সৃষ্টির শুরু থেকেই সৃষ্টি করতে ভালোবাসে। আগুন, চাকা, বিদ্যুৎ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা- মানুষের সৃজনক্ষমতার সীমা নির্দিষ্ট হয়নি আজও। আদৌ সেই সীমার সৃষ্টি হবে কিনা, তা-ও জানা নেই কারও।

মানুষের এই সৃজনশীলতা কাজের পাশাপাশি প্রকাশ পায় তার কল্পনাতেও। বাস্তবে যেখানে বাধা থাকে বাস্তবতার, কল্পনায় সেখানে কোনো বাধাই নেই। আর এই কল্পনাপ্রসূত সৃজনশীলতাই প্রকাশ পায় সাহিত্য ও শিল্পে। বর্তমানে চোখে দেখা শিল্পে মানুষ বেশি আগ্রহী, আরেকজনের কল্পনায় আঁকা চিত্র দেখতে চায় মানুষ চোখ দিয়ে; তারপর যদি তা মনে জায়গা করে নেয়, তাহলে তাকে সফল শিল্প বলা যাবে। কিন্তু প্রথমেই মনে জায়গা দিয়ে, পরে নিজের মতো কল্পনা করে এখন আর মানুষ ধোঁকা খেতে চায় না। আর তাই শিল্পের ধ্বজাধারীরা চেষ্টা করে গেছে প্রতিনিয়তই মানুষকে তাদের কল্পনার জগতে নিয়ে আসতে।

আরেকজনের কল্পনায় আঁকা চিত্র দেখতে চায় মানুষ চোখ দিয়ে; source: space.ca

মানুষ এখন টাকা দিয়ে কল্পনা কেনে, তার হয়ে অন্য কেউ কল্পনা করে দেয় আর সে ঐ কল্পনা দেখে মুগ্ধ হয়, বিনোদিত হয়। সিনেমা, টিভি সিরিজ ইত্যাদি ফিকশনাল জিনিসপাতির সাথে তাই এখন যুক্ত হয়েছে নন-ফিকশনাল রিয়্যালিটি শো। মানুষ ভাবতে ভালোবাসে, সবকিছু বাস্তব সেখানে, আর নিজের সাথে মেলায়। কিন্তু স্ক্রিপ্টেড পৃথিবীতে কেউ কি আর ঝুঁকি নেয়? রিয়্যালিটি শোগুলোর আড়ালে তাই স্ক্রিপ্ট খেলা করে আজ। কিন্তু ভবিষ্যতের কথা কে বলতে পারে? যে মানুষগুলোর কাছে দরজার ফুটো দিয়ে পাশের বাড়ির ঘটনা দেখাই প্রধান বিনোদন, তাদের যদি আদতেই সেরকম কোনো বিনোদন মাধ্যম দেওয়া যায়? ভবিষ্যতে মানুষের বিনোদন কেমন হতে পারে, তা নিয়ে কল্পনা হয়েছে অনেক। সেই কল্পনার দুটো রূপকে মিলিয়েই এই লেখা।

১৯৯৮ সালে মুক্তি পেয়ে বিস্তর প্রশংসা পাওয়া, আইএমডিবি টপ ২৫০ তালিকার অন্যতম একটি মুভি- ‘দ্য ট্রুম্যান শো’ এবং সম্প্রতি রিলিজ পাওয়া অনবদ্য এক টিভি সিরিজ ‘ওয়েস্টওয়ার্ল্ড’– মানুষের ভবিষ্যৎ বিনোদনের ধরন নিয়ে একটা গূঢ় ধারণা দিয়ে গেছে। মুভি ও সিরিজ দুটোরই মূল বক্তব্য একটি কাল্পনিক পৃথিবীকে ঘিরে উপস্থাপিত হয়েছে। চলুন আলোচনা করা যাক এই দুটো কাল্পনিক পৃথিবী ও সে পৃথিবীকে বাইরে থেকে দেখা দর্শকের মনস্তত্ত্ব নিয়ে।

মানুষ ট্রুম্যানকে দেখছে, কারণ সে অন্যকে দেখতে ভালোবাসে; source: autodo.info

‘দ্য ট্রুম্যান শো’তে আমরা দেখা পাই ট্রুম্যান নামের এক ব্যক্তির। সিনেমার মূল প্রোটাগনিস্ট হিসেবে ধরে নেয় তাকে দর্শক, কিন্তু একটু পরেই আবিস্কৃত হয় যে, এই ট্রুম্যান শুধু সেই দর্শকের জন্য না, বরং মুভির ভেতরে অবস্থান করা দর্শকেরও মূল নায়ক। অর্থাৎ সে একটি রিয়্যালিটি শোর প্রধান চরিত্র। কোটি কোটি মানুষ দেখছে ট্রুম্যানকে, যে ট্রুম্যানকে জন্ম থেকেই রিয়্যালিটি শো নামক তামাশার অংশ করে নেওয়া হয়। পৃথিবী জুড়ে কোটি কোটি মানুষ ট্রুম্যানকেও ঠিক তখন থেকে দেখে আসছে। ট্রুম্যানের ছোটবেলার সব দুষ্টুমি, কৈশোরের সব পাগলামী, তারুণ্যের সব উদ্দামতা, পরিণত বয়সের থিতু হওয়া সবকিছু সেই দর্শকদের সামনেই। এর চেয়েও অনেক উচ্ছ্বল, এডভেঞ্চারাস জীবন যাপন করা সত্ত্বেও মানুষ নিজেকে না দেখে ট্রুম্যানকে দেখছে, কারণ মানুষ অন্যকে দেখতে ভালোবাসে। আর সে দেখার মাঝে নিজেকে খুঁজতে ভালোবাসে।

যে কারণে আমাদের কাছে হুমায়ূন আহমেদের আনিস ভাই-বাকের ভাই প্রিয়, যে কারণে দেবদাসের মৃত্যু আমাদের এখনো কষ্ট দেয়, যে কারণে সিনবাদ আজও প্রিয় স্মৃতি, যে কারণে অপ্রেসড জন স্নো প্রাসঙ্গিক থাকবে সবসময়- সে কারণেই ও আরও অনেক গভীর কারণে ট্রুম্যানকে দর্শকরা ভালোবেসে ফেলে। একটি চরিত্রকে যত দীর্ঘ সময় ধরে দর্শকের সংস্পর্শে রাখবেন, দর্শক ততোই তার প্রতি আচ্ছন্ন হবে। হতে পারে সে কোনো ত্রুটিপূর্ণ চরিত্র, দর্শক নিখুঁত চরিত্র পছন্দ করে না। স্বভাবতই আপনি যাকে সামনে দেখছেন, টিভির পর্দায় সে একজন গিনিপিগ ছাড়া কিছুই না। কিন্তু এই গিনিপিগ জানে না যে, সে গিনিপিগ। আর যখন সে জানতে পারে যে তার চারপাশে সবকিছুই কৃত্রিম, তখন সে স্বাধীনতার খোঁজ করে। ঠিক এই স্বাধীনতার খোঁজ নিয়েই অবতীর্ণ হয় ওয়েস্টওয়ার্ল্ড।

যখন সে জানতে পারে যে তার চারপাশে সবকিছুই কৃত্রিম, তখন সে স্বাধীনতার খোঁজ করে; source: theconversation.com

এবার হাজারখানেক ট্রুম্যানকে আবিস্কার করুন একটা কল্পিত জগতে, যাদের কাছে সে জগতটা পৃথিবীসম, আর বাস্তবের মানুষদের কাছে তা থিম পার্ক। ট্রুম্যান থেকে আরও কয়েকধাপ এগিয়ে এবার দেখানো হয়- মানুষ না, বরং মানুষের মতোই দেখতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মানবিক বোধসম্পন্ন রোবট এই কৃত্রিম পৃথিবীর অংশ। প্রতি মৌসুমে হাজার হাজার লোক ভিড় করে এখানে সেই কৃত্রিম পৃথিবীতে যোগ দিতে, কিছু সময়ের জন্য অন্য একটি জীবন যাপন করে নিতে। সেই পার্কে আসা অতিথিদের কেন্দ্র করেই সাজানো হয় ঘটনাপ্রবাহ। মানবিক বোধ যেখানে আছে, সেখানে রোবটও মানুষ হয়ে যায়। আর সে মনে স্বাধীনতার তৃষ্ণা জাগাটাই স্বাভাবিক। ওয়েস্টওয়ার্ল্ডের ট্রুম্যানরাও তাই সেই স্বাধীনতার খোঁজে বের হয়। পুঁজিবাদী নিয়ন্ত্রকদের কাছ থেকে নিজেদের স্বাধীনতাটুকু কেড়ে নিতে চায়।

স্বাধীন বিনোদনে পরাধীন মানবতা; source: The Truman Show

এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, ট্রুম্যান শো আর ওয়েস্টওয়ার্ল্ড কেউ কারও থেকে অনুপ্রাণিত না। ওয়েস্টওয়ার্ল্ড (১৯৭৩) মুভি যেমন ট্রুম্যান শোর (১৯৯৮) আগে নির্মিত, তেমনি ট্রুম্যানের সফলতা ওয়েস্টওয়ার্ল্ড সিরিজ (২০১৬ থেকে শুরু) করতে উৎসাহী করেনি, এমনটা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়। কিন্তু ট্রুম্যান শোর অনস্ক্রিন নির্মাতা ক্রিস্টফের চরিত্রে অভিনয় করা এড হ্যারিসই যখন কাল্পনিক ওয়েস্টওয়ার্ল্ডের মালিক হিসেবে আবির্ভূত হন, তখন না চাইলেও ভাবতে ইচ্ছে হয়- ট্রুম্যানের যে রিয়্যালিটিকে ক্রিস্টফ পূর্ণতা দিতে পারেনি, সেটিই পূর্ণ করতে সে মালিক উইলিয়াম হয়ে এসেছে ওয়েস্টওয়ার্ল্ডে। কিন্তু পরে নিজের ভুল বুঝতে পেরে সে ম্যান ইন ব্ল্যাক হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে অনন্ত টাইমলুপের এই কাল্পনিক পৃথিবীতে। অন্যদিকে স্বাধীনতাকামী ট্রুম্যানদের খোঁজা হচ্ছে, বিকল করে দেয়া হচ্ছে মানুষ হতে চাওয়া রোবটদের। দরকার হলে ঢেলে সাজানো হবে পুরো ওয়েস্টওয়ার্ল্ড। কিন্তু দর্শককে তার বিনোদন থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।

রিয়্যালিটি শোগুলোর মাল্টিবিলিয়ন ডলার বিজনেস পুরো পৃথিবীজুড়ে। বর্তমানের বিগ ব্রাদার, বিগ বস ইত্যাদি শো-কে বলা যায় ট্রুম্যান শো, ওয়েস্টওয়ার্ল্ডের মিনিয়েচার রূপ। স্পন্সরদের ব্র্যান্ড প্লেসমেন্ট এখন বাধ্যতামূলক, আর সেই ব্র্যান্ড প্লেসমেন্টও হতে হবে একদম রিয়ালিস্টিক চিত্রায়নে। তাই সেসব শোয়ের প্রয়োজনীয় সব প্রোডাক্টই স্পন্সরের হয়, যেন তা ফেইক না লাগে। অথচ ফেইক ওয়ার্ল্ড নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। কী আর করা! দর্শকদের সেরকম বিনোদনই পছন্দ।

এই কৃত্রিম পৃথিবীতে একবার প্রবেশ করলে, বের হবার রাস্তা অনেকটাই বন্ধ হয়ে যাবে; source: reddit.com

এখন আলাদা বাড়ি করে ক্যামেরা দিয়ে সেলেব্রিটিদের পর্যবেক্ষণে রাখাটাই যদি বিনোদন হয়, তাহলে ভবিষ্যতে আলাদা অঞ্চলে কাল্পনিক পৃথিবী তৈরি করে ব্রেইনওয়াশড মানুষ কিংবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন রোবটদের প্রবেশ করিয়ে ড্রোন-ক্যামেরা সার্ভিলেন্সে রিয়্যালিটি শো রেকর্ড করা কোনো বড় ব্যাপার নয়। একসময় হয়তো সেসব শোয়ের চাহিদা এতটাই বেড়ে যাবে যে, মানুষ নিজেও সেখানে অংশগ্রহণ করতে চাইবে। কিন্তু এই কৃত্রিম পৃথিবীতে একবার প্রবেশ করলে, বের হবার রাস্তা অনেকটাই বন্ধ হয়ে যাবে। তখনই তৈরি হবে স্বাধীনতাকামী চিন্তা, বিনোদন হবে রাজনীতি, যুদ্ধ হবে প্রকৃত স্বাধীনতা পাওয়ার জন্য। ভবিষ্যতের রিয়্যালিটি শো হতে পারে দ্য ট্রুম্যান শো, হতে পারে ওয়েস্টওয়ার্ল্ড, হতে পারে আরও ভিন্ন কিছু। কিন্তু প্রশ্ন রয়ে যাবে একটাই- আমাদের বিনোদন কি স্বাধীনচেতা, নাকি সেটা ব্যবসায়িক শোষণে বিশ্বাস করে?

ফিচার ইমেজ- Joecrastination

Related Articles

Exit mobile version