ডিজনি ওয়ার্ল্ডের নাম শোনেনি এমন মানুষ বর্তমানে পাওয়া আসলেই কষ্টকর। বিশ্বের সবচেয়ে পরিচিত এই থিম পার্কে সকলেরই কম-বেশি ঘোরার ইচ্ছা তো থাকে। আর তা হবেই না কেন? স্বপ্নের মতো একটি পার্কে ঘোরার ইচ্ছে থাকা অস্বাভাবিক কিছু না। ২০১৪ সালে প্রায় ১৯ মিলিয়ন পর্যটকের সমাগম ঘটে ডিজনি ওয়ার্ল্ডে, যার মধ্যে তিন মিলিয়নই ছিল নেদারল্যান্ডস থেকে। এই ডিজনি ওয়ার্ল্ডকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ‘ডিজনি’ নামক একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি, যা ১৯২৩ সালে ওয়াল্ট এবং রয় ও.ডিজনি ‘ডিজনি ব্রাদার্স কার্টুন স্টুডিও’ নামক অ্যানিমেশন কোম্পানি হিসেবে শুরু করে। এই কোম্পানিই বিস্তৃতি লাভ করতে করতে বর্তমানের ডিজনিতে এসে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই ভাবে, ডিজনি বলতে হয়তো শুধুমাত্র ডিজনিল্যান্ড বা ডিজনি ওয়ার্ল্ডকেই বোঝানো হয়, তবে এর মালিকানায় আরো কিছু জিনিস রয়েছে।
ডিজনির মালিকানায় কী কী আছে
১) টেলিভিশন
১৯৯৬ সালে ডিজনি এবিসি ১৯ বিলিয়ন ডলার দিয়ে কেনার মাধ্যমে একটি রেডিও এবং টেলিভিশন নেটওয়ার্কের মালিক হয়। এর ফলে ডিজনি বিশ্বের প্রধান তিনটি ব্রডকাস্ট কর্পোরেশনের একটিকে অধিকারে সক্ষম হয়। এবিসি কেনার সুবাদে ১০টি টেলিভিশন স্টেশন এবং ২১টি রেডিও স্টেশনের মালিক হয় ডিজনি।
তাছাড়াও সাতটি দৈনিক খবরের কাগজ এবং চারটি ক্যাবল নেটওয়ার্কের মালিকানাও লাভ করে এই মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিটি। এত কিছুর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো খেলা সম্পর্কিত মূল খবরদাতা ইএসপিএন চ্যানেল। এবিসি ফ্যামিলির পাশাপাশি ইএসপিএনের বিভিন্ন চ্যানেল এবং ডিজনির অন্যান্য ক্যাবল হোল্ডিং ডিজনির শতকরা ৭০ ভাগ মিডিয়া নেটওয়ার্ক আয়ের যোগান দেয়, যা এগুলোর ক্যাবল ফি থেকেই আসে।
২) মুভি
গত দশক থেকে মুভি ইন্ডাস্ট্রিতেও ডিজনির বেশ বড়সড় আগমন ঘটেছে। তবে এর সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ ছিল মার্ভেল এন্টারটেইনমেন্ট ক্রয় করার। এর মাধ্যমে ডিজনি মার্ভেলের ৫,০০০ এর বেশি চরিত্রের অধিকার পায়। মার্ভেলের উপর অনেকটা নির্ভরশীল হলেও তারা বিভিন্ন টেলিভিশন প্রোগ্রাম, যেমন- এজেন্টস অব শিল্ড এবং নেটফ্লিক্স সিরিজ, যেমন- ডেয়ারডেভিল এবং জেসিকা জনস থেকেও আয় করে থাকে। কিন্তু অ্যাভেঞ্জার্স মুভির সিরিজ থেকে উপার্জিত অর্থ বাকিগুলোর তুলনায় অধিক। ২০১২ সালের দিকে ডিজনি লুকাস ফিল্মের সাথে সমগ্র স্টার ওয়ার্স ফ্রাঞ্চাইজ কিনে নেয়। এই ক্রয়ের পরেই বেশিরভাগ স্টার ওয়ার্স মুভি মুক্তি পায়। আর এতে করে ডিজনিও উপার্জনের দিক থেকে এগিয়ে যায়।
৩) থিম পার্ক
এ সম্পর্কে আসলে নতুন করে কিছু বলার নেই। ডিজনির নাম শুনলে মুভি ও টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর কথা তো বলতে গেলে পরেই মনে পড়ে। সবার আগে এই নাম শুনে মাথায় আসে ডিজনিল্যান্ড এবং ডিজনি ওয়ার্ল্ডের কথা। ক্যালিফোর্নিয়ার ডিজনিল্যান্ড ও ফ্লোরিডার ডিজনি ওয়ার্ল্ডের মালিক হলো এই ডিজনি কোম্পানি।
তাছাড়া প্যারিস, সাংহাই এবং হংকংয়ের ডিজনিল্যান্ড পার্কের যে শাখাগুলো রয়েছে, সেগুলোরও মূল মালিকানা ডিজনির হাতে। টোকিও ডিজনি পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ‘ওরিয়েন্টাল ল্যান্ড কোম্পানি’র কাছ থেকে ডিজনি রয়াল্টি পেমেন্টও পায়।
ডিজনি কোম্পানির অন্য কিছুর তুলনায় এই ডিজনি ওয়ার্ল্ড থেকে প্রাপ্ত আয়ের পাশাপাশি খ্যাতির পাল্লাটাও যে বেশি তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আর তাই আজকের এই লেখাতে ডিজনি ওয়ার্ল্ডের অর্থনৈতিক দিকটাতেই মূলত আলোকপাত করা হয়েছে।
ডিজনি ওয়ার্ল্ডে যাওয়ার খরচ কেমন?
তিন থেকে নয় বছরের বাচ্চাদের জন্য ডিজনি ওয়ার্ল্ডে একদিনের এন্ট্রি ফি ৯৯ ডলার। আর যাদের বয়স ১০ বছর বা এর উর্ধ্বে তাদের জন্য এই ফি ১০৫ ডলার। অবশ্য ১০ বা এর বেশি বয়সের শিশুরা ফ্লোরিডার বাসিন্দা হলে তাদের জন্য এই ফি কিছুটা কম। জনপ্রতি ৯৭ ডলার। তাছাড়া এসব ফি এর উপর আলাদা করে বিক্রয় করও আরোপ করা হয়। একটি সাধারণ পরিবার, যেমন- মা-বাবা এবং তাদের দুই থেকে নয় বছরের দুই সন্তানের একটি পরিবারের জন্য একদিনের ফি হবে ৪৩৪.৫৪ ডলার। এই ফি’র মধ্যে করও অন্তর্ভুক্ত। অবশ্য এই ফি দিয়ে দেওয়া মানে এই না যে, আপনি আরামে ডিজনি ওয়ার্ল্ডের সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। এটা শুধু প্রবেশাধিকার পাওয়ার জন্য অর্থ প্রদান করা। থিম পার্কটিতে গিয়ে আপনি যে কেনাকাটা করবেন, খাওয়া-দাওয়া করবেন, যেখানে থাকবেন বা এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাবেন সেগুলোর খরচ আপনাকে আলাদা করেই দিতে হবে।
এন্ট্রি ফি’র ক্ষেত্রে ছাড় পাওয়ার কোনো উপায় না থাকলেও বাকি খরচে মিতব্যয়ী হয়ে আপনি আপনার বাজেট কিছুটা হলেও সীমিত রাখতে পারবেন। অবশ্য ডিজনি ওয়ার্ল্ডে গিয়ে এত আকর্ষণীয় জিনিসপত্র দেখে খরচ কম করা কষ্টকর বটে। ছুটিতে ঘুরতে যাওয়ার আগে আপনি চাইলেই ‘ডিজনি ভ্যাকেশন বাজেট এস্টিমেটর’ এর মাধ্যমে আপনার ব্যয় কেমন হতে পারে তা হিসাব করে নিতে পারেন। তাছাড়া নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে ও কৌশলে কাজ করেও ডিজনি ওয়ার্ল্ডে ছুটি কাটানোর খরচ কমানো যেতে পারে। যেমন- কয়েকদিনের জন্য না গিয়ে মাত্র একদিনেই ডিজনি ওয়ার্ল্ড ঘুরে চলে আসলে বেশি টাকা ব্যয় করা লাগবে না।
অবশ্য এই একদিনে কোথায় থাকছেন সেটাও এই খরচের ভার কেমন হবে তা ঠিক করে। ডিজনি ওয়ার্ল্ডের ঠিক বাইরে বেশ কিছু স্বল্পমূল্যের রিসোর্ট ও হোটেল আছে। এসব জায়গায় থাকলে খরচটা কমই হবে। তবে এই পার্কটি উপভোগ করতে অনেকেই বেশি খরচ করে ভেতরেই থাকতে পছন্দ করেন। অনেক পার্কে বাইরে থেকে খাবার আনা নিষিদ্ধ হলেও এখানে আপনি আনতে পারবেন, যদি সেই খাবার গরম করার প্রয়োজন না হয়। এভাবে খাবারের খরচটাও পুষিয়ে নিতে পারেন।
ডিজনি ওয়ার্ল্ড কি খুব বেশি ব্যয়বহুল জায়গা?
১৯৭১ সালে প্রথমবারের মতো পার্কটি খোলা হলে একজন প্রাপ্তবয়স্ককে প্রবেশাধিকার পেতে হলে খরচ করতে হতো ৩.৫০ ডলার। ২০১৫ সালের ডলারের মূল্যের সাথে মূল্যস্ফীতির সমন্বয় করলে এই এন্ট্রি ফি দাঁড়ায় ২০.৪৮ ডলার। ডিজনি ওয়ার্ল্ডের টিকেটের মূল্যের বারবার উত্থানের ক্ষেত্রে মূদ্রাস্ফীতিই মূলত কাজ করেছে। আবার মূদ্রাস্ফীতির সাথে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের বেতন বা মজুরির সমন্বয় না থাকাও টিকেটের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ার পেছনে দায়ী।
২০০০ সালের দিকে এই ফি ৪৬ ডলারে উন্নীত হয় এবং এরপর থেকে লাগাতার এই মূল্যের বৃদ্ধি প্রায়ই দেখা যায়। সাধারণত একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির একদিনের টিকেট মূল্য ১০৫ ডলার। তবে পাঁচদিনের টিকেট কিনলে এর খরচ দাঁড়াবে ৩১৫ ডলার। অর্থাৎ একদিনে খরচ হবে ৬৩ ডলার। আপাতদৃষ্টিতে পাঁচদিনের টিকেট কেনা লাভজনক মনে হলেও এটা ভুলে গেলে চলবে না যে এই দিনগুলোতে খাওয়া-দাওয়া, যাতায়াত ও থাকার খরচ একজন ব্যক্তিকে নিজের মতো করেই ব্যবস্থা করে নিতে হবে, যা অবশ্যই একদিনের খরচের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি হবে। তাই মূদ্রাস্ফীতি মাথায় রেখে টিকেটের মূল্য নির্ধারণ করা ও বেশিদিন থাকলে ডিসকাউন্ট দেওয়া বাকিদের জন্য আসলেই কতটা লাভজনক তা কিছুটা বিতর্কের ও ভাবার বিষয়। এসব কারণে অনেকেই মনে করেন যে, ডিজনি ওয়ার্ল্ড মধ্যবিত্তদের জন্য নয়।
ডিজনিতে বিনিয়োগ
বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরা সর্বদাই ব্লু চিপ শেয়ারকেই প্রাধান্য দেয়। উল্লেখ্য যে, ব্লু চিপ শেয়ার হলো উচ্চ মূলধন, তরল এবং মুনাফামুখী কোম্পানির শেয়ার। ডিজনি যে এরকমই একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান তাতে কারো কোনো সন্দেহ নেই। প্রতি বছরই ডিজনি এই পার্ক এবং অন্যান্য মূল্যবান সম্পদ, যেমন- স্টার ওয়ার্স ফ্রাঞ্চাইজ থেকে অনেক মুনাফা অর্জন করছে। এতে করে বিনিয়োগকারীরা স্বভাবতই ডিজনির মতো কোম্পানিতে নিজেদের দরকারে, অনেকে আবার শখের বশে বিনিয়োগ করছে কিংবা করার ইচ্ছা প্রকাশ করছে। বিশেষভাবে একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো- কোনো বিনিয়োগকারী যখন ডিজনিতে বিনিয়োগ করেন, তখন তিনি শুধুমাত্র ডিজনি ওয়ার্ল্ডের মতো থিম পার্কেই নয়, বরং এর টেলিভিশন চ্যানেলগুলো এবং ফ্রাঞ্চাইজেও বিনিয়োগ করেন। ফলে এখানে লাভের পাল্লাটা একটু ভারীই থাকে।
ডিজনিতে চাকরি
এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যেখানে বিনিয়োগ করার জন্য সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ে এবং যার থিম পার্কে আসার জন্য মানুষ নিজেদের সাধ্যমতো সব চেষ্টা করে যায়, সেই পার্ক তথা ডিজনি ওয়ার্ল্ডে চাকরি করার ইচ্ছাও যে অনেকেরই রয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ২০০৯ সালের একটি রিপোর্ট মতে, ফ্লোরিডার প্রতি ৫০ জন কর্মরত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ডিজনি ওয়ার্ল্ড বা রিসোর্টগুলোর সাথে জড়িত। ২০১১ সালের একটি রিপোর্ট মতে, ফ্লোরিডার ২.৫% জিডিপি আসে ওয়াল্ট ডিজনি পার্ক এবং রিসোর্টগুলো থেকে। আবার কেন্দ্রীয় ফ্লোরিডার শতকরা ৬ ভাগ জনগণই ডিজনি ওয়ার্ল্ড থেকেই আয় করে।
তবে এখানে যারা চাকরি করছে তারা আসলেই কতটা নিজেদের প্রাপ্য পায় তা নিয়ে কিছু বিতর্ক রয়েছে। অবশ্য যতই দিন যাচ্ছে ততই কর্মরতদের সুবিধার্থে নতুন নতুন নিয়ম বানানো হচ্ছে। অনেক দিনের জন্য ডিজনি ওয়ার্ল্ডের কর্মচারীদের মজুরি ঘণ্টায় মাত্র ৮.০৩ ডলার ছিল, যা সেই সময়ে ফ্লোরিডার সর্বনিম্ন বেতন বা মজুরি হিসেবে গণ্য হত। ২০১৬ সালে এই মজুরি ঘণ্টায় ১০ ডলার হয়। যেসব কর্মচারী টিপ বা আলাদা করে সার্ভিস চার্জ পায় না, তাদের জন্য আসলে এখানে কাজ করা লাভজনক নয়। শুধু একটাই সান্ত্বনা যে, এরকম একটা আকর্ষণীয় পার্কের ভেতরে কাজ করার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
২০১১ সালে ডিজনি বেতনপ্রাপ্ত কর্মচারীদের পেনশন দেওয়া বাদ দিয়ে দেয়, যা পূর্বে অবসর নেওয়ার পর কর্মচারীদের নিজেদের খরচ চালানোর মূল উৎস হিসেবে কাজ করত। এটা মূলত কর্মচারীদের জলদি অবসর নেওয়া থেকে বিরত রাখার জন্য করা হয়। অবশ্য ২০১৫ সালে এই কোম্পানি ৫,০০০ সাবেক কর্মচারীদেরকে পেনশন বাইআউট অফার করে। ২০১৬ সালে ডিজনি ওয়ার্ল্ডের সাবেক দুই প্রযুক্তি বিষয়ক শ্রমিক এই প্রতিষ্ঠান এবং আরো দুটি আউটসোর্সিং ফার্মের বিরুদ্ধে মামলা করে যে, তারা ইচ্ছা করে এইচ১-বি ভিসার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমিকদের হটিয়ে বিদেশি শ্রমিকদের কাজের সুযোগ দিচ্ছে। কেননা, যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমিকরা এত কম বেতনে কাজ করতে আপত্তি জানালেও উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশের শ্রমিকরা কোনো আপত্তি জানাবে না। তাছাড়া এসব বিদেশি শ্রমিকদের ট্রেনিং দেওয়ার জন্য মাঝে মাঝে অনেক দেশি শ্রমিককে বাধ্য করা হয়।
শ্রমিক বা কর্মচারীদের প্রতি বিরূপ আচরণের উদাহরণ থাকলেও ডিজনি তাদের জন্য কিছু বিশেষ পদক্ষেপও গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে একটি হলো ‘ডিজনি কলেজ প্রোগ্রাম’। এখানে কলেজ শিক্ষার্থীদের এবং সম্প্রতি পাস করে বের হওয়া ব্যক্তিদের ট্রেনিং দেওয়া হয় যারা ডিজনিতে কাজ করছে। এসব ট্রেনিং তাদেরকে পেশাগত জীবনের জন্য প্রস্তুত করে।
ভালো-মন্দ সব মিলিয়েই ডিজনি ওয়ার্ল্ড এখন বিশ্বের অন্যতম পরিচিত একটি থিম পার্ক। যার এন্ট্রি ফি এবং অন্যান্য খরচ মূদ্রাস্ফীতিসহ বিভিন্ন কারণে দিন দিন বাড়লেও এখানে একবারের জন্য ঘুরতে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা কোনো অংশেই কমছে না সাধারণ জনগণের মধ্যে। আর এই কারণেই ডিজনি ওয়ার্ল্ডের উপার্জন ক্রমাগত বেড়েই চলছে।