কাহিনী সংক্ষেপ
ক্রিসমাসের ছুটিতে প্যারিস যাবে ম্যাকক্যালিস্টার পরিবার। শিকাগো ছাড়ার আগের রাতে বাড়ির বাইরে বসে পিটার ও কেটের নেতৃত্বে সেই পরিকল্পনাই চলছে, আছে এক ঝাঁক বাচ্চা। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার, সেই বাচ্চাদের দঙ্গলের মাঝে ক্রমাগত অবজ্ঞার শিকার হচ্ছে পিটার-কেট দম্পতির সবচেয়ে ছোট ছেলে কেভিন। একপর্যায়ে বড় ভাই বাজের সাথে লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে পুরো পরিবারের ডিনার মাটি করে দেয় কেভিন। শাস্তিস্বরূপ তাকে পাঠিয়ে দেয়া হয় বাড়ির চিলেকোঠায়। রাতটা তাকে সেখানেই কাটাতে হবে। বিমর্ষ কেভিন তার মাকে অভিসম্পাত করতে থাকে, আর মনে মনে ভাবে, তার পরিবার যদি উধাও হয়ে যেত!
বাস্তবে হলোও তা-ই। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যাওয়ায় তাড়াহুড়া করে এয়ারপোর্টের উদ্দেশে রওনা দেয় ম্যাকক্যালিস্টার পরিবার। কেভিন যে তাদের সাথে নেই, এ কথা তাদের কারো মাথাতেই আসেনি। ফ্লাইটের মাঝপথে কেট প্রথম লক্ষ্য করে যে, কেভিন নেই। প্যারিসে অবতরণের পরই সে শিকাগোয় রিটার্ন টিকিট করতে যায়। কিন্তু দেখে, আগামী দু’দিনের জন্য সব টিকিট বুক হয়ে গেছে। অনেক চেষ্টা চরিত্র করে স্ক্র্যান্টন, পেনসিলভানিয়া পর্যন্ত একটি প্লেনের টিকিট জোগাড় করতে পারে সে। কিন্তু সেখানে নেমেও দেখে, শিকাগো যাওয়ার কোনো টিকিটই নেই। তার দুরাবস্থা দেখে একটি পলকা ব্যান্ডের লিড মেম্বার তাকে আমন্ত্রণ জানায় তাদের সাথে ভ্যানে করে শিকাগো পর্যন্ত যাওয়ার। উপায়ন্তর না দেখে এতেই রাজি হয় যায় সে।
এদিকে সকালে ঘুম থেকে উঠে কেভিন যখন আবিষ্কার করে যে, বাড়ি পুরো ফাঁকা, আনন্দে ভরে যায় তার মন। সে ভাবে, তার আশা পূর্ণ হয়েছে। সত্যি সত্যিই উধাও হয়ে গেছে তার পরিবার। এবার সে তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করতে পারবে সদ্য পাওয়া স্বাধীনতা। কিন্তু তার আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হলো না। কারণ তাদের পাশের বাড়িতেই থাকে ওল্ড ম্যান মার্লি, যার ব্যাপারে গুজব আছে, সে নাকি একজন সিরিয়াল কিলার এবং নিজের পরিবারের সবাইকে খুন করেছে! এছাড়াও আছে ‘ওয়েট ব্যান্ডিটস’ নামের দুই চোর, যারা বিগত কয়েকদিন যাবত স্থানীয় সব ফাঁকা বাড়িতে হামলা চালিয়েছে, এবং এবার তাদের লক্ষ্য ম্যাকক্যালিস্টারদের বাড়ি।
কীভাবে এই দ্বিমুখী বিপদ থেকে বাঁচবে কেভিন? তার মা কি সময়মতো হাজির হতে পারবে, নাকি নিজেকে বিপদমুক্ত করার সব দায়িত্ব কেভিনকে একাই বহন করতে হবে? সে কি সফল হবে, নাকি পরিবারের কারও সাথে আর কখনও দেখা হবে না তার? এসব প্রশ্নের উত্তর মিলবে হোম অ্যালোন ছবির শেষে।
প্রাথমিক তথ্য
জন হিউজের রচনা ও প্রযোজনায় এবং ক্রিস কলম্বাসের পরিচালনায় ১৯৯০ সালে মুক্তি পায় আমেরিকান ক্রিসমাস কমেডি ছবি ‘হোম অ্যালোন’। কেভিন ম্যাকক্যালিস্টারের ভূমিকায় অভিনয় করেন ম্যাকাউলি কালকিন। এই ছবিতে দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেতা ক্যাটাগরিতে গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন তিনি। আর ছবিটি অস্কারেও সংগীত ক্যাটাগরিতে দুটি মনোনয়ন পায়।
এই ছবিটি মুক্তির পর ঠিক কতটা জনপ্রিয়তা পেয়েছিল তা বলে বোঝানো দুঃসাধ্য কাজ। তারপরও কয়েকটি তথ্য আপনাদের সামনে হাজির করা যাক।
- ১৯৯০ সালের নভেম্বরে মুক্তির পর থেকে টানা ১২ সপ্তাহ বক্স অফিসের শীর্ষস্থান দখল করে রাখে ছবিটি।
- যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে টানা ৯ মাস ধরে প্রদর্শিত হয় ছবিটি।
- ২০১১ সাল পর্যন্ত এই ছবিটিই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সর্বকালের সবচেয়ে বেশি আয় করা লাইভ-অ্যাকশন কমেডি ঘরানার ছবি। এখন অবশ্য সেই খেতাবের মালিকানা রয়েছে দ্য হ্যাংওভার পার্ট টু ছবির দখলে।
- মুক্তির কয়েকদিনের মধ্যেই টাইম ম্যাগাজিন এই ছবিটি সম্পর্কে লিখেছিল, “The undisputed conqueror of the Christmas movie season”।
- অনেক চলচ্চিত্রবোদ্ধাই মনে করেন, হোম অ্যালোন সর্বকালের সেরা ক্রিসমাস-কেন্দ্রিক ছবি।
- ২৮ বছর আগে মুক্তি পাওয়া ছবিটি ইতিমধ্যেই পেয়ে গেছে অলটাইম ক্লাসিকের সম্মাননা।
কেন এত জনপ্রিয় হোম অ্যালোন?
হোম অ্যালোন মুক্তির পর ২৮টি ক্রিসমাস সিজন পার করে এসেছি আমরা। এবং এখন চলছে ২৯তম ক্রিসমাস সিজন। কিন্তু এখনও হোম অ্যালোন নিয়ে উন্মাদনায় ভাটা পড়েনি এতটুকুও। নব্বইয়ের শিশুদের শৈশবের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যেমন ছিল হোম অ্যালোন, তেমনি বর্তমান প্রজন্মের কাছেও এই ছবির গ্রহণযোগ্যতা সমান। এখনও ক্রিসমাস সিজন এলে আমাদের ওয়াচ লিস্টে অবশ্যম্ভাবীভাবেই থাকে হোম অ্যালোনের নাম। কী কারণ এর পেছনে?
সর্বাগ্রে, হোম অ্যালোন একটি পারিবারিক ছবি, পরিবারের সবাই মিলে দেখার মতো একটি ছবি। তাই স্বাভাবিকভাবেই হলিডে সিজনে বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানদের সাথে একসাথে বসবেন এমন ছবির কথা চিন্তা করলে এই ছবিটির নাম আসা স্বাভাবিক। কিন্তু শুধু কি তা-ই? মোটেই না। এর পাশাপাশি কার্যকারণ হিসেবে রয়েছে এই ছবির কাহিনীর গভীরতাও। কেউ যদি স্রেফ বিনোদন লাভের আশায় ছবিটি দেখে থাকেন, তাহলে ক্ষতি নেই। তবে একটু সূক্ষ্মভাবে চিন্তা করলেই দেখা যাবে, পারিবারিক আবেগের কী অসাধারণ বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এই ছবিতে।
সর্বকনিষ্ঠ হওয়ায় কেভিনকে তার ভাই-বোনেরা সবাই অবজ্ঞা করে, যে জিনিসটির সম্মুখীন আমরা অনেকেই ছোটবেলায় হয়েছি। আর এ বিষয়টি আমাদের অনেকেরই মর্মযাতনার কারণ ছিল, যেমনটি এই ছবিতে ছিল কেভিনের। তাই চিলেকোঠায় তাকে আটকে রাখা হলে পরিবারের সদস্যদের প্রতি তার ক্ষোভের উদগীরণ ঘটে, এবং সে আশা করে তার পরিবারের সকলে যেন উধাও হয়ে যায়। সত্যি সত্যিই যখন তা ঘটে, তখন কেভিনের আনন্দ পাওয়াটাও বোধগম্য। কিন্তু যতই সময় এগোতে থাকে, আমরা দেখতে পাই কেভিন কতটা মিস করছে তার পরিবারকে। ক্রিসমাস সিজনে আর সবাই যখন পরিবারের সাথে আনন্দ করছে, তখন সে একা একা বিপদের মোকাবেলা করছে, এই বিষয়টি যে কাউকেই নাড়া দেয়ার মতো।
পাশাপাশি লক্ষণীয় এই বিষয়টিও যে, মাত্র আট বছরের কেভিন কীভাবে বিপদের মুখে একটু একটু করে পরিণত হয়ে উঠতে থাকে, এবং একপর্যায়ে সে এটিও স্বীকার করে নেয় যে, সব দোষ কেবল তার পরিবারের সদস্যদেরই নয়, কিছু ভুলত্রুটি তার নিজেরও আছে। এই আত্মোপলব্ধির জায়গাটিই এই ছবির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাছাড়া আট বছরের ছোট্ট একটি বাচ্চা যেভাবে নিজের মেধা, মনন ও উপস্থিত বুদ্ধির সাহায্যে চোরদেরকে একের পর এক হেনস্তা করে যেতে থাকে, তা অনেকের কাছে নিছকই কাল্পনিক মনে হলেও, এটি অস্বীকার করার উপায় নেই যে, শিশুদেরকে আমরা যতটা অবুঝ ভাবি তারা ততটা নয়; বরং তাদের মধ্যে যে অপার সম্ভাবনা রয়েছে, একটু খোঁচা দিলেই তা বের হয়ে আসে।
ক্রিসমাস স্পিরিটেরও কী অনন্য উপস্থাপন দেখা যায় এই ছবিতে! চরিত্রগুলো সবাই যে ভালো তা যেমন নয়, তেমনি সব চরিত্রই খারাপও নয়। যেমন ধরুন কেভিনের মায়ের কথাই। শুরুতে তাকে দেখে আপনার মনে হতেই পারে কতটা নির্দয় তিনি। এবং এতটাই মনভোলা যে ছেলেকে বাড়িতে ফেলে যাচ্ছেন সেটা খেয়ালও করলেন না। কিন্তু সেই একই চরিত্রের জন্যই আপনার মন আর্দ্র হয়ে উঠতে বাধ্য, যখন দেখবেন সন্তানের কাছে ফিরে যাওয়ার জন্য কতটা উন্মুখ হয়ে আছেন তিনি, কেমন মরিয়াভাবে সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রাখছেন। ক্রিসমাস স্পিরিট তো এটিই, যখন আমরা বুঝতে পারি সাদা চোখে যাকে যেমন মনে হয়, সে তেমন নয়, বরং তার চরিত্রের আরও অনেক অপ্রকাশিত দিকও রয়েছে।
মানুষের চরিত্রের ভালো দিকগুলোরও নান্দনিক বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এই ছবিতে। যেমন- সান্তা ক্লজরুপী মানুষটির কথাই চিন্তা করুন। সারাদিন পরিশ্রমের পর তিনি যখন তার নিজের পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তখনও কেভিন যখন তার কাছে গিয়ে নিজের অসহায়ত্বের কথা বলতে শুরু করলো, সে কিন্তু এতটুকুও বিরক্ত হলো না। বরং যথাসম্ভব চেষ্টা করলেন কেভিনকে সাহস যোগানোর। একইভাবে আমরা বলতে পারি, ব্যান্ডের দলনেতা গাস পোলিনস্কির কথাও। কেটকে মরিয়াভাবে শিকাগোয় ফেরার উপায় খুঁজতে দেখে যে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। বিপদের সময় আপনি যে এমন কারও কাছ থেকেও সাহায্য পেতে পারেন, যা আপনি কখনও কল্পনাও করেননি, এই বার্তাটিও আমরা পেয়ে যাই এই ছবির মাধ্যমে।
এসবের বাইরেও ছবির কাহিনীতে আরও বড় একটি শিক্ষা রয়েছে, যেটি আপনারা ছবির এন্ড-ক্রেডিট শুরু হওয়ার আগেই নিজেরাই টের পেয়ে যাবেন। এখন সেটির উল্লেখ করছি না, কারণ তাতে স্পয়লার দিয়ে দেয়া হবে!
তার চেয়ে বরং বলা যাক এই ছবির টেকনিক্যাল নানা বিষয়ে, যেগুলোও বড় ভূমিকা রেখেছে এই ছবির ক্লাসিক মর্যাদা অর্জনে। প্রথমত, এই ছবির অসাধারণ চিত্রনাট্য। খুব কম হলিডে কমেডিই আপনি দেখবেন, যার চিত্রনাট্য এতটা নির্মেদ ও গতিসম্পন্ন। ছবির প্লটে এত লেয়ার থাকা সত্ত্বেও চিত্রনাট্যকারের মুনশিয়ানাতেই কাহিনী একবারের জন্যও ঝুলে পড়েনি। এজন্য প্রশংসার দাবিদার পরিচালক ক্রিস কলম্বাসও। শিশুতোষ ছবি পরিচালনায় তার কোনো জুড়ি নেই। শিশু অভিনেতাদের কাছ থেকে এমন অনবদ্য পারফরমেন্স বের করে আনা কেবল তার পক্ষেই সম্ভব।
প্রশংসা করতে হবে এই ছবির সেটেরও। কেভিন ডাকাতদের ঘায়েল করতে গোটা বাড়িকে যেভাবে বিশালাকারের একটি মাউজ ট্র্যাপে পরিণত করেছিল, পর্দায় সেটির বাস্তবসম্মত উপস্থাপনের জন্য প্রয়োজন ছিল নিখুঁত একটি সেটের। এবং সেট ডিজাইনারও ঠিক সেটিই সরবরাহ করেছেন।
এবং সবশেষে অবশ্যই বলতে হবে এই ছবির কালজয়ী কিছু সংলাপের ব্যাপারে। একবার ছবিটি দেখার পর নিশ্চিতভাবেই আপনার মাথায় ঘুরতে থাকবে সংলাপগুলো।
- “I made my family disappear.”
- “You’re afraid of the dark, too, Marv.”
- “This is my house, I have to defend it.”
- “You guys give up yet? Or are you thirsty for more?”
- “Why the hell are you dressed like a chicken?”
হোম অ্যালোন বিষয়ক কিছু মজাদার তথ্য
- কেভিন বাজের গার্লফ্রেন্ডের যে ছবিটি খুঁজে পায়, সেই ছবির মেয়েটি কিন্তু আসলে কোনো মেয়ে ছিল না। পরিচালক ক্রিস কলম্বাস মনে করেছিলেন, একটি মেয়েকে নিয়ে ছবিতে উপহাস করা খুবই নিষ্ঠুর ব্যাপার হবে। তবু কাহিনীর প্রয়োজনে তো সেটির খুবই প্রয়োজন। তাই তিনি কোনো মেয়েকে না নিয়ে ছবির শিল্প পরিচালকের ছেলেকেই মেয়ে সাজিয়ে উপস্থাপন করেছিলেন ছবিতে!
- ছবিতে হ্যারি লাইমের ভূমিকায় অভিনয় করা জো পেসি শুটিং চলাকালীন ইচ্ছাকৃতভাবে ম্যাকাউলিকে এড়িয়ে চলতেন, যাতে ম্যাকাউলি তাকে সত্যিকারের খারাপ মানুষ বলে মনে করেন!
- ছবির অন্যতম জনপ্রিয় দৃশ্য হলো মার্ভের মুখের উপর টারান্টুলা বসা, আর ভয়ে মার্ভের চিৎকার করা। মার্ভের চরিত্রে অভিনয় করা ড্যানিয়েল স্টার্ন মাত্র এক টেকেই দৃশ্যটি ‘ওকে’ করতে রাজি হন, এবং সত্যিকারের চিৎকারের বদলে শুটিংয়ের সময় তাকে কেবল চিৎকারের মিমিক করে দেখাতে হয়েছিল। কারণ সত্যিকারের চিৎকার করলে ভয় পেয়ে মাকড়সাটির পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। পরবর্তীতে ডাব করে চিৎকারটি মার্ভের মুখে বসানো হয়!
- এই ছবির সবচেয়ে বিখ্যাত পোস্টার হলো যেখানে দেখা যায় কেভিন চিৎকার করছে। দৃশ্যটি এডভার্ড মাঞ্চের আঁকা ‘দ্য স্ক্রিম’ নামক ছবি থেকে অনুপ্রাণিত ছিল।
- হোম অ্যালোন ছবির দ্বিতীয় কিস্তি যখন শুটিং হয়, ম্যাকাউলি কালকিনের বয়স তখন ১২। ছবিটিতে অভিনয়ের জন্য তিনি পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন ৪.৫ মিলিয়ন ডলার! ১২ বছর বয়সী একজন অভিনেতার সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকের বিশ্ব-রেকর্ড এটি!
শেষ কথা
শুরুতে একটি একক ছবি হিসেবে হোম অ্যালোন নির্মাণের কথা থাকলেও, এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা একে একটি ফ্র্যাঞ্চাইজে পরিণত করে। এখন পর্যন্ত এই সিরিজের মোট পাঁচটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। প্রথম দুটি ছবির পরিচালক ছিলেন ক্রিস কলম্বাস, আর মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ম্যাকাউলি কালকিন। পরের তিনটি কিস্তির পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন যথাক্রমে রাজা গোসনেল, রড ড্যানিয়েল ও পিটার হিউয়িট। ২০১২ সালে মুক্তি পেয়েছে এই সিরিজের সর্বশেষ কিস্তি Home Alone: The Holiday Heist।
তবে এতগুলো কিস্তি মুক্তি পেলেও জনপ্রিয়তায় এখনও কিন্তু শীর্ষস্থানে আছে ১৯৯০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম পর্বটিই। প্রায় তিন যুগ হতে চললো, এখনও ক্রিসমাস-কেন্দ্রিক ছবির কথা চিন্তা করলেই সবার আগে চলে আসে ১৯৯০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত হোম অ্যালোনের নামই। আজও যেকোনো পারিবারিক রিইউনিয়ন বা গেট-টুগেদারে সবাই একসাথে ছবি দেখার পরিকল্পনা করলে অটোমেটিক চয়েস হিসেবে উচ্চারিত হয় হোম অ্যালোনের কথা। আগামী আরও কয়েক দশকেও যে এই ছবির শ্রেষ্ঠত্বে কেউ ভাগ বসাতে পারবে না, সেই পূর্বানুমান খুব সহজেই করা যায়।
যারা এখনও ছবিটি দেখেননি, এই ক্রিসমাস সিজনে পরিবারের সবাই মিলে ঘণ্টাদুয়েক নিখাদ ও নির্মল বিনোদনের উদ্দেশ্যে দেখে ফেলতে পারেন ছবিটি। আর যারা আগেই অসংখ্যবার দেখেছেন, তারাও আরেকবার রিভিশন দিয়ে নিতে পারেন!
চমৎকার সব বিষয়ে রোর বাংলায় লিখতে আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন এই লিঙ্কে: roar.media/contribute/