হাশেমিত কিংডম অব জর্ডান। মধ্যপ্রাচ্যের আরব উপদ্বীপের ছোট্ট একটি দেশ। আয়তনে ক্ষুদ্র হলেও ভৌগলিক অবস্থান জর্ডানকে বিশ্বে বৃহৎ গুরুত্ব এনে দিয়েছে। জর্ডানের দক্ষিণে সৌদি আরব, উত্তরে সিরিয়া, উত্তর-পূর্বে ইরাক এবং পশ্চিম দিকে অবস্থিত ফিলিস্তিন ও ইসরাইল। ইরাক, সিরিয়া, ফিলিস্তিনের মতো এতগুলো ভয়াবহ যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়া ইসরাইলের সাথে সীমান্ত থাকার পরও জর্ডানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখনো শান্ত। জর্ডানেই রয়েছে প্রতিবেশী দেশগুলোর সবচেয়ে বেশি শরণার্থী শিবির। বিশ্বে জর্ডানের গুরুত্ব শুধু ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকেই নয়, বরং এর সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য একে পৃথিবীর বুকে অনন্য করেছে।
ইতিহাসপ্রেমী এবং রোমাঞ্চপ্রিয় পর্যটকের জন্য জর্ডান এক দারুণ দেশ। কারণ জর্ডানেই রয়েছে পৃথিবীর নতুন সপ্তাশ্চর্যের একটি পেত্রা নগরী, রয়েছে মৃত সাগর আর সোনালী-লাল মরুভূমির ঐন্দ্রজালিক সৌন্দর্য। মরূদ্যান, মৌসুমি জলাধারে সিক্ত গিরিপথ কিংবা বসন্তে প্রস্ফুটিত বুনো ফুলে ছাওয়া পাহাড়- জর্ডানের সবকিছুরই অনবদ্য আকর্ষণ রয়েছে যা আপনাকে টানবে। প্রাচীন ও পবিত্র ভূমিকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা জর্ডান রাষ্ট্রটি বিশ্বসভ্যতায়ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে।
একসময় প্রবল প্রতাপশালী ব্যবিলনীয়, পার্সিয়ান, অ্যাসিরীয় সভ্যতার কেন্দ্র ছিল জর্ডান। জর্ডানের শহরগুলোর রাজপথ একসময় প্রকম্পিত হয়েছে রোমান, মুসলিম এবং ক্রুসেডার সেনাবাহিনীর পদভারে। আধ্যাত্মিকতা ও বিশ্বাসের ইতিহাসেও জর্ডান স্মরণীয় নাম। মুসলিম, খ্রিস্টান ও ইহুদী – তিনটি সেমিটিক ধর্মেরই পবিত্র তীর্থ জর্ডান নদী বয়ে গেছে জর্ডানের দক্ষিণ অংশ দিয়ে। নগরায়ন ও আধুনিকায়নের চাপে বিধ্বস্ত হলেও মধ্যপ্রাচ্যের বিশুদ্ধ ঐতিহ্যের অনেকটাই এখনো জর্ডানে দেখতে পাওয়া যায়। পাঠক, আজ আপনাদের বলব আলোচ্য জর্ডানের সেরা সব পর্যটন আকর্ষণগুলোর গল্প। জর্ডান যাত্রায় আপনাকে স্বাগতম!
পেত্রা
প্রাচীন স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম সেরা নিদর্শন পেত্রা। দুর্গম পর্বতের আড়ালে এর অনিন্দ্য সৌন্দর্য লুকিয়ে রাখার জন্যই যেন বলা হয়েছে- “পেত্রার মতো কিছুই নেই।” বাস্তবিকই পেত্রা একক ও অনন্য। পাথরে খোদিত এই গোলাপি শহরটি অদ্ভুত এক রহস্যময়তায় ঘেরা। জর্ডানের সবচেয়ে বিখ্যাত পর্যটন আকর্ষণ এই পেত্রা। আম্মান থেকে ২৩৬ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থিত প্রাচীন এই নগরীটি একটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট এবং পৃথিবীর নতুন সপ্তাশ্চর্যের একটি।
প্রায় দুই হাজার বছর আগে নাবাতাইনরা পেত্রা প্রতিষ্ঠা করেছিল। নিমিষে পাহাড়ের আড়ালে অদৃশ্য হবার ক্ষমতা এবং বৃষ্টির পানি ধরে রাখার কৌশল নাবাতাইনদের দীর্ঘদিন অপরাজেয় রেখেছিল। যার ফলে তারা ব্যবসা-বাণিজ্য বিকাশের সুযোগ পায় এবং সমৃদ্ধির শীর্ষে আরোহণ করে। পেত্রা ছিল তাদের সবচেয়ে সমৃদ্ধ শহর। ৫৫৫ খ্রিস্টাব্দের এক ভূমিকম্পে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় নাবাতাইনদের গৌরব পেত্রা। তবে পেত্রার বেশ কিছু আকর্ষণীয় স্থাপনা এখনো সুরক্ষিত আছে। সেই অপূর্ব স্থাপত্যগুলো দেখার জন্য পেরোতে হবে পেত্রার প্রবেশপথ।
প্রায় ১ কি.মি. লম্বা সরু প্রবেশপথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে যখন মনে হবে এই পথ শেষ হবার নয় তখন হঠাৎ নাটকীয়ভাবে শেষ হয়ে যাবে পথ এবং চোখের সামনে রূপ নেবে পেত্রার সবচেয়ে সুন্দর স্মৃতিস্তম্ভ দ্য ট্রেজারি। রোদে ঝলসানো এই প্রাসাদের সূক্ষ্ম কারুকাজ আপনাকে মুগ্ধ করবে।
ট্রেজারি থেকে রাস্তা চলে গেছে বাইরের সিকের দিকে যা মূলত ৪০ টি সমাধিসৌধে গড়া। এদেরকে একসাথে বলে স্ট্রিট অব ফ্ল্যাকেডস। কিছুদূর হাঁটলে বামপাশে চোখে পড়বে কিছু সিঁড়ি। সিঁড়িগুলো শেষ হয়েছে পাহাড়ের বেদীতে। এই জায়গাকে বলে “হাই প্লেস অব স্যাক্রিফাইস”। এরকম আরো অসংখ্য স্থাপনা রয়েছে পেত্রায়। সেসব দেখবেন কি না জানি না, তবে মনাস্ট্রি দেখুন। মনাস্ট্রি অনেকটা ট্রেজারির মতো দেখতে হলেও, আকারে ট্রেজারির চেয়ে বিশাল। প্রকৃতির পটভূমিতে পেত্রার বিশালাকার স্থাপত্যগুলোর ধ্বংসাবশেষ নিঃসন্দেহে একটি অসাধারণ শিল্পকর্ম।
আম্মান
আম্মান জর্ডানের রাজধানী ও সর্ববৃহৎ শহর। মরুভূমি ও উর্বর উপত্যকার মাঝখানে অবস্থিত দেশের বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র। সাতটি উঁচু পাহাড়ের উপর প্রতিষ্ঠিত আম্মানকে জর্ডানের রাজধানীর মর্যাদা দেয়া হয় ১৯২১ সালে। ১৯৪৬ সালে স্বাধীনতার পরও সেই মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখা হয়। আম্মানের ইতিহাস বহু প্রাচীন। আমোনাইট, অ্যাসিরীয়দের পর আম্মান কিছুকাল নাবাতাইনদের হস্তগত ছিল। তারপর হয়ে ওঠে বিখ্যাত রোমান বাণিজ্যকেন্দ্র। তখন এর নাম ছিল ফিলাডেলফিয়া।
বর্তমানে পশ্চিম আম্মান আধুনিক শহর আর পূর্ব আম্মান আবাসিক এলাকা। আম্মানের মহামূল্যবান ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো রয়েছে শহরের কেন্দ্রে। এগুলোর মধ্য সবচেয়ে বিখ্যাত দ্য সিটাডেল। এতে অবস্থিত আল-কাসর প্রাসাদে খননকাজ চালিয়ে অনেক রোমান, বাইজেন্টাইন ও প্রাচীন মুসলিম ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া গেছে। এর কাছেই রয়েছে গ্রেট টেম্পল অব আম্মান।
ধারণা করা হয়, এটি হারকিউলিসের মন্দির ছিল। অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে জর্ডান আর্কিওলজিক্যাল মিউজিয়াম। এখানে সংরক্ষিত আছে ডেড সী স্ক্রলের অংশবিশেষ। আরো আছে রোমান থিয়েটার। মনোমুগ্ধকর এই থিয়েটারে ছয় হাজার লোক বসতে পারত একসাথে। সিটাডেলের বিচিত্র আবহে চারিদিকে ধ্বনিত হওয়া আজানের মধুর সুর আপনাকে অন্য এক জগতে নিয়ে যাবে। আপনি গাড়িপ্রেমী হয়ে থাকলে রয়্যাল অটোমোবাইল মিউজিয়ামে আপনার জন্য চমক অপেক্ষা করছে। এখানে দেখতে পাবেন জর্ডানের রাজাদের, বিশেষ করে বাদশাহ হোসাইনের, বিলাসবহুল রাজকীয় গাড়ির সংগ্রহ।
ট্রাফিক ঠাসা আম্মানে শান্তিতে হাঁটার সুযোগ পেতে চলে যান রেইনবো স্ট্রীটে। এখানে হাঁটতে হাঁটতে চোখে পড়বে আল কালালা ও রোমান থিয়েটারের চমৎকার ভিউ। ক্ষুধা পেলে পেট ঠাণ্ডা করতে পারেন রাস্তার পাশের রেস্টুরেন্টগুলোর মধ্যপ্রাচ্যীয় খাবারের স্বাদে।
ওয়াদি রুম
ওয়াদি রুম জর্ডানের দক্ষিণ অংশে সুউচ্চ মালভূমির উপরে অবস্থিত। এই এলাকায় মরুভূমি দেখতে হলে সবচেয়ে সহজ ও নিরাপদ গন্তব্য ওয়াদি রুম। বিশাল বিশাল লাল পাথর আর লাল বালির ঢেউ অধ্যুষিত ওয়াদি রুমের অনির্বচনীয় সৌন্দর্য আপনাকে বিমুগ্ধ করবে। সত্যিকার অর্থে একটি বিশুদ্ধ মরুভূমি থেকে আপনি যা আশা করতে পারেন ওয়াদি রুম ঠিক তা-ই। তীব্র শীতে বরফ হয়ে যাওয়া থেকে তীব্র গরমে ঝলসে যাওয়া- সব অভিজ্ঞতাই আপনি এখানে পাবেন।
জীবনধারণের জন্য প্রতিকূল এই এলাকায় জনমানুষ বলতে আছে শুধু কিছু বেদুইন। তাই ওয়াদি রুমের প্রকৃতি বিশুদ্ধ। এখানে আপনি রাতের স্বচ্ছ আকাশে অপার আনন্দে তারা দেখতে পারবেন, বেদুইনদের জীবনযাত্রা কাছ থেকে দেখতে পারবেন। উটের ক্যারাভেন বা ফোর হুইল ড্রাইভে ওয়াদি রুম ঘুরে দেখার জন্য আদর্শ। ‘লরেন্স অব অ্যারাবিয়া’ সিনেমার কল্যাণে ওয়াদি রুমের সৌন্দর্য পৃথিবীবাসীর কাছে নতুন করে উন্মোচিত হয়।
জেরাশ
জেরাশ জর্ডানের সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে সুরক্ষিত রোমান শহর। এর আড়ম্বরপূর্ণ প্রবেশপথ, সারি সারি স্তম্ভসজ্জিত রাস্তাঘাট, মন্দির, থিয়েটার সবকিছু একটি সমৃদ্ধ সময়ের গল্প বলে যায়। এমন একটা সময় যখন এটি ছিল সভ্যতার গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রভূমি। প্রত্নতত্ত্বে নিতান্ত অনাগ্রহী ব্যক্তিটিও সানন্দে জেরাশে একটি দিন ঘুরে ঘুরে কাটিয়ে দিতে পারবেন। বালির পরতের নিচে চাপা পড়ে থাকা জেরাশ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় ৭৪৯ খ্রিস্টাব্দে। জেরাশ ছিল এমন এক শহর যা দেখেছে সম্রাট আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট, ট্রাজান ও হেড্রিয়ানকে।
জেরাশ শহরের সবচেয়ে দক্ষিণ অংশে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন হেড্রিয়ান আর্চ। সম্রাট হেড্রিয়ানের সম্মানে ১২৯ খ্রিস্টাব্দে এটি নির্মিত হয়েছিল। আর্চের পেছনেই বিশাল হিপ্পোড্রোম। এখানে অলস পদক্ষেপে হাঁটতে হাঁটতে কল্পনায় অনুভব করতে পারবেন গ্ল্যাডিয়েটরদের শক্তির তেজ, বাতাসে শুনতে পাবেন দর্শকদের উল্লাস।
তারপর পড়বে ৫৬টি বিশালাকার স্তম্ভে ঘেরা চত্বর ‘ফোরাম’। একসময় চোখে পড়বে সারি সারি স্তম্ভ সজ্জিত কার্ডো ম্যাক্সিমাস। জেরাশের আপনাকে চমৎকৃত করার মতো স্থাপনার শেষ নেই।
মৃতসাগর
প্রচণ্ড লবণাক্ত হওয়ার কারণে ডেড সী’র পানিতে কোনো প্রাণী বাঁচতে পারে না। সেজন্যই এর নাম হয়েছে ডেড সী বা মৃত সাগর। সাগরের পানি সাধারণ সামুদ্রিক পানির চেয়ে ৩০ গুণ বেশি লবণাক্ত! পানিতে অতিরিক্ত লবণ থাকার বেশ কিছু মজার দিকও আছে। অত্যধিক লবণের কারণে এখানকার পানিতে আপনি ডুবে যাবেন না। অনেক পর্যটককে তো মৃত সাগরের পানিতে ভেসে ভেসে খবরের কাগজ পড়তে দেখা যায়! মৃত সাগরের উপকূলের কাদায় অনেক খনিজ লবণ আছে, যার আছে নানাবিধ স্বাস্থ্য উপকারিতা!
তাছাড়া সাগরের পানিতে ভেসে থাকা স্বচ্ছ লবণের স্ফটিক মৃত সাগরে বাড়তি সৌন্দর্য যোগ করেছে। জর্ডান অংশের মৃত সাগরে পানিতে ভেসে থাকা ছাড়াও আরো কিছু আকর্ষণীয় কাজ করতে পারবেন। মৃত সাগর থেকে ৯ কি.মি. উত্তরে, জর্ডান নদীর পূর্বতীরে অবস্থিত খ্রিষ্টধর্মের পবিত্র ধর্মীয় তীর্থস্থান ‘আল মাতাস’। বাইবেলে ‘Bethany beyond the jordan‘ নামে এই স্থানের উল্লেখ পাওয়া যায়। এখানে নতুন, পুরাতন বেশ কিছু চার্চ ও চ্যাপেল আছে।
আকাবা
আকাবা জর্ডানের একমাত্র সমুদ্রবন্দর। আলো ঝলমলে শহর, সমুদ্রসৈকত আর ইতিহাসের দুর্লভ সমন্বয় আকাবা। জর্ডানের সর্বদক্ষিণের এই শহরটি লোহিত সাগরের উত্তর-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত। লোহিত সাগরের বদৌলতে আকাবায় পর্যটক সমাগম লেগেই থাকে। লোহিত সাগরের পানি ডাইভিং ও স্নোরকেলিংয়ের জন্য দারুণ উপযোগী।
শহরের দক্ষিণের আকাবা মেরিন পার্কের ৭ কি.মি. উপকূল পর্যটকদের প্রবালপ্রাচীর ও সামুদ্রিক জীবন দর্শনের জন্য উন্মুক্ত। শহরের কেন্দ্র থেকে ১০ মিনিট গেলে পড়বে পাম বিচ। চা খেতে খেতে চমৎকার সূর্যাস্ত দেখার সুযোগ মিলবে এখানে। গালফ আল আকাবা থেকে একটু ভেতরে পাবেন মামলুক দুর্গ। মামলুক সুলতানদের নির্মিত এই দুর্গ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বিখ্যাত যুদ্ধক্ষেত্র ছিল।
ডানা নেচার রিজার্ভ
জর্ডানের দক্ষিণে কাদিসিয়া মালভূমির উপরে ১,৫০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই নেচার রিজার্ভটি। ১৯৯৩ সালে Royal society of Conservation of nature এর উদ্যোগে ডানা গ্রাম ও ডানা মরুভূমি ঘিরে গড়ে উঠেছে এটি। বিশাল এলাকা নিয়ে ঘেরা এই রিজার্ভটি জীববৈচিত্র্যে বিস্ময়কর রকমের সমৃদ্ধ।
পুরো জর্ডানের সব গাছপালার প্রজাতির এক-তৃতীয়াংশ এখানে পাওয়া যায়। এখানে একইসাথে পাবেন মরুভূমি, ভূমধ্যসাগরীয় রেইনফরেস্ট এবং আফ্রিকা, এশিয়া ও ইউরোপের নানা প্রজাতির বুনো প্রাণী। ওয়াদি ডানা ছাড়িয়ে পূর্বপাশে চোখে পড়বে ডানা গ্রাম। এখানে প্যালিওলিথিক, নাবাতাইন, রোমান সভ্যতার নানা প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন খুঁজে পাওয়া গেছে। অত্যধিক উচ্চতার কারণে এই এলাকায় শীতকালে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা পড়ে এবং কুয়াশাচ্ছন্ন থাকে। এই এলাকাটি হাইকিংয়ের জন্য বেশ বিখ্যাত। এখানকার বেশ কিছু ট্রেকে ফোরহুইলারও চলে। ওয়াদি রুম বাইজেন্টাই শাসনামলে তামার খনি হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এখানে পৃথিবীর প্রাচীনতম কিছু তামার খনি আছে।