Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

ব্যাটল অব চৌসা: মুঘল সাম্রাজ্যের ছন্দপতনের সূচনা

[ চৌসার যুদ্ধ নিয়ে লেখা আগের পর্বটি আগ্রহী পাঠকরা এখান থেকে পড়ে নিতে পারেন]

২৬ জুন, ১৫৩৯ সাল। শের খান রাতের বেলায় তার সাথে থাকা যোদ্ধাদের জড়ো করে নীরবে একটি বিশেষ অভিযান চালাতে রওনা হয়ে গেলেন। সকালের দিকে তার বাহিনীর বাকি যোদ্ধাদের খাওয়াস খানের নেতৃত্বে চেরুহ জমিদারদের দিকে অভিযানে প্রেরণ করেছিলেন। যদিও এটা পুরোটাই লোক দেখানো। লোক বলতে মুঘল সম্রাট হুমায়ুনকে ঘোল খাওয়ানো।

খাওয়াস খান সারাদিন এদিক সেদিক ঘুরে রাতে নির্ধারিত জায়গায় শের খানের মূল বাহিনীর সাথে মিলিত হলেন। কিছুদূর একসাথে চলে পুরো বাহিনী ৩ ভাগে ভাগ করা হল। একভাগের নেতৃত্ব পেলেন শের খানের পুত্র জালাল খান, আরেকভাগের নেতৃত্ব পেলেন খাওয়াস খান। বাহিনীর অবশিষ্ট অংশের নেতৃত্ব গ্রহণ করলেন স্বয়ং শের খান। ৩ বাহিনীরই উদ্দেশ্য ঘুমন্ত মুঘল সেনাবাহিনীকে জাপটে ধরে রাতের অন্ধকারে দুনিয়ার বুক থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া। 

শের খান; Image Source: thefamouspeople.com

শের খান যখন তার বাহিনী নিয়ে মুঘল শিবিরে আছড়ে পড়তে এগিয়ে আসছিল, তখন মুঘল শিবির পুরোপুরি গাঢ় ঘুমে মগ্ন ছিল। মুঘল যোদ্ধাদের ধারণা ছিল পূর্বে করা মুঘল-আফগান সন্ধি সফলভাবে সম্পন্ন হতে যাচ্ছে। সুতরাং, আফগানদের দিক থেকে এখন আর কোনো বিপদের আশঙ্কা নেই। কিন্তু বিপদ কাউকে বলে কয়ে আসে না। এ ব্যাপারটা শেষ পর্যন্ত বোঝার জন্য বেশিরভাগ মুঘল যোদ্ধাই আর জীবিত ছিল না।

শের খান হামলা চালালেন রাতের শেষভাগে। তিনি প্রথমেই কর্মনাশা নদীর উপরে থাকা পুলটি দখল করে নিলেন। আফগান বাহিনী আর মুঘল বাহিনীকে বিভক্ত করে রেখেছিল এটি। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী নদী পাড়ি দেয়ার জন্য সম্রাট হুমায়ুন এই পুলটি তৈরি করিয়েছিলেন।

যুদ্ধের পূর্বে দুই বাহিনীর অবস্থান; ছবি: মোগল সম্রাট হুমায়ুন, মূল (হিন্দি): ড হরিশংকর শ্রীবাস্তব, অনুবাদ: মুহম্মদ জালালউদ্দিন বিশ্বাস

৩ ভাগে বিভক্ত আফগান সেনাবাহিনীর জালাল খানের ইউনিটটি কর্মনাশা নদীর দিক থেকে আক্রমণ করল। শের খান সরাসরি ঘুর পথে শিবিরের মাঝ বরাবর ঢুকে আক্রমণ চালালেন। খাওয়াস খান শের খানকে অতিক্রম করে আরো কিছুটা এগিয়ে গঙ্গার দিক থেকে আক্রমণ চালালেন। শের খান ছিলেন তার সময়ে হিন্দুস্তানের অন্যতম সেরা জেনারেল। আর চৌসায় তার পরিকল্পনাও ছিল পুরোপুরি নিখুঁত।

চৌসার যুদ্ধ; ছবি: মোগল সম্রাট হুমায়ুন, মূল (হিন্দি): ড হরিশংকর শ্রীবাস্তব, অনুবাদ: মুহম্মদ জালালউদ্দিন বিশ্বাস

মুঘল সেনাবাহিনীর দুই দিকে এখন গঙ্গা আর কর্মনাশা নদী। বাকী একদিকে শের খানের আফগান বাহিনী। গোটা মুঘল সেনাবাহিনীকে ফাঁদে ফেলে শের খান নির্দেশ দিলেন, কাউকেই ছাড় দেয়া যাবে না। অধিকাংশ মুঘল যোদ্ধাকে ঘুমের মাঝেই হত্যা করা হল। আর বিশাল সংখ্যাক মুঘল যোদ্ধা ঘুম থেকে জাগতে পারলেও অস্ত্র হাতে নেয়ার সুযোগ পেল না।

সম্রাট হুমায়ুনকে যখন শের খানের আক্রমণের ব্যাপারে জানানো হল, তিনি প্রথমেই কর্মনাশা নদীর উপরের পুলটি ধ্বংস করতে বললেন। কারণ, তা না হলে বাহিনীর যোদ্ধারা যুদ্ধের চিন্তা বাদ দিয়ে পালানোর চিন্তা করবে। এরপর তিনি যোদ্ধাদের তার আশেপাশে একত্রিত হওয়ার নির্দেশ দিলেন। বিশাল সেনাবাহিনীর মাত্র ৩০০ জন যোদ্ধা সম্রাট হুমায়ুনের কাছে আসতে পেরেছিল। বাকিরা হয় মারা গেছে, নাহয় আহত হয়ে যে যার জায়গায় পড়ে আছে। পাশাপাশি অনেক যোদ্ধা তখন পালাতে ব্যাস্ত। সম্রাট হুমায়ুন আশা ছাড়লেন না। তিনি তার এই ৩০০ যোদ্ধা নিয়েই প্রচণ্ড প্রতিরোধ গড়ে তুললেন। তিনিও জানতেন, এই ৩০০ যোদ্ধা নিয়ে তিনি যা ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নিতে পারবেন না। তারপরেও তিনি চাইছিলেন চূড়ান্ত পরাজয়ের আগে শের খানের যতটা সম্ভব ক্ষতি করে যেতে।

এদিকে হুমায়ুন নিজেই যে শের খানের বাহিনীর ঘেরাওয়ের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছেন, এই ব্যাপারটা তার মাথায় ছিল না। হুমায়ুন হয়তো এই যুদ্ধক্ষেত্রেই মারা যেতেন। ব্যাপারটি হুমায়ুনেরই অধীনস্থ কোনো যোদ্ধা কিংবা আমির খেয়াল করেছিলেন। তিনি জোর করে ঘোড়ার লাগাম ধরে হুমায়ুনকে যুদ্ধক্ষেত্রে থেকে টেনে বের করে আনলেন। ইতোমধ্যে হুমায়ুনও বুঝে গেলেন এই যুদ্ধে তিনি পরাজিত হয়ে গেছেন। এই পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে হলে তাকে অন্তত আগে বেঁচে থাকতে হবে। পুল ইতোমধ্যেই ভেঙে ফেলা হয়েছে। নদী পাড়ি দিতে হলে নদীতে নামা ছাড়া কোনো উপায় নেই। হুমায়ুন খরস্রোতা গঙ্গা নদীতেই তার ঘোড়া নামিয়ে দিলেন।

নদীতে নামার পরেই স্রোতের ধাক্কায় ঘোড়া থেকে ছিটকে যান। পায়ের নিচে কোনো অবলম্বনও পাওয়া যাচ্ছিলো না। হুমায়ুন ধীরে ধীরে ডুবতে শুরু করলেন। ডুবন্ত মানুষ খড়কুটা আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চায়। হুমায়ুনও কোনো অবলম্বন আঁকড়ে ধরতে চাইছিলেন। হঠাৎ তার সামনে কেউ একজন বায়ুভর্তি একটি পানির মশক ছুড়ে দিলো।

মশক নিক্ষেপকারী চিৎকার করে বলতে লাগলো, হে বাদশাহ! মশক ধরে তীরে উঠে আসুন। হুমায়ুন একবার মশক নিক্ষেপকারীর দিকে তাকালেন। তিনি তার নাম জানতে চাইলেন। মশক নিক্ষেপকারী নিজের নাম জানাল নিজাম। পেশায় একজন ভিস্তিওয়ালা। মুঘল সেনাবাহিনীতে পানি সরবরাহের দায়িত্ব পালন করত সে।

হুমায়ুন নিজাম ভিস্তিওয়ালাকে জানালেন, আল্লাহর রহমতে আমি যদি আবারও মসনদে বসতে পারি, তাহলে তোমাকে অর্ধেক দিনের জন্য বাদশাহ হওয়ার সুযোগ দান করব আমি। যুদ্ধের ডামাডোলে নিজাম অবাক হল কি না, তা বোঝা গেল না।

চৌসার এই যুদ্ধকে আসলে যুদ্ধ বলা যায় কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। সত্যিকার অর্থে এটা নিছক হত্যাকাণ্ড ছাড়া আর কিছুই ছিল না। যুদ্ধটি এত দ্রুত শেষ হয়ে গিয়েছিল যে সম্রাট হুমায়ুন যোদ্ধাদের একত্রিত করে যুদ্ধ করার সুযোগই পাননি বলতে গেলে। চৌসার এ যুদ্ধক্ষেত্রে শের খান অভূতপূর্ব রণ পরিকল্পনা করে এগিয়েছিলেন। তার পরিকল্পনা এতটাই নিখুঁত ছিল যে, চূড়ান্ত আক্রমণের আগে সম্রাট হুমায়ুন পর্যন্ত শের খানের গতিবিধি টের পাননি পর্যন্ত।

তবে চৌসার এ যুদ্ধে মুঘল সেনাবাহিনীর এ ভরাডুবির পেছনে হুমায়ুনের দায়ও কম ছিল না। সামনে একটা শক্তিশালী শত্রুবাহিনী রেখে কী করে তিনি নিশ্চিন্তে ঘুমালেন, আর কী করেই বা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ছাড়া বাহিনীকে ঘুমাতে দিলেন? তাছাড়া সম্রাট হুমায়ুনের মধ্যে একটা রাজকীয় ভাবভঙ্গী ছিল। তিনি ছিলেন একজন বাদশাহের সন্তান। রাজকীয় স্বভাব চরিত্র তার রক্তেই মিশে ছিল। যার কারণে সেনাবাহিনীর সাধারণ যোদ্ধাদের সাথে তার আন্তরিকতা কম ছিল। তিনি জানতেন চৌসায় তার বাহিনীর অবস্থা ভালো ছিল না। প্রত্যেক যোদ্ধাই ক্ষুধার্ত ছিল। তাছাড়া যোদ্ধারা বিভিন্ন রোগেও ভুগছিল। সম্রাট হিসেবে হুমায়ুনের দায়িত্ব ছিল যোদ্ধাদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের উৎসাহ দেয়া। তবেই না সাধারণ যোদ্ধারা নিজেদের সবটুকু দিয়ে নিজেদের উজাড় করে দেবে। কিন্তু সম্রাট হুমায়ুন তা করলেন না।

মুঘল সম্রাট হুমায়ুন; Image Source: Wikimedia Commons

অন্যদিকে শের খান খুব নিচু থেকে উঠে এসেছিলেন। তার বাবা ছিল সাধারণ একজন ঘোড়া ব্যাবসায়ী। শের খান নিজেও তার প্রাথমিক জীবনে সেনাবাহিনীর একজন সাধারণ সৈনিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি জানতেন সাধারণ সৈনিকদের সাথে কীরকম আচরণ করলে তারা নিজেদের জীবন পণ করে লড়াই করে। তার কোনো রাজকীয় ভাবভঙ্গী ছিল না। সাধারণের সাথে খুব সহজেই তিনি মিশে যেতে পারতেন। এ জায়গাটাতেই শের খান সম্রাট হুমায়ুনের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন।

যা-ই হোক, এই যুদ্ধের পর মুঘলরা যে অপরাজেয়, এই কিংবদন্তীখানা চিরদিনের জন্য মুছে যায়। আফগানরা আবারও নিজেদের আত্মবিশ্বাস ফিরে পায়। চৌসার এই যুদ্ধক্ষেত্রে প্রায় ৮ হাজার মুঘল যোদ্ধা নিহত হয়েছিল। নিহতদের মাঝে মুহাম্মদ জামান মির্জা, মাওলানা মুহাম্মদ পারগালী, মাওলানা কাসিম খান সদর, মাওলানা জালালও ছিলেন। বাবা বেগ জলায়র আর কুচ বেগ নিহত হন সম্রাটের স্ত্রী বেগা বেগমকে উদ্ধার করতে গিয়ে। হুমায়ুনের হেরেমও রক্ষা পায়নি এই যুদ্ধে। হুমায়ুনের দুই স্ত্রী চাঁদ বিবি, সাদ বিবি যুদ্ধক্ষেত্রেই মারা যান।

বেগা বেগমের বড় কন্যা আকিকা বেগম, সুলতান হুসেন বায়কারার কন্যা আয়েশা বেগমও যুদ্ধের আঁচ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারেননি। যুদ্ধক্ষেত্রেই তারা মারা যান। বেগা বেগমকে উদ্ধার করতে সম্রাটের প্রেরিত মিশনও সফল হয়নি। বেগা বেগম শের খানের হাতে বন্দী হন। শের খান বেগা বেগমের কোনো অসম্মান করেননি। তিনি সম্রাটের পত্নীর সাথে যেরকম সম্মানজনক আচরণ করা দরকার, বেগা বেগমকে সেরকম সম্মানই দেখালেন। এছাড়া তিনি নির্দেশ দিলেন মুঘল নারী ও শিশুদের কোনো ক্ষতি করা যাবে না। যাদেরই পাওয়া যাবে, তাদের বেগা বেগমের কাছে রেখে আসতে হবে।

একে একে নারী শিশুরা বেগা বেগমের কাছে আসতে লাগল। মোট ৪ হাজার নারী বেগা বেগমের শিবিরে আশ্রয় নিলেন। শের খান পরবর্তীতে বেগা বেগমকে হুমায়ুনের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি হুমায়ুনকে পত্রে এটাও জানালেন, বেগা বেগমকে কোনোরূপ অমার্যাদার মুখোমুখি হতে হয়নি। 

চৌসার এই যুদ্ধে হুমায়ুনের সাথে থাকা মুঘল বাহিনী পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। আমির ও জেনারেলরা তো দূরের কথা, হুমায়ুনের হেরেমের অনেক নারী এই যুদ্ধ থেকে বেঁচে ফিরতে পারেননি। হুমায়ুন নিজে কোনোমতে যুদ্ধক্ষেত্রে থেকে প্রাণ নিয়ে পালাতে সক্ষম হয়েছিলেন।

চৌসায় মুঘল সাম্রাজ্যের ভাগ্য বিপর্যয়ের মূল কারণ ছিল সম্রাট হুমায়ুন স্বয়ং নিজেই। তিনি পরিস্থিতির যথাযথ মূল্যায়ন করে আসল অবস্থা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। তিনি শের খানের মিষ্টি কথার ফাঁদে পরে উদাসীন হয়ে গিয়েছিলেন। এর প্রমাণ পাওয়া যায় শের খানের আক্রমণের সময় মুঘল শিবিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর অভাব দেখে। এছাড়া মুঘল শিবিরে প্রবল খাদ্য সংকট চলছিল। সেনারাও যুদ্ধ করার মতো মানসিকতায় ছিল না। সব মিলিয়ে পুরো পরিস্থিতিই সম্রাট হুমায়ুনের প্রতিকূলে ছিল। যার ফলে চৌসায় মুঘল সেনাবাহিনী উল্লেখযোগ্য কোনো যুদ্ধ কিংবা প্রতিরোধ ছাড়াই চরমভাবে পরাজয় বহন করে।

এদিকে নিজাম ভিস্তিওয়ালার মশকের সাহায্যে সম্রাট হুমায়ুন খরস্রোতা গঙ্গা পাড়ি দিয়ে জীবন নিয়ে উঠতে পেরেছিলেন। আপাতত সম্রাটের লক্ষ্য হল, যে করেই হোক আগ্রা পৌঁছানো। সম্রাটের খোঁজে শের খান তার সৈন্যদের ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিয়েছেন। চারদিকেই এখন শের খানের সৈন্যরা গিজগিজ করছে। আগ্রার যাওয়ার পথটা সম্রাটের জন্য মোটেই সহজ হবে না। এরপর দেখুন পরবর্তী পর্বে।

তথ্যসূত্র

  1. মোগল সম্রাট হুমায়ুন, মূল (হিন্দি): ড হরিশংকর শ্রীবাস্তব, অনুবাদ: মুহম্মদ জালালউদ্দিন বিশ্বাস, ঐতিহ্য প্রকাশনী, প্রকাশকাল: ফেব্রুয়ারী ২০০৫
  2. তারিখ-ই-শের শাহ; মূল: আব্বাস সারওয়ানী, অনুবাদ গ্রন্থের নাম: শের শাহ, অনুবাদক: সাদিয়া আফরোজ, সমতট প্রকাশনী, প্রথম প্রকাশ: ফেব্রুয়ারী ২০১৫
  3. হুমায়ুননামা, মূল: গুলবদন বেগম, অনুবাদ: এ কে এম শাহনাওয়াজ, জ্ঞানকোষ প্রকাশনী, প্রকাশকাল: জানুয়ারী ২০১৬

এই সিরিজের আগের পর্বসমূহ

১। প্রাক-মুঘল যুগে হিন্দুস্তানের রাজনৈতিক অবস্থা || ২। তরাইনের যুদ্ধ: হিন্দুস্তানের ইতিহাস পাল্টে দেওয়া দুই যুদ্ধ || ৩। দিল্লী সালতানাতের ইতিকথা: দাস শাসনামল || ৪। রাজিয়া সুলতানা: ভারতবর্ষের প্রথম নারী শাসক || ৫। দিল্লি সালতানাতের ইতিকথা: খিলজী শাসনামল || ৬। দিল্লি সালতানাতের ইতিকথা: তুঘলক শাসনামল || ৭। দিল্লি সালতানাতের ইতিকথা: তৈমুরের হিন্দুস্তান আক্রমণ ও সৈয়দ রাজবংশের শাসন || ৮। দিল্লী সালতানাতের ইতিকথা: লোদী সাম্রাজ্য || ৯। রাজকীয় মুঘল সেনাবাহিনীর গঠন এবং গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস || ১০। রাজকীয় মুঘল সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত কিছু অস্ত্রশস্ত্র || ১১। জহির উদ-দিন মুহাম্মদ বাবুর: ‘একজন’ বাঘের উত্থান || ১২। বাদশাহ বাবরের কাবুলের দিনগুলো || ১৩। বাদশাহ বাবর: হিন্দুস্তানের পথে || ১৪। বাদশাহ বাবরের হিন্দুস্তান অভিযান: চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি || ১৫। মুঘল সাম্রাজ্যের উত্থান: হিন্দুস্তানে বাবরের চূড়ান্ত লড়াই || ১৬। খানুয়ার যুদ্ধ: মুঘল বনাম রাজপুত সংঘাত || ১৭। ঘাঘরার যুদ্ধ: মুঘল বনাম আফগান লড়াই || ১৮। কেমন ছিল সম্রাট বাবরের হিন্দুস্তানের দিনগুলো? || ১৯। মুঘল সম্রাট বাবরের মৃত্যু: মুঘল সাম্রাজ্য এবং হিন্দুস্তানের উজ্জ্বল এক নক্ষত্রের অকাল পতন || ২০। সিংহাসনের ষড়যন্ত্র পেরিয়ে মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের অভিষেক || ২১। মুঘল সাম্রাজ্যের নতুন দিগন্ত: সম্রাট হুমায়ুনের ঘটনাবহুল শাসনামল ||  ২২। দিল্লি সালতানাত থেকে মুজাফফরি সালতানাত: প্রাক-মুঘল শাসনামলে গুজরাটের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস || ২৩। মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের গুজরাট অভিযানের প্রেক্ষাপট || ২৪। সম্রাট হুমায়ুনের গুজরাট অভিযান: সুলতান বাহাদুর শাহের পলায়ন || ২৫। সম্রাট হুমায়ুনের গুজরাট অভিযান ও গুজরাটের পতন || ২৬। গুজরাট থেকে মুঘলদের পলায়ন: মুঘল সাম্রাজ্যের চরম লজ্জাজনক একটি পরিণতি || ২৭। শের খান: হিন্দুস্তানের এক নতুন বাঘের উত্থানের গল্প || ২৮। শের খানের বাংলা অভিযান || ২৯। গুজরাটের সুলতান বাহাদুর শাহ হত্যাকাণ্ড: সাম্রাজ্যবাদী পর্তুগীজদের বিশ্বাসঘাতকতার একটি নিকৃষ্ট উদাহরণ || ৩০। শের খানের বাংলা বিজয় || ৩১। সম্রাট হুমায়ুনের বাংলা বিজয়: বাংলা থেকে শের খানের পশ্চাদপসরণ || ৩২। মির্জা হিন্দালের বিদ্রোহ: মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের আগ্রা যাত্রা || ৩২। চৌসার প্রান্তরে শের শাহ বনাম হুমায়ুন: যুদ্ধের মহড়া

ফিচার ইমেজ: magnificentbihar.com

Related Articles