শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনটি সব শিক্ষার্থীর জন্যই এক বিশেষ আনন্দের দিন। নতুন ক্লাসে উঠার আনন্দে এদিন প্রতিটি শিক্ষার্থী বিভোর থাকে। কিন্তু রাশিয়ার এক স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য ২০০৪ সালের এই দিনটি হয়তো তাদের জীবনের সবচেয়ে কালো দিন হিসেবে মনে থাকবে। সে বছরের সেপ্টেম্বর মাসে দেশটির বেসলান শহরের একটি স্কুলে এক ভয়ানক সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারায় প্রায় ৩৩০ জনের মতো মানুষ। এদের অর্ধেকের বেশি ছিল ওই বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থী।
রাশিয়ার নর্থ অসেটিয়া’র বেসলান শহরের স্কুল নাম্বার ওয়ান-এ ২০০৪ সালের ০১ সেপ্টেম্বর একদল চেচেন সন্ত্রাসী হানা দিয়ে জিম্মি করে স্কুলটিতে থাকা কয়েকশ শিক্ষার্থী সহ তাদের শিক্ষক, অভিভাবকদের। রাশিয়ান সরকারের কূটনৈতিক ও দেশটির খ্যাতনামা কমান্ডো বাহিনী স্পিয়েৎসনাতজ-এর ব্যর্থতার চরম মূল্য দিতে হয় ওই হতভাগ্য মানুষগুলোকে।
থ্রি ডেইজ ইন সেপ্টেম্বর
সেদিন ছিল সেপ্টেম্বরের প্রথম সকাল। নর্থ অসেটিয়া’র শহর বেসলানের শিশুদের জন্য দিনটি তাদের নতুন শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিন। স্কুল নাম্বার ওয়ান-এর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শ্রেণির শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীরা তাদের মা-বাবাকে সাথে করে নিয়ে এসেছিল, দিনটাকে একসাথে উদযাপন করবে বলে। কিন্তু নয়টার কাছাকাছি বাজতেই সবকিছু ওলটপালট করে দিয়ে মূর্তিমান আতঙ্কের মতো হাজির হয় অস্ত্রধারী ৩২ চেচেন সন্ত্রাসী। ১১২৮ জন মানুষকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তারা। সন্ত্রাসীদের দাবি, রাশিয়ার শাসনাধীন চেচনিয়ার স্বাধীনতা, চেচনিয়া থেকে রাশিয়ান সেনা প্রত্যাহার ইত্যাদি।
প্রাথমিক হামলায় কিছু জিম্মি মারা যায়। তারপর বাকিদের বিদ্যালয়ের ব্যায়ামাগারে জড়ো করা হয়। পুরো হলঘরজুড়ে বিস্ফোরক স্থাপন করে সন্ত্রাসীরা।
এই জিম্মিদশা চলে টানা তিনদিন। ০৩ তারিখে রাশিয়ান বিশেষ কমান্ডো বাহিনী আলফা গ্রুপ ও ভিম্পেল (সামগ্রিকভাবে স্পিয়েৎসনাতজ নামেও পরিচিত) জিম্মি উদ্ধারে নামে। দুপক্ষের সংঘর্ষে নরককুণ্ডে পরিণত হয় পুরো স্কুল। গোলাগুলির একপর্যায়ে স্কুলে আগুন ধরে যায়। এরপর স্কুলের ব্যায়ামাগারের ছাদ ধসে পড়লে হতাহতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পায়। অবশেষে ৩৩৪ জনের প্রাণহানি’র মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে এই নারকীয় জিম্মিদশার। আক্রমণকারীদের একজন বাদে বাকি সবাই মিলিটারির হাতে মারা পড়ে। কিন্তু তার জন্য বিশাল মূল্য চুকাতে হয় স্পিয়েৎসনাতজকেও। এই বাহিনীর ১১ জন যোদ্ধা প্রাণ হারায় মানুষগুলোকে বাঁচাতে গিয়ে, আরও ৩১ জন হন আহত।
কিংকর্তব্যবিমূঢ় কমান্ডো
বেসলানের ঘটনায় এত মানুষ প্রাণ হারানোর জন্য রাশিয়ান কমান্ডো বাহিনীর ব্যর্থতাকে দায়ী করেন অনেকে। পৃথিবীবিখ্যাত আলফা গ্রুপ পুরো ঘটনাটিতে অপেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। প্রথমত রাশিয়ান বাহিনী প্রথম দুই দিন স্কুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কোনো চেষ্টা করেনি। তৃতীয় দিনে জিম্মি উদ্ধার করতে গিয়ে দলটি টি-৭২ মেইন ব্যাটল ট্যাঙ্ক, গ্রেনেড লাঞ্চার, হেভি মেশিনগান, অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক রকেট, ফ্লেমথ্রোয়ার-এর মতো ভারী অস্ত্র ব্যবহার করেছে, যা সে পরিস্থিতির জন্য অনুপযোগী বলে মনে করা হয়।
কমান্ডোদের কাছে বিদ্যালয় ভবনের কোনো নকশা ছিল না। তাই আক্রমণের রাস্তা ঠিক করতে গিয়েও তাদের অনেক সময় নষ্ট হয়। হামলার তৃতীয় তথা শেষদিন হঠাৎ করে স্কুলভবনের ভেতর থেকে বিস্ফোরণে দেয়াল ভেঙে পড়ে। তখন সেই ফাটল ধরে জিম্মিরা পালাতে শুরু করে। সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর গুলি চালানো শুরু করলে কিংকর্তব্যবিমূঢ় কমান্ডোরা তারও ২০ মিনিট পরে কোনোপ্রকার অপারেশন প্ল্যান ছাড়াই প্রতি-আক্রমণ শুরু করে। ঘটনার আকস্মিকতায় তারা এতটাই অপ্রস্তুত ছিল যে, কমান্ডোদের অনেকে নিজেদের বুলেটপ্রুফ ভেস্ট পরারও সময় পায়নি। প্রথম আক্রমণের পর নিরাপত্তা বাহিনী স্কুলের চারপাশ কোনো পেরিমিটার স্থাপন না করায় স্থানীয় বাসিন্দারা সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে গুলি করতে করতে স্কুলের দিকে এগোতে শুরু করলে দুই পক্ষের গুলিবৃষ্টির মাঝখানে পড়ে যান কমান্ডোরা।
এ অপারেশনে ব্যর্থতার আরেকটি কারণ ছিল সমন্বয়ের অভাব। পুলিশ, প্যারামিলিটারি, সেনাবাহিনী, ও কমান্ডো বাহিনী আলাদা আলাদা কর্তৃপক্ষের অধীনে থাকায় এক পক্ষের সাথে আরেক পক্ষের পরিকল্পনার সমন্বয়হীনতা সৃষ্টি হয়। ফলে উদ্ধার কার্যক্রম আরও কঠিন হয়ে পড়ে। ব্রিটেনের স্পেশাল এয়ার সার্ভিস আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেল্টা ফোর্সের সমতুল্য স্পিয়েৎসনাতজ প্রায় ব্যর্থ হলেও নিজেদের জীবন দিয়ে বন্দীদের উদ্ধার করেছেন, যার জন্য তারা ওই মানুষগুলোর মনে অমর হয়ে থাকবেন।
একজন কমান্ডোকে ক্রল করতে দেখে একটা সন্ত্রাসী আমাদের মাঝখানে কিছু একটা ছুঁড়ে মারলো। আমি ওই মুহূর্তে বুঝতে পারিনি জিনিসটি কি ছিল। তখন কাছাকাছি একটা জানালার কাছ থেকে আরেকজন স্পিয়েৎসনাতজ কমান্ডো লাফিয়ে পড়ে নিজের দেহ দিয়ে ওই বস্তুটি ঢেকে ফেললেন। এরপর ঘটলো বিস্ফোরণটা। আমাদের সবাইকে সাক্ষাৎ মৃত্যুমুখ থেকে বাঁচিয়ে দেওয়া সৈনিকটির নাম ছিল আঁদ্রে তুরকিন।
একজন জিম্মি এভাবেই এক কমান্ডোর বীরত্বের কথা বর্ণনা করেন।
ব্যর্থ রাশিয়া
কমান্ডোদের ব্যর্থতার পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ব্যর্থতা, রাশিয়ান সরকারের ব্যর্থতা এসবও সামনে চলে আসে এই ঘটনায়। রাশিয়ান সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগে ৪০৯ জন ভুক্তভোগী রাশিয়ান নাগরিক ইউরোপিয়ান কোর্ট অভ হিউম্যান রাইটস-এ অভিযোগ দায়ের করেন। ২০১৭ সালে এক রুল জারির মাধ্যমে আদালত রাশিয়ার ব্যর্থতাকে আমলে নিয়ে দেশটির ওপর তিন মিলিয়ন ইউরো ক্ষতিপূরণ ধার্য করে। আদালতের ব্যাখ্যায় বলা হয়, একে তো রাশিয়া হামলা প্রতিরোধে অসফল হয়েছে, তার ওপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মাত্রাতিরিক্ত শক্তি, ও নিষ্প্রয়োজনীয় প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।
আদালতের পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়, কর্তৃপক্ষ জানতো সে এলাকায় সে সময় একটি সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা রয়েছে। এমনকি এই হামলা কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হওয়া সম্ভব- এমন তথ্যও ছিল গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে। তথাপি এ হামলা প্রতিরোধে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ঘটনার দিন হামলাকারীরা কীভাবে স্কুলটিতে পৌঁছালো, স্কুলের নিরাপত্তা বাড়ানো হলো না কেন, এবং স্কুলটিকে বা জনসাধারণকে সম্ভাব্য হামলা সম্পর্কে সতর্ক করা হলো না কেন; এমন প্রশ্নগুলোও তোলেন আদালত।
হামলার পর দেশটির ব্যর্থতার কথা জানিয়ে আদালত বলেন, রাশিয়া জিম্মিদের জীবনের ঝুঁকির মাত্রা সর্বোচ্চ পরিমাণে কমিয়ে একটি উদ্ধার-অভিযান পরিচালনা করতে অসফলকাম হয়েছে। এছাড়া দেরিতে অভিযান পরিচালনা, নেতৃত্বপ্রদানে ব্যর্থতা, দায়িত্বহীন আচরণ- এসব বিষয়ও তুলে আনা হয়েছে আদালতের রায়ে।
হামলা শেষে তদন্তকারীদের ব্যর্থতাও চোখ এড়ায়নি আদালতের। আদালত জানান, তদন্তকারীরা মৃতদেহগুলোর ফরেনসিক পরীক্ষা ঠিকমতো করেননি। মৃতদের প্রায় তিনভাগের এক ভাগের মৃত্যুর পরিষ্কার কারণ জানাতে পারেননি তারা। এর পাশাপাশি তদন্তের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা ঘটনাস্থল থেকে যথেষ্ট প্রমাণ সংগ্রহ করতেও অপারগ হয়েছেন।
রাশিয়ার কমান্ডোদের প্রাণঘাতী (লিথাল) অস্ত্র ব্যবহার প্রসঙ্গে আদালতের মন্তব্য হলো, এ ধরনের ভয়ঙ্কর মারণাস্ত্র ব্যবহার পরিস্থিতিকে আরও মারাত্মক করে তুলেছে। আর রাশিয়ান সরকার এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহার প্রসঙ্গে তাদের রাষ্ট্রীয় তদন্ত প্রতিবেদনে কোনো উচ্চবাচ্য করেনি। উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে দেশটির এক কেন্দ্রীয় প্রতিবেদনে রাষ্ট্রের ব্যর্থতাকে দায়মুক্তি দিয়ে বলা হয়, কর্তৃপক্ষ বেসলানের ঘটনায় কোনো ভুল পদক্ষেপ নেয়নি।
এ রায়ের বিরুদ্ধে রাশিয়া আপিল করতে চাইলেও তা প্রত্যাখ্যান করা হয়। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রাশিয়ান সংবাদ সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স দেশটির বিচার মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানায়, রাশিয়া আদালতের রায় মেনে নিয়ে ভুক্তভোগীদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করবে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানে বেসলান সঙ্কট
দারিয়া ফাদিভা’র বয়স তখন ছিল ১৬ বছর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস থেকে একজন বদলি-শিক্ষার্থী হিসেবে সবে ফিরেছিলেন তিনি নিজের শহরে। মর্মন্তুদ তিন দিন নিজের জিম্মি ছোটবোন আলিয়ার জন্য স্কুল নাম্বার ওয়ান-এর সামনে অপেক্ষা করে ছিলেন তিনি।
স্কুলটির ভাষাশিক্ষা বিষয়ক শিক্ষিকা ও সহকারী অধ্যক্ষ এলেনা কোসুমোভা সেদিনকার অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করার আর সুযোগ পেয়ে ওঠেননি। তার আগেই চেচেন জঙ্গিদের হামলায় নিজের ন’বছর বয়সী সন্তান তিমর সহ তিনি নিজেকে স্কুলের ব্যায়ামাগারে জিম্মি হিসেবে আবিষ্কার করেন।
জালিনা জান্দারোভার অভিজ্ঞতা আরও বেশি হৃদয়বিদারক। নিজের দুই বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে তিনি এসেছিলেন ছয় বছরের মেয়ে অ্যালানার স্কুলে। তিনিও বন্দী হন সন্ত্রাসীদের হাতে। ঘটনার দ্বিতীয় দিনে রাশিয়ান কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার পর, হামলাকারীরা বেশ কিছু মা-কে শিশুসন্তান সহ ছেড়ে দেয়। কিন্তু অনেককেই তাদের সাথে থাকা কিছুটা বেশি বয়সী সন্তানদের সঙ্গে করে নিয়ে যেতে দেওয়া হয়নি। জালিনাকে তাই বাধ্য হয়ে অ্যালানাকে সন্ত্রাসীদের জিম্মায় রেখে আসতে হয়।
তড়িৎ প্রকৌশলী সার্গেই উরমানভ নিজের স্ত্রীকে নিয়ে গিয়েছিলেন মেয়ে জালিনার স্কুলে। সে দিন সার্গেই তার স্ত্রী, কন্যা, বোন, ও তিন ভ্রাতুষ্পুত্রীকে হারিয়েছিলেন।
এই করুণ বয়ানগুলো গাঁথা হয়েছে সেলুুলয়েডের ফিতায়। বেসলানের ঘটনায় শতাধিক নিহতের পাশাপাশি আহত হন প্রায় ৭৮০ জন মানুষ। তাদের এই দুঃস্বপ্নের মতো অভিজ্ঞতাগুলো নিয়ে তৈরি করা হয়েছে থ্রি ডেইজ ইন সেপ্টেম্বর নামক একটি ডকু-ফিল্ম। এই ফিল্মে দেখানো হয়েছে এমন কিছু ভিডিও-ক্লিপ যেগুলো আগে কখনো প্রকাশিত হয়নি। এছাড়া রয়েছে স্পিয়েৎনাতজ-এর একজন ক্যাপ্টেন, ও একজন লক্ষ্যভেদীর বিরল সাক্ষাৎকার। ঘটনার শিকার মানুষগুলোর ভয়াবহ করুণ অভিজ্ঞতা তাদের মুখ থেকে শোনা যাবে এ ডকুমেন্টারিতে।
কে, কেন
হামলার দায় স্বীকার করে রিয়াদুস-সালিখিন নামক একটি চেচেন স্বাধীনতাকামী সংগঠন। আর এর নেতৃত্বে ছিলেন কুখ্যাত চেচেন যুদ্ধবাজ ও সন্ত্রাসী শামিল বাসায়েভ। এর আগে ২০০২ সালে মস্কো থিয়েটারে হামলার জন্যও দায়ী করা হয় বাসায়েভকে। ওই ঘটনায় প্রাণ হারান প্রায় ১৩০ জন জিম্মি। ২০০৪ সালে চেচনিয়ার মস্কোপন্থী প্রেসিডেন্ট আখমাদ কাদিরভকে হত্যার পেছনেও শামিল বাসায়েভের হাত ছিল বলে মনে করা হয়। ২০০৪ সালের ২৪ অগাস্ট, দুটো রাশিয়ান যাত্রী-পরিবাহী বিমানে আত্মাঘাতী হামলার দায়ও স্বীকার করে শামিল বাসায়েভের দল।
রাশিয়া ও চেচনিয়ার মধ্যকার দীর্ঘদিনের অস্থিতিশীল সম্পর্ক এবং রাশিয়া কর্তৃক চেচেনদের ওপর দীর্ঘদিনের অত্যাচার এ হামলার অন্যতম ইন্ধন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। (রাশিয়া ও চেচনিয়ার এ রাজনৈতিক অস্থিরতার বিস্তারিত জানতে পড়তে পারেন এ আর্টিকেলটি।)
চেচেন সন্ত্রাসীদের মধ্যে শুধু নুর-পাশি কালায়েভকে জীবিত ধরা হয়। ২০০৫ সালের ১৮ মে তারিখে তার বিরুদ্ধে বিচারকাজ শুরু হয়। ২০০৬ সালের মে মাসে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে আজীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। হামলার মাস্টারমাইন্ড শামিল বাসায়েভ ২০০৬ সালে রাশিয়ান এজেন্টদের সেট করা গাড়িবোমা হামলায় মারা পড়েন।