বার্মার কঙবং ডাইনেস্টির আরেক নাম ছিল আলমপারা ডাইনেস্টি বা আলুংপায়া ডাইনেস্টি। মনিপুর, আসামসহ উত্তর-পূর্ব ভারতীয় সীমান্ত নিয়ে ব্রিটিশদের সাথে এই কঙবং রাজার বিরোধ শুরু হলো ১৮২২ সালে এবং ১৮২৪ সালের মার্চ মাসের ৫ তারিখে শুরু হল ১ম অ্যাংলো-বার্মিজ যুদ্ধ। দুই বছর ধরে চলা এই যুদ্ধ ছিল ব্রিটিশ ভারতীয় ইতিহাসের সবচেয়ে খরুচে যুদ্ধ। যা-ই হোক, এই যুদ্ধে হেরে যাবার পর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় অ্যাংলো-বার্মিজ যুদ্ধেও বার্মিজরা হেরে যায় এবং ১৮৮৫ সালে সমগ্র বার্মা ব্রিটিশদের দখলে চলে আসে।
ব্রিটিশ কলোনি হিসেবে বার্মার নাম ছিল ব্রিটিশ বার্মা। রাজধানী ছিল রেঙ্গুন। ব্রিটিশ-ভারতীয় উপনিবেশের একটি প্রভিন্স হিসেবে ৮টি ডিভিশনে ভাগ করে বার্মা শাসন করতো ইংরেজরা। উনিশশো সালে ইয়ং ম্যানস বুদ্ধিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের গোড়াপত্তনের মধ্য দিয়ে বার্মায় জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটেছিল। ঐতিহাসিকভাবেই বার্মায় বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারিরা বরাবর রাজাদের আনুকূল্য পেয়ে অভ্যস্ত। কিন্তু ব্রিটিশরা ধর্মের ব্যাপারে নিরপেক্ষতা বজায় রেখেছিল। বরং বৌদ্ধদের চেয়ে আরাকানি মুসলিম আর কারেন খ্রিস্টানদের প্রতি তাদের আস্থা ছিল বেশি। এর ফলে ১৯২০ সাল থেকেই বার্মায় ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন দানা বাঁধতে শুরু করে। ১৯৩০ সালে স্বঘোষিত রাজা সায়া সানের নেতৃত্বে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে। ১৯৩২ সালে সায়া সানসহ ১২৫ জনের ফাঁসি দিয়ে ব্রিটিশরা সাময়িকভাবে এই আন্দোলন দমাতে সমর্থ হয়।
১৯৩৬ সালে রেঙ্গুন ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট ইউনিয়নের নেতা অংশ এবং কো নু-কে বহিষ্কারের জের ধরে ছাত্র বিক্ষোভের সূত্রপাত হয় এবং অল বার্মা স্টুডেন্ট ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৩৭ সালে ব্রিটিশরা বার্মাকে ভারত থেকে আলাদা করে দেয়। কিন্তু এতে বার্মিজদের মনে ব্রিটিশদের অভিসন্ধি নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধে এবং কিছু কিছু বার্মিজ নেতা জাপানীদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে। সেই সাথে শুরু হয় রেঙ্গুন ইউনিভার্সিটিকেন্দ্রীক ছাত্র আন্দোলন আর ব্রিটিশদের ঔপনিবেশিক প্রভুদের ধরপাকড়। চীনের প্রত্যক্ষ মদদে রেঙ্গুনে অং সাংসহ সাত সহযোগীর উপস্থিতিতে কমিউনিস্ট পার্টি অফ বার্মা (সিপিবি) প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪১ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবার পর অং সাংয়ের নেতৃত্বে ৩০ জন ছাত্র নেতা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিতে জাপান কর্তৃক দখলকৃত তাইওয়ানে গমন করেন (দ্য থার্টি কমরেডস) এবং এদের হাত ধরেই জাপানীদের সহায়তায় বার্মা ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি গড়ে ওঠে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে।
১৯৪২ সালে জাপানীরা বার্মা দখলের এক বছরের মাথায় বার্মিজদের পূর্ণ স্বাধীনতা দেবার প্রতিশ্রুতি দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় বার্মা ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি শুরুতে জাপানীদের সাথে একযোগে ব্রিটিশদের সাথে লড়তে শুরু করে। আরাকানে ব্রিটিশদের অনুগত রোহিঙ্গাদের উপর ১৯৪২ সালে বার্মা ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি যে ব্যাপক নির্যাতন ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায়, তাতে তারা দলে দলে উত্তর আরাকানে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল। অবশ্য উত্তরের কারেন আর কাচিনরা শুরু থেকেই ব্রিটিশদের হয়ে জাপানীদের বিরুদ্ধে লড়তে শুরু করেছিল। ১৯৪৩ সালে জাপানীরা বার্মার স্বাধীনতা ঘোষণা করে এবং বার্মা ডিফেন্স আর্মি নাম পরিবর্তন করে বার্মার ন্যাশনাল আর্মিতে পরিণত হয়। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ ভাগে জাপানীদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে লর্ড মাউন্টব্যাটেনের সঙ্গে হাত মেলান অং সাং এবং পক্ষ পরিবর্তন করে ব্রিটিশদের সাথে একযোগে লড়ে জাপানীদের বার্মা থেকে বিতাড়িত করেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপানীদের সাথে হাত মেলানোর অভিযোগে ব্রিটিশ সরকার অং সাং এবং তার সহযোগীদের বিচারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। বার্মার স্বাধীনতার প্রশ্নে ব্রিটিশদের গরিমসির একপর্যায়ে ১৯৪৭ সালের ২৮ জানুয়ারি লন্ডনে অং সাং-আতিলি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং বার্মার স্বাধীনতা সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। এরপর ফেব্রুয়ারি মাসে পানলং কনফারেন্সের মাধ্যমে অং সাং বার্মার অধিকাংশ সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সমর্থন নিশ্চিত করেন। একই সময়ে ভিক্ষু ইউ সেইনদার নেতৃত্বে আরাকানে বিদ্রোহ শুরু হলেও অং সাং এবং তার পার্টির জনপ্রিয়তার মুখে এসব চাপা পড়ে যায়। কিন্তু ১৯৪৭ সালের ১৯ জুলাই অং সাং আততায়ীদের হাতে নিহত হন। এমতাবস্থায় দ্য থার্টি কমরেডসের আরেক কমরেড থাকিন নু ওরফে উ নু দলের হাল ধরেন এবং ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বার্মা স্বাধীনতা লাভ করে। যদিও তারা কমনওয়েলথভুক্ত হতে অস্বীকৃতি জানায়।
১৯৪৮-৬২
স্বাধীনতার পরপরই রেড ফ্ল্যাগ কম্যুনিস্ট, হোয়াইট ফ্ল্যাগ কম্যুনিস্ট, আরাকানিজ মুসলিম আর কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়নের সদস্যরা বার্মা জুড়ে অস্থিরতা আর অন্তর্ঘাত চালাতে শুরু করে। এ দলগুলোর নেতৃত্বে ছিল দ্য থার্টি কমরেডসের প্রাক্তন কমরেডরাই। কম্যুনিজমের বিরুদ্ধে বার্মার এই লড়াইয়ে ব্রিটেন ও অন্যান্য কমনওয়েলথভুক্ত দেশ অস্ত্র ও আর্থিক সহায়তা দিতে থাকে। এসবের সহায়তায় বার্মার সেনাবাহিনী শক্তি সঞ্চয় করে এবং ১৯৫৪ সালের ২৭ মার্চ বার্মা ন্যাশনাল আর্মির নতুন নাম হয় তাতমাদো। তাতমাদোর অব্যহত চাপে ১৯৫৪ সালে কমিউনিস্ট পার্টি অফ বার্মা (সিপিবি) আন্ডারগ্রাউন্ডে যেতে বাধ্য হয় এবং কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মির সাথে যোগ দেয়।
এই ডামাডোলের মাঝে ১৯৬২ সালে জেনারেল নে উইন ক্ষমতায় আসেন। মায়ানমার দাবী করে উ নু সেনাপ্রধান নে উইনের হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়েছিলেন, আন্তর্জাতিক ভাষ্যমতে এটা আসলে ক্যু ছিল। ১৯৬২ সালের ৮ জুলাই নে উইন বিরোধী ছাত্র সমাবেশে গুলি চালায় এবং রেঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়ন ভবন গুড়িয়ে দেয়। এমতাবস্থায় চীনের সহায়তায় কমিউনিস্ট পার্টি অফ বার্মা (সিপিবি) ফের চাঙ্গা হয়ে ওঠে। ১৯৬৩ সালে নে উইন সকল দলের সাথে শান্তি আলোচনার ডাক দেন, কিন্তু তার নিজের একগুয়েমির কারণে তা ভেস্তে যায়। বরং তিনি ইউনিয়ন অফ বার্মা ধারণার বদলে এক দেশ, এক ভাষা, এক ধর্ম তত্ত্বে অনড় থাকেন। এতে কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন, কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স অর্গানাইজেশন এবং শান স্টেট আর্মির মতো বিরোধী আর বিদ্রোহী দলগুলো বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
১৯৬৪-৮৮
১৯৬৪ সালে ২৮ মার্চ নে উইন সরকার বার্মায় সকল বিরোধীদল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে উ নুও পার্লামেন্টারি ডেমোক্র্যাসি পার্টি গঠন করেন। অন্যদিকে সান, কারেন আর কাচিন বিদ্রোহীদের পেছনে চীনা মদদ খর্ব করতে নে উইন সরকারের প্ররোচনায় ১৯৬৭ সালে রেঙ্গুনে চীন বিরোধী দাঙ্গায় চীনা দূতাবাস আক্রান্ত হয়। জবাবে চীন বিদ্রোহীদের জন্য সহায়তার মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয়। এতে সিপিবি, সান ও কারেনদের যৌথ আক্রমণের মুখে তাতমদো পিছু হটতে বাধ্য হয় এবং দেশের উত্তর-পূর্বাংশের উপর নিয়ন্ত্রণ হারায়। সিপিবি সমর্থিত সেই মুক্তাঞ্চলে চীন একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রও গড়ে দেয়। কিন্তু এই অবস্থায় নে উইন তার কৌশল পরিবর্তন করে একে একে সিপিবি নেতাদের হত্যা করে দলটিকে দুর্বল করে দেন এবং সত্তর দশকের শেষভাগে মধ্য বার্মার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করেন।
নে উইন বার্মাকে একটি সোশ্যালিস্ট রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বার্মা সোশ্যালিস্ট প্রোগ্রাম পার্টি গঠন করেন। ১৯৭২ সালে নে উইনসহ ইউনিয়ন রেভল্যুশনারি কাউন্সিলের সকল সেনাসদস্য সামরিক বাহিনী থেকে অবসরগ্রহণ করেন। ১৯৭৪ সালের জানুয়ারি মাসে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করে পিপলস এসেম্বলি গঠন করা হয় এবং নে উইন হন নতুন সরকারের রাষ্ট্রপতি।
১৯৭৪ সালের মে মাসে দুর্নীতি, মুদ্রাস্ফীতি আর খাদ্য সংকটের প্রতিবাদে রেঙ্গুনে লাগাতার ধর্মঘট শুরু হলে জান্তা সরকার শ্রমিকদের উপর গুলি চালিয়ে তা বন্ধ করে। কিন্তু একই বছরের ডিসেম্বর মাসে জাতিসংঘের বার্মিজ মহাসচিব উ থান্টের মৃত্যুর পর তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মানে সমাহিত না করায় সারা দেশে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। উল্লেখ্য, উ থান্ট ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী উ নুর ঘনিষ্ট সহযোগী আর বার্মার জান্তা সরকারের প্রতিপক্ষস্বরূপ। ১৯৭৬ সালে নে উইন এবং সান ইউকে হত্যার ষড়যন্ত্র করায় একজন ক্যাপ্টেনের মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়।
১৯৭৮ সালে আরাকানে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অপারেশন কিং ড্রাগন পরিচালনা করা হয়। ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত (৫ মাস ৩ সপ্তাহ ৪ দিন) চলা এই অপারেশনে বার্মিজ ইমিগ্রেশন অফিসারদের সাথে নিয়ে তাতমদো এমন নৃশংসতা চালায় যে আড়াই লাখ রোহিঙ্গা ঘরবাড়ি ফেলে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল।
১৯৮১ সালে নে উইন প্রেসিডেন্ট পদ থেকে অবসর নিলেও ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত তিনি বার্মা সোশ্যালিস্ট প্রোগ্রাম পার্টির চেয়ারম্যানের পদ আঁকড়ে থাকেন। নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জেনারেল সান ইউ দায়িত্ব গ্রহণ করেন, যদিও মূল ক্ষমতা রয়ে যায় নে উইনের হাতেই। ১৯৮৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কুসংস্কারবশত নে উইন বার্মায় প্রচলিত কিছু কিয়াত (বার্মিজ ব্যাঙ্ক নোট) বাতিল করে দেন। ৯-কে নিজের লাকি নাম্বার মনে করতেন বলে ১০০, ৭৫, ৩৫ ও ২৫ কিয়াতের নোট বাতিল করে দিয়ে শুধুমাত্র ৯ দ্বারা বিভাজ্য ৪৫ এবং ৯০ কিয়াতের নোট চালু করলেন। মগের মুল্লুক আর কাকে বলে!
১৯৮৮ আন্দোলন
কিয়াতের এই সংস্কারের ফলে রেঙ্গুনে ছাত্ররা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে; সাথে মান্দালয়ের বৌদ্ধ ভিক্ষু আর সাধারণ শ্রমিকেরাও। নিরুপায় হয়ে সরকার সব স্কুল-কলেজ ছুটি দিয়ে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করলো। কিন্তু ১৯৮৮ সালের মার্চ মাস থেকে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে আবার বিক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে। ক্রমশ বিক্ষোভ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলে ১৯৮৮ সালের ২৩ জুলাই নে উইন পার্টির চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য হন। ২৭ জুলাই সান ইউও প্রেসিডেন্ট পদে ইস্তফা দিলে ১৭ দিনের জন্য নতুন প্রেসিডেন্ট হন ‘রেঙ্গুনের কসাই’ বলে কুখ্যাত জেনারেল সেইন লিন।
১৯৮৮ সালের ৮ আগস্ট জান্তা সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র কায়েমের উদ্দেশ্যে দেশব্যাপী গণবিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। জান্তা সরকারও কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে। শুরু হয় দেশব্যাপী সংঘর্ষ। ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলা এই বিক্ষোভে ৩,০০০ থেকে ১০,০০০ বার্মিজ প্রাণ হারায়। যদিও সরকারী পরিসংখ্যান মতে, এই সংখ্যা ৩৫০ জন। ঠিক এই সময় অং সাং সুচি তার অসুস্থ মায়ের সেবায় ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু পাশ্চাত্য শিক্ষিত আর রাজনীতিবিদ বাবা-মায়ের সুযোগ্য সন্তান হিসেবে তিনি সুযোগ চিনতে ভুল করেননি। ২৬ আগস্ট তারিখে তিনি সেদাগন প্যাগোডায় লাখ লাখ জনতা উদ্দেশ্যে শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিক্ষোভ পরিচালনার ডাক দিয়ে হয়ে গেলেন বার্মিজ গণতন্ত্রের মানসকন্যা!
যা-ই হোক, ১৯৮৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর জেনারেল স মং ক্যু করে ক্ষমতা দখল করে দেশে স্টেট ল এন্ড অর্ডার রেস্টোরেশন কাউন্সিলের মাধ্যমে জরুরি অবস্থা জারি করলেন। দাতা দেশ আর জাতিসংঘ ছি ছি করে উঠল এই ক্যুর বিরুদ্ধে, কিন্তু মগের মুল্লুকে মগরা কি কারো কথা শোনে? তারা এই বিক্ষোভের সব দোষ তুলে দিল সিপিবির ঘাড়ে আর শুরু হলো ব্যাপক ধরপাকড়। হাজারে হাজারে বার্মিজ থাইল্যান্ডের দিকে পালাতে লাগল আর দলে দলে বিভিন্ন আন্দারগ্রাউন্ড পার্টিতে যোগ দিতে লাগল। এই ফাঁকে ১৯৮৯ সালে বার্মার নাম বদলে হয়ে গেল ‘মায়ানমার!’
এই সিরিজের পূর্ববর্তী পর্ব
১) রোহিঙ্গা রঙ্গ ১: বার্মিজ ইতিহাস পাঠ
এই সিরিজের পরবর্তী পর্ব
৩) রোহিঙ্গা রঙ্গ ৩: ইউনিয়ন অব বার্মার স্বাধীনতা এবং গৃহযুদ্ধ কাতরতা (১৯৮৯ থেকে বর্তমান)