মিশর; জুলাই ১৯, ১৭৯৯ সাল।
আলেক্সান্দ্রিয়ার ৩৫-৪০ মাইল পূর্বে নীলনদের পশ্চিম তীরের কাছে রাশিদ শহর, ইউরোপিয়ানরা যাকে বলে রোসেটা। এর নিকটেই অটোমান আমলে নির্মিত এক দুর্গ, ফোর্ট জুলিয়ান। নেপোলিয়নের সেনাবাহিনীর কর্নেল দোপুর (d’Hautpoul) নেতৃত্বে সেনারা এখানকার প্রতিরক্ষা জোরদার করছিল। পুরনো দেয়াল আর খিলান ভেঙে চলছিল নতুন করে মজবুত কাঠামো তৈরির কাজ। হঠাৎ ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পসের লেফটেন্যান্ট পিয়ের ফ্রাঁসো বুঁশ্যার (Pierre-François Bouchard) চোখ আটকে গেল একটা বিশেষ পাথরের উপর। কালো ব্যাসাল্টের এই পাথরে হিজিবিজি কী যেন লেখা। তারা উপলব্ধি করলেন এটা গুরুত্বপূর্ণ কিছু হতে পারে। অবিলম্বে তারা রোসেটাতে থাকা ফরাসি জেনারেল মেন্যুর (Jacques-François Menou) কাছে বার্তা পাঠালেন।
রোসেটা স্টোনের আবিষ্কার
প্রথম ইতালিয়ান ক্যাম্পেইন সফলভাবে সমাপ্ত করে ১৭৯৭ সালের ডিসেম্বরে নেপোলিয়ন বোনাপার্ট প্যারিসে ফিরে এলেন। এবার ইংল্যান্ডকে চেপে ধরার পালা। পরিকল্পনা হলো মাল্টা আর ইজিপ্টে ইংল্যান্ডের প্রভাব প্রথমে ছিন্নভিন্ন করে দিতে হবে। মিশর তখন নামেমাত্র ক্ষয়িষ্ণু অটোমান সাম্রাজ্যের হাতে, ব্রিটিশরাই সেখানকার হর্তাকর্তা। মিশর হাত করতে পারলে দুই কাজ হবে। একদিকে প্রাচ্যের রাস্তা ফরাসি আগ্রাসনের জন্য খুলে যাবে, অন্যদিকে মিশরের মধ্য দিয়ে চলে যাওয়া বাণিজ্যপথগুলো নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ফরাসিরা ইংল্যান্ডকে অর্থনৈতিকভাবে পর্যুদস্ত করতে পারবে।
নেপোলিয়ন এই অভিযানে সঙ্গে নেন ১৬৭ জন বিজ্ঞানী আর পণ্ডিতকে। তিনি সেনাদলে নির্দেশ জারি করে দেন যেকোনো প্রাচীন পুরাকর্ম খুঁজে পেলে সাথে সাথেই তা কব্জা করে সেগুলো তাদের হাতে তুলে দেবার জন্য। ১৭৯৮ সালের ১৯ এপ্রিল নেপোলিয়ন মিশরে আক্রমণ করেন।। ২রা জুলাই আলেক্সান্দ্রিয়া ফরাসীদের হস্তগত হলো। সেখানে ফরাসি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠিত হলো ইন্সটিটিউট অফ ইজিপ্ট। তারা মিশরের ইতিহাস ও সংস্কৃতি নিয়ে প্রচুর গবেষণা আরম্ভ করলেন। এর পরের বছরই রোসেটা শহরের কাছে প্রাচীন লিপিসমৃদ্ধ এই পাথর আবিষ্কার হয়। তবে এর কোণার দিকের বেশ কিছু অংশ ভাঙা ছিল। নেপোলিয়নের নির্দেশ অনুযায়ী ইন্সটিটিউট অফ ইজিপ্টের হাতে এই পাথর, যার নামকরণ করা হয় রোসেটা স্টোন, তুলে দেয়া হলো।
সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ফরাসিরা এই আবিষ্কারের কথা চেপে রাখে। এই মাসেই কুহিয়ের দ্য লেজিপ্ট (Courrier de l’Egypte) পত্রিকায় প্রথম রোসেটা স্টোনের খবর প্রকাশিত হয়। আগস্টের মধ্যভাগে রোসেটা স্টোন কায়রোতে পাঠিয়ে দেয়া হলো। ইন্সটিটিউট পুরোদমে এবার তাদের গবেষণা শুরু করে। এখানে মার্সেল এবং রেইজ (Jean-Joseph Marcel and Remi Raige) দেখতে পান পাথরের লিপি আসলে দুটি ভাষায় লেখা হলেও এখানে ব্যবহার করা হয়েছে তিন ধরনের লিখনপদ্ধতি। মিশরীয় হায়ারোগ্লিফিক, যা প্রায় তিন হাজার বছর আগে মিশরের প্রথম রাজবংশের সময় থেকে ব্যবহার করা হচ্ছে, তার পাশাপাশি ডেমোটিক নামে আরেকটি মিশরীয় লেখনপদ্ধতি এখানে প্রয়োগ করা হয়েছে।
ডেমোটিকের উৎপত্তি হায়ারোগ্লিফিকের অনেক পরে, ৬৪৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে, সম্ভবত নীলের অববাহিকা থেকে। মার্সেল আর গ্যালান্ড নামে আরেকজন গবেষক এই পাথরের স্ল্যাবের উপর কালি লেপে কাগজ দিয়ে লেখার কপি তৈরি করলেন। এই কপি সারা ইউরোপের প্রাচীন ভাষাবিদদের কাছে পাঠান হলো। ফরাসি গবেষক থিল (Du Theil) পরীক্ষা নিরিক্ষা করে জানান, এখানে সম্রাট পঞ্চম টলেমির উদ্দেশ্যে কোনো মন্দিরের পুরোহিতদের স্তুতিবাক্য পাঠ করা হয়েছে।
রোসেটা স্টোন
রোসেটা স্টোন ব্যাসল্ট পাথরের একটি স্ল্যাব, যার উচ্চতা ১১৪ সেন্টিমিটার, প্রস্থ ৭২ সেন্টিমিটার আর পুরুত্ব ২৮ সেন্টিমিটার। এর ওজন ৭৬২ কেজি। পাথরের কোণার দিকের বেশ কিছু অংশ ভাঙা ছিল। এর উপর হায়ারোগ্লিফিকের ১৪ লাইন, ডেমোটিকের ৩২ লাইন আর গ্রীক ভাষায় ৫৩ লাইন লেখা ছিল। এখন আমরা জানি এই পাথরে সম্রাট পঞ্চম টলেমির রাজকীয় ডিক্রির কথা বলা আছে, নিয়মানুযায়ী মিশরের সব মন্দিরে প্রদর্শনের জন্য যা পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল। মেম্ফিসের পুরোহিতেরা এর সাথে সম্রাটের প্রশংসাসূচক বাক্য যোগ করেন। কিন্তু যখন আবিষ্কার করা হলো তখন হায়ারোগ্লিফিক মৃত এক ভাষা। ২০০০ বছর আগেই এর অর্থ হারিয়ে গেছে। রোসেটা স্টোনই মূলত নতুন করে হায়ারোগ্লিফিকের পাঠোদ্ধারের সুযোগ করে দিল।
ব্রিটিশদের হাতে রোসেটা স্টোন
১৭৯৮ সালের ১লা আগস্টে সংঘটিত ব্যাটল অফ দ্য নাইলের নৌযুদ্ধে ব্রিটিশ অ্যাডমিরাল হোরাশিও নেলসন ফরাসি নৌবহরকে পরাজিত করেন। পরের বছর অগাস্টের ২২ তারিখে নেপোলিয়ন ফ্রান্সে ফিরে গেলে ব্রিটিশদের আক্রমণের ধার আরো বেড়ে যায়। ১৮০১ সালে শত্রুসেনারা কায়রোর উপকণ্ঠে এসে পৌঁছলে ফরাসিরা রোসেটা স্টোনসহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে আলেক্সান্দ্রিয়াতে চলে যায়। জুনে কায়রো আর আগস্টে আলেক্সান্দ্রিয়ার পতন হয় ব্রিটিশ সেনাদের হাতে।
মিশরে ব্রিটিশ বাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল হাচিন্সনের সরাসরি নির্দেশে কর্নেল টার্নার ফরাসি জেনারেল মেন্যুর কাছ থেকে রোসেটা স্টোন গ্রহণ করেন। এরপর নিবিড় প্রহরায় ফরাসিদের থেকে দখল করা যুদ্ধজাহাজ ল্যু ইজিপশিয়েনে (l’Égyptienne) করে এই পাথর পাঠিয়ে দেয়া হল ইংল্যান্ডে।
পোর্টসমাউথের বন্দরে জাহাজ এসে ভিড়ল ১৮০২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। সেখান থেকে সরাসরি তা নিয়ে যাওয়া হয় লন্ডনে পুরাতাত্ত্বিক সঙ্ঘের ভবনে। এখানে প্রাচ্যীয় আর গ্রীক ভাষার বিশেষজ্ঞরা হন্যে হয়ে লেগে পড়লেন হায়ারোগ্লিফিকের পাঠোদ্ধারে। এর লেখার কপি প্রেরণ করা হলো অক্সফোর্ড, ক্যামব্রিজ, এডিনবার্গ আর ট্রিনিটি কলেজসহ আরো অনেক বিশ্ববিদ্যালয়, লাইব্রেরি আর প্রত্নতাত্ত্বিকের কাছে। এই বছরের শেষে রোসেটা স্টোন হস্তান্তর করা হয় ব্রিটিশ মিউজিয়ামের কাছে। তখন থেকে সাধারণ মানুষের দর্শনীয় হয়ে আজ পর্যন্ত তা সেখানেই আছে।
হায়ারোগ্লিফিক
হায়ারোগ্লিফ শব্দের অর্থ “পবিত্র শব্দ” বা “পবিত্র চিহ্ন”। আলেক্সান্দ্রিয়ার খ্রিষ্টান দার্শনিক ও ধর্মতত্ত্ববিদ ক্লেমেন্স প্রথম এই নাম ব্যবহার করেন বলে জানা যায় (Titus Flavius Clemens/Clement of Alexandria, ১৫০-২১৫ খ্রিষ্টাব্দ)। প্রাচীন ইজিপশিয়ানরা একে বলত “দেবতাদের ভাষা” (mdju netjer/ words of the gods)। আজ থেকে ৩২০০-৩৪০০ বছর আগে এর ব্যবহার শুরু হয় বলে ধারণা করা হয়। ৩৯৪ খ্রিষ্টাব্দে সর্বশেষ হায়ারোগ্লিফিক লিপি পাথরে খোদিত করা হয়।
রোসেটা স্টোন পাঠোদ্ধারের প্রথম চেষ্টা
তখন পর্যন্ত ডেমোটিক আর হায়ারোগ্লিফিকের সঠিক অর্থ মানুষের জানা ছিল না। কাজেই গ্রীক লেখার অর্থ উদ্ধার করাই সবচেয়ে সহজ ছিল। সেখান থেকেই বিশেষজ্ঞরা সম্রাট টলেমির প্রশংসামূলক কথাবার্তা জানতে পারেন। ফরাসি পণ্ডিত সেসি (Sylvestre de Sacy) ১৮০২ সালে ডেমোটিক লেখনী নিয়ে কাজ শুরু করেন। তিনি গ্রীক ভাষাতে উল্লিখিত নামগুলোর ডেমোটিক প্রতিশব্দগুলো চিহ্নিত করতে সক্ষম হন।
সুইডিশ কূটনীতিক অ্যাকারব্ল্যাড (J.D. Åkerblad) ‘মন্দির’ আর ‘গ্রীক’ শব্দ ডেমোটিকে সনাক্ত করেন। এদের পর ব্রিটিশ পন্ডিত থমাস ইয়াং ১৮১৪ সালে অনেকটা খেয়ালের বশেই রোসেটা স্টোনের লেখা নিয়ে নাড়াচাড়া আরম্ভ করেন। তিনি পাথরের ডিম্বাকৃতির বিশেষ কিছু অংশে মনোনিবেশ করেন, যেগুলোকে বলা হত কার্টুশ (cartouches)। তিনি বুঝতে পারলেন, এখানে লিখিত হায়ারোগ্লিফিকে রাজকীয় নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ইয়াং হায়ারোগ্লিফিক আর ডেমোটিক লেখনীর তুলনামূলক বিশ্লেষণও করেন। তিনি ৮৬টি হায়ারোগ্লিফিক চিহ্নের অর্থ বের করতে সক্ষম হন। এর মধ্যে ছিল টলেমি, রাজা ও মিশর। তিনি এটাও বুঝতে পেরেছিলেন যে, গ্রীক আর ডেমোটিক লেখা একে অপরের হুবহু অনুবাদ নয়। কিন্তু পাথরের ভাঙা অংশের কারণে তার কাজ ব্যাহত হচ্ছিল।
শম্পোলিয়নের সফলতা
১৮১৯ সালে ইয়াং রোসেটা স্টোনের উপর থেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। এবার এই কাজে এগিয়ে এলেন সেসিরই একাকালের ছাত্র ফরাসি স্কলার শম্পোলিয়ন (Jean-Francois Champollion)। অসামান্য প্রতিভাধর শম্পোলিয়ন কিশোর বয়সেই অর্ধ-ডজন ভাষা আত্মস্থ করেছিলেন। প্রাচীন মিশর নিয়ে তার মধ্যে ছিল অসীম কৌতূহল। ১৮২১ সালে প্যারিসে বসে তিনি রোসেটা স্টোনের অর্থ বের করতে ব্যস্থ হয়ে পড়লেন।তার একটা সুবিধা ছিল যে, তিনি কপ্টিক ভাষায় পারদর্শী ছিলেন, যার উৎপত্তি প্রাচীন ইজিপশিয়ান ভাষার থেকে।
কয়েক মাস কাজ করে তিনি “ক্লিওপেট্রা” নামের হায়ারোগ্লিফিক প্রতিরূপ আবিষ্কার করেন। তিনি এবার ইয়াং এবং তার অনূদিত হায়ারোগ্লিফিক চিহ্নগুলো অন্যান্য জায়গা থেকে পাওয়া হায়ারোগ্লিফিকের পাঠোদ্ধারে ব্যবহার করতে শুরু করলেন। সেখান থেকে যখনই তিনি কোনো নতুন হায়ারোগ্লিফিক অর্থ আবিষ্কার করছিলেন তখনই তিনি সেটা রোসেটা স্টোনের উপর ব্যবহার করে এর সম্পূর্ণ অর্থ উদ্ধারে সচেষ্ট ছিলেন। এই কাজ করতে করতে তিনি অনেক রোমান সম্রাটের হায়ারগ্লিফিক চিহ্ন বের করে ফেলেন। বিভিন্ন জায়গার হায়ারোগ্লিফিক লেখা মেলাতে মেলাতে তিনি কাজ চালানোর মতো মোটামুটি হায়ারোগ্লিফিকের বর্ণমালা তৈরি করতে সমর্থ হন।
১৮২২ সালে শম্পোলিয়ন এক অভূতপূর্ব আবিষ্কার করে বসেন। “র্যামসেস” নামের হায়ারোগ্লিফিক প্রতিশব্দ সনাক্ত করে তিনি বুঝতে পারলেন যে এর হায়ারোগ্লিফিকের প্রতিটি চিহ্ন র্যামসেসের প্রত্যেকটি বর্ণের আলাদা আলাদা উচ্চারণের প্রতিনিধিত্ব করছে। তিনিই প্রথম দেখালেন যে, প্রতীকী চিহ্ন আর শাব্দিক উচ্চারণের মিশেলে হায়ারোগ্লিফিক তার সময়ের তুলনায় যথেষ্ট আধুনিক ও জটিল একটি লেখন পদ্ধতি। পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় এর চিহ্নগুলো পূর্ণ একটি শব্দ, বাক্য, এমনকি ভিন্ন ভিন্ন বর্ণের রূপও নিতে পারে। বলা হয়, তিনি এতটাই উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলেন যে দৌড়ে তার ভাইয়ের কাছে গিয়ে চিৎকার করে বলতে থাকেন, “আমি পেরেছি”! এরপরেই তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
শম্পোলিয়ন এরপর আরো জোরেশোরে কাজে নামলেন। বেশ কয়েক বছর জোরদার গবেষণা চালিয়ে তিনি এর ফলাফল নিয়ে বিশদ বিবরণ প্রকাশ করেন, যেখানে তিনি হায়ারোগ্লিফিক বর্ণমালার সাথে এই আশার ব্যাকরণেরও বর্ণনা দেন। ১৮২৯ সালে তিনি মিশর সফর করেন এবং প্রাচীন দালানকোঠা আর সমাধির গায়ে লিখিত হায়ারোগ্লিফিকের পাঠোদ্ধার করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন। ১৪০০ বছরের মধ্যে তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি এই কাজ করতে সক্ষম হন। বেঁচে থাকলে তিনি আরো কাজ করতে পারতেন, কিন্তু দুঃখজনকভাবে ১৮৩২ সালে ফ্রান্সে তার মৃত্যু হয়। তার কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে “ফাদার অফ ইজিপ্টোলজি” বলে ডাকা হয়।
রোসেটা স্টোনের প্রভাব
রোসেটা স্টোন থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান কাজে লাগিয়ে প্রত্নতাত্ত্বিক আর গবেষকরা বহু প্রাচীন মিশরীয় লিপির অর্থ ভেদ করতে পেরেছেন। ফলে আমরা জানতে পেরেছি প্রাচীন সেই সভ্যতার নানা বিষয়। মিশরীয় সভ্যতা তাদের সময়ের থেকে অনেক অগ্রগামী ছিল। সেই আমলেই তারা জ্যোতির্বিদ্যা, স্থাপত্যসহ নানা বিষয়ে অভিনব উৎকর্ষ অর্জন করেছিল। আর হায়ারোগ্লিফিকের পাঠোদ্ধার করার ফলেই সেই সম্পর্কে আমরা জানতে পেরেছি। রোসেটা স্টোনের আবিষ্কার ও পাঠোদ্ধার না হলে হয়তো এর কিছুই হত না।