মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মেক্সিকোর মাঝে টানাপোড়েন শত শত বছর আগে থেকেই চলে আসছে। সময়ের পরিক্রমায় হোয়াইট হাউসের গদিতে যারাই বসেছেন, তাদের বেশিরভাগই মেক্সিকোর প্রতি বিরূপ আচরণ দেখিয়েছেন। কঠোর বিধিনিষেধ ছুঁড়ে দিয়েছেন নানা সময়। কখনো অর্থনৈতিক অবরোধ, কখনো সীমান্তের রেখা নিয়ে বিরোধ কিংবা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নিয়ে মেক্সিকোর সঙ্গে কখনোই সম্পর্ক ভালো করতে চাননি মার্কিন কর্তারা। যার ফলে প্রতিবেশী দেশ দুটোর মাঝে সম্পর্কের ফারাক তৈরি হয়েছে শত বছরের। বিংশ শতাব্দীর শুরুর সময় থেকে একবিংশ শতাব্দীতেও নিষ্পত্তি না হওয়া দুই দেশের মধ্যকার সবচেয়ে বড় সমস্যাটি হচ্ছে সীমান্তে অনুপ্রবেশ নীতি।
বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকেও মেক্সিকো থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করায় কোনোপ্রকার বিধিনিষেধ ছিলো না। সেই সময় হোয়াইট হাউজের কর্তাদের মাঝেও এই বিষয়টি নিয়ে কোনোপ্রকার মাথাব্যথা ছিল না। কারণ তখন মেক্সিকানরা যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিখাতে ব্যাপক অবদান রাখতো। বলতে গেলে তখনকার সময়ে দেশটির কৃষিক্ষেত্রে যুগান্তকারী উন্নতির পেছনে সিংহভাগ অবদান ছিলো মেক্সিকান শ্রমিকদের। যার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করায় কোনো বিধিনিষেধ ছিলো না। কিন্তু দিনকে দিন মেক্সিকো থেকে সীমান্ত পাড়ি দেয়া মানুষের সংখ্যা বাড়তেই থাকে, যা মার্কিন মুলুকের নজরে পড়ে।
ফলে ১৯২৯ সালে একটি আইন পাস করে মেক্সিকান অভিবাসীদের অবাধে সীমান্ত পারাপারে বিধিনিষেধ আরোপ করে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। আর এসবের সত্যতা পাওয়া যায় দ্য ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটি অব আমেরিকার নামকরা অধ্যাপক জুলিয়া ইংয়ের বক্তব্যে। তিনি বলেন, “১৯২০ সালের আগেও মেক্সিকোর মানুষদের কাছে আমেরিকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে সীমান্ত বলতে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিলো না। তারা নিজেদের ইচ্ছেমতোই সপরিবারে প্রবেশ করতেন এবং বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসবাস করতেন।” জুলিয়ার বক্তব্য থেকে পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে সীমান্ত পারাপারের বিল ১৯২৯ সালে পাশ হলেও এর এক দশক আগে থেকেই এই বিষয়টি নিয়ে কানাঘুষা চলছিল।
মূলত সেই সময় সীমান্তে মেক্সিকানদের সঙ্গে অনেক ইউরোপীয় এবং অল্প সংখ্যক এশীয় অভিবাসীর অবাধে প্রবেশ করার বিষয়টি নজরে আসে মার্কিন কর্তৃপক্ষের। দীর্ঘ সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইউরোপীয় এবং এশীয় উন্নত জীবনের আশায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সহজ পথ হিসেবে মেক্সিকোকেই বেছে নেয়! কিন্তু দিন দিন যখন তাদের সংখ্যা বেড়েই চলেছিলো ঠিক তখনই টনক নড়ে মার্কিন কর্তাদের। জুলিয়া ইয়ং আরো জানান,“সীমান্ত পারাপার শুধুমাত্র ১৯২৫ সালেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তবে এটি মেক্সিকান অভিবাসন প্রত্যাশীদের প্রবেশ বন্ধ করতে নয়।” তার বক্তব্য থেকে সেই সময় সীমান্ত পারাপারে এমন নিয়মনীতির কিছু উল্লেখযোগ্য কারণ জানা যায়। মূলত, প্রথমদিকে মার্কিন প্রশাসন অবৈধ অস্ত্র, মদ পাচারের সঙ্গে সঙ্গে এশীয় অভিবাসন প্রত্যাশীদের ঠেকানোর উদ্যোগ নিয়েছিলো।
কারণ এর কিছুকাল আগে এশীয় অভিবাসন প্রত্যাশীদের আমেরিকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এটি ১৮৮২ সালে চীনা বর্জন আইনের পরিপ্রেক্ষিতে গৃহীত হয়েছিলো। পরবর্তীতে ১৯১৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি মার্কিন কংগ্রেসে একটি আইন পাস করে অভিবাসন নীতি প্রণয়ন করা হয়। আর সেই নীতির পরিপ্রেক্ষিতে এশিয়ানদের প্রথম কোনো অভিবাসন প্রত্যাশী জাতি হিসেবে নিষিদ্ধ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেই সময় মার্কিন প্রশাসন চাইলে অননুমোদিত অভিবাসীদের নির্বাসনে দিতে পারতো, কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারতো না। কারণ ১৯১৭ সালের অভিবাসন নীতিতে শাস্তির বিষয়টি উল্লেখ ছিলো না।
তবে সেই সময় সর্বাধিক অননুমোদিত অভিবাসন প্রত্যাশীর আগমন ঘটে দক্ষিণ এবং পূর্ব ইউরোপ থেকে। কারণ ঐ অঞ্চলের লোকজন বিশ্বাস করতো- আমেরিকানরা তাদের মতোই শ্বেতাঙ্গ অ্যাংলো স্যাক্সন প্রোটেস্ট্যান্টদের দেশ। কিন্তু প্রথমদিকে তারা কোনোভাবেই মার্কিন জাতীয়তাবাদী এবং শ্বেতাঙ্গ সুপ্রিমিস্টদের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি। ফলশ্রুতিতে ১৯২৪ সালে জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক ব্যক্তিরা একটি আইন পাসের মাধ্যমে নতুন অভিবাসন নীতি প্রণয়ন করেন। আর সেই নতুন অভিবাসন নীতি অনুযায়ী ইউরোপীয়দের প্রবেশের ক্ষেত্রে দেশভিত্তিক কোটা প্রথা প্রচলন শুরু হয়। আর সেই কোটা প্রথায় দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপীয়দের থেকেও উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের ইউরোপীয়দের বেশি প্রাধান্য দেয়া হতো। যদিও তখনও এশীয়দের নিষিদ্ধের তালিকাতেই রেখেছিলেন আইন প্রণয়নকারীরা।
জাতীয়তাবাদী নেতারা তখন এই আইনটি মেক্সিকান অভিবাসীদের ক্ষেত্রেও কার্যকর করতে পরিকল্পনা করেন। কারণ ১৯২০ এর দশকে মেক্সিকান বিপ্লবের কারণে আমেরিকায় ব্যাপকহারে শরণার্থী প্রবেশ করে। আর এই শরণার্থীদের সংখ্যা দিনকে দিন বেড়েই চলেছিলো। কিন্তু ১৯২৪ সালের অভিবাসন নীতির নতুন আইন পাস করতে গিয়ে উভয় সংকটে পড়েন নেতারা। এর আগে এশীয় অভিবাসীদের নিষিদ্ধ করার কারণে কৃৃষিকাজ এবং শিল্পকারখানায় সস্তা শ্রমিকের অভাব শুরু হয় গোটা যুক্তরাষ্ট্রে। অন্যদিকে, যেসকল মেক্সিকানের পরিশ্রমে মার্কিন কৃষি ব্যবস্থার চাকা ঘুরছিলো তাদের নিষিদ্ধ করা হলে থমকে যেত যুক্তরাষ্ট্রের গোটা কৃষিখাত, যার কারণে সেবার উত্তর আমেরিকান অভিবাসীদের প্রবেশের ক্ষেত্রে দেশ কোটা প্রথা অনুমোদন দেয়নি মার্কিন কংগ্রেস।
অতঃপর ১৯২৯ সালে শ্বেতাঙ্গ সুপ্রিমিস্ট সিনেটর কোলম্যান লিভিংস্টোন জাতীয়তাবাদীদের দাবী এবং কৃষিখাতের চাহিদার ব্যাপারে একটি আপসের প্রস্তাব দেন। যদিও পরোক্ষভাবে এটি ছিলো মেক্সিকান অভিবাসীদের সংখ্যা কমানোর একটি নতুন ফন্দি। তিনি তার প্রস্তাবে এমন একটি ফৌজদারি আইন প্রণয়নের প্রস্তাব দেন, যেখানে উল্লেখ থাকে মেক্সিকানরা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কিছু পথ দিয়ে আমেরিকায় প্রবেশ করতে পারবে। সেই সাথে একটি নির্দিষ্ট ফিও পরিশোধ করতে হবে এবং কয়েকটি স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফলাফল জমা দিতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্ধারিত সেই প্রবেশ পথগুলো ছিলো দুই দেশের সীমান্ত থেকে অনেকটা দূরে। এটি ছাড়াও এই আইনের কারণে নতুন করে সমস্যা সৃষ্টি হয়। আমেরিকা এবং মেক্সিকোর এই চুক্তির সুযোগ নিয়ে অর্থ এবং শারীরিক পরীক্ষার ফলাফল জমা দিয়ে মেক্সিকোর বাইরের অনেক লোকও সীমান্ত পার হতে শুরু করে। ইতিহাসবিদ কেলি লাইটল হার্নান্দেজ লিখেছেন,
এই প্রবেশমূল্য মেক্সিকান শ্রমিকদের জন্য মাত্রাতিরিক্ত ছিলো। তাছাড়াও মার্কিন কর্তৃপক্ষ মেক্সিকানদের অপদস্থ ও অপমান করতো, কারণ তারা কেরোসিন দিয়ে গোসল করার পাশাপাশি দেয়ালের নানাবিধ আঁকাআঁকি করতো। সেই সাথে মার্কিনীরা এটাও বিশ্বাস করতো যে, মেক্সিকান অভিবাসীরা তাদের শরীরের সঙ্গে ময়লা এবং রোগজীবাণু বহন করে।
অতঃপর লিভিংস্টোনের প্রস্তাবিত আইনটি মার্কিন আইনের ১৩২৫ ধারার ৮ অনুচ্ছেদে পাস হয়। আর এই ১৩২৫ ধারা অনুযায়ী ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কিছু সংখ্যক লোকের জন্য মার্কিন সীমান্ত পারাপার অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। নতুন পাসকৃত এই আইন অনুসারে বেআইনিভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করলে প্রথমত ফেডারেল ক্রাইম এবং দ্বিতীয়ত জঘন্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতো। আর এই অপরাধের জন্য শাস্তিও নির্ধারণ করেছিলেন আইনপ্রণেতারা। ১৩২৫ ধারা পরিপন্থী কোনো অপরাধের জন্য জরিমানার পাশাপাশি স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী জেলের শাস্তিও আরোপ করা হয়। শুধু তা-ই নয়, এই আইন কার্যকর করা হয় বিভিন্ন সময় মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা অভিবাসীদের উপরও।
১৩২৫ ধারা পাশ হওয়ার পরের ১০ বছরে প্রায় ৪৪,০০০ মেক্সিকান অভিবাসীর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলো মার্কিন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এই সংখ্যাটি তুলনার জন্য খুব অল্প ছিলো। কারণ তখন জাতীয়তাবাদী নেতারা অভিযান চালিয়ে প্রায় ১ মিলিয়নের অধিক অভিবাসীকে জোরপূর্বক মেক্সিকোতে ফেরত পাঠায়। কারণ তারা বিশ্বাস করতো মেক্সিকানরা আমেরিকার অর্থনৈতিক ক্ষতিসাধন করছে। আর ইতিহাসে একে ‘ডিক্যাড অব বিট্রেয়াল’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এটি সংগঠিত হয় ১৯৩০ এর দশকের শুরুতে। শুধু তা-ই নয়, সেই সময় মেক্সিকানদের কর্মসংস্থান নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করা অনেক মেক্সিকান বংশদ্ভূতকেও সেই ১ মিলিয়ন লোকের সঙ্গে ফেরত পাঠানো হয়েছিলো।
জাতীয়তাবাদীরা কিছু লোকের প্লেগে আক্রান্ত হওয়ার সুযোগ নিয়ে ১৩২৫ ধারার প্রয়োগ করে এই নির্মমতা চালিয়েছিলো। বাবা-মায়ের কাছ থেকে সন্তানকে আলাদা করে দেয়ার এমন নজির ইতিহাসে খুব কমই দেখা যায়। অন্যদিকে, মেক্সিকানরাও আমেরিকার উপর প্রতিশোধ নিতে ফেরত পাঠানো সেই লোকদের উপর অত্যাচার চালায়। যার ফলে প্লেগ রোগে আক্রান্ত অনেক শিশুই মৃত্যুবরণ করেছিলো বিনা চিকিৎসায়। ১৩২৫ ধারা অনুসারে বাবা-মায়ের কাছ থেকে আলাদা হয়ে মেক্সিকোয় বসবাস করা শিশুরা বৈধ বয়স অর্জন করার পর পুনরায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি পেতো। পরবর্তীতে ফিরে এসে তারা মেক্সিকানদের নির্মমতার গল্প সবাইকে শুনিয়েছিলো।
এর কিছুকাল পরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুতে আবারো মেক্সিকানদের প্রয়োজনবোধ করে মার্কিনিরা। তখন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক মানুষ যুদ্ধে যোগ দেয়, যার কারণে নিজেদের কৃৃষিকাজ এবং শিল্পকারখানাগুলোকে সচল রাখতে অতিরিক্ত শ্রমিকের প্রয়োজন পড়ে। আর সেই সুবাদে যুক্তরাষ্ট্র ৩ লাখ মেক্সিকান শ্রমিককে সাময়িক সময়ের জন্য কৃৃষিকাজে নিয়োগ করে। সাময়িক সময়ের জন্য শ্রমিক নিয়োগ দেয়ার ঘটনাটিকে ইতিহাসে ‘ব্রাসেরো প্রোগ্রাম’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মূলত এটি যুদ্ধ চলাকালীন সময়েও যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি ও শিল্প ব্যবস্থার চাকা সচল রেখেছিলো।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে শুরু হওয়া সেই ব্রাসেরো প্রোগ্রামটি ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত অব্যহত ছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে ১৩২৫ ধারা অনুযায়ী ব্রাসেরো প্রোগ্রাম চলাকালে বিভিন্ন সময়ে আগত অভিবাসীদের বৈধ নাগরিকত্ব দেয়নি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই বিষয়টি নিয়ে মামলা হলেও সরকারি আইনজীবীরা শেষমেশ অর্থের বিনিমিয়ে কালক্ষেপণ শুরু করেন। শেষপর্যন্ত রাষ্ট্রপ্রধানরা বিভিন্ন সময় ১৩২৫ ধারা অমান্য করে লক্ষ লক্ষ মেক্সিকান অভিবাসীকে নির্বাসনে দেয়। এছাড়াও বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধান ক্ষমতায় এসেও অসম্পূর্ণ এই মামলাটির নিষ্পত্তি করেননি। স্বয়ং জর্জ ডব্লিউ বুশও এই মামলাটির বিচারকার্য পরিচালনার আগ্রহ দেখাননি।
অতঃপর প্রেসিডেন্ট বারাক ওমাবার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনেও মামলাটি এখন অবধি চলছে। এদিকে গত বছর থেকেই মেক্সিকো সীমান্তে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে ১৩২৫ ধারার অভিবাসন নীতিকে কাজে লাগিয়ে সীমান্তে বাবা-মায়ের কাছ থেকে সন্তানদের পৃথকীকরণ, অতীতে প্রবেশ করা মেক্সিকানদের বৈধতা না দেয়ার মতো নির্মম বিষয়গুলো ২০২০ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। গত ২৯ জুন ডেমোক্রেটদের প্রাথমিক বিতর্কে জুলিয়ান কাস্ত্রো এই বিতর্কিত ১৩২৫ ধারা বাতিলের আশ্বাস দেন। সেই সাথে বিভিন্ন দলের নেতাদের সমর্থনও দাবি করেন তিনি।