দলিত কৃষকদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন তেলেঙ্গানার কৃষক বিদ্রোহ

১৯৪৭ সালের ভারতভাগ এশীয় উপমহাদেশ তথা পৃথিবীর ইতিহাসেই একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ব্রিটিশদের বিশাল এই ভারতীয় উপমহাদেশের রাজত্ব ছেড়ে দেয়াটা মোটেও কোনো তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত ছিল না। বরং পুরো ভারতজুড়ে অসংখ্য প্রতিবাদ, প্রতিরোধ আর অস্থির ঘটনাবলীর চূড়ান্ত পরিণতি ছিল ভারতের স্বাধীনতা। স্বাধীনতার সময় যত ঘনিয়ে এসেছিল, দেশজুড়ে অস্থিরতাও তত বৃদ্ধি পেয়েছিল। তবে কিছু ঘটনার সাথে দেশভাগের কোনো সম্পর্ক ছিল না। সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র কারণে সৃষ্ট সেসব ঘটনা ভারতের স্বাধীনতার পরও অব্যাহত ছিল কিছুকাল। এরকমই একটি ঘটনা ছিল তেলঙ্গানার কৃষক আন্দোলন, যা তেলেঙ্গানা বিদ্রোহ নামেও পরিচিত।

তেলেঙ্গানার কৃষক বিদ্রোহে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ ছিল; Image Source: alchetron.com

ভারতের স্বাধীনতার প্রাক্বালে শুরু হওয়া তেলেঙ্গানার কৃষক আন্দোলন স্বাধীনতার পর আরো বছর তিনেক চলেছিল। নিরীহ আর নিরস্ত্র কৃষকদের বিদ্রোহী হয়ে ওঠার পেছনে রাজনৈতিক কারণ যতটা না ছিল, তার চেয়ে বেশি ছিল সামাজিক কার্যকারণ। এই সামাজিক কারণগুলোর মাঝে শাসক শ্রেণির শোষণ-বঞ্চনার পাশাপাশি ধর্ম, ভাষা আর বৈষম্যমূলক রাষ্ট্রীয় আইনও ছিল। নিজামদের (তৎকালীন হায়দারাবাদের শাসকদের নিজাম বলা হতো) স্বেচ্ছাচারিতা, রাষ্ট্রীয় করের বোঝা, দলিত আর অচ্ছুতদের সাথে অমানবিক আচরণ- সব কিছু মিলিয়ে তেলেঙ্গানা হয়ে উঠেছিল ফুটন্ত তেলের কড়াই, যার হিংস্র উত্তাপ টের পেয়েছিল শাসক শ্রেণী।

স্বাধীনতার পূর্ব থেকেই ভারতের হায়দারাবাদ অঙ্গরাজ্যে তিনটি স্পষ্ট ভাষাগত অঞ্চল বিভাজন ছিল। তেলেগু, মারাঠি ও কন্নড়ি ভাষাভাষী মানুষের এ তিন অঞ্চলেই হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষেরা ছিল সংখ্যাগুরু, কিন্তু শাসন ক্ষমতা ছিল সংখ্যালঘু মুসলিমদের হাতে। উপমহাদেশের ইতিহাস বলে আন্দোলন বা বিদ্রোহের জন্য কেবল ধর্মই যথেষ্ট। কিন্তু তেলেঙ্গানায় ধর্মের সাথে যোগ হয়েছিল আরো অনেক কারণ।

হায়দারাবাদের অর্ধেকের বেশি অঞ্চলেই তখন তেলেগুদের বসবাস ছিল। এ কারণে নিজাম এ অঞ্চলের উপর সবকিছুতেই অতিরিক্ত কঠোরতা আরোপ করতেন। বৃহত্তর সংখ্যাকে বশে রাখতে পারলে অন্যান্যরাও অনুগত থাকবে- এরকমই ছিল মনোভাব। এখানকার জমির মালিকানা ও বন্টন বিষয়ক আইনগুলো তাই ছিল অত্যন্ত বৈষম্যমূলক। এ অঞ্চলের ৪০ শতাংশের বেশি জমির মালিকানা ছিল হয় নিজামের নাহয় নিজাম কর্তৃক ‘জায়গির’ হিসেবে প্রদত্ত কোনো অভিজাত বংশের হাতে। অবশিষ্ট জমি ছিল সরকারি কর ব্যবস্থার অন্তর্গত। স্থানীয় প্রভাবশালী জমিদারদের কারণে সরকারি এসব জমিতেও কোনোরুপ অধিকার বা নিরাপত্তা ছিল না দরিদ্র চাষীদের। কোনো কারণ ছাড়াই উচ্ছেদ করা যেত যখন তখন।

পুচালাপালি সুন্দরাইয়া; Image Source: twitter.com

তেলেঙ্গানার কৃষক আন্দোলনের নেতা এবং ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য পুচালাপালি সুন্দরাইয়া ১৯৭২ সালে একটি গবেষণামূলক রিপোর্ট প্রকাশ করেছিলেন, যেখানে তেলেঙ্গানায় তৎকালীন ভূমি বন্টন বিষয়ক বৈষম্যের আসল চিত্র উঠে এসেছে। এই রিপোর্ট অনুযায়ী ’৪৭ পূর্ব সময়ে অন্তত ৫৫০ জন জমিদার ৫০০ একরের অধিক জমির মালিক ছিল। কয়েকজন জমিদারের মালিকানায় ৩০ হাজার থেকে ১ লক্ষ একর জমি পর্যন্ত ছিল!

অচ্ছুত বা দলিত সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে শোষণ ছিল আরো ভয়াবহ। ‘ভেতি’ আইন নামক একটি অলিখিত আইন প্রচলিত ছিল এই সম্প্রদায়ের জন্য। এ আইনের আওতায় প্রত্যকে দলিত পরিবার থেকে একজন পুরুষকে প্রতিদিন বাধ্যতামূলকভাবে বিনা পারিশ্রমিকে জমিদারদের জন্য কাজ করতে হতো। কোথাও কোথাও নারীদেরকে যেতে হত জমিদারদের গৃহস্থালী কাজের জন্য। এসব নারীরা প্রায়ই যৌন নির্যাতনের শিকার হতেন।

ভাষা ও সংস্কৃতিগতভাবেও তেলেগুদের দমিয়ে রাখার একটা প্রচ্ছন্ন চেষ্টা সব সময়ই ছিল। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনেও তেলেগু ভাষাভাষী মানুষের প্রাধান্য ছিল নীচের দিকে। ভাষা ও আঞ্চলিকতার কারণে অবহেলিত তেলেগুরা ১৯২২ সালে একাট্টা হয় নিজেদের অধিকার রক্ষার জন্য। সে বছর ‘হিন্দু রিফর্ম কনফারেন্স’ নামক একটি সভায় তেলেগু বক্তাদের ভাষণের সময় তীব্র ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপ করা হলে তেলেগু নেতারা সভা ত্যাগ করেন এবং হায়দারাবাদে তেলেগু ভাষা ও এ ভাষার মানুষের অধিকার স্থাপনের শপথ নিয়ে ‘অন্ধ্র জন সংঘ’ গঠন করেন। ১৯২৮ সালে এটি ‘অন্ধ্র মহাসভা’ নামধারণ করে আরো বড় পরিসরে আত্মপ্রকাশ করে এবং ভাষা কেন্দ্রিক আন্দোলনে সীমাবদ্ধ না থেকে তেলেঙ্গানা অঞ্চলের মানুষের বৃহত্তর রাজনৈতিক স্বার্থে আন্দোলন শুরু করে।

রবি নারায়ণ রেড্ডি; Image Source: thehindu.com

’৩০ এর দশকের শুরুতেই অন্ধ্র মহাসভাতে যোগ দেয় পরিবর্তনবাদী বামপন্থী নেতা রবি নারায়ণ রেড্ডি। তিনি সংগঠনটিকে নতুন দিশা দিতে শুরু করেন। ভূমিকর কমানো, অলিখিত ভেতি আইন বিলোপ, স্থানীয় আদালতগুলোতে তেলেগু ভাষার প্রচলনসহ একাধিক জনপ্রিয় দাবি উত্থাপন করেন এই নেতা। কিছুকাল পর বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির উপর নিষেধাজ্ঞা রদ করা হয়। সাথে সাথেই তেলেঙ্গানার দুস্থ ও দলিত কৃষকদের নিয়ে কাজ শুরু করে কমিউনিস্টরা। এতে করে অন্ধ্র মহাসভাও ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয় কমিউনিস্ট মনোভাব দ্বারা, প্রভাবিত হন রেড্ডি নিজেও। তারা গ্রামে গ্রামে জমিদার আর ভূস্বামীদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র কৃষক সংঘ গড়ে তোলার কাজ শুরু করে।

গ্রামে গড়ে তোলা সংঘগুলো থেকেই মূলত তেলেঙ্গানায় কৃষক আন্দোলনের সূচনা। ১৯৪৬ সালের জুলাই মাসে এক স্থানীয় জমিদারের একজন কর কর্মকর্তা তেলেঙ্গানার এক গ্রামে শতাধিক গুন্ডা নিয়ে এক ব্যক্তির ফসলি জমি দখলে যায়। ঐ ব্যক্তি গ্রামের কৃষক সংঘের সহায়তায় কর সংগ্রাহকসহ তার দলকে ধাওয়া দিয়ে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেয়। এই ঘটনার জের ধরে পরদিন ঐ সংঘের ৬ জন নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই গ্রেফতারের প্রতিবাদে গ্রামবাসী পরদিন মিছিল নিয়ে স্থানীয় ঐ জমিদারের বাড়ির দিকে যাত্রা করে। কিন্তু বাড়িতে পৌঁছার পূর্বেই জমিদার পক্ষের লোকজনের গুলিতে নিহত হয় সংঘের নেতা ডোডি কোমারাইয়া। শুধু তা-ই নয়, এই খুনের দায়ে থানায় মামলাও হয় সংঘেরই সদস্যদের নামে!

শুষ্ক খড়ের গাদায় লেলিহান আগুনের শিখা উসকে দিতে ক্ষুদ্র একটি আগুনের ফুলকিই যথেষ্ট। তেলেঙ্গানা যদি হয় সেই খড়ের গাদাটি, কোমারাইয়ার মৃত্যু ছিল সেই স্ফুলিঙ্গ।  গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে এই মৃত্যুর খবর, কৃষকদের প্রতিবাদের খবর, জমিদারদের পক্ষ নিয়ে পুলিশের মিথ্যা মামলার খবর। প্রায় ৪০০ গ্রামের হাজার হাজার কৃষক রাস্তায় নেমে আসে, জমিদারদের বাড়ির সামনে ভেতি আইন, নির্বিচার উচ্ছেদসহ অন্যান্য বঞ্চনার বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে থাকে। কৃষক সংঘের গঠিত স্বেচ্ছাসেবী বাহিনীর ভয়ে অনেক গ্রামের জমিদার নিজ বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। এমনকি অনেক গ্রামে কৃষকেরা ভেতি আইন বন্ধ করতে সক্ষমও হয়।

প্রথম প্রথম কৃষকেরা সফল হলেও দ্রুতই তাদের উপর রাষ্ট্রযন্ত্রের খড়গ নেমে আসে। পুলিশ আর সেনাবাহিনী সম্মিলিতভাবে সার্চ অপারেশন চালিয়ে বহু নিরপরাধ এবং আন্দোলনে সংযুক্ত নয় এমন কৃষককেও গ্রেফতার করে নিয়ে যায়, অত্যাচার চালায়। এদিকে ভারতের স্বাধীনতার পরও হায়দারাবাদের নিজাম এবং অভিজাত শ্রেণী হায়দারাবাদকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ভারত থেকে আলাদা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়, নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় জনমানুষের জন্য কাজ করা অন্ধ্র মহাসভাকে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই এই সংগঠন কংগ্রেসের সাথে জোট বেঁধেছিল হায়দারাবাদকে ভারতের অংশ করতে, যদিও নীতিগত বিরোধে দ্রুতই জোটের পতন ঘটে।

সমগ্র তেলেঙ্গানাতেই ছড়িয়ে পড়েছিল কৃষকদের এই বিদ্রোহ; Image Source: en.wikipedia.org

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক বর্বর এবং ঘৃণ্য বাহিনীর নাম রাজাকার বাহিনী। তবে রাজাকার বাহিনী উপমহাদেশে একাত্তরের পূর্বেও গঠিত হয়েছিল; সেটি হয়েছিল তেলেঙ্গানা বিদ্রোহের সময়েই। নিজামের সহযোগী উগ্র সংগঠন ‘মজলিস-ই-ইত্তেহাদ’ নিজামকে সহায়তার জন্য নিজস্ব প্যারামিলিশিয়া বাহিনী গঠন করে যার নাম দেয়া হয় রাজাকার বাহিনী। এই বাহিনী গ্রামে গ্রামে কৃষকদের উপর নির্যাতন, অপহরণ, গুম, খুন আর লুটপাট চালায়। কিন্তু আন্দোলন ততদিনে হাজার চারেক গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছিল। সিপিআই আর অন্ধ্র মহাসভার মিলিত উদ্যোগে গ্রামে গ্রামে ২৫ সদস্যের এলাকা বাহিনী আর ৫০ সদস্যের সশস্ত্র গ্রাম বাহিনী গড়ে তোলা হয়। এই বাহিনীগুলো রাজাকারদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ১৯৪৮ এর শেষ নাগাদ প্রায় ২ হাজার সদস্যের একটি গেরিলা বাহিনীও তৈরি হয়ে যায়।

রাজাকার আর কৃষকদের দ্বিমুখী সংঘর্ষের মাঝেই সেনাবাহিনী নামিয়ে হায়দারাবাদকে ভারতের সাথে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় কংগ্রেস সরকার। ১৯৪৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে গ্রামে গ্রামে শুরু হয় সেনাবাহিনীর চিরুনি অভিযান। সেনাবাহিনী প্রথমেই আক্রমণ করে নিজাম, নিজামের অনুগত পুলিশ আর রাজাকার বাহিনীর উপর। অল্প সময়ের মধ্যেই এরা সবাই বশ্যতা স্বীকার করে নিলে সেনাবাহিনী কৃষক আন্দোলন ঠেকাতে উদ্যত হয়। সেনাবাহিনীর এই অভিযান চলে পরবর্তী তিন বছর। এ সময় ৩ লক্ষাধিক সাধারণ মানুষ নির্যাতিত হয়, ৫০ হাজারের অধিককে টর্চার ক্যাম্পে নিয়ে নির্যাতন করা হয়, বিভিন্ন মেয়াদে কারাগারে পাঠানো হয় ৫ হাজার মানুষকে। আর মৃতের সঠিক সংখ্যা কারোরই জানা নেই।

সেনাবাহিনীর আগমনের পূর্বে যে আন্দোলন ছিল অন্যায় অবিচার আর শোষণমূলক আইনের বিরুদ্ধে, সেনাবাহিনী আসার পর সেই আন্দোলন হয়ে যায় নবগঠিত এক রাষ্ট্রের অত্যাচারী রাষ্ট্রযন্ত্রের বিরুদ্ধে বেঁচে থাকার লড়াই। রাজাকার দৃশ্যপটে আসবার পূর্বে যে আন্দোলন ছিল শুধু কৃষক আর দলিত শ্রেণীর মানুষের সংগ্রাম, অন্ধ্র মহাসভার সংগ্রাম, রাজাকারদের সশস্ত্র প্রতিক্রিয়া শুরুর পর সেই আন্দোলন পরিণত হয় সিপিআইয়ের আন্দোলনে। অর্থাৎ, তেলেঙ্গানার কৃষক আন্দোলন অল্প সময়েই একাধিকবার এর বাঁক বদলেছে, রাজনৈতিক গতিপথ পাল্টেছে।

তেলেঙ্গানার এই কৃষক বিদ্রোহের পথ ধরেই পরবর্তীকালে সেখানে কমিউনিস্ট আন্দোলন শক্তিশালী হয়, কৃষকদের অনেক অধিকার সংরক্ষিত হয়; Image Source: m.dailyhunt.in

সেনাবাহিনী ভেতি আইন ও জায়গির প্রথা রদ করলেও খুব শীঘ্রই জমিদাররা পুনরায় এসে স্ব স্ব জমির দখল শুরু করে। সিপিআইকে এক সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণ না করলে ‘দেখামাত্র গুলি’র হুমকি দেয়া হলেও আন্দোলন অল্প পরিসরে চলতে থাকে। গেরিলা সদস্যরা বনে জঙ্গলে বসবাসকারী পাহাড়িদের বাড়িতে আশ্রয় নিলে সেনাবাহিনী জরুরি ভিত্তিতে সাধারণ মানুষ সরিয়ে নিয়ে গ্রামের পর গ্রাম, বন-জঙ্গল জ্বালিয়ে দেয়, কিছু স্থানে গণহত্যাও চালায়। অবশেষে ১৯৫১ সালের অক্টোবর মাসে কংগ্রেসের সাথে একাধিক বৈঠক ও সমঝোতার পর আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করে সিপিআই।

ঐতিহাসিক তেলেঙ্গানা কৃষক বিদ্রোহের একক ফলাফল নির্ধারণ করা কঠিন। সিপিআইয়ের সমঝোতার সাথে সাথে থেমে যাওয়া এ আন্দোলনই পরবর্তীকালের কমিউনিস্ট আন্দোলনের পথ দেখিয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। ’৬০ এর দশকের শেষভাগে শুরু হওয়া নকশাল আন্দোলনে কৃষক-প্রজাদের সশস্ত্র অংশগ্রহণের মাঝেও তেলেঙ্গানা বিদ্রোহের অনুপ্রেরণা খোঁজেন অনেক ইতিহাসবিদ। তাৎক্ষণিক ফলাফল বলতে বৈষম্যমূলক ভূমি আইন ও অমানবিক ভেতি আইনের বিলোপ। তবে দীর্ঘমেয়াদে এ আন্দোলনের ফলাফল মূলত কৃষক ও শ্রমিক শ্রেণীকে শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে সচেতন করা। ভারতে কমিউনিস্ট পার্টির পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিকভাবে শক্ত অবস্থানে যাওয়ার পেছনেও এ আন্দোলনের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

Topic: Telengana Peasant Revolt
Language: Bangla
Reference: Given inside the article as hyperlinks

Feature Image: telanganatoday.com

 

Related Articles

Exit mobile version