আরব্য রজনীর বিখ্যাত শহর ইরাকের রাজধানী বাগদাদের নাম শোনেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। ইসলামী স্বর্ণযুগের প্রাণকেন্দ্র, জ্ঞান ও বিজ্ঞান নগরী, খলিফা হারুন উর রশিদের এই শহরকে আরও হাজারো অভিধায় অভিহিত করলেও পরিচয় শেষ হবেনা। অষ্টম থেকে ত্রয়োদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত সুদীর্ঘ পাঁচশ বছর বাগদাদ ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে সমৃদ্ধ নগর। এই অর্ধ সহস্রাব্দে সম্পদ, প্রাচুর্য কিংবা জ্ঞান-গরিমায় বাগদাদের সমকক্ষ আর একটি শহরও খুঁজে পাওয়া যাবেনা। কিন্তু ১২৫৮ সালের দিকে স্বপ্নের এই শহরে আচমকা নেমে এল ভয়ানক দুঃস্বপ্ন। হালাকু নামের সেই মরুঝড়ে হঠাৎ করেই ধ্বংস হয়ে গেল প্রায় ১০ লক্ষ লোকের আবাসভূমি তৎকালীন মেগাসিটি বাগদাদ। কী ঘটেছিল বাগদাদবাসীর ভাগ্যে? ইতিহাসে নজিরবিহীন সেই বর্বরতার কাহিনীর লেখা হয়েছে এই ফিচারটি।
বাগদাদের জন্ম
ইউফ্রেতিস (ফোরাত) ও টাইগ্রিস (দজলা) নদীর অববাহিকায় অবস্থিত ইরাক সুপ্রাচীন কাল থেকে সভ্যতা বিকাশের জন্য অতি আদর্শ স্থান। তাই মেসোপটেমীয়, ব্যাবিলনীয় ও সুমেরীয় সভ্যতার মত বড় বড় সভ্যতার সুতিকাগার এখানেই। ইসলামের আগমনের আগে পারস্য সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল ইরাকের ত্বিসফিন নগরীতে। আরবীতে মাদাইন নামেই বেশি পরিচিত এই শহর। তবে ৬৩৬ সালে কাদেসিয়ার যুদ্ধে মুসলিম বাহিনীর হাতে পারস্য সাম্রাজ্যের পতনের পর মুসলিম বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসাবে বিবেচিত হতে থাকে ইরাক বিশেষকরে ইরাকের কুফা নগরী। তখনও জন্ম হয়নি বাগদাদের। তবে ৭৫০ এর দশকে আব্বাসীয় খিলাফতের সময় একটি নতুন রাজধানীর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি থেকে দ্বিতীয় খলিফা মানসুর গোড়াপত্তন করেন বাগদাদ নগরীর। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী বাগদাদ ছিল সম্পূর্ণ বৃত্তাকার এবং চতুর্দিকে পরিখা বেষ্টিত।
তবে বাগদাদের আসল সমৃদ্ধি শুরু হয় খলিফা হারুন উর রশিদের সময় থেকে। তারপর সুদীর্ঘ কাল ধরে বাগদাদের মসনদে অসীন হতে থাকেন পূর্বসুরীদের কীর্তিকেও ছাড়িয়ে যাওয়া একেক জন শাসক। তবে কালক্রমে বাগদাদের সমৃদ্ধির ইতিহাস ক্ষীয়মাণ হতে শুরু করল। দ্বাদশ শতকের শুরুরদিক থেকে হারুন উর রশিদ, মামুন, মানসুর, মুহতাসিমদের সেই পরাক্রম যেন শুধুই গল্পের মত শোনাত। বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণের কেন্দ্র বাগদাদের শাসকগোষ্ঠী তখন শুধু ভোগ বিলাস ও অন্তরকোন্দলে ব্যস্ত।
হালাকু খানের উত্থান
হালাকু খানের মূল পরিচয় দুর্ধষ বিজেতা চেঙ্গিস খানের নাতি হিসাবে। তার পিতা তুলুই ছিল চেঙ্গিস খানের স্বীকৃত চার পুত্রের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ অন্যদিকে তার মাতা ছিল অত্যন্ত প্রভাবশালী মোঙ্গল রাজকুমারী সারখংতানি বেখি। হালাকুর আপন ভাই মঙ্গে গ্রেট খান থাকা অবস্থায় তাকে মোঙ্গল সাম্রাজ্যের দক্ষিণ পশ্চিম অংশ ও অর্থাৎ মধ্যপ্রাচ্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর সেখানেই ছিল মোঙ্গল সাম্রাজ্যের সাথে আব্বাসীয় খিলাফতের সীমানা। পূর্বসুরীদের ঐতিহ্য হারিয়ে জৌলুসহীন আব্বাসীয় খিলাফত তখন নখ দন্ত বিহীন খলিফা মুস্তাসিম বিল্লাহর হাতে। তাই খুব সহজে ধুরন্ধর হালাকুর লোলুপ দৃষ্টি নিপতিত হল সম্পদশালী অথচ দুর্বল বাগদাদের দিকে। তবে বাগদাদের প্রতি হালাকুর এতটা তীব্র আক্রোশের মূল কারণ ছিল বোধ হয় হালাকুর ধর্মীয় বিশ্বাস। বাগদাদ ম্যাসাকারের সময় বেছে বেছে মুসলমানদের হত্যা করার ঘটনা এই দাবিকে আরও জোড়াল করে। যদিও এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই নিষ্টুর মোঙ্গলবাহিনীর বিভিন্ন হত্যাযজ্ঞ থেকে কোন ধর্মীয় গোষ্ঠিই আসলে রক্ষা পায়নি। তবে হালাকুর বিষয়টি অন্যদের চেয়ে একটু ভিন্ন। কারণ যুগটা ছিল ক্রুসেডের যুগ। হালাকুর মা এবং তার একজন প্রভাবশালী স্ত্রী ছিল খ্রিস্টান যদিও হালাকু নিজে বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী ছিল বলে অনেক সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। হালাকুর খুব একটা সুনজর ছিলনা মুসলমানদের প্রতি। সেই সময়ে মুসলিম বিশ্বের কেন্দ্র বাগদাদকে ধূলিসাৎ করার অর্থ রাজনৈতিকভাবে ইসলামকে পঙ্গু করে ফেলা।
বাগদাদ ধ্বংসের পটভূমি
শেষের দিকে আব্বাসীয় খিলাফত শুধু সামরিক শক্তিতেই নয়, নৈতিকভাবেও অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছিল। একদিকে আমীর ওমরাহ ও শাসকগোষ্টি মত্ত ছিল চরম ভোগ বিলাসে অন্যদিকে আলেম সমাজ ব্যস্ত ছিল একে অপরের উপর দোষারোপে। হালাকুর বাগদাদ আক্রমণের গুঞ্জন যখন কাপুরুষ মুস্তাসিম বিল্লাহর কানে পৌঁছাল, ভীত সন্ত্রস্ত মুস্তাসিম তার সভাসদদের কাছে পরামর্শ চাইলেন। সেই সময় মুস্তাসিমের প্রধান উজির ইবনুল আলকেমি পরামর্শ দিল সেনাবাহিনীর সংখ্যা কমিয়ে ফেলার জন্য। কারণ হিসাবে সে দেখাল যেহেতু যুদ্ধ করে হালাকুকে পরাজিত করা অসম্ভব তাই অযথা এত বড় বাহিনী পুষে হালাকুর কুদৃষ্টিতে পড়ার কোন মানেই হয়না। তারচেয়ে বরং খলিফার উচিত হবে সৈন্য সংখ্যা কমিয়ে হালাকুর আস্থা অর্জন করা এবং সন্ধির চেষ্টা করা। ভয়ানক ব্যাপার হল এই আলকেমি আসলে মোঙ্গল গুপ্তচর। তৎকালীন মোঙ্গলদের কূটনীতির একটি জঘন্যদিক ছিল কোন সাম্রাজ্য আক্রমণ করার আগে সেই সাম্রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ কিছু মানুষকে ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে হাত করে ফেলা। বাগদাদেও তারা সেটাই করেছিল ইবনুল আল কেমিকে দিয়ে। খলিফা হওয়ার স্বপ্নে বিভোর আলকেমির কুমন্ত্রণায় নির্বোধ মুস্তাসিম বোকার মত সেই কাজটি করলেন। বলে রাখা হল এই বিশ্বাস ঘতক আলকেমির সাথে রসায়নে শাস্ত্রের কোন সম্পর্ক নেই।
বাগদাদ আক্রমণ
নগরবাসী কিছু বুঝে ওঠার আগেই হঠাৎ একদিন সাইমুম ঝড়ের মত বাগদাদকে চারদিক ঘিরে ফেলল হালাকুর সৈন্যরা। আরোপ করার হল আবরোধ। হয় আত্মসমর্পণ নয়তো না খেয়ে মৃত্যু এমন পরিস্থিতিতে সৈন্য সামন্ত বিহীন মুস্তাসিম নগরের বাইরে গেলেন হালাকুর সাথে দেখা করতে। ঢাল তলোয়ার বিহীন মুস্তাসিমের সাথে কোন সন্ধি করতেই রাজি হল না কুটিল হালাকু বরং সে খলিফাকে নগরফটক খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিল। ফটকে খুলে দেওয়ার পর বানের জলের মত বাগদাদের ভেতর প্রবেশ করতে লাগল হালাকুর সৈন্যরা।
শুরু হল নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ। সেই হত্যাযজ্ঞের নারকীয়তা বোধ হয় লিখে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। ঘরে, বাইরে মসজিদে যেখানে যাকে পাওয়া গেল নারী, শিশু, বৃদ্ধ নির্বিশেষে সবাইকে হত্যা করল মোঙ্গলরা। শুধু মানুষ হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি তারা, ধ্বংস করে ফেলল বাগদাদের বিখ্যাত দারুল হিকামহ যেখানে সঞ্চিত ছিল বিগত ৫০০ বছরে মানব ইতিহাসে অর্জিত প্রায় সকল জ্ঞান। বলে রাখা ভাল বাগদাদ প্রসিদ্ধ ছিল অনুবাদের জন্য। পূর্বে ভারতবর্ষ থেকে শুরু করে পশ্চিমে গ্রীক সভ্যতা পর্যন্ত বিভিন্ন ভাষায় পুরনো কিংবা আধুনিক যত বই পাওয়া যেত সেগুলো গণহারে আরবিতে অনুবাদ করা হত বাগবাদে। তাই বাগদাদকে তৎকালীন পৃথিবীর ইন্টারনেট সার্ভার বললেও ভুল হবেনা। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় মোঙ্গলদের আক্রোশ থেকে রেহাই পেলনা সেই মহামূল্যবান বইগুলোও। ধারণা করা হয় বাগদাদের দারুল হিকমা লাইব্রেরীতে পায় ১০ লক্ষ বই সংগৃহীত ছিল। পুরো কালেকশন দজলা নদীতে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল জালিম হালাকু বাহিনী। সেই অমূল্য বইগুলো টিকে থাকলে মানব সভ্যতা এগিয়ে যাওয়ার জন্য হয়ত পরবর্তী আরও ৪০০ বছর অর্থাৎ ইউরোপের রেনেসাঁ আসার আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতনা।
একসময় লাশের বোটকা গন্ধে ভারি হয়ে এল বাগদাদের বাতাস। সেই বিশ্রী গন্ধে কুলোতে না পেরে শহরের বাইরে চলে গেল হালাকু। তারপরও একাধারে ৪০ দিন চলল হত্যাযজ্ঞ। প্রায় পুরো জনসংখ্যা নির্মুল হালাকু অভিযানে সমাপ্তি ঘোষণা করল। ততদিনে আরব্য রজনীর স্বপ্নের বাগদাদ পরিণত হয়ে গেছে দুঃস্বপ্নের ভূতুড়ে নগরীতে।
ফলাফল
ধারণা করা হয় বাগদাদে প্রায় ২ থেকে ১০ লক্ষ মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল যার মূল টার্গেট ছিল বাগদাদের মুসলমানরা। আসলে পরিস্থিতির নারকীয়তা এতই ভয়াবহ ছিল যে সেই ইতিহাস যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ করার মত কোন সুস্থ মানুষ সেখানে জীবিত ছিলেন না। বিপুল পরিমাণ মানুষের রক্ত ও বইয়ের কালির দরুণ কিছুদিনের জন্য বদলে গিয়েছিল দজলা ও ফোরাতে পানির রং। আরেকটি কথা আমাদের ভুলে গেলে চলবেনা সে সময় না ছিল বন্দুক কিংবা এখনকার মত গণবিধ্বংসী কোন মারণাস্ত্র। তা সত্ত্বেও এত বিপুল সংখ্যক মানুষকে তরবারির সাহায্যে হত্যা করার ঘটনা আমাদের বুঝিয়ে দেয় কতটা ভয়াবহ ছিল সেই হত্যাকান্ড।
বাগদাদের পতনকে শুধু ইসলাম কিংবা মুসলিম বিশ্বের দুর্ভাগ্যের ইতিহাস বলে বেঁধে রাখা মোটেও উচিত হবেনা। বাগদাদে বিজ্ঞান ও দর্শনসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর বিস্তারিত গবেষণা হত যেগুলো ছাড়িয়ে গিয়েছিল ধর্মীয় সীমারেখা। তাই বাগদাদ হয়ে ধ্বংস যাওয়া গোটা মানব সভ্যতার জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে মানব সভ্যতাকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল আরও কয়েক শতাব্দী অর্থাৎ ওটোম্যানদের উত্থান এবং ইউরোপের রেনেসাঁ পর্যন্ত।
মুস্তাসিম বিল্লাহকে হালাকু কিছুদিন বাঁচিয়ে রেখেছিল বাগদাদের ধ্বংসযজ্ঞ স্বচক্ষে দেখার জন্য। একে একে তার সামনেই হত্যা করা পরিবারের সবাইকে। সবশেষে জীবিত মুস্তাসিমকে কার্পেটে মোড়ানোর পর ঘোড়া দিয়ে মাড়িয়ে হত্যা করা হয়। বলা হয়ে থাকে বাগদাদে রাজপ্রসাদের নিচে লুক্কায়িত ছিল আব্বাসীয়দের বিগত ৫০০ বছরের সঞ্চিত বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ ও অন্যান্য ধন সম্পদ। মুস্তাসিমকে পিষে মেরে ফেলার আগে নাকি হালাকু সেগুলো খোঁজ জানতে চেয়েছিল। সেই সম্পদ তুলে নেওয়ার পর ক্ষুধার্থ মুস্তাসিম হালাকুর কাছে কিছু খাবার চাইলে হালাকু তাকে অপমান করে বলেছিল এই স্বর্ণ চিবিয়ে খেতে। হালাকু আরও বলেছিল নির্বোধের মত এই সম্পদ জমিয়ে না রেখে এগুলো দিয়ে বিরাট বাহিনী তৈরি করতে পারতে। প্রহরী বিহীন নগরে এত বিশাল ফটক না রেখে ফটকের লোহা গলিয়ে সৈন্যদের অস্ত্র বানাতে পারতে। হালাকুর এই কথাগুলো স্পষ্ট বুঝিয়ে দেয় ভোগ বিলাসে মত্ত শেষের দিকের।
আব্বাসীয় শাসকদের অদূরদর্শিতা কত বড় সর্বনাশ ডেকে এনেছিল। সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হল বিশ্বাসঘাতক ইবনুল আলকেমি তার প্রাপ্য পুরষ্কারটি কিন্তু ঠিকই পেয়েছিল। যেহেতু সে নিজের খলিফার সাথেই বিশ্বাসঘাতকতা করেছে সেই অপরাধে মোঙ্গলরা তাকেও হত্যা করেছিল করুণভাবে। এভাবে মীরজাফরের মত আলকেমিও পেয়েছিল তার অপকর্মের উচিত সাজা।
বাগদাদের ধ্বংস কী শুধুই একটি নগরের পতন? নাকি আরও বেশি কিছু? অথচ বাগদাদ ধ্বংসের ঠিক ৪০ বছর আগে যখন চেঙ্গিস খান আব্বাসীয়দের প্রতিবেশী খোয়ারেজেম সাম্রাজ্য ধ্বংস করেছিল এতে আব্বাসীয়দের প্রচ্ছন্ন সমর্থন ছিল। কেননা তারা মনে করত খোয়ারেজেম সাম্রাজ্যের ক্রমবর্ধমান ক্ষমতা তাদের আঞ্চলিক আধিপত্যের জন্য হুমকি। অথচ তারা একটি বারও ভাবেনি এমন পরিণতি হতে পারে আমাদেরও। বরং খোয়ারেজেমে সংঘটিত গণহত্যার চেয়েও ভয়ংকর ছিল বাগদাদের গণহত্যা। যেকোন সভ্যতাই এক সময় ধ্বংস হয়ে যায় তবে সেই ধ্বংসের ইতিহাস থেকে শেখার আছে অনেক কিছু। অনাগত প্রজন্মের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেই শিক্ষা। ধ্বংসের সময় বাগদাদে জ্ঞানীর অভাব ছিলনা, মানুষের অভাব ছিলনা এমনকি অভাব ছিলনা সম্পদেরও। এত কিছু সত্ত্বেও কেন বাগদাদ এড়াতে পারল তার করুণ পরিণতি? এই প্রশ্নের উত্তর আমাদের ভাবতে শিখিয়েছে অনেক কিছু।