মৃত্যুর পরবর্তী জীবন নিয়ে আমাদের আগ্রহের শেষ নেই। অজানা সেই জীবনটি কেমন হবে, সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় আমাদের ধর্মগ্রন্থগুলোর মাধ্যমে। একইসাথে আমাদের আগ্রহ রয়েছে প্রাচীন পৃথিবীর মানুষদের জীবনযাত্রা সম্পর্কেও। তারা কীভাবে চলাফেরা করতেন, তাদের বিভিন্ন আইন-কানুন, খাবারদাবার, যুদ্ধকৌশল, সমাজ ব্যবস্থা, রাজ্য বিস্তার ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমরা অনেক কিছুই জেনেছি সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে রাত-দিন কাজ করে যাওয়া জ্ঞানীদের বদৌলতে।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ আমরা জানবো প্রাচীন পৃথিবীর মানুষেরা মৃত্যুর পরবর্তী অজানা জীবন সম্পর্কে কী ধারণা পোষণ করতো সেই সম্পর্কে। অদেখা সেই জীবন নিয়ে তাদের কল্পনার বিস্তৃতি নিশ্চিতভাবেই যে কাউকে বিস্মিত করে ছাড়বে!
মেসোপটেমীয় সভ্যতা
মেসোপটেমিয়ার বিস্তৃতি ছিলো টাইগ্রিস-ইউফ্রেটিস নদীর তীরবর্তী অঞ্চল জুড়ে। আধুনিক কালের হিসেবে ইরাকের অধিকাংশ এলাকা, কুয়েত, সিরিয়ার পূর্বাঞ্চল, তুর্কীস্তানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল এবং তুর্কী-সিরীয় ও ইরান-ইরাক সীমান্তবর্তী এলাকাজুড়েই ছিলো এ সভ্যতার মানুষগুলোর বসবাস।
প্রাচীন এ সভ্যতার অধিবাসীদের মৃত্যু পরবর্তী জীবন সম্পর্কে ধারণা মানব সৃষ্টির সাথে সম্পর্কিত। তারা বিশ্বাস করতো তাদের সৃষ্টিকর্তার নাম উই-ইলু। তিনি মাটি এবং আরেক দেবতার রক্ত একসাথে মিশিয়েই সৃষ্টি করেছেন মানবজাতি। শরীরে ঈশ্বরের রক্ত থাকায় মানুষ হয়ে উঠেছিলো অমর। তাই মৃত্যুর পর সেই অমর দেহ আবার মাটিতে ফিরে যায়।
পাতালপুরীতে যাওয়ার আগে সাময়িকভাবে মানবদেহের অমর সেই অংশ প্রেতাত্মা হিসেবেই মাটিতে থাকে কিছুটা সময়। এরপর তার যাত্রা শুরু হয় পাতালপুরীর উদ্দেশ্যে। তখন পিশাচে পরিপূর্ণ অঞ্চল অতিক্রম করতে হয় তাকে। এরপর সিলুশি নামক এক সত্ত্বা তাকে খুবার নদী পেরোতে সাহায্য করে। পাতালপুরীর প্রহরী বিদুর অনুমতি নিয়ে এরপর তারা পার হয় একে একে সাতটি দরজা।
পাতালপুরীতে পৌঁছানোর পরই অমর সেই অংশের বিচার শুরু করতেন একদল দেবতা। এর উপরই নির্ভর করতো মানুষটি স্বর্গে যাবে, নাকি নরকে। জীবিতাবস্থায় সেই ব্যক্তির গুণাবলী এবং মৃত্যুর পর তার দেহটি ঠিকমতো সৎকার করা হয়েছে কিনা- এ দুটি বিষয়ের উপরেই মূলত নির্ভর করতো স্বর্গ-নরক প্রাপ্তি।
অ্যাজটেক সভ্যতা
মোটামুটি চতুর্দশ থেকে ষোড়শ শতাব্দী পর্যন্ত মেসোআমেরিকার বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে বসবাস ছিলো অ্যাজটেক সভ্যতার লোকেদের। মধ্য মেক্সিকো থেকে বেলিজ, গুয়াতেমালা, এল সালভাদর, হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া, কোস্টারিকার উত্তরাঞ্চল জুড়ে ছিলো এ মেসোআমেরিকার বিস্তৃতি।
অন্যান্য সভ্যতার তুলনায় মৃত্যু পরবর্তী জীবন নিয়ে অ্যাজটেকদের ধারণা ছিলো আলাদা। কারণ অন্য সব সভ্যতায় যেখানে স্বর্গ-নরক প্রাপ্তির ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়া হতো এবং এখনও দেয়া হয় কর্মফলকে, অ্যাজটেকরা সেখানে গুরুত্ব দিতো সেই মানুষটি কীভাবে মারা গিয়েছে তার উপর।
একজন নারী, যার কিনা সন্তান জন্মদানের সময় মৃত্যু হয়েছে, তার স্থান হতো পূর্বদিকে। তখন তাদের মূল কাজ থাকতো পাতালপুরী থেকে প্রতিদিন সূর্যের উদয়ে সাহায্য করা।
যেসব মানুষ কুষ্ঠ রোগ, বজ্রপাত কিংবা পানিতে ডুবে মারা গিয়েছে, তাদের স্থান হতো দক্ষিণে। সেখানে খাবারদাবারের কোনো অভাব হতো না।
স্বাভাবিকভাবে মৃত্যু বরণকারী মানুষগুলোর স্থান হতো উত্তরে। সেখানে মোট চার বছর সময়ে তাদেরকে আটটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হতো পাতালপুরীতে। সেই চ্যালেঞ্জগুলো জয় করতে পারলেই নবম স্তরে গিয়ে আত্মা পেত তার কাঙ্ক্ষিত শান্তি।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ছিলো যোদ্ধাদের, মৃত্যুর পর যাদের ঠিকানা হতো পশ্চিমে। অ্যাজটেকরা বিশ্বাস করতো যে, এমনও একদিন আসতে পারে যেদিন সূর্য অস্ত যাবার পর আর কখনোই উদীত হবে না। মৃত্যুর পর একজন যোদ্ধা তাই চলে যেত পশ্চিমে থাকা স্বর্গে। সেখানে তাদের ঈশ্বর হুইত্জিলোপখ্তলির সাথে মিলিত হয়ে অশুভ শক্তির সাথে লড়াই করে তারা সূর্যের উদীত হবার ব্যাপারটি নিশ্চিত করতো। এভাবেই চারটি বছর কাটিয়ে দিতো যোদ্ধারা। এরপর তারা পৃথিবীতে আবারো ফিরে আসতো; তবে মানুষ হয়ে নয়, হামিংবার্ডের বেশে!
মাওরি সভ্যতা
১২৫০-১৩০০ সালের মাঝামাঝি সময়টুকুতে পলিনেশিয়ার পূর্বাঞ্চল থেকে ডিঙি নৌকায় চড়ে নিউজিল্যান্ডে এসে বসতি গড়েছিলো মাওরি সভ্যতার লোকেরা।
এ সভ্যতার লোকেরা বিশ্বাস করতো যে, মৃত্যুর পর একজন কোনো মানুষের আত্মা হাঁটতে হাঁটতে চলে যায় নিউজিল্যান্ডের নর্থ আইল্যান্ডের উত্তর দিকে একেবারে শেষ মাথায়, যার নাম কেপ রেইঙ্গা (Cape Reinga)। সেখানে গিয়ে পহুতুকাওয়া নামক একটি গাছ বেয়ে প্রথমে নিচে নামতো আত্মাটি। তারপর সমুদ্রে নেমে চলে যেত পাতালপুরীতে, তার পূর্বপুরুষদের সাথে যোগ দিতে।
দুই থেকে শুরু করে বারোটি পর্যন্ত এলাকায় বিভক্ত ছিলো তাদের মৃত্যু পরবর্তী জীবন। প্রতিটি এলাকাই শাসন করতো তাদের কোনো না কোনো দেবতা। তবে পৃথিবীতে তারা কী করেছে, তা তাদের পারলৌকিক জীবনে কোনো প্রভাব ফেলতো না। কারণ মৃত্যু পরবর্তী জীবনে ‘শাস্তি’ বলে কোনো শব্দ তাদের অভিধানে ঠাই পায় নি!
এরপরও একটা দুশ্চিন্তার বিষয় থেকে গিয়েছিলো তাদের মাঝে, আর সেটি হলো গাছ বেয়ে নামা। তারা বিশ্বাস করতো যে, মৃত আত্মা যদি ঠিকমতো সেই গাছটি বেয়ে নামতে না পারে, তাহলে তা জীবিতদের জন্য বয়ে আনবে দুর্যোগ।
ভাইকিং
পরকাল নিয়ে প্রাচীন ভাইকিংদের বিশ্বাস ছিলো বেশ মজার। তারা বিশ্বাস করতো মৃত্যুর পর কোনো ভাইকিং যোদ্ধা ভালহাল্লা নামক বিশাল বড় এক প্রাসাদে প্রবেশ করে। এর ছাদ বানানো হয়েছে ঢালের সাহায্যে, নেকড়ে আর ঈগলেরাই এর পাহারাদার। সেখানে তাদের অভিনন্দন জানান দেবতা ওডিন। এরপর সেই যোদ্ধার সাথে মধু ও পানির গাজন থেকে তৈরি এক প্রকার পানীয় পান করতেন তিনি। ভালহাল্লায় যোদ্ধারা প্রতিদিন সদ্য জবাই করা শূকরের মাংস খেতো। এছাড়া উত্তেজক পানীয়র কোনো অভাবও ছিলো না সেখানে।
ভালহাল্লায় পৌঁছানো যোদ্ধারা সবসময় নিজেদের সাথে যুদ্ধ করতেন। অবশ্য সেটা আসল যুদ্ধ না, বরং পৃথিবীর শেষ দিনে হতে যাওয়া ভয়াবহ যুদ্ধের আগে নিজেদের শানিয়ে নেয়ার প্রস্তুতি। এই শেষ দিনকে তাদের ভাষায় বলা হয় র্যাগনারক (Ragnarök)। সেদিন ভালহাল্লার ৫৪০টি দরজা দিয়ে একে একে বেরিয়ে আসবে ভাইকিং বীর যোদ্ধারা, দেবতা ওডিনের সাথে এক কাতারে দাঁড়িয়ে যুদ্ধ করবে নর্স মিথলজির কুখ্যাত নেকড়ে ফেন্রিরের সাথে। এই ফেন্রির হলো দেবতা লোকীর ছেলে। যখন কোনো একজন সাহসী যোদ্ধা মারা যেত, ভাইকিংরা তাই মনে করতো র্যাগনারকের যুদ্ধের জন্য ওডিনের আরো একজন সাহসী যোদ্ধার প্রয়োজন!
অবশ্য সকল যোদ্ধাই যে ভালহাল্লায় যেতে পারবেন তেমনটা না। বরং সৎ ও কেবলমাত্র যুদ্ধের ময়দানে মারা যাওয়া যোদ্ধারাই এ সৌভাগ্য লাভ করে বলে বিশ্বাস করতো তারা। এজন্য যুদ্ধের ময়দানে নিজেদের উজাড় করে দিয়েই যুদ্ধ করতো ভাইকিং যোদ্ধারা।
তবে যুদ্ধে যারা মারা যেত না, তাদের পরকাল অন্য রকমের হবে বলে বিশ্বাস ছিলো ভাইকিংদের। তারা মূলত সমুদ্রযাত্রা করতো। তাই সমুদ্রের বুকে জাহাজে কিংবা সমুদ্রে ডুবে কেউ মারা গেলে তারা ভাবতো যে, মৃত লোকটি এখন সমুদ্রের দেবতা এজিরের প্রাসাদে যাবে।
অসৎ লোকেরা মৃত্যুর পর প্রবেশ করতো এমন এক প্রাসাদে যেখানে রয়েছে ভয়াবহ বিষধর সাপ। সেই সাপগুলোর মুখ থেকে প্রবাহিত হয়েছে বিষের নদী। আবার কেউ যদি অসুস্থ হয়ে কিংবা বৃদ্ধ বয়সে মারা যেত, তবে তার পরিণতি হতো সবচেয়ে খারাপ। তাদের ধোয়াশাচ্ছন্ন এমন এক জগতে প্রবেশ করা লাগতো যেখানে তাদের খাবারগুলো হতো কল্পনাতীত নিম্নমানের।
আবার অনেক যোদ্ধাই ছিলো, মৃত্যুর পর যাদের ভালহাল্লায় যাবার সৌভাগ্য হতো না। ভাইকিংরা মনে করতো যে, সেই যোদ্ধারা মৃত্যুর পর ফোকভ্যাংর (Fólkvangr) নামক জায়গায় চলে যায়, যার শাসক হিসেবে থাকে দেবী ফ্রেয়া। সেখানে অনেকটা আমাদের মতোই জীবনযাপন করতো যোদ্ধারা। তারা একে অপরের সাথে গল্পগুজব করতো, অবসর কাটাতো সৃজনশীল নানা কাজকর্মে। দুনিয়ায় যেসব নারী অবিবাহিত অবস্থাতেই মারা গিয়েছে, তাদেরকেই সঙ্গিনী হিসেবে পেত সেই যোদ্ধারা।
গ্রীক ও রোমান
মৃত্যু পরবর্তী জীবন নিয়ে প্রাচীন গ্রীক ও রোমান সভ্যতার লোকেদের একইরকম ধারণা ছিলো।
গ্রীক মিথোলজি অনুসারে, মৃত্যুর পর একজন ব্যক্তির যাত্রা শুরু হয় পাতালপুরীর উদ্দেশ্যে যার শাসক হিসেবে আছেন দেবতা হেড্স ও তার স্ত্রী পার্সিফোন। মৃত ব্যক্তির আত্মাকে পাতালপুরীতে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাবার দায়িত্ব ছিলো দেবতা জিউসের পুত্র হার্মিসের। অ্যাকাইরন, ককেটাস, ফ্লেগেথন, স্টাইক্স ও লেথ- এ পাঁচটি নদী ঘিরে রেখেছিলো পাতালপুরীকে। কেউ যাতে সেখানে পথ হারিয়ে না ফেলে, এজন্যই দরকার হতো পথপ্রদর্শকের।
পাতালপুরীতে প্রবেশের জন্য সবাইকে স্টাইক্স নদী পার হতে হতো। নৌকার মাঝির নাম ছিলো কারো, যাকে নদী পার করে দেয়ার জন্য ভাড়াও দেয়া লাগতো। এ ভাড়ার অর্থ একজন মৃতব্যক্তির ঠোঁটের উপর রেখে দিতো তার আত্মীয়রা। যদি কেউ সেই অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হতো, তাহলে পৃথিবী ও পাতালপুরীর মধ্যবর্তী এক জায়গায় শোচনীয় অবস্থায় দিন কাটাতে হতো তাকে।
নদী পার হলেই দেখা মিলতো সেরবেরাস নামক বিশাল বড় তিন মাথাওয়ালা এক কুকুরের। সেরবেরাসকে পার করে ভেতরে ঢুকলেই দেখা মিলতো তিন বিচারকের- হ্যাডামেন্থাস, মিনোস ও ঈকাস। মৃত লোকটি এরপর তার জীবদ্দশায় যা যা করেছে তা একে একে বর্ণনা করতো সেই বিচারকত্রয়ীর কাছে। তার কাজকর্মের উপর ভিত্তি করে তিন রকমের ফলাফল আসতে পারতো।
১) তাকে পাঠানো হবে অ্যাসফোডেল প্রান্তরে। ধূসর বর্ণের মন খারাপ করা সেই প্রান্তরেই শেষ ঠিকানা হতো অধিকাংশ মৃত ব্যক্তির। সেখানে উদ্দেশ্যহীনভাবে পায়চারি করে বেড়াতো তারা!
২) বীর ও ভালো মানুষদের জায়গা হতো এলিসিয়ামে। সেটাই ছিলো প্রকৃত স্বর্গ।
৩) পাপাত্মাদের পাঠানো হতো তার্তারুসের গর্তে, যার অবস্থান পাতালপুরীর একেবারে নীচে। অন্ধকার ও মেঘাচ্ছন্ন সেই জায়গায় অনেক রকম শাস্তির মধ্য দিয়ে যেতে হতো তাদের। এমনকি মাঝে মাঝে সেখানে কিছু ঝড় হয় যা একজন মানুষকে উড়িয়ে নিলে পরবর্তী এক বছর পর্যন্ত সে আর মাটির দেখা পায় না বলেই বিশ্বাস ছিলো গ্রীকদের।
মিশর
প্রাচীন মিশরের লোকেরা আত্মাকে ডাকতো ‘বা’ নামে। তারা বিশ্বাস করতো যে, মৃত্যুর পর ‘বা’র পরকাল ভ্রমণ শুরু হয়। তখন তাকে দেব-দেবীদের পাহারা দেয়া অনেকগুলো গেট পেরিয়ে যেতে হয়। সবগুলো গেট পার হলে বা প্রবেশ করে বিশাল বড় এক প্রাসাদে।
সেই প্রাসাদের একেবারে শেষ প্রান্তে বসে থাকতেন পাতালপুরীর দেবতা ওসাইরিস। এছাড়া আশেপাশে থাকতো আরো ৪২ জন দেবতা। তাদের সবার কাছে গিয়েই একে একে বা-কে নিজের কৃতকর্মের ব্যাপারে জানাতে হতো।
এ প্রাসাদ পার হলে এরপর বা-কে যেতে হতো আরেক জায়গায় যেখানে তার হৃদয়ের পরিমাপ করা হতো! প্রাচীনকালে মিশরের অধিবাসীরা বিশ্বাস করতো যে, মানুষের হৃদয়ে তার সব কার্যাবলী লিপিবদ্ধ করা থাকে। এজন্য দাঁড়িপাল্লার একপাশে সেই মৃত মানুষটির হৃদয় এবং অন্য পাশে সত্য ও ন্যায়বিচারের দেবী মা’আতের একটি পালক রাখা হতো। যদি পালকটি ভারী হতো, এর অর্থ দাঁড়াত যে, মানুষটি দোষী। তখন সেই হৃদয় খেয়ে ফেলতো আম্মিত নামক পিশাচ। নারী এ পিশাচের শরীর ছিলো কুমির, জলহস্তী ও সিংহের সমন্বয়ে গঠিত।
যদি পালক ও হৃদয় ওজনে সমান হতো, তাহলে সৌভাগ্যবান সেই লোকটিকে নিয়ে যাওয়া হতো ওসাইরিসের কাছে, দান করা হতো অমরত্ব। এরপর তাকে একটি জমি দেয়া হতো যেখানে চাষাবাদ করে বাকি কালটুকু পার করে দিতো সে!